ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্রের বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় দাও।

ভারতেন্দুর বহুমুখী প্রতিভার নিদর্শনসমূহকে আমরা কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করার চেষ্টা করব। যথা—

  • (১) সম্পাদকরূপে 

  • (২) অনুবাদক রূপে 

  • (৩) গদ্যকাররূপে 

  • (৪) নাট্যকাররূপে 

  • (৫) কবিরূপে।


১। সম্পাদকরূপে ভারতেন্দু :

সম্পাদকরূপে ‘ভারতেন্দু'র কৃতিত্ব অত্যন্ত ব্যাপক এবং উজ্জ্বল। তিনি পরপর (১) কবিবচনসুধা (২) হরিশ্চন্দ্র চন্দ্রিকা (৩) বালবোধিণী (৪) ভগবদ্ভক্তি ইত্যাদি সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি কেবলমাত্র এই পত্রিকাসমূহের প্রকাশই করেন নি বরঞ্জ এগুলির সম্পাদকরূপে বিশেষ প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। এই সব পত্রিকাসমূহ ততদিনই নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল যতদিন ভারতেন্দু নিজে সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি সরে যাবার পরপরই এসব পত্রিকাগুলি ধীরে ধীরে উঠে যায়। ফলে একথা বলাই বাহুল্য যে এসব পত্রিকাসমূহের প্রাণপুরুষরূপে ভারতেন্দু এগুলিকে স্বীয় পরিশ্রম ও প্রতিভার সঞ্জীবনীমন্ত্রে পুষ্ট করে রেখেছিলেন। ভারতেন্দুর অনুপস্থিতিতে এগুলির অবলুপ্তিই প্রমাণ করে যে সাহিত্য সম্পাদকরূপে তার কৃতিত্ব কতখানি অপরিহার্য ছিল।


২। অনুবাদকরূপে ভারতেন্দু :

একজন কুশলী অনুবাদকরূপে ভারতচন্দ্র বিখ্যাত ছিলেন। ইংরাজী, মারাঠী, বাংলা এবং সংস্কৃতভাষায় তার ব্যুৎপত্তি ছিল প্রখর। এই সমস্ত ভাষাসমূহের চিরন্তন গ্রন্থরাজির সঙ্গে হিন্দিভাষার পাঠকদের পরিচিত করানোর তাগিদে তিনি বহুবিধ অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। মূলত অনুবাদকরূপে তিনি নাট্যসাহিত্যক্ষেত্রেই প্রসিদ্ধি অর্জন করেন। কিছু উপন্যাসেরও তিনি অনুবাদ করেছিলেন। ‘পূর্ণপ্রভা’ এবং ‘চন্দ্রপ্রকাশ’ নামে দুটি মারাঠী উপন্যাসের তিনি অনুবাদ করেন। এদুটির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ কিছু লোক এগুলিকে হিন্দিসাহিত্যের প্রথম উপন্যাস রূপে মনে করেছিলেন। তার অনূদিত নাটকগুলির মধ্যে মুদ্রারাক্ষস, সত্য হরিশ্চন্দ্র, ধনঞ্জয়বিজয়, বিদ্যাসুন্দর, ভারতজনণী, কর্পূরমঞ্জরী, পাখন্ডবিড়ম্বনা, দুর্লভ বন্ধু, রত্নাবলী ইত্যাদির নাম উল্লেখযোগ্য। এখানে মনে রাখা ভালো এই অনুবাদগ্রন্থগুলির মধ্যে কিছু হল মূল নাটকের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ আবার কয়েকটি হল ভাবানুবাদ। এই অনুবাদগ্রন্থসমূহে ভারতেন্দু কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বকীয় মৌলিক প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পটভূমি এবং বাতাবরণকে পূর্ণরূপে পরিবর্তিত করে তাকে ভারতীয় চিন্তাধারার আধারে পরিবেশন করেছেন। তার কৃত অনুবাদ গ্রন্থাবলীর অত্যন্ত সজীব এবং প্রাণবন্তরূপে স্বীকৃত। প্রকৃতপক্ষে ভারতেন্দুর উদ্দেশ্যে ছিল অনুবাদসাহিত্যের প্রতি নবীন হিন্দি সাহিত্যিকদের উৎসাহিত করা। একথা বলাই বাহুল্য যে এই কাজে তিনি বহুলাংশে সফল হয়েছিলেন।


৩। গদ্যকাররূপে ভারতেন্দু :

১৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হওয়া হিন্দিসাহিত্যের ইতিহাসকে আধুনিককালের গদ্যকাল বলা হয় কারণ পরম্পরাগত হিন্দি কবিতার অতিরিক্ত গদ্যরচনার সূত্রপাত ঘটেছিল এই যুগে। এটা সর্বজনস্বীকৃত তথ্য যে এই গদ্যসাহিত্য সৃজনের পুরোধাপুরুষ রূপে হরিশ্চন্দ্রের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এটাও সবাই স্বীকার করেন যে ভারতেন্দু ‘নাটক' নামে এক দীর্ঘ আলোচনাসমৃদ্ধ নিবন্ধ রচনা করে আলোচনাত্মক গদ্যসাহিত্যের সূচনা করেন।


এই নিবন্ধেই সর্বপ্রথম হিন্দি নাট্যকলার সমস্ত দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে যা পরবর্ত্তী নাট্যকারদের কাছে প্রেরণাদায়ক ও পথপ্রদর্শক রূপে কাজ করেছে। ভারতেন্দু সম্পাদিত পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত গদ্যরচনাসমূহ হিন্দি গদ্যসাহিত্যের রচনা এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।


গদ্যসাহিত্যের ক্ষেত্রে প্রবন্ধরচনা ছাড়াও ভারতেন্দু উপন্যাস রচনারও সূত্রপাত করেছিলেন। তিনি 'হমীর হধ’ এবং ‘কুছ আপবীতি কুছ জগবীতি’ নামে দুটি উপন্যাসরচনার সূত্রপাত করেছিলেন। কিছুটা রচিত হবার পর ভারতেন্দুর অকালমৃত্যু এই উপন্যাসদ্বয় অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। তবে অনুবাদকরূপে কয়েকটি উপন্যাসকে তিনি হিন্দিতে অনুবাদ করেন। ফলে সাহিত্যের ক্ষেত্রে এই সাখাতেও ভারতেন্দু কিছুটা অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।


ইতিহাসের প্রতি ভারতেন্দুর অনুবাদ ছিল গভীর। তার ইতিহাসপ্রীতি তার রচিত ছোটো, বড়ো প্রবন্ধসমূহে প্রকাশিত হয়েছে। অল্প কথায় গভীর ব্যঞ্জনার সৃজন তার গদ্যসাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। তার ইতিহাস সমৃদ্ধ রচনাসমূহের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল—কাশ্মীর কুসুম, মহারাষ্ট্র দেশকা ইতিহাস, রামায়ণ কে সময় কী বাতে, অগর ওয়ালো কী উৎপত্তি, ক্ষত্রিয়ো কী উৎপত্তি, বাদশাহ দর্শন, উদয় পুরোদয়। পুরাবৃত্ত সংগ্রহ, চরিতাবলী, পঞ্চ পবিত্রাত্মা, দিল্লি দরবার দর্পণ, কালচক্র ইত্যাদি। এই সব প্রবন্ধই ভারতেন্দু গ্রন্থাবলী'র দ্বিতীয়ভাগে সংকলিত হয়েছে।


ভষাশৈলীর ক্ষেত্রে এবং হিন্দিসাহিত্যে গদ্যরচনার পথপ্রদর্শকরূপে ভারতেন্দুর কৃতিত্ব অভিনন্দনযোগ্য। হিন্দি সাহিত্যের গদ্যরচনার জনকরূপে তাই ভারতেন্দুর স্বীকৃতি।


৪। নাট্যকাররূপে ভারতেন্দু :

ভারতেন্দুজীর ব্যক্তিত্ব এবং কৃতিত্বে সর্বাধিক উজ্জ্বল, প্রচলিত এবং প্রসিদ্ধ রূপ আমরা নাট্যকার ভারতেন্দুর মধ্যে লাভ করে থাকি। তার প্রখর নাটক ব্যক্তিত্ব অন্য সকল কৃতিত্বকে ম্লান করে দিয়েছে। বহু বিদ্বান এবং যোদ্ধা তাকে নাট্যকাররূপেই স্বীকৃতি দিয়েছেন যদিও কবিরূপেও তিনি অনেকাংশে সফল।


ভারতেন্দু কে আজকের হিন্দি নাটকের জনক এবং সূত্রধাররূপে স্বীকার করা হয়ে থাকে। সংস্কৃত যুগের পর সকল ভারতীয় ভাষায় নাটকের অভাব পরিলক্ষিত হয়। নিহদীতো নাটকের আকাল শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভারতেন্দুর ক্রান্তদর্শী প্রতিভা এবং প্রয়াসেই এই নাটকের আকালকে দূর করা সম্ভব হয়েছিল। ভারতেন্দুজী অনেক নাটকের অনুবাদ করেছিলেন। এছাড়া নিজে মৌলিক নাটক রচনা করেও নাট্যসাহিত্যের অকাল রোধ করতে পেরেছিলেন। তার অনূদিত এবং স্বরচিত নাটকের সংখ্যা ১৯। আমরা অনুবাদক ভারতেন্দু সম্পর্কে আলোচনাকালে তার অনূদিত নাটকের পরিচয় পেয়েছি। কালানুক্রমিকভাবে রচিত তার মৌলিক নাটকগুলি হল

