কবিকঙ্কণ মুকুন্দ বিরচিত কালকেতু উপাখ্যানে সামন্ততান্ত্রিক পরিবেশে প্রজাদের ওপর শোষণ অত্যাচারের যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করো।

কালকেতু উপাখ্যানে প্রজাদের ওপর শোষণ অত্যাচার


বাংলা মঙ্গলকাব্যগুলিতে গ্রন্থোৎপত্তির কারণ প্রসঙ্গে কিছুটা আত্মবিবরণী দানের একটি রীতি প্রচলিত ছিল। সম্ভবত কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীহ সর্বপ্রথম এত বিস্তৃতভাবে আত্মকাহিনী বর্ণনা করেছেন। তাঁর চিণ্ডীমঙ্গল কাব্যে তিনি এই প্রসঙ্গে যা রচনা করেছেন, বিষয়বস্তুর বিচারে তাকে দু'ভাগে বিভক্ত করা যায়। এর প্রথম অংশে তিনি সমকালীন বাস্তব অবস্থার একটি ঐতিহাসিক পটভূমিকা দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে নিজের কথা বলেছেন। দুটি অংশের মধ্যে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিকতা থাকলেও দু'টিকে বিচ্ছিন্নভাবেও বিচার করা চলে।


(ক) ঐতিহাসিক পটভূমিকা :

মুঘল বাদশা আকবর ষোড়শ শতকের একেবারে অস্তিম লগ্নে রাজা মানসিংহকে বাংলা বিহার-উড়িষ্যায় সুবেদার নিযুক্ত করেন। আমরা একালের পরিভাষায় বলতে পারি যে রাজা মানসিংহ ছিলেন বাদশাহের অধীন সামন্তরাজ। তার অধীনে পর্যায়ক্রমে অনেক অধস্তন রাজকর্মচারী ছিলেন--বস্তুত এঁরাই প্রত্যক্ষভাবে দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করতেন এবং এঁরাই ছিলেন প্রজাদের ভাগ্যবিধাতা। কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তী এই কালেই বর্তমান ছিলেন এবং সামস্ততান্ত্রিক পরিবেশে কৃথক' প্রজারা যে দুঃখ-দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছিল, তিনি ছিলেন তার প্রত্যক্ষ দ্রষ্টা এবং স্বয়ং ভুক্তভোগী।


কবিকঙ্কণের বিবরণ অনুযায়ী পুণ্যশ্লোক রাজা মানসিংহ ছিলেন বিষ্ণুভক্ত, প্রজারা তাকে রাজা রূপে পেয়ে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করতো। কিন্তু তাদের পাপের ফলে কিংবা ভাগ্যদোষেই তখন স্থানীয় ডিহিদার ছিল মামুদ সরীফ। ডিহিদারের ঊর্জীর ছিলেন জনৈক রায়জাদা—উভয়ের অত্যাচারে তখন সমাজে সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছিল ব্যবসায়ীরা তাড়া খেয়ে পালালো ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও দেখা দিল অতিচার। এতকাল সমাজে বা রাজদরবারেও ব্রাহ্মণ-বৈষ্ণবের একটি বিশিষ্ট মর্যাদা স্বীকৃত হত। কিন্তু এই আমলে তাদেরও শত্রু ক'রে তোলা হ’ল। জমিজমার মাপে নতুন ব্যবস্থা চালু হওয়াতে প্রজাসাধারণও অতিশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় – কোণাকুণি দড়ি টেনে জমি মাপাতে পনেরো কাঠায় এক কুড়া বা বিঘার মাপ তৈরি হ’ল। এ বিষয়ে প্রজারা কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করলেও এ নালিশ তাঁরা কানে তুলতেন না। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফ থেকেও শুরু হ’ল বিরোধিতা। যে সকল জমি ছিল খিল অর্থাৎ অনুর্বর, সেগুলিকেও লাল বা উর্বর বলে দেখানো হ’ল (“বিলভূমি লেখে লাল')–তার ফলে জমির ওপর আরো কর বৃদ্ধি পেলো। কর্মচারীরা লোভ দেখিয়ে ঘুষ নিতো কিন্তু কোনো উপকার সাধন করতো না (বিনা উপকারে খায় ধুতি')। সরকারী টাকা পয়সা আদায়ের ভার ছিল পোদ্দারদের ওপর, তারাও প্রজাশোষণে রাজকর্মচারীদের যোগ্য দোসর হয়ে উঠলো। ঐ সময় নতুন মুদ্রা প্রচলিত হওয়াতে পুরানো মুদ্রা বদলে পোদ্দারের কাছ থেকে নতুন মুদ্রা নিতে হত— পোদ্দাররা সেই সুযোগে টাকায় আড়াই আনা ক'রে বাট্টা নিতে লাগলো; মুদ্রা বিনিময়ের সময়কাল উত্তীর্ণ হ'লেই তারা দিনপ্রতি অতিরিক্ত টাকা প্রতি এক পাই সুদও আদায় করতে লাগলো।


