হলদিয়া বন্দরের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে | হলদিয়া বন্দরের আধুনিকীকরণের জন্য কী কী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে?
হলদিয়া বন্দরের বৈশিষ্ট্যসমূহ
[1] বন্দরের প্রকৃতি : হলদিয়া বন্দরটি একটি নদী বন্দর, যা হুগলি এবং হলদি নদীর সংযােগস্থলে গড়ে উঠেছে। হলদিয়া বন্দরে যে পােতাশ্রয়টি গড়ে তােলা হয়েছে তা কৃত্রিম।
[2] আয়তন : এটি ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বন্দর।
[3] জলের গভীরতা : বন্দরসংলগ্ন নদীরে জলের গভীরতা প্রায় ৪ মিটার থেকে 12 মিটার।
[4] বার্থ ও তেলজেটির সংখ্যা : হলদিয়া বন্দরে 12টি বার্থ গড়ে তােলা হয়েছে যার মধ্যে 9টি কাজ করছে। এখানে তেলজেটির সংখ্যা হল ওটি।
[5] পরিচালনের দায়িত্ব : এর পরিচালনের দায়িত্ব কলকাতা পাের্ট ট্রাস-এর ওপর।
[6] লক গেট : লক গেটের দৈর্ঘ্য 300 মিটার এবং প্রস্থ 40 মিটার।
[7] প্রধান আমদানি-রপ্তানি দ্রব্য : প্রধান আমদানি দ্রব্য অপরিশােধিত তেল এবং প্রধান রপ্তানি দ্রব্য চা ও পাটজাত দ্রব্য।
[8] পরিবহণ ব্যবস্থা : 41 নং জাতীয় সড়ক এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের দ্বারা হলদিয়া বন্দর যুক্ত।
হলদিয়া বন্দরের আধুনিকীকরণের জন্য গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প
হলদিয়া বন্দরের বর্তমান সমস্যাগুলি সমাধান এবং আধুনিকীকরণের জন্য গৃহীত প্রকল্পগুলি হল—
হলদিয়া বন্দর এলাকার সামগ্রিক উন্নতির জন্য হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ (HDA) তৈরি করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে হুগলি নদীর মােহনা থেকে হলদিয়া বন্দর পর্যন্ত নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে আধুনিক ড্রেজারের সাহায্যে ড্রেজিঙের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সমস্ত বার্থগুলিকে কাজে লাগানাের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বন্দর এলাকাকে নিরাপদ রাখার জন্য উপকূলরক্ষী বাহিনীর দ্বারা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শ্রমিক অসন্তোষ এবং রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য নানারকম প্রচেষ্টা চলছে।
হলদিয়া বন্দরকে পরিচালনা করার জন্য কাজের বিভিন্ন স্তর অনুযায়ী বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী দক্ষ শ্রমিক নিয়ােগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বন্দরের পণ্য ওঠানাে এবং নামানাের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানি করা হচ্ছে।
বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিদেশি ব্যাংকগুলি। থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়া হচ্ছে।