সামাজিক প্রতিষ্ঠান কাকে বলে? সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রকারভেদগুলি লেখাে। সামাজিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষামূলক কাজগুলি আলােচনা করাে।

সামাজিক প্রতিষ্ঠান


যে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন ব্যক্তিকে সমাজের কার্যকরী ও বাঞ্ছিত সদস্য হিসেবে গড়ে তােলার চেষ্টা করে তাকে সামাজিক প্রতিষ্ঠান বলে।


সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রকারভেদ

বর্তমানে আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান দেখা যায়। এই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- খেলাধুলাে-সংক্রান্ত সংস্থা, সাহিত্যবিষয়ক সংস্থা, বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা, ব্যায়াম ও শরীরচর্চার সংস্থা, অভিনয়, নৃত্য ও সংগীত সংস্থা, যুব সমিতি প্রভৃতি।


সামাজিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষামূলক কাজ

সামাজিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষামূলক কাজগুলি আলােচনা করা হল一


(১) সামাজিক উন্নয়ন: সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে আলােচনা করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক ও উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে এগুলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজচেতনার উন্মেষ ঘটায় ও তাদের চারিত্রিক বিকাশে সহায়তা করে।


(২) দৈহিক বিকাশ: বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম জনগণকে কর্মঠ এবং সক্রিয় হতে সাহায্য করে। বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা ও ব্যায়ামের ব্যবস্থা থাকে।


(৩) মানসিক বিকাশ: বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তর্কসভা, বক্তৃতা, গানবাজনা, সাহিত্যচর্চা, নাটক, নৃত্য প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হয়। ফলে অংশগ্রহণকারী মানুষজনের মধ্যে যেমন বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটে তেমনি তাদের মনােরঞ্জনও হয়।


(৪) প্রাক্ষোভিক বিকাশ: বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি শিক্ষার্থীর প্রাক্ষোভিক বিকাশে সাহায্য করে।


(৫) নৈতিক বিকাশ: বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে মানুষ সর্বদাই কয়েকটি আদর্শ বা নীতিকে ভিত্তি করে একত্রিত হয়। যার ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নৈতিক বিকাশ ঘটে।


(৬) জ্ঞানমূলক বিকাশ: বিভিন্ন ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে জ্ঞানের চর্চা করে থাকে।


(৭) সৃজনশীলতার বিকাশ: বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান প্রদর্শনী, বিজ্ঞানমেলা, দেয়ালপত্রিকা ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়ােজনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।


(৮) আত্মপ্রত্যয় বৃদ্ধি: বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তি যদি এককভাবে কোনাে দায়িত্ব পালনের সুযােগ পায়, তাহলে নিষ্ঠাসহকারে ওই দায়িত্ব পালন করার মধ্য দিয়ে তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় যা তাকে ভবিষ্যতে যে-কোনাে কঠিন পরিস্থিতির মােকাবিলা করতে সাহায্য করে।


(৯) নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষা: প্রতিটি সদস্যকে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। এর থেকেই সদস্যরা নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবােধের শিক্ষা পায়।


(১০) সুনাগরিকতার শিক্ষা: বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সারাবছর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠানের আয়ােজন করে। ফলে পরবর্তীকালে তারা সুনাগরিক হিসেবে দেশের বা রাষ্ট্রের উন্নতিতে সক্রিয় অংশ নেয়।


সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি শুধুমাত্র স্থূল বিনােদনমূলক প্রতিষ্ঠান নয়। এগুলি বিভিন্নভাবে শিক্ষাপ্রসারে সাহায্য করে। এই কারণে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে শিক্ষাসংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঠিকমতাে পরিচালনা করতে পারলে এইসব সামাজিক প্রতিষ্ঠান মানবসমাজের বিবিধ কল্যাণসাধন করতে পারে।


পরিবেশ কাকে বলে? প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ ব্যাখ্যা করাে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে এর ভূমিকা আলােচনা করাে।


শিক্ষার বিভিন্ন রূপগুলি কী কী? অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা কাকে বলে? অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।


পরিবারের সাধারণ কার্যাবলি আলােচনা করাে।


অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে পরিবারের ভূমিকা আলােচনা করাে।

অথবা, পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলি আলােচনা করাে।


শিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবারের সীমাবদ্ধতা বিস্তারিতভাবে লেখাে।


গণমাধ্যম কাকে বলে? শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমগুলি কী কী? গণশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে সংবাদপত্রের ভূমিকা আলােচনা করাে।


গণশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বেতারের ভূমিকা আলােচনা করাে।