স্বয়ং ডিহিদারই ছিলেন নির্বোধ, তাকে আর কোনো কিছুতেই খুশি করা যেতো না, ফলে সর্বত্র সন্ত্রাসের ভাব দেখা দিলো। ব্যবসা-বাণিজ্যে আর কারো সুখ নেই—ধান গোরু প্রভৃতি অতি প্রয়োজনীয় বস্তুর কেনা-বেচাও বন্ধ হয়ে গেলো। প্রত্যেকের মনেই একটা আশঙ্কা দেখা দিল যে এই অপব্যবস্থার মধ্যে আর বেশি দিন থাকা যাবে কিনা।


গোপীনাথ নিয়োগী ছিলেন সম্পন্ন গৃহস্থ, তিনি সেলিমাবাজ শহরে বাস করতেন এবং তার তালুকেই পুরুষানুক্রমে চাষ আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী। একদিন সেই গোপীনাথকেও বন্দী করা হ’ল, তার সম্পত্তি হ’ল বাজেয়াপ্ত, তার মুক্তিপথের কোনো সন্ধান পাওয়া গেল না। ফলে সাধারণ কৃষক প্রজারাও নিজেদের বিষয়-সম্পত্তির ভোগাধিকার বিষয়ে আস্থা হারিয়ে সুস্থ জীবনযাপনের আশায় অনেকেই স্থানাস্তর গমন-বিষয়ে চিন্তা করতে লাগলো। এই আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের মনেও জেগেছিল যে সন্ত্রাসের ফলে প্রজারা পালাতে পারে; তাই কর্তৃপক্ষ তাদের পলায়নের পথ বন্ধ করবার জন্য দরজায় দরজায় পাহারাদার বসালো

'পেয়াদা সবার কাছে    প্রজারা পালায় পাছে

দুয়ার চাপিয়া দেয় থানা।'


হয়তো বা খাজনা শোধের জন্য হয়তো বা শূন্য হাতে শুধু কিছু অর্থ নিয়েই গৃহত্যাগ বিধেয়, এই ভাবনায় প্রজারা যার যা সম্বল ছিল, সব সস্তায় বিক্রি করে দিতে লাগলো। গৃহস্থের দৈনন্দিন জীবনে কুড়ালি অপরিহার্য কারণ, রান্নায় কাঠ যোগাড়ের জন্য এটিই একমাত্র অবলম্বন, সাধারণ প্রজারা এ হেন কুড়ালিও বিক্রি ক'রে দিল। সবাই যখন কেবল বিক্রি করতে চাইছে, তখন স্বভাবতই জিনিসপত্রের দাম খুব নেমে গেলো টাকার জিনিস দশ আনায় বিক্রি হ'ত। সামস্ততন্ত্রের পরিবেশে কৃষক প্রজাদের এই বিপর্যস্ত অবস্থাই একজন সাধারণ কৃষক প্রজা কবি মুকুন্দ হিতৈষীদের পরামর্শে এক গভীর রজনীতে আত্মজনদের নিয়ে সাত পুরুষের ভিটে ত্যাগ ক'ৱে অকূল সমুদ্রে পাড়ি জমালেন।


কৃষক-প্রজাদের এরকম অত্যাচারিত জীবনের একটি ছবি পাওয়া যায়, কালকেতুর অত্যাচারে জর্জরিত বনের পশুদের মধ্যে এবং এরই বিপরীত অর্থাৎ প্রজাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের একটা সুন্দর দৃষ্টান্তও পাওয়া যায় কালকেতুর প্রজাপত্তনে।


(খ) আত্মবিবরণ – কবিকঙ্কণের গৃহত্যাগ :

কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তী তাঁর জীবনের একটি খণ্ডাংশের জীবনের সবচেয়ে জটিল পরিস্থিতির কিছুটা পরিচয় রেখে গেছেন তার চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের পাতায়। তিনি কোনো সন তারিখ উল্লেখ করেন নি, কিন্তু যে ঐতিহাসিক সূত্র রেখে গেছেন, তা থেকে অনুমান করা যায় —সেটি ছিল ষোড়শ শতকের অস্তিম লগ্ন অথবা সপ্তদশ শতকের ঊষালগ্ন সুবেদার মানসিংহ তখন 'গৌড়-বঙ্গ-উৎকল অধিপতি। ঐ সময়ে সেলিমাবাজ শহরে বাস করতেন সজ্জন কুলতিলক ভূস্বামী গোপীনাথ নিয়োগী। তার তালুকে দামুন্যায় ছয় সাত পুরুষ যাবৎ বাস করছেন কবি মুকুন্দ শর্মা! চাষ-আবাদ ছিল তাঁদের পেশা। কবি তাঁর পরিচয় সুত্রে জানিয়েছেন, তার পিতামহ জগন্নাথ মিশ্র, পিতা হহৃদয় মিশ্র, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা কবিচন্দ্র এবং শিবরাম ছিল পুত্র। তিনি আরও কিছু আত্মজনের নাম উল্লেখ করেছেন সম্ভবত কবির ভাই বা তৎসম্পর্কিত ছিলেন রামনাথ, পুত্রবধূ চিত্রলেখা, কন্যা যশোদা এবং জামাতা মহেশ। কবি তার পৌত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন অবশ্য এরা সব কবিকঙ্কণের পুত্র-কন্যাও হতে পারে।


মানসিংহের সুবেদারি কালে ঐ অঞ্চলে ডিহিদার ছিলেন মামুদ সরীফ এবং উজীর ছিলেন জনৈক রায়জাদা। এদের অত্যাচার-অবিচারে গ্রামবাসীরা অতিষ্ঠ হ'য়ে অনেকে গ্রাম ছেড়ে পালালেন। বিপাকে পড়ে কবির মালিক গোপীনাথ বন্দী হলেন, তার পরিত্রাণের কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া গেল না। সম্ভবত তখনই কবির মনে ভয় ঢুকেছিল যে পিতৃপুরুষের ভিটেয় আর নির্বিঘ্নে দিন অতিবাহিত করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে সজ্জন প্রতিবেশীদের সঙ্গে অনেক শলা পরামর্শও করেছেন। পার্শ্ববর্তী গ্রাম চণ্ডীবাটীর শ্রীমস্ত খাঁ ও মুনিম খাঁর (গভীর খাঁর সঙ্গে পরামর্শ ক'রে কবি মুকুন্দকে গ্রামত্যাগের উপদেশ দিলে এক রজনীতে আত্মজন-সহ কবি সাত পুরুষের ভিটের মায়া কাটিয়ে নিরুদ্দেশের পথে পাড়ি দিলেন। তার সহযাত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন রামনাথ, যাকে তিনি ভাই বলে উল্লেখ করেছেন; এ ছাড়াও সম্ভবত ছিলেন দামোদর নন্দী—যিনি ছিলেন গায়েন; কবি যে কাব্য রচনা করেছিলেন অথবা আগেও লিখেছেন, সেগুলি হয়তো তিনিই গাইতেন। কবি এক শিশুর কথা বলেছেন, এটি তার কনিষ্ঠ পুত্র অথবা পৌত্র হওয়া সম্ভব।


অনুমান, অদ্ভুত দশদিন পথ চলে অবশেষে কবি একটি স্থায়ী আশ্রয় লাভ করেছিলেন। তিনি যে পথের বিবরণ দিয়েছেন, তাতে বিভিন্ন পুঁথিতে নানারকম পাঠাস্তর রয়েছে। কবি যাত্রাপথে প্রথম উল্লেখযোগ্য স্থান ভালিয়া, এখানে পৌঁছোনোর পর রূপরায় নামক জনৈক ব্যক্তি কবির সমস্ত সম্বল কেড়ে নেয়, আবার ঐ স্থানেই যদুকুণ্ডু নামক জনৈক তিলী তাঁকে রক্ষা করেন। কবিকে যদু কুণ্ডু আশ্রয় এবং খাদ্য দান করেন—এখানে তিন দিন অবস্থানের পর তারা আবার পথে পা বাড়ালেন। পথে পড়লো বুড়াই নদী—সেই নদী অতিক্রম ক'রে তারা তেউট্যা গ্রামে উপস্থিত হলেন। সম্ভবত এখানে তারা একদিন বিশ্রাম গ্রহণ করে আবার পথ চলতে আরম্ভ করেন। দারুকেশ্বর নদী অতিক্রম করে তারা পাতালপুরী গ্রামে উপনীত হলেন। কোনো কোনো গ্রন্থে এটিকে 'মাতুলপুরী' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানকার অধিবাসী গঙ্গাদাস (কবির মাতুলপুত্র কি?) কবিকে আশ্রয়াদি দানে অশেষ উপকার সাধন করেন। এরপর পথে পড়ে পর পর তিনটি নদী-নারায়ণ, পরাশর এবং আমোদর। এ সব পার হ'য়ে কবি গো চর-ডিহানগরে (গোচড়্যা এসে পৌঁছুলেন। স্থানটি কবির জীবনে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে একটি বিশেষ কারণে। খাদ্যাশ্রয়ের অসুবিধা ভোগ করা সত্ত্বেও এখানেই তিনি স্বপ্নে দেবী চণ্ডীর দর্শন লাভ করেছিলেন এবং এই দেবীই প্রথম কবিকে কাব্য রচনার জন্য আদেশ করেন। এখানে পৌঁছে কবি যে আর্থিক, শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে একটি অস্থিরতার মধ্যে পড়েছিলেন তার একটি অতিশয় বাস্তব বর্ণনা দিয়েছেন।


