বাংলায় আর্যীকরণ : পূর্ব ভারতে আর্যবিস্তার

বাংলায় আর্যীকরণ : পূর্ব ভারতে আর্যবিস্তার


বাংলা শুধু সুজলা সুফলা নয়, বহুস্তরী চৈতন্যসম্ভবা। তবু তার অন্নময় এবং আনন্দময় জগতের সূর্যবীজ কিন্তু গাঙ্গেয় পলিমাটির নাব্যরসেই সিঞ্চিত ও পরিপুষ্ট হয়েছে। তাই অনার্য-অনুভাবনার ফল্গুধারা থেকে বহিরাগত আর্য-সংস্কৃতির লবণাক্ত বন্যার ধারাস্রোত পর্যন্ত পূর্ব ভারতে আর্য অনুপ্রবেশ ঘটে প্রধানত গঙ্গা-ভাগীরথীর পথে। ফলে তার দুই তীর রাঢ় ও বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের আর্য-মানস সংস্পর্শে হয় নবজ্ঞানলাভ। চিন্তা চৈতন্যে, আচার-আচরণে পরবর্তী বাঙালী তাই অনার্য ও আর্যভাবনার দ্বিরায়তনিক প্রকৃতি ও পরিবেশে বেড়ে ওঠে। আবার মেগাস্থিনিসের 'ইন্ডিকা' গ্রন্থে এবং প্লিনি-টলেমী প্রমুখ গ্রীকদেশীয় লেখকদের রচনায় ‘গঙ্গারিডই’ বা ‘গঙ্গারাঢ়' এবং ‘প্রাসাই’ বা প্রাচ্যদেশের সশ্রদ্ধ উল্লেখে, কিংবা ভেলেরিয়াস ফ্লাকাসের আরগনটিকায়' ১৫০০ খ্রীস্টপূর্বে কলচিয়ান ও জেমসের অনুগামীদের সঙ্গে কৃষ্ণসাগর উপকূলে গঙ্গারাঢ় দেশের মানুষের বীরত্বকাহিনীর কিংবদন্তী থেকে বোঝা যায়, প্রাগার্য বাঙালীর বৃহৎ অস্তিত্বের কথা। শুধু তাই নয়, ভার্জিল তার ‘জর্জিকাস’ গ্রন্থে পর্যন্ত এই গঙ্গারাঢ়ের মানুষের শৌর্য বীর্যের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত হয়েছেন।


আর্যসংস্কৃতির সূত্রপাত এদেশে ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, অঙ্গ ও‌ মগধেই আর্যীকরণের আরম্ভ। তারপর রাঢ় ও পুণ্ড্র অর্থাৎ পশ্চিম ও উত্তরবঙ্গে ঘটে তার অগ্রগতি। আমরা জানি, ব্রহ্মাবর্তবাসী আর্য-স্বরের বৈদিক উদ্ভাস সূচনায় মোটেই রমণীয় মনে হয়নি। বরং অঙ্গ মগধ পুণ্ড্রবর্ধন বঙ্গ প্রভৃতি দেশের মানুষের প্রতি ব্যবহারে ও বাচনে এক অভিশাপের সুর প্রায়শই অনুরণিত হয়েছে অথর্ববেদে-ঐতরেয় আরণ্যক‌ শতপথ ব্রাহ্মণে। ভারতের প্রাচ্যখণ্ডে—বিশেষত অঙ্গ, মগধ, পুণ্ড্রবর্ধন, বঙ্গ প্রভৃতি‌ পূর্বাঞ্চলের আর্যেতর কৌম-অধ্যুষিত জনজীবনের প্রতি এই ইন্দো-য়ুরোপীয়ভাষী‌ আর্যগোষ্ঠীর দুর্বিচারের কারণগুলি ছিল সম্ভবত (১) দূরে অবস্থান এবং আর্যেতর জাতির পৃথক জীবনবৈশিষ্ট্য থেকে দূরত্ব রক্ষা। (২) জল-জঙ্গল পরিবেষ্টিত দুর্গম পথ-ঘাট সম্পর্কে ভীতি। (৩) এদেশে অধিষ্ঠিত (দক্ষিণ এশিয়া হতে আগত) আদিম অধিবাসীদের জীবনযাপনে অসন-বসনে ‘রূঢ়িক’ বা বন্যভাব দেখে উপেক্ষা বা ঘৃণা। তবু আর্যসংস্কৃতির যে ধ্রুব বৈশিষ্ট্য গ্রহণীশক্তি, তার অনুপ্রাণনায় এবং পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পরিচয়ের ঘনিষ্ঠতায় তাঁরা এক সময় এদেশীয় মানুষের জীবনচর্চার কিছুটা অংশী ও সঙ্গী হয়ে পড়েন।


