নাট্যকার রূপে ভবভূতির কৃতিত্ব ও বৈশিষ্ট্য | ভবভূতির নাট্যকৃতি বিষয়ে আলোচনা ও বাংলা সাহিত্যে তাঁর প্রভাব।

ভবভূতির যে কোনো নাটকে শৃঙ্গার, করুণ বা বীররসের পরিচয় দাও।


ভবভূতি রচিত তিনটি নাটকের নাম করো এবং নাট্যকার হিসাবে তাঁর প্রতিভার মূল্যবিচার করো।


সংস্কৃত নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে কালিদাস রাজাধিরাজ, ঐতিহ্যক্রমে তারপরই যে নামটি উল্লেখ্য তা অবশ্যই ভবভূতির। অবশ্য একালের গণতন্ত্রপ্রেমীদের মতে শুদ্রক রচিত 'মৃচ্ছকটিক' নাটকে সমাজের নিম্নস্তরের পাত্রপাত্রীদের জীবনযাত্রার বিশ্বাসযোগ্য চিত্র উত্থাপিত হওয়াতে ঐ নাটকটিকে বিশেষ মর্যাদা দান করা হয় এবং বিশাখদত্ত রচিত ‘মুদ্রারাক্ষস' নাটক রাজনীতিভিত্তিক বলেই তার ওপরও বিশেষ মর্যাদা আরোপ করা হয়। কিন্তু আলঙ্কারিক মতে এবং চিরাচরিত ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসারে 'কাব্যেয়ু নাটক রম্যম' এই বিচারে নাটককে কাব্যরূপেই দেখা হয়; অতএব আধুনিক বস্তুবাদীদের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে সেকালের কাব্যামোদীদের দৃষ্টিভঙ্গীর ঐক্য আশা করা যায় না। সেকালের অন্যান্য কাব্যের মতোই নাটকেও ভাবাবেগ এবং রসের উদ্বোধন ছিল উৎকর্ষের মাপকাঠি। সেই বিচারেই কবি কালিদাসের পরই ভবভূতির স্থান, এমন কি কোনো কোনো সমালোচক কালিদাসকে 'কবি' বলে অভিহিত করে ভবভূতিকে 'মহাকবি' আখ্যা দিয়ে মর্যাদায় তাঁকে আরো উন্নীত করেছেন— 'কবয়ঃ কলিদাসাস্যাঃ ভবভূতির্মহাকবিঃ।'


ভবভূতি-রচিত তিনটি নাটকের সন্ধান পাওয়া যায়—'মহাবীরচরিত', 'মালতীমাধব' এবং 'উত্তররামচরিত'। তবে অনুমান করা হয়, তার বাইরেও তাঁর কিছু রচনা ছিল, কারণ কোষগ্রন্থ, শ্লোকসংগ্রহ কিংবা অপরাপর ভবভূতির রচনারূপে কয়েকটি শ্লোক তাঁর এই গ্রন্থ তিনটির মধ্যে পাওয়া যায় না। কিন্তু তাঁর সেই অজ্ঞাত গ্রন্থ বা গ্রন্থগুলি কাব্য অথবা নাটক ছিল, তা' জানবার কোনো উপায় নেই। অতএব তাঁর প্রাপ্ত এবং পরিচিত নাটকগুলির ভিত্তিতে তাঁর প্রতিভার বিচার করে বলতে হয় যে ভবভূতি নাটক রচনার জন্যই 'কবি' অথবা 'মহাকবি' নামে ভূষিত হয়েছিলেন।


