'এখন প্রেম' গল্পে ধরা পড়েছে একটি রক্তাক্ত যুগের ভয়ার্ত যন্ত্রণাকাতর মুখচ্ছবি আলোচনা করো।

তপোবিজয় ঘোষের 'এখন প্রেম' গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৭৮-এ (১৯৭১) শারদীয় লেখা ও রেখা' পত্রিকায়। পরে কালচেতনার গল্প, ২য় খণ্ডে গল্পটি সংকলিত হয়। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এই সাতের দশকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সময়টি নকশাল আন্দোলনের দ্বারা আলোড়িত। একদিকে আধাসামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় গ্রামবাংলায় কায়েম হয়ে থাকা জোতদার জমিদারদের উৎখাত করে কৃষকরাজ প্রতিষ্ঠা করা, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদের সহায়তাপুষ্ট রাষ্ট্রযন্ত্র এবং তাদেরই দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতিকেও ধ্বংস করে মেহনতি কৃষক-শ্রমিকের জন্য সমাজগঠন—এই ছিল তাদের স্বপ্ন। এই বিপ্লবী ছাত্র-যুবরা সেদিন গ্রামের সুবিধাভোগী জোতদার-জমিদার শ্রেণির মানুষ এবং নগরের প্রশাসনযন্ত্রের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। স্বভাবতই সুবিধাভোগী শ্রেণি ও প্রশাসনযন্ত্রের চোখে এই নকশাল বিপ্লবীরা অতিবামপন্থী নৈরাজ্যবাদী ও আইনশৃঙ্খলাভঙ্গকারী সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিত হয়েছিল।


১৯৬৭-তে নকশালবাড়ির কৃষক-আন্দোলনের দ্বারা অনুপ্রাণিত বিপ্লববাদী যুবকেরা ১৯৬৯-এ তৈরি করে এক নতুন বৈপ্লবিক রাজনৈতিক সংগঠন—ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী লেনিনবাদী) বা সি পি আই (এম এল)। এই রাজনৈতিক দল সংসদীয় গণতন্ত্রের আগসমূখী পথ ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পথ গ্রহণ করে। শহরের শিক্ষিত যুবকদের এক বিপুল অংশ বিপ্লবের স্বপ্নে আকৃষ্ট হয়ে এই রাজনৈতিক পথ গ্রহণ করে ও বুর্জোয়া শিক্ষা ত্যাগ করে গ্রামে গ্রামে সংগ্রামী কৃষকদের পাশে গিয়ে জোতদার খতম অভিযানে অংশ নেয়। স্বভাবতই এই বিপ্লবীদের ওপর নেমে আসে রাষ্ট্রীয় আক্রমণ। একদিকে কংগ্রেসের সমর্থনপুষ্ট গ্রামীণ সুবিধাভোগী জোতদার-জমিদার ও তাদের গুণ্ডাবাহিনী, অন্যদিকে সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্র ও তার সশস্ত্র পুলিশবাহিনী সেই বিপ্লবের স্বপ্নকে গুলি বারুদের আঘাতে স্তব্ধ করে দেয়।


১৯৭০-এর প্রায় গোড়া থেকেই কলকাতায় শুরু হয়ে গেল নকশালপন্থী বিপ্লবীদের সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঔপনিবেশিক ভাবধারায় পরিচালিত শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ইতিহাসচেতনার ফাঁকিগুলিকে চিহ্নিত করে তারা এযাবৎ শ্রদ্ধার আসনে প্রতিষ্ঠিত মনীষীদের ও জাতীয় নেতাদের মূর্তিগুলিকে ধ্বংস করতে প্রবৃত্ত হল। সেইসঙ্গে তাদের আক্রমণের লক্ষ্য হল নগরাঞ্চলের বুর্জোয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। সেইসঙ্গে অব্যাহত থাকল শ্রেণিশত্রু ধ্বংসের নামে 'খতম'-এর রাজনীতি। স্বভাবতই এই ধরনের সামাজিক সন্ত্রাস সহ্য করা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব ছিল না। ক্রমাগত আক্রমণের মুখে পুলিশবাহিনীও এই বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা করেছিল। তারই ফলে তৎকালীন রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ নির্দেশে সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এই বিপ্লবী যুবকদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নকশালপন্থীদের বিরুদ্ধে এই রাষ্ট্রীয় আক্রমণে সহায়ক ভূমিকা নেয় একদিকে সরকারি দলের জঙ্গী সদস্যরা, অন্যদিকে সি পি আই (এম এল) পার্টির বিরুদ্ধ বামপন্থী দলগুলি।


