বাংলা কাব্যসাহিত্যে মানকুমারী বসু (১৮৬৩ খ্ৰীঃ–১৯৪৩ খ্রীঃ)

বাংলা কাব্যে মানকুমারী বসু


উনিশ শতকের বাংলাদেশে স্ত্রী-শিক্ষা বিস্তার, স্ত্রীলোক-পাঠ্য পত্রিকা প্রকাশ (যেমন ‘মাসিক পত্রিকা’, ‘বামাতোষিণী' ইত্যাদি) এবং নারী কল্যাণমূলক বিভিন্ন গল্প-উপন্যাস প্রকাশের পরমা ফলশ্রুতি হল মহিলা-কবিদের আবির্ভাব। এইসব কবিদের মধ্যে মধুসূদনের ভ্রাতুষ্পুত্রী মানকুমারী বসু সহজাত কবি-প্রতিভা নিয়ে বাংলা কাব্যের জগতে আবির্ভূতা হয়েছিলেন।


মানকুমারী বসুর কাব্যগ্রন্থ সমূহ:

তার রচিত কাব্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য‘কাব্যকুসুমাঞ্জলি’ (১৮৮৩), ‘প্রিয়প্রসঙ্গ’ (১৮৮৪), ‘বীরকুমারবধ চরিত’ (১৯০৪), ‘বিভূতি’, ‘সোনার সাথী' ইত্যাদি।


মানকুমারী বসু বাল্যকাল থেকেই ছিলেন কাব্যানুরাগী। অপরিণত বয়সে বৈধব্যযন্ত্রণা তাঁর কবিতায় নিরাভরণ বৈরাগ্যের রেশ এনে দিয়েছিল। সহজ সুরে গ্রাম্য মেঠোপথে ধ্বনিত রাখালিয়া গানের মত তাঁর কবিতা সহজ, সরল ও চিত্তাকর্ষক। বীররস ও করুণরসের যুগপৎ সমন্বয়ে রচিত হয় তাঁর ‘বীরকুমার বধ’। এটি অমিত্রাক্ষরে লেখা আখ্যানকাব্য। এখানে মহাভারত অবলম্বনে অভিমন্যুবধ বর্ণিত হয়েছে।


মানকুমারী বসুর জন্ম ও কর্মজীবন:

১২৭১ বঙ্গাব্দের ১৩ই মাঘ যশোহর জেলার শ্রীধরপুর গ্রামে মাতুলালয়ে মানকুমারী বসুর জন্ম হয়। শৈশবকালে ‘অভিমানিনী’ দেখে কন্যার নামকরণ করা হয় মানকুমারী। পিতামহ সাগরদাঁড়ির দত্ত-বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাধামোহন দত্ত চৌধুরী, পিতা আনন্দমোহন দত্ত চৌধুরী, মা শান্তমণি দেবী। দুই পুত্র, দুই কন্যার মধ্যে মানকুমারী কনিষ্ঠা, অর্থাৎ চতুর্থ সন্তান।


শৈশবে পিতার আশ্রয়েই তাঁর শিক্ষালাভ। তারপরে ‘বামাবোধিনী’ পত্রিকায় মহিলাদের প্রকাশিত রচনা দেখে লেখার ইচ্ছা হয়। গোপনে ছোট্ট একটি খাতায় লেখা হয় 'লাইবাইটের উপাখ্যান'। লেখিকার ভাষায় “আমার মনে হয়, একদিন আমার এক ভগিনীকে দিয়া একখানি ছোট খাতা বাঁধিয়া লইয়াছিলাম। তিনি বলিলেন, “খাতাখানা আমার কাছে দে, আমি তো’কে গান লিখিয়া দিব।” আমি তাহা দিলাম না। অতি নির্জনে বসিয়া সেই খাতা এবং দোয়াত কলম লইয়া তাহার নামকরণ করিলাম “লাইবাইটের উপাখ্যান”।


চরিতাবলীর “অদ্ভুত” নামগুলি শুনিয়াই “লাইবাইট্” নাম আমার মাথায় আসিয়াছিল। “যাহা হউক সেই লাইবাইটই আমার প্রথম রচনা। মনে হয়, তাহা গদ্য। তারপর আমি পদ্য রচনায় প্রবৃত্ত হইলাম”। পদ্য রচনার প্রাথমিক নিদর্শনও উক্ত গ্রন্থে দেখা যায়

“রাখ রাখ যবে ভাই বচন আমার,

ঈশ্বরের পদে কর কর নমস্কার।”


