গ্রামীণ বসতির বৈশিষ্ট্য লেখাে। গ্রামীণ ও পৌর বসতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করাে।

গ্রামীণ বসতির বৈশিষ্ট্য

  • বসতিগুলির অবস্থান ও বিন্যাসের চরিত্র মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

  • বসতিগুলি বিক্ষিপ্ত ও গােষ্ঠীবদ্ধভাবে অবস্থান করে এবং পারিপার্শ্বিক সুযােগসুবিধা অনুযায়ী গড়ে ওঠে।

  • এগুলি আয়তনে অনেক ছােটো হয়।

  • কৃষিক্ষেত্রের মাঝে মাঝে গােষ্ঠীবদ্ধভাবে বা বিক্ষিপ্তভাবে বসতিগুলি বিন্যস্ত থাকে।

  • বাড়িঘর তৈরির উপাদান প্রকৃতি ও কৃষি থেকে গৃহীত হয়।

  • রাস্তাঘাট সাধারণত কাঁচা ও অনুন্নত প্রকৃতির হয়।

  • 75 শতাংশের বেশি পুরুষকর্মী প্রাথমিক অর্থনৈতিক কাজকর্মকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে।


গ্রামীণ ও পৌর বসতির পার্থক্য


গ্রামীণ বসতি


  • বাড়িগুলি অপেক্ষাকৃত দূরে দূরে অবস্থিত।

  • সাধারণত 5,000 জনের কম লােকের বাস। প্রতি বর্গকিমিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব 400 জনের কম। আয়তনে এটি পৌর বসতি অপেক্ষা ছােটো।

  • পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত।

  • গ্রামীণ অর্থনীতির মূল ভিত্তি হল কৃষিকাজ। এ ছাড়াও মানুষ মৎস্য শিকার, পশুপালন, বনজ সম্পদ সংগ্রহ ও নির্মাণমুখী শিল্পকর্মে নিযুক্ত থাকে।

  • কাঁচা পথের সংখ্যাই বেশি। রাস্তার ঘনত্ব (গ্রামের রাস্তার দৈর্ঘ্য : গ্রামের ক্ষেত্রফল) কম।

  • চিকিৎসা, শিক্ষা, খেলাধুলা ও বিনােদনের সুযােগ কম।

  • বিক্ষিপ্ত ও গােষ্ঠীবদ্ধ।

  • গ্রামীণ বসতিগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বেশি।


পৌর বসতি


  • বাড়িগুলি বেশ ঘনসন্নিবিষ্ট ভাবে অবস্থান করে। বহুতলবিশিষ্ট বাড়ির প্রাধান্যই বেশি।

  • ন্যূনতম জনসংখ্যা হল 5,000 জন এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে কমপক্ষে 400 জন। আয়তনে পৌর বসতি গ্রামীণ বসতি অপেক্ষা বড়াে।

  • মিউনিসিপ্যালিটি, অথবা কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট দ্বারা পরিচালিত।

  • পৌর বসতির লােকজনেরা মূলত বিভিন্ন শিল্পকর্ম, প্রশাসনিক কাজকর্ম, ব্যাবসাবাণিজ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, ইত্যাদি সরকারি ও বেসরকারি অকৃষি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকে।

  • সড়কপথ সাধারণত পাকা এবং এর ঘনত্ব (শহরের রাস্তার দৈর্ঘ্য ÷ শহরের ক্ষেত্রফল) বেশি।

  • চিকিৎসা, শিক্ষা, খেলাধুলা ও বিনােদনের সুযোেগ বেশি।

  • গােষ্ঠীবদ্ধ।

  • এই বসতিগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কম।