'চুয়াচন্দন' গল্পে চন্দনদাস চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো | শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘চুয়াচন্দন' গল্পেচন্দনদাস চরিত্রটি গল্পে কীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে আলোচনা করো।

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ছোটগল্প ‘চুয়াচন্দন’। এই গল্পটি ইতিহাস রসসমৃদ্ধ। ঐতিহাসিক কাহিনী রচনায় শরদিন্দু সিদ্ধহস্ত। তাঁর 'কালের মন্দিরা', 'গৌড়মল্লার', 'তুমি সন্ধ্যার মেঘ', 'তুঙ্গভদ্রার তীরে' প্রভৃতি ঐতিহাসিক উপন্যাস, এবং ‘অমিতাভ', 'রক্তসন্ধ্যা’, ‘বাঘের বাচ্চা’, ‘শঙ্খকঙ্কণ’, ‘বিষকন্যা' প্রভৃতি ইতিহাস-রসসমৃদ্ধ ছোটগল্প রচনা করে বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে নিজের দৃঢ়তাকে চিনিয়ে দিয়েছেন।


‘চুয়াচন্দন’ গল্পটিও ঐতিহাসিক। এই গল্পে ইতিহাসের রসের চিরন্তন ফল্গুধারা বহমান, কিন্তু গল্পের গতি, কাহিনীর বুনন অত্যন্ত জমাট এবং টানটান। পাঠককে ধূসর ইতিহাসের মধ্য দিয়ে অতি দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যান তিনি।


শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প ও উপন্যাসে নায়ক চরিত্রের প্রবল প্রতিপত্তি লক্ষ করা যায়। ধীরোদাত্ত নায়ক, ইতিহাসের যুদ্ধবিগ্রহে শৌর্যশালী, অকুতোভয়, জাতীয়তাবোধসম্পন্ন এবং সর্বোপরি সৎ, নির্ভীক এক বলশালী যুবকই শরদিন্দুর সাহিত্যে নায়ক চরিত্রের মর্যাদা পায়। তাই চিত্রক ('কালের মন্দিরা'), বজ্রদেব (গৌড়মল্লার), অর্জুনবর্মা ('তুঙ্গভদ্রার তীরে') প্রত্যেকেই সৌন্দর্যশালী, অমিতবলশালী এক যুবক। ইতিহাসের ধূসরসময় রঞ্জিত হয়ে ওঠে এই সমস্ত নায়কদের সঞ্চরতায়।


‘চুয়াচন্দন’ গল্পটি বাংলার এক অতীতকালের কাহিনী। শ্রীচৈতন্যদেবের সময়ে নবদ্বীপের সমাজচিত্র, নিমাই পণ্ডিতের কার্যকলাপ, বাংলার বাণিজ্যলক্ষ্মীর সোনালী অতীত, বণিক জাতির রমরমা, শান্ত-বৈষুবের দ্বন্দ্ব, বীভৎস তান্ত্রিক সাধনার বিষময়তা সবকিছু জীবন্ত হয়ে উঠেছে শরদিন্দুবাবুর লেখনী গুণে। এই গল্পের নায়ক চন্দনদাস। সেও বণিক এবং একজন বণিকপুত্রও বটে।


গল্পের শুরুতে আমাদের সামনে উন্মোচিত হয় প্রায় সাড়ে পাঁচশত বছর পূর্বের বাংলার এক ধূসর পৃষ্ঠা। নবদ্বীপের গঙ্গাঘাটে নিমাই পণ্ডিতের কীর্তিকলাপ, নবদ্বীপের সাধারণ মানুষ এবং তৎকালীন নদিয়ার সমাজচিত্রের একটুকরো ছবির মধ্যে হঠাৎ করেই প্রবেশ ঘটে নায়ক চন্দনদাসের। সে বিদেশ থেকে বাণিজ্য করে ফিরে আসছিল বাংলার অগ্রদ্বীপে নিজ গৃহে। বহুদিন পথশ্রমে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে চন্দনদাস মনে মনে ভাবে নবদ্বীপে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে গৃহের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এই মানসেই তার নবদ্বীপে নোঙর ফেলার আয়োজন।


শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ‘চুয়াচন্দন' গল্পে পাঠকের কাছে চন্দনদাসের প্রথম পরিচয়টি উন্মোচিত করেন এভাবে— “বেনের ছেলের নাম চন্দনদাস। বেশ সুশ্রী চোখে-লাগা চেহারা; বয়স একুশ বাইশ। বুদ্ধিমান, বাক্‌পটু, বিনয়ী-বেনের ছেলের যত প্রকার গুণ থাকা দরকার, সবই আছে; বরং দেশ-বিদেশে ঘুরিয়া নানাজাতীয় লোকের সহিত মিশিয়া আরও পরিমার্জিত হইয়াছে। বেশভূষাও ঘরবাসী বাঙালী হইতে পৃথক। পায়ে সিংহলী চটি, পরিধানে চাপা রঙের রেশমী ধুতি মালসাট করিয়া পরা; স্কন্ধে উত্তরীয়। দুই কানে হীরার লবঙ্গ ; মাথার কোঁকড়া চুল কাঁধ পর্যন্ত পড়িয়াছে-মাঝখানে সিঁথি। গলায় সোনার হার বণিকপুত্রের জাতি-পরিচয় দিতেছে।" এই অংশে চন্দনদাসের সামগ্রিক ছবির মোটামুটি একটা রূপ দেখতে পেলাম।


প্রথমেই শরদিন্দুবাবু বলেছেন 'বেনের ছেলে' চন্দনদাস। এবং এরপরেই তিনি বলেছেন—চন্দনদাস অগ্রদ্বীপের প্রসিদ্ধ সওদাগর রূপচাদসাধুর পুত্র।' আমরা জানি পুরাকালে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে যেতেন বাঙালীরাই। ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ' এই আপ্তবাক্যকে স্মরণে নিয়ে অকূলপাথারে সওদা করতে যেতেন বাংলার বণিকেরা। রূপচাঁদ সাধু এবং তার পুত্র চন্দনদাসও এই ‘বেনে' জাতিয়। তাই চন্দনদাস অত অল্পবয়সেই সিংহল যবদ্বীপ সুমাত্রায় জিনিসপত্র দরদাম করে অবলীলায় দেশে প্রত্যাবর্তন করে। চন্দনদাসের এই কর্মচঞ্চল, কর্মঠ ব্যবসায়ী সত্তাটি যথার্থভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পকার।


এরপরে চন্দনকে আমরা দেখি নবদ্বীপের পথে বিচরণ করতে এবং এখানেই তার প্রথম সাক্ষাৎ হয় চুয়ার সঙ্গে। চুয়াকে প্রথম দেখে চন্দনদাসের মনে অপরূপ অনুভূতি হয়। চুয়ার নাম সে জানে না কিন্তু অপরূপ রূপের যুবতীকে দেখে তার মাথা ঘুরে যাবারই জোগাড় “সে পথের মাঝখানেই মন্ত্রমুগ্ধবং দাঁড়াইয়া পড়িল। বেচারা চন্দনদাস সাত সাগর পাড়ি দিয়াছে; কিন্তু সে বিদ্যাপতির কাব্য পড়ে নাই—'মেঘমাল সঞে তড়িতলতা জনু হৃদয়ে শেল দেই গেল'–এরূপ ব্যাপার যে সম্ভবপর, তাহা সে জানিত না। বিদ্যাপতি জানা থাকিলে হয়তো ভাবিতে পারিত—

‘অপরূপ পেখলু রামা 

কনকলতা অব      লম্বনে উয়ল

হরিণহীন হিমধামা।'

কিন্তু চন্দনদাস কাব্যরস বঞ্চিত বেনের ছেলে, আত্মবিস্মৃত ভাবে হাঁ করিয়া তাকাইয়া রহিল।”


চন্দনদাস ব্যবসায়ী তাই কাব্যরস বঞ্চিত কিন্তু তাই বলে তার মধ্যে ভালোবাসা, প্রেম কিংবা রূপের প্রতি আকর্ষণ থাকবে না এটা কি ভাবা যায়? আর তাছাড়া সে একজন যুবক। যুবক হয়ে একজন সুন্দরী যুবতীর প্রতি আকর্ষিত হওয়া দোষের নয়।


চন্দনের এই হাবভাবের মধ্য দিয়ে ভালোবাসার স্ফুরণ, রূপের প্রতি আকর্ষণ ইত্যাদি দিকগুলিকে তুলে ধরেছেন লেখক। চন্দন চুয়ার রূপ দেখে আকর্ষিত হলেও চুয়ার ম্লানমুখ, এতবয়স পর্যন্ত অনূঢ়া থাকা, চাঁপার মত প্রতিহারী দ্বারা তাকে সর্বদা আগলানো ইত্যাদি দেখে কৌতূহলাক্রান্ত হয়ে চুয়ার জীবনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়তে আগ্রহী হয়ে ওঠে। চন্দনদাসের এই ব্যবহারটা বর্তমানে হয়তো শিষ্টাচার বহির্ভূত মনে হতে পারে কিন্তু অপরের অসুবিধার সময় শিষ্টাচারের প্রশ্ন আসে না আর তা ছাড়া এযুগের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে ঐ কালের বিচার করা শোভনীয়ও নয়। লেখক তাই বলেছেন— “চন্দনদাসের ব্যবহারটা বর্তমানকালে কিছু বর্বরোচিত বোধ হইতে পারে কিন্তু একালের রুচি দিয়া সেকালের শিষ্টাচার বিচার করা সর্বদা নিরাপদ নয়। তা ছাড়া উপস্থিত ক্ষেত্রে শিষ্টাচারের সূক্ষ্ম অনুশাসন মানিয়া চলিবার মতো হৃদযন্ত্রের অবস্থা চন্দনদাসের ছিল না।"


