'ভারতবর্ষ' গল্পের 'বুড়ি'-কে একটি উদ্দেশ্য ও আদর্শের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা যায়।- এই অভিমতের পক্ষে বা বিপক্ষে তােমার বক্তব্য যুক্তি-সহ আলােচনা করাে।
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের 'ভারতবর্ষ' গল্পের কোলকুঁজো থুথুড়ে ভিখারিনি বৃদ্ধটি ছিল রাক্ষসীর মতাে দেখতে। তার ক্ষয়াটে ছােট্ট মুখমণ্ডলের বলিরেখাগুলি স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে, মাথা-ভরতি সাদা চুল, পরনে ছেঁড়া নােংরা একটি কাপড়, গায়ে জড়ানাে তুলাের এক চিটচিটে কম্বল আর হাতে একটি বেঁটে লাঠি।
অসহায় ভিখারিনি হলেও সে অত্যন্ত তেজি, মেজাজি এবং আত্মসম্মানবােধ সম্পন্ন মহিলা। তার তেজ এবং চালচলন নিয়ে আড্ডাধারীরা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করলে সে তাদের তীব্রভাবে ভৎসনা করে।
যখন দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর চারপাশের মারমুখী হিন্দু-সুসলিম জনতাকে দেখে শুনে সে ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে ওঠে তখন বৃদ্ধার রসিকতাবােধের প্রমাণ পাওয়া যায়।
লেখক এই বৃদ্ধ চরিত্রের মধ্য দিয়েই ভারতমাতার প্রাচীনত্ব, দারিদ্র্য এবং অসহায়তা যেমন প্রকাশ করেছেন, তেমনই তার ধর্মনিরপেক্ষতাও প্রকাশিত হয়েছে। তাই গল্পের শেষে ভিড়ের মধ্য থেকে একজন যখন বুড়ি হিন্দু না মুসলমান তা জিজ্ঞাসা করে, তখন বুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে জানায়— “... চোখের মাথা খেয়েছিস মিনসেরা?.... আমি কী তা দেখতে পাচ্ছিস নে?” সুতরাং বৃদ্ধার চরিত্রের মধ্য দিয়েই লেখক গল্পের জনতাকে এবং পাঠকদের এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন যে, এদেশ হিন্দুর নয়, মুসলমানের নয়, এদেশ আপামর ভারতবাসীর। সুতরাং এ গল্পের বুড়িটি একটি উদ্দেশ্য ও আদর্শের প্রতীক।
সাম্প্রদায়িকতা বিরােধী গল্প হিসেবে ভারতবর্ষ ছােটোগল্পটি কতখানি সার্থকতা আলােচনা করাে।
লদীতে ফেলে দিয়ে এসাে।—উক্তিটি কার? কোন পরিস্থিতিতে তার এই উক্তি?
ভারতবর্ষ গল্পটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
রূপ নারানের কূলে/জেগে উঠিলাম- কবির এই জেগে ওঠার তাৎপর্য আলােচনা করাে।
জানিলাম এ জগৎ/ স্বপ্ন নয়।- কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য লেখাে।
রক্তের অক্ষরে দেখিলাম/আপনার রূপ,- এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?
মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দিতে।- কোন দেনা শােধের কথা বলা হয়েছে কবিতাটি অবলম্বনে আলােচনা করাে।