‘আর্যমঞ্জুশ্রীকল্প’ নামক একটি প্রাচীন বৌদ্ধগ্রন্থে বলা হয়েছে—“অসুরাণাম্ ভবেৎ বাচঃ গৌড্র-পুন্ড্রোদ্ভব সদা।” বৈদিক ও বেদোত্তর সাহিত্যে দেবগণ বিরোধীরূপে ‘অসুর’ শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে। অনেকের মতে, 'অসুর' অর্থে বৈদিক আর্যপূর্ব অধিবাসী বা ‘আলপাইন’ সমতুল্য গোষ্ঠীকেই বোঝায়। এদের অনেকেই ছিলেন বিকৃত উচ্চারণে আর্যভাষী। ড. সুকুমার সেনের মতে—'অসুর অনার্য নয়, দেবতার বড় ভাই, বুদ্ধিতেও সে ছোট নয়। শুধু তাহার বাণী বিকৃত হইয়া পড়ায় অসুর হার মানিয়া গণ্ডক পারে চলিয়া যাইতে বাধ্য হয়।” আমরা জানি, ইরান হতে ভারতীয় আর্যভাষা ও সংস্কৃতির দুই বা ততোধিক ধারায় আগমন হয়। তবু মনে হয়, নবপলীয় যুগের উত্তরকালে (সম্ভবত রুশদেশে ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে অবস্থিত শুষ্ক তৃণাচ্ছাদিত ভূখণ্ডে) আলপাইনরা ছিল কৃষিকার্যে নিষ্ঠাবান, আর নর্ডিকরা ছিল পশুপালনে উৎসাহী, উপাসনায়ও ‘নর্ডিক’ বা আর্যেরা ছিল, প্রকৃতির বিভিন্ন প্রকাশের উপাসক। উপাস্য তাঁদের কাছে ‘দেইবো’ বা ‘দইব’ অথবা ‘দেব’ নামে পরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে আপীয় গোষ্ঠী কৃষির সাফল্যের জন্য সৃজনশক্তিরূপে অসুরের আরাধনায় ছিল মগ্নপ্রাণ। এমনকি, এই দেবপন্থী এবং অসুরপন্থী আর্যদের মধ্যে দেহগত বৈসাদৃশ্যও স্পষ্টরেখ—আল্পীয় বা অসুররা ছিল হ্রস্ব শির, মধ্যমাকার, নাক লম্বা, গোল মুখ এবং গায়ের রঙ ফরসা, আর নর্ডিক গোষ্ঠীর দেহরূপ—দীর্ঘ-কপাল, বলিষ্ঠ ও গৌরবর্ণ, সূক্ষ্ম ও লম্বা নাক, দীর্ঘকায় এবং ভারী দৈহিক ওজন। উচ্চশ্রেণীর বাঙালীদের মধ্যে কিন্তু আলপাইন গোষ্ঠীর দৈহিক উপাদানই প্রধান এবং তারা উত্তরপ্রদেশের নর্ডিক নরগোষ্ঠী থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। সে যাই হোক, অথর্ববেদ, বৌধায়ন ধর্মসূত্র, মানব ধর্মশাস্ত্র ইত্যাদি গ্রন্থে, প্রাগার্য এবং স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে সমাত্ম পূর্বাঞ্চলের ব্রাত্য-আর্যদের প্রতি উদ্ধত স্বাতন্ত্র্যবোধে উত্তরাপথের আর্যদের ঘৃণা ও বিদ্বেষের ব্যাধিটি প্রকট হয়ে ওঠে।


মৌর্যবিজয় হতে গুপ্ত অধিকার পর্যন্ত অর্থাৎ খ্রীস্টপূর্ব ৩০০ থেকে ৫০০ অব্দের মধ্যেই বাংলাদেশে আর্যীকরণের ধারা চলে। পণ্ডিতদের অনুমান, মৌর্যযুগ থেকে য়ুয়ান চুয়াঙের আগমন কালের (খ্রীস্টপূর্ব ৩০০ অব্দ থেকে খ্রীঃ ৭ম শতাব্দী) হাজার বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে আর্যপ্রভাব সম্পূর্ণতার বৃত্তে উপনীত হয়। সাধারণত ব্রাহ্মণ্যমত, বৌদ্ধ, জৈন এবং আজীবক ধর্মমতের আশ্রয়েই এদেশে আর্যধর্ম ও সংস্কৃতির প্রকাশ ও বিকাশের বিবর্তন ইতিহাস চিহ্নিত হয়।