মানকুমারীর স্মৃতিচারণা থেকে জানা যায়, ১২৭৯ বঙ্গাব্দের ৭ই মাঘ বসু পরিবারের এক কৃতবিদ্য পুত্রের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। বিবাহোত্তর জীবনে স্বামীর উৎসাহে ও শিক্ষায় মানকুমারীর কাব্যচর্চা ও সাহিত্যসাধনার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি পায়। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখেন ‘পুরন্দরের প্রতি ইন্দুবালা' নামে এক সুদীর্ঘ বীররসাত্মক কবিতা। এই কবিতার সূচনায় মাইকেলী প্রভাব বিশেষভাবে অনুভব করা যায়

“দূরস্ত যবন যবে ভারত ভিতরে 

পশিল আসিয়া, পুরন্দর মহাবলী 

কেমনে সাজিলা রণে, প্রিয়তমা তার 

ইন্দুবালা কেমনে বা করিলা বিদায়? 

কৃপা করি কহ মোরে হে কল্পনা দেবী! 

কেমনে বিদায় বীর হ’ল প্রিয়া কাছে।”


এই কবিতা ‘সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লেখিকার জবানীতে “ইহাই আমার প্রথম প্রকাশ্য লেখা।” “সংবাদ প্রভাকর' সম্পাদক কবিকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেনঃ “আমরা অবগত হইলাম লেখিকা কবিবর মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভ্রাতুষ্পত্রী; ইনি ইঁহার পিতৃব্য-সৃষ্ট বাঙ্গালা অমিত্রাক্ষরে যে কবিতা লিখিয়াছেন, তাহাতে ইঁহার গলায় আমরা প্রশংসার শতনরী হার পরাইলাম। চর্চা থাকিলে ইহার মধুময়ী লেখনী কালে অমৃত প্রসব করিবে।” শোনা যায়, এরপর উৎসাহিত কবি দু'বৎসরের মধ্যে অনেকগুলি গীতিকাব্য, খণ্ডকাব্য এবং উপন্যাস লিখেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেইগুলির গ্রন্থ নাম ও প্রকাশবর্ষ তিনি উল্লেখ করেন নি।


তবে কবি মানকুমারীর স্মৃতিলিপির তথ্যসূত্রে পাওয়া যায় কয়েকটি রচনার পরিচয়(ক) স্বামীর মৃত্যুশোকের (উনিশ বছর হওয়ার পূর্বেই মানকুমারীর পতিবিয়োগ হয়) যন্ত্রণায় লেখা হয় গদ্য-কাব্য ‘প্রিয়-প্রসঙ্গ’ (খ) ‘সখা’ পত্রিকার সম্পাদক সুহৃৎ প্রমদাচরণ সেনের স্মৃতিতে লেখা হয় ‘শোক-সঙ্গীত’ কবিতা। (গ) বামাবোধিনী পত্রিকার ২৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত কয়েকটি প্রবন্ধ এবং ‘বনবাসিনী’ নামে একটি ক্ষুদ্র উপন্যাস রচনা। (ঘ) এছাড়া পুরস্কৃত প্রবন্ধ “বাঙ্গালী রমণীদিগের গৃহধৰ্ম্ম”, “বিবাহিতা রমণীর কর্ত্তব্য”, “সুশীলা রমণীর পরিজনের প্রতি কর্তব্য”, “মহৎ জীবনী”, “বিগত শতবর্ষে ভারত-রমণীদিগের অবস্থা”, মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিস্তম্ভের প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে রচিত ‘শ্রীমধুসূদন’ কবিতা, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃত্যুশোকে শোকোচ্ছ্বাস’ কবিতা প্রভৃতি।


মানকুমারী বসুর কাব্যের শ্রেণী ও বিষয়:

সমালোচক শ্রীযোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত মানকুমারীর গীতি কবিতাসমূহকে কয়েকটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন : (১) সামাজিক, (২) প্রাকৃতিক, (৩) জাতীয়তা বা স্বাদেশিকতা, (৪) সাময়িক ঘটনা (৫) পৌরাণিক শিশু কবিতা। এছাড়া অভিমন্যু-বধ উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত 'বীরকুমার বধ কাব্য' মুখ্যতঃ এপিক লক্ষণাক্রান্ত।


মানকুমারী বসুর সামাজিক কবিতা:

কবি মানকুমারীর সামাজিক ভাবাশ্রিত কবিতাগুলির বিষয় কৌলীন্যপ্রথা এবং বৈধব্যের জন্য বঙ্গললনাদের দুঃখভোগের পরিচয়দান অথবা পতিতা নারীর প্রতি অবিচারের সমালোচনা; যেমন, কুলীন কুমারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন

“মরমে মরমে মরা, বিষাদে আকুল, 

কি দেখিবি, ও তো ভাই শুকানো মুকুল!”

…...