  • (১) চন্দ্রাবলী
  • (২) ভারতদুর্দশা
  • (৩) নীল দেবী
  • (৪) অন্ধের নগরী
  • (৫) বৈদিক হিংসা হিংসা ন ভবতি
  • (৬) বিষস্য বিষমৌষধর্ম
  • (৭) সতীপ্রতাপ
  • (৮) প্রেম যোগিণী।

এখানে স্মরণীয় যে ভারতেন্দুর অকালপ্রয়াণ হেতু তার শেষ নাটকদ্বয় অসম্পূর্ণ ছিল। এর মধ্যে 'সতীপ্রতাপ' নাটকটি পরবর্তীকালে বাবু রাধাকৃষ্ণদাস সম্পূর্ণ করেছিলেন।


ভারতেন্দুর নাটকাবলী মূলত সমাজের বৈষম্য শোষণ এবং অবিচার কে দূর করা উদ্দেশ্য নিয়ে রচিত। নাটকসমূহের বিষয়বস্তু ঐতিহাসিক কিংবা পৌরাণিক হলেও উদ্দেশ্য ছিল সমকালীন। প্রথমযুগের নাটকসমূহ সংস্কৃত নাটকের অনুসারী হলেও পরবর্তীকালের নাটকগুলিতে তার মৌলিকত্ব চোখে পড়ে এবং নাটকের আঙ্গিকেও আধুনিকতার স্বরূপ দৃষ্ট হয়। নাটকের মধ্যে গদ্য ও পদ্যের ব্যবহার দেখা যায়। ব্যঙ্গ বিদ্রুপের ভাবও নাটকের মধ্যে মেলে। এমনিভাবে নাট্যকাররূপে ভারতেন্দু আকর্ষণীয় প্রভাবশীল এবং সর্বজনগ্রাহ্য ছিলেন।

আধুনিক হিন্দি সাহিত্যে নাটকের সূত্রপাত ঠিক ভাবে ধ’রতে গেলে ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র থেকে। ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্রের নাটকাবলীকে দুভাগে ভাগ করা যেতে পারে


মৌলিক নাটক : (ক) প্রেমজোগিনী (১৮৭৫ খৃঃ); (খ) নীল দেবী (১৮৮০ খৃঃ) ; (গ) বৈদিকী হিংসা হিংসা না ভবতি (১৮৭৩ খৃঃ); (ঘ) বিষস্য বিষমৌষধম্ (১৮৭৬) ; (ঙ) শ্রীচন্দ্রাবলী (১৮৭৬ খৃঃ) ; (চ) ভারত দুৰ্দ্দশা (১৮৭৬ খৃঃ) ; (ছ) অন্ধের নগরী (১৮৮১ খৃঃ) ; (জ) সতী প্রতাপ (১৮৮৪ খৃঃ)।


অনুদিত নাটক : ভারতেন্দু সংস্কৃত এবং প্রাকৃত হ'তে নিম্নলিখিত নাটকগুলি অনুবাদ করেছেন

  • পাখন্ড বিড়ম্বন (১৮৭২ খৃঃ)—কৃষ্ণ মিশ্রের 'প্রবোধ চন্দ্রোদয়’-এর তৃতীয় অঙ্কের অনুবাদ।

  • ধনঞ্জয়বিজয় (১৮৭৩ খৃঃ)—ওই নামের সংস্কৃত নাটক হাঁতে অনুবাদ।

  • কর্পূরমঞ্জরী (১৮৭৬ খৃঃ)—ওই নামের প্রাকৃত গ্রন্থ হতে অনুবাদ।

  • মুদ্রারাক্ষস (১৮৭৫ খৃঃ)— ওই নামের সংস্কৃত গ্রন্থ হতে অনুবাদ।

ভারতেন্দু এবং রাধাকৃষ্ণ দাস ইংরাজী ‘দি মার্চেন্ট অফ ভেনিস' গ্রন্থের হিন্দি অনুবাদ প্রকাশ করেন।


কবিরূপে ভারতেন্দু :