'তৈল বিনা কৈলু স্নান    করিল উদক পান

শিশু কান্দে ওদনের তরে।'

স্নানের জন্য একটু তেলের সঞ্চয় নেই, ক্ষুণ্ণিবৃত্তির জন্য জল ছাড়া অপর কোনো খাদ্য নেই, – এমন কি শিশুর জন্যও কোনো আহার্যের ব্যবস্থা করা গেল না।


"আশ্রয় পুখুরি আড়া    নৈবেদ্য শালুক পোড়া

পূজা কৈলু কুমুদ প্ৰসুনে।

ক্ষুধা পথ-পরিশ্রমে    নিদ্রা যাই সেই ধামে

চণ্ডী দেখা দিলেন স্বপনে।।"

ওখানে এক পুকুরপাড় আশ্রয় ক'রে কবি স্নান সেরে নিত্যপুজার ব্যবস্থা করেন—পূজার উপকরণ : শাপলা ফুল আর শালুকের নৈবেদ্য। কেউ কেউ মনে করেন—এটি নিত্যপূজা নয়, অম্বিকা পুজা। যাহোক, অনাহারে পথশ্রমে ক্লাস্ত হয়ে তিনি পুকুরধারে সম্ভবত কোনো গাছ তলায় নিদ্রিত হ'য়ে পড়েন এবং নিদ্রাকালে স্বপ্নে দেবী চণ্ডীর দেখা পান। দেবী স্বয়ং কবিকে স্বপ্নের মধ্যে কবিত্বে দীক্ষা দান করেন

‘হাতে লৈয়া পত্ৰমসী    আপনি কলমে বসি

নানা ছন্দে লিখেন কবিত্ব।

যেই মন্ত্ৰ দিল দীক্ষা    সেই মন্ত্র করি শিক্ষা

মহামন্ত্র জপি নিত্য নিত্য।।'


তারপর দেবীই তাঁকে 'আজ্ঞা দিলেন রচিতে সঙ্গীত'। কবি বলেছেন, এর পর তিনি দেবীর আদেশেই শিলাই নদী পার হয়ে ব্রাহ্মণভূমি আরড়ায় উপনীত হলেন। আরড়ায় ছিলেন ব্রাহ্মণ রাজা বাঁকুড়া রায় রাজার সামনে কবি কবিতা পাঠ করে শোনালে রাজা সন্তুষ্ট হ'য়ে পাঁচ আড়া ধান দিলেন। পরে রাজা কবির সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং শিশু পাছে কৈল নিয়োজিত'। রাজপুত্র রঘুনাথও কবি মুকুন্দকে ‘শুরু করি করিল পুঁজিত'।


রঘুনাথ স্বয়ং রাজা হ'য়েই সম্ভবত গুরুর কবি-প্রতিভার সন্ধান পেয়ে তাকে মঙ্গলকাব্য রচনায় উদ্বুদ্ধ করেন। মনে হয়, কবি প্রতিদিন যা রচনা করতেন, কবির সঙ্গী দামোদর (ডামাল) নন্দী তা' রাজসভায় গেয়ে শোনাতেন। এইভাবেই কবির ‘নৌতুন মঙ্গল' এই অমর কাব্য চণ্ডীমঙ্গল রচিত হল। ইতিহাস অনুসরণে জানা যায় কবি-পুত্র শিবরাম পরবর্তী কালে আবার পৈতৃক ভিটা দামুন্যায় ফিরে এসেছিলেন।