“এ জনমে ফুটিল না-তরু ছিন্নমূল,

‘কুলীনের মেয়ে’ হায়! শুকানো মুকুল।”


কখনো বা বাল্যবিধবা কোন কিশোরীকে দেখে তাঁর হাহাকার

“সীথিতে সিঁদুর নাই, ছাই-সব সুখে!

উহু হু! একটি মেয়ে,

কে দিয়েছে মাথা খেয়ে? 

কেমনে কাটাবে কাল চিতা রাখি বুকে! 

জ্বলন্ত আগুন-জ্বালা 

কেমনে স’বে রে! বালা,

জীবন্ত পুড়িবে বাছা মা বাপ সম্মুখে! 

বোঝে না যে ‘বিয়ে’ হায়! 

তার আজি এ কি দায়!

‘“বিধবা’ কহিতে বুক ফেটে যায় দুখে, 

বিধি হে! এ পোড়া বিধি কে আনিল মুখে?”


কবি মানকুমারীর নিজের বৈধব্য জীবনের যন্ত্রণাময় অভিজ্ঞতা এই কবিতার মধ্যে অভিব্যক্ত। তাঁর ‘সহমরণ’, ‘অভাগিনী’, ‘পতিতোদ্ধারিণী’ ইত্যাদি কবিতায় নারীর প্রতি সমাজের নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে অপরিসীম মমতা এবং বঙ্গের কষাঘাত অনুভব করা যায়; যেমন ‘পতিতোদ্ধারিণী' কবিতায় আছে কিভাবে আমাদের সমাজে পতিতা নারীর আত্মশুদ্ধির চেষ্টা ব্যর্থ হয়

“যে ডোবে, সে ডুবে যায়, আমাদের ঘরে 

কখনো সে পায় না আশ্রয়,

আমাদের ঘর বাড়ী আমাদের তরে, 

যে পড়ে তাহার ঠাই নয়। 

অনুতাপে যদি তার হৃদয় ভাঙ্গিবে,

তবু মোরা দূরেই রহিব, 

অভাগা সে যদি কভু উঠিতে চাহিবে,

ছি ছি। তার হাত না ধরিব। 

সুখের সাধক মোরা— আত্মসুখ দাস

সে পতিত পথের কাঙ্গালি,”

……….

“তার তরে নাই ক্ষমা করুণা আশ্বাস, 

আছে শুধু পদাঘাত, গালি। 

এই আমাদের নীতি-চিরদিন সবে

পতিতেরে পায়ে দলে যাই,

আমাদের কত পাপ-সীমা নাহি হবে,

তার পানে কভু নাহি চাই ।”


মানকুমারী বসুর স্বাদেশিক কবিতা:

মানকুমারীর কবিতা কেবল দুঃখ-রসে ভারাক্রাস্ত নয়, তা স্বাদেশিক মহিমায়ও প্রদীপ্ত। তাঁর রচিত 'সাধের মরণ’, ‘মায়ের সাধ’ প্রভৃতি কবিতাগুলি এক্ষেত্রে স্মরণযোগ্য; যেমন 'সাধের মরণ’ কবিতায় আছে

“মরণের বায়ু বয়ে যায়, 

কে তোরা মরিতে যাবি আয়।

ওই দেখ! ঘরে ঘরে—

কত কে কাঁদিয়া মরে,

অনেক কাঁদিছে ওরা অসহ্য জ্বালায়

নীরবে কাঁদিবে যারা,

বিজনে কাঁদুক তারা,

আয়! কে ডুবিতে যাবি সাগর-তলায়?”

অথবা

“কর দেখি অতীত স্মরণ, 

তোমাদেরি অধীন মরণ,

‘সপ্ত সিন্ধুময়ী ধরা’ 

ছিল যার কীর্ত্তি ভরা

সেই পুণ্য আদি-কুলে তোদের জনম!”


কিংবা ‘মায়ের সাধ’ কবিতায় দেখা যায় দেশজননীর জন্য দুঃখ-বোধ

“আগে ছিনু আমি রাজ-রাজেন্দ্রাণী,

আমার গৌরবে পূরিত ধরা,

আজি ভিখারিণী তোদের জননী

বেঁচে থাকা আজ মরমে মরা।”

তার ‘ভ্রাতার প্রতি ভগ্নী’ কবিতার মধ্যেও এই দেশাত্মবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।


মানকুমারী বসুর ভক্তিমূলক কবিতা:

মানকুমারীর বেশ কিছু কবিতা ভক্তিভাবমূলক কোন কোন ক্ষেত্রে (যেমন ‘ভাঙ্গিও না ভুল’ কবিতা) দার্শনিক অনুসন্ধিৎসাও স্পষ্ট। 'ঈশ্বর', ‘শিবপূজা’, ‘মা’ ইত্যাদি কবিতাগুলি ভক্তি ও বিশ্বাসের সরলতা অনুভব করা যায়; যেমন ‘ঈশ্বর’ কবিতায় ঈশ্বরের মহিমা স্মরণ করে ভক্তিমতী বঙ্গনারীর প্রার্থনা

“এই মাত্র মাগি ভিক্ষা 

যে ভাবে যখন থাকি,

তুমিই আমার, তাই

সদা যেন মনে রাখি।”


‘শিবপূজা’ কবিতায় দেখা যায় “সর্বজীবে সম্প্রীতিময় প্রেমিক শিবের উদার উন্মুক্ত প্রাণখোলা প্রীতি ও প্রেমনিষ্ঠা”র (দ্রষ্টব্যঃ ‘বঙ্গের মহিলা কবি', পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা ১৩৮) প্রকাশ

“দেখিনি কে সুধা বলি কালকূট খায়, 

দেখিনি কে কৃত্তিবাস,

শশ্মশানে সুখের বাস,

ভূত পিশাচের পালে প্রীতি মমতায়।”


তবে এই কবিতায় কাব্যগুণ বিরলদৃষ্ট। তার 'ভাঙ্গিও না ভুল’ কবিতায় দার্শনিক অনুভব অভিজ্ঞতা ও হৃদয়াবেগে সমৃদ্ধ

“ভাঙ্গিও না ভুল প্রভো! ভাঙ্গিও না ভুল,

এ ব্রহ্মাণ্ড রঙ্গভূমি,

এক অভিনেতা তুমি,

তবুও আমারি তুমি, শিখিয়াছ স্থূল,

ক্ষুদ্র বিশ্ব যায় যাক্,

এ প্রাণ তোমাতে থাক্‌

ও চরণ বুকে থাক্ হয়ে বদ্ধ-মূল, 

জীব-লীলা অবসানে

ওই প্রেম-সিন্ধু পানে,

ছুটিবে জীবন-গঙ্গা করি কুল কুল

ভুলে যদি থাকি প্রভো! ভাঙ্গিও না ভুল!”


মানকুমারী বসুর প্রেম-বিষয়ক কবিতা:

মানকুমারীর প্রেম-বিষয়ক কবিতার সংখ্যা স্বল্প, কিন্তু তবু তা স্বতন্ত্র অনুভবে দীপ্ত। গগনবিহারী সূর্যের সঙ্গে ধরাতলবাসিনী নলিনীর সম্বন্ধ-নির্ণয় করতে গিয়ে তাঁর অনুপম উক্তি

“নলিনীর ভালোবাসা-শুনে হাসি পায়,

সেতো ফোটে ঘোর পাঁকে;

কার মুখ চেয়ে থাকে?

যে রাজা বিরাজে নিত্য আকাশের গায়!”


ভালোবাসার আকর্ষণীয় মোহময় শক্তি নরনারীর হৃদয়ে এমনভাবে ব্যাপ্ত হয় যে শত বছরের ব্যবধানেও তা বিস্তৃত হয় না

“শত বছরের পথ,

তব পূর্ণ মনোরথ,

পরাণ জড়ান তবু পরাণের গায়, 

নলিনীর ভালবাসা-শুনে হাসি পায়।”


মানকুমারী বসু রবীন্দ্র যুগের কবি। কিন্তু লক্ষ্য করা যায়, তার উপর হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, গোবিন্দ দাস প্রমুখ কবিদের প্রভাব যতটা অনুভূত হয়, ততটা রবীন্দ্রনাথের নয়। বস্তুতঃ মানকুমারীর কাব্যে কল্পনার গভীরতা, প্রকাশের চারুত্ব, স্রষ্টার নান্দনিক আত্মানুশীলন লক্ষ্য করা যায় না। সমালোচকের মতে, “মানকুমারী স্রষ্টা নহেন, আর্টিষ্টও নহেন। মানকুমারীর অধিকাংশ কবিতাই Narrative বা বর্ণনাত্মক। তাহাকে আর্টিষ্ট বলা যায় না। যুগ প্রভাবানুযায়ী সাধারণভাবে অনুপ্রাণিত হইয়াই তাঁহার কবিতাসুন্দরী আপনাকে প্রকাশ করিয়াছেন”।


অন্তঃপুরবাসিনী ও বাল্যবিধবা হলেও কবি মানকুমারী বসু ছিলেন স্বশিক্ষিতা। বাংলা কাব্যের আসরে তার প্রবেশ নীরবে ঘটলেও তার কাব্যকবিতা নজরে পড়ার যোগ্য।