মহাবীরচরিত : ভবভূতি-রচিত নাটকত্রয়ীর মধ্যে কোন্‌টি আগে কোন্‌টি পরে রচিত হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব না হলেও অনুমান করা চলে যে, শ্রীরামচন্দ্রের জীবন-কাহিনী অবলম্বনে রচিত ‘মহাবীরচরিত’ এবং 'উত্তরামচরিত' খুব সম্ভবতঃ কালপারম্পর্য রক্ষা করেই রচিত হয়। রামচন্দ্রের প্রথম জীবনের কাহিনী অর্থাৎ মূলত তাড়কা রাক্ষসী বধ থেকে আরম্ভ করে রাবণ বধের পর অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত কাহিনী অবলম্বন করে 'মহাবীরচরিত' এবং তদুত্তর কাহিনী অর্থাৎ সীতার বনবাস থেকে আরম্ভ করে রামসীতার মিলন পর্যন্ত কাহিনী অবলম্বনে 'উত্তররামচরিত' রচিত হয়। প্রধানতঃ মহামুনি বাল্মীকি-রচিত 'রামায়ণ কাহিনী'ই আলোচ্য নাটক দু'খানির মূল কাঠামো গঠন করেছে, তবে উভয় নাটকেই ভবভূতি স্বকল্পিত বিষয়যোগেও অবয়ব গঠনে যথেষ্ট সহায়তা গ্রহণ করেছেন, এমন কিছু কিছু বিষয়ের উল্লেখ প্রয়োজন। 'মহাবীরচরিতে' রাম-লক্ষণের সঙ্গে সীতা-ঊর্মিলার প্রাকৃবিবাহ পরিচয় ও পূর্বরাগ, রাবণ কর্তৃক সীতা বিবাহের প্রস্তাব এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়াতেই রামের প্রতি বিদ্বেষভাব, রাবণের পরশুরামকে রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তোলবার প্রচেষ্টা, রামচন্দ্রের অহিতসাধনের উদ্দেশ্যে রাবণ-ভগিনী শৃপণখার মহরাবেশে অযোধ্যার রাজ-অন্তঃপুরে প্রবেশ, লঙ্কার সিংহাসনলোভে বিভীষণের সুগ্রীবের সঙ্গে মৈত্রীবন্ধন প্রভৃতি কাহিনী এবং 'লঙ্কা’ ও ‘অলকা' চরিত্র দু'টি ভবভূতি রসসৃষ্টির উদ্দেশ্যেই নাটকটিতে যোজনা করেছেন।


উত্তররামচরিত : 'উত্তররামচরিত'-এ ভবভূতি-কল্পিত কাহিনী পরিণামে এবং গুরুত্বে অধিকতর উল্লেখযোগ্য। প্রথম অঙ্কে ‘আলেখ্য দর্শন'। ভবভূতি সুকৌশলে এখানে রামচন্দ্রের উত্তর জীবনচরিত্র অঙ্কন করতে গিয়ে পূর্বজীবন চরিত্র উদ্ঘাটন করেছেন; দ্বিতীয় অঙ্কে ব্রহ্মবাদিনী আত্রেয়ীর সঙ্গে বনদেবী বাসন্তীর কথোপকথন সূত্রে বিভিন্ন ঘটনার পরিবেশনও কবি কল্পনার সৃষ্টি; তৃতীয় অঙ্কে মঞ্চে রামচন্দ্রের সঙ্গে ছায়াসীতার ভাবমিলন সংস্কৃত নাট্যসাহিত্যে এক অভিনব সামগ্রী। এই অঙ্কে করুণরস নিমিত্তভেদে যে কত পৃথক্ রূপ ধারণ করতে পারে, তার সব অপূর্ব দৃষ্টান্ত রয়েছে। মনীষী বঙ্কিমচন্দ্র এই অঙ্কটি সম্বন্ধে মন্তব্য করেছেন, “কাব্যাংশে ইহার তুল্য রচনা অতি দুর্লভ।" চতুর্থ অঙ্কে কৌশল্যা-জনকযোগও কবিকল্পিত। সপ্তম অঙ্কটিও সম্পূর্ণভাবে ভবভূতি নিজস্ব পরিকল্পনামত রচনা করেছেন। তিনি নাটকের মধ্যেই বাল্মীকি-রচিত রামায়ণের নাট্যরূপ মহামুনি ভরতের প্রযোজনায় উত্থাপিত করেছেন— অপ্সর-অপ্সরাগণ নট-নটীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এই অভিনয়কালে সীতা অন্তর্হিতা হলে রামচন্দ্র মূর্ছিত হয়ে পড়েন। তখন বশিষ্টপত্নী অরুন্ধতী প্রকৃত সীতাকে নিয়ে উপস্থিত হন, সীতার পরিসেবায় রামচন্দ্রের মূর্ছা অপনোদিত হয় এবং পৌরজনদের সম্মতিতে রামচন্দ্র সীতাকে গ্রহণ করেন। বিয়োগান্ত বাল্মীকি রামায়ণের ঘটনায় বিপর্যয় ঘটিয়ে ভবভূতি তাকে মিলনান্তক পরিণতি দান করেন। উত্তররামচরিত' করুণ ও মধুর রসের সংমিশ্রণে অপূর্বতা লাভ করেছে।