ফলে গুলি-বোমার বারুদগন্ধে কলকাতা ও শহরতলি সেদিন সদাসর্বদা আতঙ্কের প্রহর গুণছিল। হত্যা, গুপ্তহত্যা, হত্যার বদলা হত্যার মহোৎসবে প্রতি মুহূর্তে রক্তাক্ত হচ্ছিল রাজপথ-গলিপথ। আক্রমণ ও প্রতিআক্রমণের সেই রক্তাক্ত দিনগুলিতে সাধারণ গৃহস্থ ও পথচারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আর নিরাপদ থাকছিল না। সাধারণ মানুষ যদিও এই বিপ্লবীদের রক্তাক্ত রাজনীতিকে সার্বিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি, তথাপি পরিচিত-অপরিচিত প্রাণবাণ স্বপ্নপ্রবণ তরতাজা যুবকদের বিরুদ্ধে পুলিশ, প্রশাসন ও বিরুদ্ধ রাজনৈতিক কর্মীদের সংঘবদ্ধ সশস্ত্র আক্রমণ ও গণহত্যালীলা তাদেরও মানবিক বোধে আঘাত করেছিল সেই সন্ত্রাস-কবলিত, আতঙ্কগ্রস্ত, রক্তাক্ত, ভীতসন্ত্রস্ত যুগের ছবিটিই ধরা পড়েছে তাপাবিজয় ঘোষের ‘এখন প্রেম' গল্পে।


‘এখন প্রেম' গল্প শুরু হয় এক সাধারণ মধ্যবিত্ত যুবকের তাৎপর্যহীন প্রেমভাবনার মধ্য দিয়ে। সংসারের হাঙরগ্রাস থেকে সামান্য পয়সা বাঁচিয়ে মাসের প্রথম রবিবারে এক স্কুলের শিক্ষিকা প্রেমিকা কৃষ্ণার সঙ্গে সিনেমা দেখার শৌখিনতা সীতেশের। কিন্তু টিকিট কেটে বহুক্ষণ অপেক্ষার পরেও কৃষ্ণা আসে না। মধ্যবিত্তের প্রেমস্বপ্ন বা শৌখিনতার স্বপ্ন ভেঙে যায়। গল্পের এই প্রাথমিক দৃশ্যরচনার মধ্যেই লেখক সীতেশ-কৃষ্ণার যথার্থ প্রেম-সম্পর্ক আবিষ্কারে পাঠকের কৌতূহল জাগিয়ে তোলেন। কিন্তু সীতেশ কৃষ্ণার প্রেমসম্পর্ক নিয়ে এই কৌতূহল ক্রমে এই গল্পে গৌণ হয়ে ওঠে। সে জায়গায় প্রধান কৌতূহলকেন্দ্র হয়ে ওঠে সমকালীন সময়।


পরদিন কৃষ্ণার কাছে সীতেশ জানতে পারে টালিগঞ্জে কৃষ্ণাদের পাড়ায় আবার ভয়ঙ্কর গোলমাল শুরু হয়েছে। গতকাল ‘বোমাবাজি, খুনোখুনি, পুলিশ এবং সেই গোলমালের জন্য বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই কৃষ্ণা আসতে পারেনি। কৃষ্ণা এটাও জানিয়ে দেয়—"কিন্তু রাতে আবার শুরু হবে।" এই সংবাদের মধ্য দিয়েই গল্পে রচিত হয়ে যায় যুগগত সমস্যার ফ্রেমটি। গল্পের অবশিষ্ট অংশে সেই যুগচিত্রেরই জীবন্ত প্রতিফলন ঘটে।