কবিরূপে ভারতেন্দুর নাম অপ্রচলিত বা কম প্রসিদ্ধ হলেও তার ব্যক্তিত্ব কৃতিত্বের সর্বোত্তম স্বাক্ষর তার কবিরুপের মধ্যেই পাওয়া যায়। একথা বলা হয়তো অত্যুক্তি হবে না যে নাট্যকার ভারতেন্দুর মধ্যেই তার কবিরূপ বিরাজিত ছিল। সর্বোপরি তার বহুমুখী প্রতিভার বিভিন্ন স্বরূপ তার কবিতার ক্ষেত্রেই আমরা পেয়ে থাকি। সবথেকে বড়ো কথা হল রীতিকালীন কাব্যধারায় শৃঙ্গার এবং বিলাসপ্রবণ প্রবৃত্তি কাব্যকে সমাজনিরপেক্ষ করে তুলেছিল। ভারতেন্দুজীই প্রথম কবি যিনি কবিতা এবং সমাজের ঘনিষ্ঠ বন্ধন পুনঃস্থাপিত করেন। জীবনমুখী করে কবিতার মাধ্যমে মানবসমাজের ইচ্ছা এবং অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটান। এই কারণেই ভারতেন্দুজীকে কবিতার ক্ষেত্রেও নবযুগের প্রবর্তকের শিরোপা দেওয়া হয়ে থাকে।


ভারতেন্দুর মৌলিক নাটকসমূহে গীতগুলি মধ্যে তার কবিতার নিদর্শন কিছু মেলে। আলাদাভাবে তিনি প্রায় দেড় দুই হাজার মুক্ত পদচারণা করেছেন। কেউ কেউ আবার এই সংখ্যাকে আরও বেশি বলে মনে করেন। তার বিভিন্ন কাব্যসমূহের কালানুক্রমিক নামগুলি হলো—প্রেম মাধুরী, প্রেম ফুলবারী, প্রবোধিণী, প্রেমমালিকা, মতসই শৃঙ্গার, কৃষ্ণচরিত, বিনয়প্রেমপচাসা। প্রাতঃস্মরণ, প্রেম প্রলাপ, মধুমুকুল, হোলি, সুমনাঞ্জলি, ভারতবীণা, বৈষ্ণব সর্বস্ব। ভক্তবাবনী, ভক্তমাল উত্তরার্ধ ইত্যাদি। অন্তিম কাব্যটিতে ভক্ত নাভাদাসের পরবর্তী ভক্ত নামাদাসের কাব্য পদ্ধতির বর্ণনার করেছেন। অনুরূপভাবে ‘ভক্ত বাবনী'তে প্রসিদ্ধ ভক্তের চরিত্রের কাব্যময় বর্ণনা আছে। কৃষ্ণচরিত' কাব্যে ভগবান কৃষ্ণের বিভিন্ন লীলার সরস ও সজীব বর্ণনা বিদ্যমান। শেষের কাব্যসংকলনসমূহে ক্রমশ ভক্তি, শৃঙ্গার, প্রেম, দেশভক্তি, সমাজসংস্কার, প্রকৃতিচিত্রণ এবং ভারতের অতীত গৌরবের ইতিহাস লিপিবদ্ধ আছে।


উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আমরা ভারতেন্দুজীর বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পেয়েছি।


উপরের উদাহরণ থেকে আমরা দেখতে পাই ভারতেন্দুর প্রকৃতিচিত্রণ অত্যন্ত ভব্য এবং মূলত হার্দিক উল্লাসের পরিচায়ক।


ভারতেন্দুর কাব্যশৈলী পরিচ্ছন্ন, সরল এবং সহজগ্রাহ্য। তার ভাষা এবং অভিব্যক্তির সম্মিলন চোখে পড়ার মতো। কবির সহজ সহৃদয়তা এবং দায়িত্ববোধ তার ভাষাব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিভাত।


ব্যক্তিত্ব এবং কৃতিত্বের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ভারতেন্দু কে এক ক্রান্তদর্শী এবং যুগপ্রবর্তক কলাকার রূপে আমরা অভিহিত করতে পারি। সাহিত্যকার রূপে সাহিত্যের উপর তার প্রভাবহেতু আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের প্রাথমিক যুগকে ভারতেন্দু যুগ বলে অভিহিত করা হয়। হিন্দি সাহিত্যে এবং ভাষার দৃষ্টিকোণ থেকে হিন্দি সাহিত্যের পাঠককুল তাকে কোনদিন ভুলতে পারবে না। তার ব্যক্তিত্ব এবং কৃতিত্ব আজও আলোকস্তম্ভরূপে হিন্দি ভাষাও সাহিত্যকে পথনির্দেশ করছে। সব দিক থেকেই তিনি হিন্দি সাহিত্যাকাশে এক মহান তারকা।