মালতীমাধব : 'মালতীমাধব' দশাঙ্কবিশিষ্ট 'প্রকরণ' জাতীয় নাটক। এর কাহিনী ভবভূতি স্বকল্পিত বলে দাবি করেছেন। মন্ত্রী-আদি গতানুগতিক চরিত্র থাকলেও এখানে 'মকরন্দ ও মদয়ত্তিকা'র গৌণ প্রেমকাহিনীটি মধ্যবিত্ত জীবনের যে দিকটিকে প্রস্ফুট করে তুলেছে, তেমন দৃষ্টান্ত সংস্কৃত নাটকে দুর্লভ। এবং এই গৌণ কাহিনীটিই নিজস্ব মাহাত্ম্যে মূল কাহিনীটি অপেক্ষাও অধিকতর গুরুত্ব অর্জন করেছে। এই নাটকে কাপালিক ও তার উত্তরসাধিকা এবং বৌদ্ধ তপস্বিনীদের ক্রিয়াকলাপ এবং আচরণের সুস্পষ্ট চিত্র অঙ্কিত হওয়াতে সমাজের বিভিন্ন দিক এতে যথাযোগ্যভাবে রূপায়িত হয়ে উঠেছে। রসের দিক থেকেও এই নাটকে ভবভূতি প্রায় অসাধ্যসাধন করেছেন। শৃঙ্গার, করুণ, বীর বা শাস্ত রস নিয়েই সাধারণতঃ কবিগণ ব্যস্ত থাকেন, আলোচ্য নাটকে ভবভূতি অদ্ভুত, বীভৎস এবং রৌদ্র রসাদি সৃষ্টিতেও অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন। 'মধুরে কালিদাস' এবং 'উৎকৃষ্টে ভবভূতি বলে যে প্রবাদ প্রচলিত আছে, ‘মালতীমাধব’ নাটকে ভবভূতি তার যথার্থ পরিচয় দিয়েছেন। যেকালে রস-সৃষ্টিতেই কাব্যের সার্থকতা প্রতিপালিত হ'ত, সেই রসসৃষ্টিতে ভবভূতি ছিলেন অসাধারণ ক্ষমতাবান পুরুষ। তাঁর সেই রস সৃষ্টি ক্ষমতা বিষয়ে বঙ্কিমচন্দ্র বলেন, “রসোদ্ভাবনে ভবভূতির ক্ষমতা অপরিসীম। যখন সে রস উদ্ভাবনের ইচ্ছা করিয়াছেন তখনই তাহা চরম দেখাইয়াছেন। তাঁহার লেখনীমুখে স্নেহ উচ্ছ্বলিতে থাকে, শোক বহিতে থাকে, দত্ত ফুলিতে থাকে। কবি যখন যাহা দেখাইয়াছেন, একেবারে নায়ক-নায়িকার হৃদয় যেন বাহির করিয়া দেখাইয়াছেন। .... একটিমাত্র কথা বলিয়া মানবমনোবৃত্তির সমুদ্রবৎ সীমা শূন্যতা চিত্রিত করা মহাকবির লক্ষণ। ভবভূতির রচনা সেই লক্ষণাক্রান্ত।"


কাব্য-বৈশিষ্ট্য : সংস্কৃত নাটক রচনায় গতানুগতিকতার বাইরে যাবার অথবা মৌলিকতা প্রদর্শনের সুযোগ অতিশয় সীমিত হওয়া সত্ত্বেও ভবভূতি নানাদিক থেকেই যতখানি সম্ভব সেই পথেই এগিয়েছেন। তাই রামায়ণের কাহিনী গ্রহণ করা সত্ত্বেও তিনি বহু কল্পিত বিষয় তাতে যোগ করেছেন, বিয়োগান্তক কাহিনীকে মিলনাত্তক করেছেন, মধ্যবিত্ত জীবনকাহিনী সংযোজন করেছেন। রসের দিক থেকেও গতানুগতিকতার বাইরে তিনি অদ্ভুত, বীভৎস এবং রৌদ্ররস-সৃষ্টিতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। সংস্কৃত নাটকে ‘বিদ্যুকে’র ভূমিকা প্রায় অপরিহার্য বিবেচিত হয়ে থাকে, কিন্তু ভবভূতি তাঁর কোনো নাটকেই 'বিদূষক' চরিত্র সৃষ্টি করেননি, কারণ তিনি কখনো কোনো কারণেই লঘুতাকে মেনে নিতে পারেন নি। আবার সংস্কৃত কাব্য-নাটকে 'কবি-সময়প্রসিদ্ধি’-রূপে কোকিলের কুহুধ্বনি, চক্রবাক দম্পতি, অশোক, পারিজাত, আম্রমুকুল প্রভৃতি উপাদানের অবতারণা করা হয়, ভবভূতি অতি সন্তর্পণে সে সমস্ত এড়িয়ে গেছেন। শব্দবিন্যাসের মধ্যেই অর্থদ্যোতনার আভাস আনতে গিয়ে ভবভূতি শব্দ বিশেষ ভাষা ব্যবহারে অতিশয় যত্নপরায়ণ ছিলেন। এই অতিশয় সচেষ্টতা অবশ্য কখনো কখনো দোষে পরিণত হয়েছে। গৌড়ীরীতির লেখক ভবভূতির রচনার আড়ম্বর কখনো কখনো রচনাকে শ্রুতিসুখকর করলেও অর্থের দিক থেকে তাকে ক্লিষ্ট, দুরূহ এবং অনেক সময় কৃত্রিম বলে মনে হয়েছে। দীর্ঘ সমাসবহুল বাক্যরচনা করে তিনি বিশাল, গম্ভীর বিষয়কে যথাযথভাবে মহিমান্বিত করে তুলতে পেরেছেন সত্য, কিন্তু কাব্যে যা' শোভা পায়, নাটকের কথোপকথনে সেই ভাষা শোভন না-ও হতে পারে। রামচন্দ্রের বর্ণনায় তিনি বলেন, 'বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুণি কুসুমাদপি'— চরিত্রের মধ্যে যিনি এরূপ কোমল কঠোরের সন্নিপাত ঘটাতে পেরেছিলেন, ভাষায় তা’ করতে পারলেই তাঁর সর্বপ্রচেষ্টা সার্থক হতো। যে প্রাকৃত ভাষা ভার সইতে পারে না, তাকেও তিনি সংস্কৃতের মতো ভারবহনে নিযুক্ত করে কৃত্রিমতারই প্রশ্রয় দিয়েছেন।