আমরা দেখি, গোলমালের খবর পেয়ে সীতেশ কৃষ্ণার নিষেধ সত্ত্বেও ছুটে যায় টালিগঞ্জে। সাধারণ মানুষের প্রেমের আকর্ষণ এবং মানবিক উদ্বেগের এ তো স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। কিন্তু ক্রমশ আমরা দেখতে পাবো, সাধারণের এই স্বাভাবিক ক্রিয়া বা দৈনন্দিন জীবনপ্রক্রিয়া সমকালীন সময়ের অস্থিরতা কেমনভাবে প্রতিমুহূর্তে তছনছ হয়ে যাচ্ছিল সেই সত্তরের দিনগুলিতে। কৃষ্ণা-সীতেশের প্রেমজীবনের মধ্যবিত্তসুলভ শৌখিনতাটুকুই শুধু এই সময় বিপর্যস্ত করে দেয় না, বিপর্যস্ত করে সমগ্র দিনের কার্যক্রম, স্কুল-কলেজের স্বাভাবিক কার্যধারা, অফিস-আদালতের কাজকর্ম, অফিসযাত্রী বা দিনের শেষে ঘরে ফেরা মানুষদের নিরাপত্তা। তারই ছোট্টো এক দৃষ্টান্ত হিসাবে গল্পে দেখি, কৃষ্ণা জানাচ্ছে, রাতের দিকে আবার গোলমালের আশঙ্কায় সে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিমুহূর্তে আশঙ্কা, উদ্বেগ, ভয়, নিরাপত্তাহীনতা সময়টিকে যেন টানটান উত্তেজনা আর উচ্চ রক্তচাপে রোগগ্রস্ত অসুস্থ করে তুলেছিল।


সীতেশ কৃষ্ণাদের বাড়ি পৌঁছোনার পর কৃষ্ণার উদ্বেগ আরও বাড়ে। কেননা, গোলমাল হলে সীতেশের ফেরাটা ভয়ংকর বিপজ্জনক হবে। যুগচিত্র ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে। জানা যায়, কৃষ্ণার ভাই মন্টু বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় বন্ধুর বাড়ি চলে গেছে দু'তিনদিনের জন্য। পাড়ার অন্যান্য তরুণ বা যুবকেরাও পাড়া ছেড়েছে। কারণ গোলমালের পর পাড়ায় পুলিশি ধরপাকড় শুরু হবে এবং চলবে পুলিশি তাণ্ডব। এবং সেই যুগ সম্পর্কে যাঁরা সামান্য অবহিত, তাঁরা জানেন, সেই ধরপাকড়ের অর্থ কী ভয়ংকর। পাড়ায় পাড়ায় ধরপাকড়ের নামে একটি গোটা যুবপ্রজন্মকে সেদিন ধ্বংস করে দেবার পরিকল্পনা হয়েছিল। আর ধৃতদের বিনাবিচারে, অপরাধের কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই যেভাবে পুলিশি হেফাজতে নির্মম অত্যাচার করা হত, তা অকল্পনীয়। তা ছাড়া অধিকাংশ ধৃতই পরে সুস্থ বা জীবিত অবস্থায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারত না। অতএব মন্টুদের এই পালিয়ে যাওয়া একটি অস্বাভাবিক অসুস্থ সময় ও জীবনচিত্রেরই প্রতিফলন সন্দেহ নেই।


এরপরেই গল্পে আসে আতঙ্কময় সময়ের চূড়ান্ত দৃশ্য। প্রাইভেট বাস, ট্যাক্সির মধ্যে অস্থির চাঞ্চলা দেখা যায় রাস্তায়। পথচারী লোকজনের মধ্যে দেখা যায় এস্ত ভাব। শুরু হয়ে যায় গোলমাল। এবং তারপরেই নিভে যায় রাস্তার সব আলো। ট্রাম-বাস যথারীতি বন্ধ হয়ে যায়। থমকে যায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রার চলমানতা। তবু গলিখুঁজি দিয়ে সীতেশ ফিরে যাবার উদ্যোগ নিতেই কোথাও প্রচণ্ড শব্দে ক্র্যাকার ফাটে। এবং তার পালটা পুলিশের ফায়ারিং-এর দুমদুম শব্দ হয়। সীতেশের ফেরার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কৃষ্ণা এবং কৃষ্ণার মা এই বিপদের মধ্যে আর যেতে দেয় না তাকে। এরপর লেখক যে বর্ণনাটি দেন, তার মধ্যে স্পষ্ট আঁকা হয়ে যায় সেই সময়ের ভয়ংকর আতঙ্কের ছবি – “এ-বাড়ির প্রতিবেশীরা ছুটে এসে যে-যার ঘরে খিল দিতে শুরু করে। তাদের মুখেই শোনা যায়, ব্রিজের কাছে একটু আগেই একজন পুলিশ খুন হয়েছে। থানার উপরেও কারা বোমা ছুঁড়েছে। মিলিটারি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলছে। তারা মাইকে কার্ফু জারি করে দিয়েছে। এবার বাড়ি বাড়ি ঢুকে সার্চ হবে। চিরুনি তল্লাশি। সার বেঁধে পুলিশের গাড়ি এগিয়ে আসছে।


