গ্রাম ও সবুজ গ্রাম বলতে কী বােঝ? ভারতীয় আদমশুমারি অনুযায়ী গ্রামীণ বসতির শ্রেণিবিভাগ করাে।

গ্রাম ও সবুজ গ্রাম

গ্রাম : পঞ্চায়েত শাসন ব্যবস্থার অন্তর্গত যে ছােটো প্রশাসনিক এলাকায় বসতিগুলি প্রাকৃতিক পরিবেশে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত বা গােষ্ঠীবদ্ধভাবে অবস্থান করে, বাড়িঘরগুলি মূলত পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি, অনুন্নত রাস্তাঘাট এবং বসবাসকারী লােকেরা প্রধানত প্রথম শ্রেণির অর্থনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, সেই এলাকাকে বলা হয় গ্রাম। বসতিগুলি সাধারণত গ্রামের আর্থসামাজিক ও পেশাগত ব্যবস্থার দ্বারা পৃথক হয়ে থাকে।


সবুজ গ্রাম : বনাঞ্চলের মধ্যে বা প্রান্তভাগে বনভূমির ওপর নির্ভর করে বনবাসীরা ছােটো ছােটো বসতি বা গ্রাম গড়ে তােলে। বনভূমির খােলা জায়গায় অবস্থিত অর্থাৎ সবুজে ঘেরা গ্রামগুলি সবুজ গ্রাম নামে পরিচিত। এসব গ্রামের ললাকেদের জীবিকা কৃষিকাজ হলেও সহায়ক উপজীবিকা হল বনভূমি থেকে বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা। উদাহরণ সুন্দরবন অঞ্চলে বনভূমির পশ্চিম প্রান্তে সবুজ গ্রামের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।


ভারতীয় আদমশুমারি অনুযায়ী গ্রামীণ বসতির শ্রেণিবিভাগ


2011 সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতের মােট জনসংখ্যার 68.84 শতাংশ (৪3.31 কোটি জনসংখ্যা) 6,40,867টি গ্রামে বাস করে। মােট জনসংখ্যা অনুসারে গ্রামীণ বসতিকে নিম্নলিখিত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়一


(১) খুব ছােটো গ্রাম (500 জনের কম)

(২) ছােটো গ্রাম (500-1,999 জন)

(৩) মাঝারি গ্রাম (2,000-4,999 জন)

(৪) বড়াে গ্রাম (5,000-9,999 জন)

(৫) খুব বড়াে গ্রাম (10,000 জন বা তার বেশি)


গ্রামীণ বসতির উল্লিখিত বিভাগগুলির মধ্যে [1] খুব ছােটো গ্রাম-এর সংখ্যাই বেশি। ভারতে মােট যত গ্রাম আছে, তার মধ্যে শতকরা প্রায় 55 ভাগই খুব ছােটো গ্রাম। [2] এরপর ছছাটো গ্রাম যা ভারতের মােট গ্রামের প্রায় 37 শতাংশ। আর [3] বড়াে গ্রাম এবং খুব বড়াে গ্রাম-এর সংখ্যা খুবই কম উভয়ে মিলে মাত্র 2 শতাংশ। [4] অবশিষ্ট 6 শতাংশ হল মাঝারি গ্রাম।