নাট্যশিল্প-বিষয়ে ভবভূতির কিছু নিজস্ব ধারণা ছিল। তিনি বলেন—

'ভূন্না রসানাং গহনাঃ প্রয়োগঃ সৌহার্দ-হৃদ্যানি বিচেষ্টিতানি।

ঔদ্ধত্যমাযোজিতকামসূত্রং চিত্রঃ কথা বাচি বিদগ্ধতা চ।।


অর্থাৎ—রসাদির ভূরি পরিমাণ ও নিগূঢ় প্রয়োগ, সৌহার্দ্য ও হৃদ্য অভিনয় ক্রিয়া, বীরত্বপূর্ণ প্রণয়, চিত্রকথা এবং বিদগ্ধতাপূর্ণ সংলাপ—নাটকে এগুলিই আকাঙ্খিত। এই সূত্রগুলি মাথায় রেখেই ভবভূতি নাটক রচনায় অগ্রসর হয়েছেন এবং যতদূর সম্ভব তাঁর এই তত্ত্বসমূহকে তিনি বাস্তবক্ষেত্রেও প্রয়োগ করেছেন।


ভবভূতির প্রভাব : ভবভূতি যে বেশ উঁচুদরের কবি ছিলেন, পরবর্তীকালের ভারতীয় সাহিত্যে তার প্রভাব থেকেও এর সুনিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়। এমন কি আধুনিক কালের বাঙলা সাহিত্যে যাঁরা দিপাল পুরুষ, তাঁরাও ভবভূতিকে এড়িয়ে যেতে পারেন নি। প্রধান পুরুষদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় বঙ্কিমচন্দ্র এবং রবীন্দ্রনাথের নাম, যাঁরা নানা প্রসঙ্গেই ভবভূতির ‘উত্তররামচরিত’কে টেনে এনেছেন। সর্বোপরি রয়েছেন স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যাঁকে 'বাঙলা গদ্য সাহিত্যের জনক' বলে অভিহিত করলেও অত্যুক্তি হয় না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অন্যতম সাহিত্যকীর্তি 'সীতার বনবাস’ ভবভূতির 'উত্তররামচরিতে'র মতোই রামচন্দ্রের উত্তরজীবনের কাহিনী অবলম্বনেই শুধু রচিত নয়, এর অংশ-বিশেষকে (যেমন 'আলেখ্যদর্শন') উক্ত গ্রন্থের ভাবানুবাদ বলেই গ্রহণ করা যায়। বিদ্যাসাগর মহাশয় 'সীতার বনবাস' গ্রন্থের 'বিজ্ঞাপনে' লিখেছেন—“এই পুস্তকের প্রথম ও দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের অধিকাংশ ভবভূতি-প্রণীত উত্তরচরিত নাটকের প্রথম অঙ্ক হইতে পরিগৃহীত; অবশিষ্ট পরিচ্ছেদসকল পুস্তকবিশেষ হইতে পরিগৃহীত নহে, রামায়ণে উত্তরকাণ্ড অবলম্বন-পূর্বক সঙ্কলিত হইয়াছে।” পরবর্তীকালে 'সীতা' নামধেয় একাধিক নাটকেও উত্তরচরিতের প্রভাবের পরিচয় বর্তমান।