"ফিরে এসে সবাই দিগন্তে চোখ রাখল ঝাকে ঝাকে কখন শকুন নামবে।"- সকাল থেকে ঘটা ঘটনাবলির আনুপূর্বিক বিবরণ দাও। সবাই এমনটা করেছিল কেন?
আনুপূর্বিক ঘটনাবলির বিবরণ: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ ছছাটোগল্পের থুথুড়ে বৃদ্ধটি দুর্যোগময় বৃষ্টির দিনে বাজার সংলগ্ন বটগাছতলায় আশ্রয় নিয়েছিল। পরের দিন তাকে সেখানেই চিত হয়ে অসাড়ভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। চাওয়ালা জগা বলে- "নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা।” এরপর নিঃসাড় বুড়ির চারপাশে ক্রমশ-জড়ােহওয়া লােকজন বুড়ির শরীরের এবং নাড়ির স্পন্দনহীনতা পরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে আসে যে, বুড়ি মৃত। চৌকিদারকে খবর দেওয়া হলে সে এসে সব দেখেশুনে খবরটা থানায় দিতে বারণ করে। থানা যেহেতু সেখান থেকে পাঁচ ক্রোশ দূরে, তাই সেখানে খবর দিতে এবং খবর পেয়ে তারপর থানার লােকেদের অকুস্থলে আসতে মাঝরাত্রি হয়ে যাবে। ততক্ষণে লাশের দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে বলে চৌকিদার জানায়। চৌকিদারের পরামর্শ মতাে উপস্থিত কয়েকজন মিলে বাঁশের মাচায় বুড়িকে ঝুলিয়ে নিয়ে দুমাইল দূরবর্তী শুকনাে নদীর চড়ায় ফেলে দিয়ে আসে। উজ্জ্বল রােদে নদীর চড়ায় গরম বালির ওপর বুড়ির দেহ চিত হয়ে পড়ে থাকে।
উদ্দিষ্ট আচরণের কারণ : নদী থেকে বাজারে ফিরে এসেই সবাই দিগন্তের আকাশে চোখ রেখেছিল। বুড়ির মৃতদেহের লােভে কখন ঝাক ঝাক শকুন নেমে আসে—তা দেখার আশায়।
দেখতে-দেখতে প্রচণ্ড উত্তেজনা ছড়াল চারদিকে।—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার বিবরণ দাও।
ছােটোগল্প হিসেবে ভারতবর্ষ-এর সার্থকতা বিচার করাে।
সাম্প্রদায়িকতা বিরােধী গল্প হিসেবে ভারতবর্ষ ছােটোগল্পটি কতখানি সার্থকতা আলােচনা করাে।
লদীতে ফেলে দিয়ে এসাে।—উক্তিটি কার? কোন পরিস্থিতিতে তার এই উক্তি?
ভারতবর্ষ গল্পটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
রূপ নারানের কূলে/জেগে উঠিলাম- কবির এই জেগে ওঠার তাৎপর্য আলােচনা করাে।
জানিলাম এ জগৎ/ স্বপ্ন নয়।- কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য লেখাে।
রক্তের অক্ষরে দেখিলাম/আপনার রূপ,- এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?