ব্রাহ্মণ্যমত : গুপ্ত পূর্বযুগে সম্ভবত বাংলাদেশে আর্যপদক্ষেপ ঘটে, কিন্তু শ্রুতি স্মৃতি পুরাণের মাধ্যমে গুপ্তযুগেই তার দিগ্বিজয়ী প্রতিষ্ঠা হয়। কারণ গুপ্ত, সেন ও বর্মন রাজগণের আর্যাবর্ত এবং মধ্যদেশ থেকে ব্রাহ্মণ-আনয়ন, অগ্নিহোত্র, পঞ্চ যজ্ঞানুষ্ঠান ও ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর-পার্বতী-গণেশ ইত্যাদি বহু পৌরাণিক দেব-দেবীর প্রবর্তনায় এদেশে বৈদিক সংস্কৃতির সহজ ও সুষ্ঠু অনুপ্রবেশ ঘটে।


(১) জনবিচ্ছিন্নতা : নিরপেক্ষ বিচারে একথা ঠিক, আর্যধর্ম-বিশ্বাসের বিশ্বম্ভর আশ্রয়ের শরণার্থী হয়েছিলেন সেদিন অধিকাংশই রাজা ও তাঁর অনুচরবর্গ। শ্যামলবর্মার সাগ্নিক ব্রাহ্মণ আনা, ব্রহ্মবাদী সামস্তসেনের গঙ্গাতীরে যাগযজ্ঞ করা অথবা বল্লালসেন ও লক্ষ্মণসেনের পৌরাণিক ক্রিয়াকলাপের উল্লেখ বা তাঁদের অনুচরবর্গের শাস্ত্রীয় ধর্মমতের পরিচয় পেলেও সেকালীন জনসাধারণের ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে তার ছিল ছিন্নযোগ। সুতরাং, সূচনায় রাজানুসৃত আর্য অনুগামিতার পরিচয় জনসাধারণের মধ্যে বিরলদৃষ্ট।


(২) সংমিশ্রণ ও পৌরাণিক সংস্কৃতি : বৈদিক ও ব্রাহ্মণ্যধর্মের অনুপ্রবেশের পূর্বে এদেশে ছিল বাংলার লোক সাধারণের মধ্যে মৃত্যুর পরে উত্তর জীবনে বিশ্বাস (সমাধি বা এডুকপূজা), মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা (বীরকাড়), লিঙ্গপূজা, টোটেমের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং অন্যান্য আরো নানা ক্রিয়া-কর্ম – দুর্গাপূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নবপত্রিকার পূজা ও শবরোৎসব, শুভকর্মে ব্যবহৃত কলাগাছ নারকেল-সুপারি, পান-সিঁদুর গোময় ও পঞ্চগব্যের ব্যবহার, উলুধ্বনি এবং বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ অনুষ্ঠান ইত্যাদি। ফলে বৈদিক প্রজ্ঞায় প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মণ্য-সংস্কৃতি অনার্য ভাবনার বহুস্তরী লোকাচারের সঙ্গে পরিচিত হয়ে পৌরাণিক সংস্কৃতিতে বিবর্তিত হয়।


জৈনমত : পূর্ব ভারতে অবৈদিক ব্রাত্যজনের আশ্রয়েই সম্ভবত বাংলাদেশে জৈনধর্মের বিকাশ ঘটে। এটি আর্যেতর ধর্মচর্চা নয়, কারণ বেদবিরোধী হয়েও এই ধর্ম ভারতীয় সংস্কার-শাসিত এবং পৌরাণিক সংস্কৃতির অনুগামী। অবশ্য ‘আচারঙ্গ সুত্র’ অনুযায়ী, রাঢ়দেশের বজ্জভূমি ও সুহ্মভূমিতে ধর্মপ্রচারের জন্য মহাবীরের নির্যাতন সংবাদে মনে হয়, এদেশের অস্ট্রো-দ্রাবিড়জনের কাছে প্রথমে জৈনধর্মতত্ত্ব বিশেষ আন্তরিক হয়ে ওঠেনি। তবু খ্রীস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে জৈনধর্ম প্রসার ঘটে তার সপক্ষে অনুমিত তথ্যগুলি হলো :