চন্দনদাস এই কৌতূহল বশেই চুয়ার পিছু পিছু তার বাড়ির দিকে অগ্রসর হয় এবং বৃদ্ধা দোকানিকে দেখতে পায়। চন্দনদাসের একটি বড়োগুণ ছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব। এর বলে বলীয়ান হয়ে সে দিব্যি বৃদ্ধা ঠান্‌দির সঙ্গে ভাব জমিয়ে চুয়ার ও তার পরিচয় ও তাদের দুঃখের কাহিনী জেনে নেয়। মাধবের হিংস্রতা ও চুয়ার পরিবারের প্রতি তার অত্যাচার চন্দনদাসকে চুয়ার প্রতি আরও আসক্ত করে তোলে।


এখানে চন্দনদাসের চরিত্রের একটা বড়ো গুণ ঔদার্য লক্ষ্য করা যায়। সে চুয়ার রূপের প্রতি আকর্ষিত হলেও, কৌতূহল বশে তাদের বাড়ি দেখতে এলেও মাধবের অত্যাচারের কাহিনী, তার হিংস্রতা, পাশবিকতা ও চুয়া ও তার ঠান্‌দির নিপীড়িত হওয়ার কাহিনী শুনে চুয়ার প্রতি সত্য সত্যই ভালোবাসা জন্মে যায়। এক অনাথা অসহায় যুবতীকে নরপশুর হাত থেকে উদ্ধার করাই তার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। একার্যে সাহায্যের জন্য বৃদ্ধা তাকে নিমাই পণ্ডিতের শরণ নিতে বলেন। চন্দন জানায় যে নিমাই পণ্ডিত রাজি না হলেও সে চুয়াকে নিয়ে অগ্রদ্বীপে পালিয়ে যাবে এবং সেখানে গিয়ে তাকে বিবাহ করবে। এতে বৃদ্ধা আতঙ্কিত হলেও যথার্থ প্রেমিকার মতো আচরণ করেছে চুয়া। সে প্রেমের দৃষ্টি দিয়েই চন্দনের এই কাজকে সমর্থন জানিয়ে অনিশ্চিতের দিকে চলে যেতে চেয়েছে— “তুমি আজ রাত্তিরে এসো। নিমাই পণ্ডিত যদি রাজী না হন, তবু, তোমার ধর্মের ওপর বিশ্বাস করে আমি তোমার সঙ্গে যাব।"


এখানে 'ধর্ম' বলতে প্রেমধর্মের কথা বলা হয়েছে। চুয়ার দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্য দিয়ে চন্দনদাসের প্রেম-ভালোবাসা ও ঔদার্য্যের স্বরূপটিকে ফুটিয়ে তোলেন শরদিন্দু।


এরপরে মাধবের সঙ্গে তার রেষারেষির দৃশ্যেও চন্দনের উপস্থিত বুদ্ধি ও অমিত বীর্যবান যুবকের সাক্ষাৎ পাই। এদিক দিয়ে বলতে গেলে শরদিন্দুর নায়কেরা প্রায় সবাই (চিত্রক, অর্জুনবর্মা, বজ্রদেব) উপস্থিত বুদ্ধি, ঔদার্য্য্য, সততা, নির্ভীকতা ও অমিত বীর্যশালীর প্রতীক। ছোটগল্প 'চুয়াচন্দন'-এর চন্দনও এইসব গুণের অধিকারী।


চন্দন এরপর অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে নিমাইকে নিয়ে আলোচনা শুরু করে কি করে চুয়াকে উদ্ধার করা যায় এই ভেবে। নিমাই পণ্ডিতও অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন চন্দনের এই বিচক্ষণতার পরিচয় দেখে। এবং চুয়াকে উদ্ধার করার জন্য চন্দনকে সাহায্য করবেন এ কথাও বলেছেন— “আমি তোমাকে সাহায্য করব। তোমার উদ্যম প্রশংসনীয় : আমরা গাঁয়ের লোক যা করিনি, তুমি বিদেশি তাই করতে চাও। তোমার স্বার্থ আছে জানি, কিন্তু তাতে তোমার মহত্ত্বের কিছু মাত্র হানি হয় না।” নিমাই পণ্ডিতের এই কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চন্দনদাস চরিত্র বোঝার ক্ষেত্রে।


