প্রাথমিক ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি ও দ্বিতীয় ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলির মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করাে।
প্রাথমিক ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি ও দ্বিতীয় ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলির মধ্যে পার্থক্য
প্রাথমিক ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি
প্রধানত নিজেদের প্রাথমিক চাহিদা মেটাতে প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহ বা উৎপাদনের জন্য মানুষ যেসব কাজ করে সেগুলিকেই প্রাথমিক ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলে।
প্রধানত উদ্ভিদ ও প্রাণীর গার্হস্থ্যকরণ প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করেই এই ক্রিয়াকলাপের বিকাশ ঘটেছে।
প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এই ধরনের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে মানুষের চিরাচরিত দক্ষতা ও জৈব শক্তির ব্যবহার তথা গুরুত্ব খুব বেশি।
প্রধানত গ্রামকে কেন্দ্র করেই এই ধরনের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ গড়ে ওঠে।
সাধারণত প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকে কাঁচামাল সংগৃহীত হয়।
এই ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে বহু মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা হলেও এতে মুনাফা হয় অল্প। এজন্য এর মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান খুব উন্নত হয় না।
উন্নত দেশগুলির তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এই জাতীয় অর্থনৈতিক কার্যাবলির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
প্রাথমিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের 'Red-collar Workers' বলা হয়।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি
সংস্কৃতির সাহায্য নিয়ে প্রাথমিক ক্ষেত্রে উৎপাদিত পণ্যদ্রব্যের প্রক্রিয়াকরণকে দ্বিতীয় ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলে।
এই ক্রিয়াকলাপের উন্নতির জন্য প্রয়ােজন আধুনিক প্রযুক্তি ও মূলধন।
প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ খুবই কম।
এক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে জড়শক্তি, বিশেষত কয়লা, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি মূলত শহরকেন্দ্রিক।
প্রথম পর্যায়ের কাজ থেকে উৎপাদিত দ্রব্যগুলিকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এটি লাভজনক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ। এজন্য এর যতই বিকাশ ঘটে জীবনযাত্রার মানেরও তত উন্নতি হয়।
উন্নত দেশগুলিতে এই জাতীয় ক্রিয়াকলাপের বিকাশ ঘটে।
যেসব শ্রমজীবী মানুষ এই ধরনের কাজে নিয়ােজিত আছে, তাদের ‘Blue-collar Workers' বলা হয়।