  • (১) 'ষোড়শজনপাদে’ অঙ্গ-বঙ্গ লাঢ় (রাঢ়) দেশের উল্লেখ পাওয়া যায় এবং ‘কল্পসূত্র' গ্রন্থে গোদাস প্রমুখ জৈন সাধুদের চার শাখায় বিভক্ত হওয়ার বিবরণ আছে। যথা— ‘তামলিত্তিয়’, ‘কোডিবর্ষীয়’ (বাণগড়), 'পুণ্ড্রবর্ধনীয়া' এবং 'খব্বডীয়’ (কবটীয়)।

  • (২) মথুরায় প্রাপ্ত খ্রীস্টীয় দ্বিতীয় শতকের লিপিতে জনৈক জৈন সন্ন্যাসীর অনুরোধে রাঢ়দেশে জৈন মূর্তি স্থাপনের উল্লেখ আছে।

  • (৩) পাহাড়পুরে প্রাপ্ত ১৫৯ জি-ই নম্বর অনুশাসন থেকে জৈনদের বটগোহালি বিহারের সেবার্থে ভূমিদানের কথা জানা যায়।

  • (৪) খ্রীস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে য়ুয়ান চুয়াঙ-এর বিবরণে বৈশালী-পুণ্ড্রবর্ধন-সমতট ও কলিঙ্গদেশে অসংখ্য জৈন সন্ন্যাসীর দর্শনের কথা জানা যায়। সুতরাং, বাংলাদেশে জৈন দিগম্বর-সম্প্রদায়ের প্রভাব, এর মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায়।


আজীবিক মত : প্রাচীন বাংলায় আজীবিক ধর্মেরও বেশ প্রাবল্য ছিল। ‘আজীবিক’ মহাবীরের বিশেষ বন্ধু ছিলেন এবং অনেকের মতে, পাণিনি কর্তৃক উল্লেখিত ‘মস্করিন’ ও ‘আজীবিক’ অভিন্ন। তাহলে বলা চলে, খ্রীস্টীয় ষষ্ঠ শতকেই পশ্চিম বাংলায় তাঁরা ধর্মপ্রচারে বিশেষভাবে নিযুক্ত ছিলেন। কথিত আছে, ধর্মপ্রাণ অশোক জনৈক নির্গ্রন্থের জন্য ১৮০০০ আজীবিককে হত্যা করার নির্দেশ দেন। য়ুয়ান চুয়াঙের ভ্রমণবিবরণী থেকে মনে হয়, পরবর্তীকালে আজীবিকরা জৈনদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল।


বৌদ্ধমত : বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মের সুদীর্ঘকাল ধরে প্রভাব বিস্তারের কথা জানা যায়, ফা-হিয়েন, য়ুয়ান চুয়াঙ, ই-চিং, সেং-চি প্রমুখ চৈনিক পরিব্রাজকদের ভ্রমণকাহিনী এবং ‘সংযুক্তনিকায়’ ‘বোধিসত্ত্বকল্পলতা’, সাঁচীর দানানুশাসন-লিপি ইত্যাদি থেকে। অশোকের সময় থেকেই বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার এবং পালরাজত্বের কালে তার সৌভাগ্য দেখা দেয়। নালন্দার বহুশ্রুত পণ্ডিত শীলভদ্র এবং কুমিল্লা, বিক্রমশীলা, পুণ্ড্রবর্ধন, সোমপুর, দণ্ডপুর, ফুল্লরী, পট্রিক কৈরক ইত্যাদি বিহার ও মহাবিহারে অসংখ্য বাঙালী শ্রমণ, ভিক্ষু ও আচার্যের সম্মানিত অধিষ্ঠান ও তিব্বতে তাঁদের প্রতিষ্ঠালাভের কথা জানা যায়। এছাড়া বাংলাদেশেও বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠার কথা জানা যায়। বাঙালী সংস্কৃতির পৌরাণিক স্তরের অন্তরালে এখনও অস্বচ্ছভাবে বৌদ্ধসংস্কৃতির ধারা বহমান। তাছাড়া গুনাইঘরের অনুশাসন থেকে জানা যায় খ্রীস্টীয় ষষ্ঠ শতকের মধ্যেই মহাযান বৌদ্ধমতের ত্রিপুরা পর্যন্ত বিস্তার লাভ ঘটে এবং ১০ম শতাব্দীর মধ্যেই বাঙালীর প্রভাবে (লুইপাদ ইত্যাদি) তার অভিনব রূপান্তর ঘটে। বস্তুত, মহাযান মত হতে উদ্ভূত সহজিয়া ধর্ম পূর্ব ভারতের আবিষ্কার, বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধধর্মে বাঙালীর দান বলে স্বীকৃতি পেয়েছে।