চন্দনদাস চুয়ার রূপ দেখে তার প্রতি আকর্ষিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু পরে চুয়ার ঠান্‌দির কাছে তাদের বিড়ম্বিত জীবনের কাহিনী শুনে চুয়ার প্রতি মমত্ব, প্রেম ভালোবাসা সব উজাড় করে দিয়েছে এবং নিমাই পণ্ডিতের সঙ্গে আলোচনা করেছে এ সমস্যা থেকে সমাধানের পথ খুঁজতে। এতে তার স্বার্থ আছে কিন্তু এই স্বার্থ মহত্ত্বের স্বার্থ এতে মানুষকে হীন করে না। চুয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং তাকে বিবাহ করার মধ্য দিয়ে সমাজে অনাথা অসহায় যুবতীকে কামুক পাষণ্ডর হাত থেকে রক্ষার মহত্ত্বও ছিল। নিমাই পণ্ডিত অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি তাঁর চোখ চন্দন চরিত্রের গুণকে প্রত্যক্ষ করেছে বলেই উপরিউক্ত মন্তব্য করেছেন।


আর একটি কথা প্রাসঙ্গিক। সেকালে কোনো দুবিনীত প্রবল পরাক্রমশালী ব্যক্তি যদি কোনো অসহায় নারী বা দরিদ্র ব্যক্তির সর্বনাশ করত তাহলে ঐ দুর্বিনীত ব্যক্তির কোনো ক্ষতিই হত না বরং সে বুক ফুলিয়ে সগর্বে ঘুরে বেড়াত আর সমাজের কোপ এসে পড়ত ঐ অসহায় নারী বা পরিবারের ওপর। এখানে মাধবের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু চুয়ারা সমাজে পতিত বলে পরিগণিত হয়েছে। এই পতিতদের উদ্ধার করার মানসিকতা দেখিয়েছে একমাত্র চন্দনদাস। সে বিদেশি হয়ে এ কার্য করতে দ্বিধাবোধ করেনি কিন্তু নবদ্বীপের কেউ এর আগে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে কিছু করেনি।


নিমাইও তাই এধরনের সৎ, উদার, নির্ভীক, সংস্কারহীন অমিত বীর্যশালী, প্রত্যুৎপন্নমতি এক যুবকের গলাতেই জয়মাল্য পরিয়ে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছেন।


চন্দনদাস বেনের ছেলে এবং স্বয়ং বণিক হয়েও রোমান্টিক মনের অধিকারী ছিল। রাত্রির গোপনে চুয়া ও চন্দনের কথোপকথন নিশাভিসারে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের কথোপকথনকেই মনে করায়।


আর শুধু কেবল প্রেমই নয়, অসাধ্যসাধন করার মতো তীক্ষ্ণ, স্থির ও দৃঢ় মানসিকতা চন্দনদাস চরিত্রের অন্যতম বিশেষত্ব। পাষণ্ড মাধবের দুরাচার থেকে চুয়াকে উদ্ধার করার মনোভাব প্রকাশ করে চরম মনোবলের পরিচয় দেয় সে। চুয়ার প্রতি চন্দনের এই আকর্ষণ যে কেবলমাত্র রূপজ মোহ নয়, সাময়িক হৃদয় দৌর্বল্য নয়। তার প্রমাণ মেলে রাতের অন্ধকারে দরজায় পাহারা সত্ত্বেও চুয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসেন এবং তার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়ে যান। শুধু কি তাই, সাময়িকভাবে চুয়া আতঙ্কিত ও ভীত হয়ে উঠলে চুয়ার মনোবল বৃদ্ধি করতে তাকে অভয় দিয়ে বলে যায় - "চুয়া, বুঝে সাহস আনো। আমি এসেছি দেখেও তোমার সাহস হয় না?"


নিজের জীবনকে বাজী রেখে কে এমন অসাধ্য সাধন করতে পারে? একজন প্রেমিকই পারে তার প্রেমিকার জন্য সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, ত্যাগ করার মতো এতটা কৃচ্ছ্রসাধনা। এই নিরিখে চন্দনদাস চরিত্রটির প্রেমিক প্রবর নায়কের শিরোপা প্রাপ্য।