অতএব বাধ্য হয়েই কৃষ্ণাদের বাড়ি রাত্রিবাস করতে হয় সীতেশকে। রাতে তীব্র সার্চ লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় পুলিশের গাড়ি ছুটে বেড়ায়। বেশ কিছুক্ষণ নৈঃশব্দ বিরাজ করে রাত্রি জুড়ে। তারপর আবার শুরু হয় গোলমাল। বোমা ফাটে, পুলিশের রাইফেল গর্জে ওঠে। দলবদ্ধ পুলিশের বুটের ভারী শব্দ শুনে ভাঙাবাড়ির ঘুমন্ত পায়রাগুলো ভয় পেয়ে উড়ে যায়। গোয়ালের গোরুগুলোও আর্তনাদ করতে থাকে।


অলিতে গলিতে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত খণ্ডযুদ্ধের পর আবার কিছুক্ষণ নিস্তব্ধতা বিরাজ করে। পুলিশের গাড়ির শব্দও পাওয়া যায় না আর। তারপর গভীর রাত্রে সীতেশ আর কৃষ্ণা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির নিস্তব্ধতার মাঝখানে মুখোমুখি বসে যখন যৌবনের স্বাভাবিক ধর্মে প্রেমের অনিবার্য প্রণোদনায় নিবিড় হয়ে আসে, সেই মুহূর্তে আবার নিস্তব্ধতা খানখান হয়ে যায় রাইফেলের শব্দে। একটা গগনভেদী মৃত্যু আর্তনাদ শোনা যায়। থরথর করে কেঁপে ওঠে কৃষ্ণা আর সীতেশ। তাদের প্রেমের নিবিড় মিলনাকাঙ্ক্ষা বিচূর্ণ হয়ে যায় ঘটনার আকস্মিকতায়— "রাত্রিনৈঃশব্দ চিরে আবার কোথাও পরপর বোমা ফাটে।। রাইফেলও গর্জে ওঠে সঙ্গে সঙ্গে। ভূমিকম্পের মতো ঘরদরজা কেঁপে যায়। ... পুলিশের আলো বাঘের চোখের মত জ্বলতে থাকে।" তারই মধ্যে জানলা দিয়ে দেখা যায় জান্তব উল্লাসে হাতে রাইফেল নিয়ে একদল পুলিশ ছুটে আসছে। “তাদের দুজন একটি তরতাজা যুবকের দেহ দু’পা ধরে উঁচিয়ে রাস্তা দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে আসছে। অরণ্যের হিংস্র প্রাণী অনেক চেষ্টায় ধাবমান কোনো হরিণ নিহত করে ঘাড়ে গলায় দাঁত বসিয়ে টেনে-হিচড়ে যেমন নিজের ডেরায় নিয়ে যায় ঠিক তেমনি।" আহত যুবকটির রক্তাক্ত শরীর, থেঁতলানো মুখ, মৃত্যুভয়ে বিস্ফারিত চোখ। রাস্তা দিয়ে ছেঁচড়ে টেনে পুলিশদুটো সেই রক্তাক্ত দেহটাকে কালো ভ্যানের দরজা দিয়ে পাটাতনের ওপর আছড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। শেষবারের মতো একটা গোঙানি ভেসে আসে যুবকটির গলা থেকে।


কৃষ্ণা-সীতেশের মধ্যবিত্ত প্রেম, তাদের শৌখিনতা, তাদের সাংসারিক উদবেগ, সংসারে অর্থনৈতিক স্বার্থের টানাপোড়েন, মিলনের অনিবার্য কামনা— সবটুকু ছাড়িয়ে তপোবিজয় ঘোষের এখন প্রেম' গল্প হয়ে ওঠে এক অস্থির মৃত্যুযন্ত্রণাক্লিষ্ট সময়ের ছবি। সত্তরের সেই ভয়ংকর দিনগুলি লেখকের কলমের গুণে তার সমস্ত বিকার, পাশবিকতা, রক্তলাঞ্ছিত বীভৎসতা ও মৃত্যুর ভয়াবহতা নিয়ে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে এই গল্পে।