তৃতীয় ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলতে কী বােঝ এবং এই ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি গুলি কী কী? তৃতীয় ক্ষেত্রে কার্যাবলির গুরুত্ব আলােচনা করাে।

তৃতীয় ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি

মানুষ যে সমস্ত কাজের মাধ্যমে সমাজকে সেবা, সাহচর্য ও সাহায্য দান করে, সেসব অর্থনৈতিক কাজকর্মকে তৃতীয় বা সেবা ক্ষেত্রের কার্যাবলি বলে। যেমন ব্যাবসাবাণিজ্যের মাধ্যমে ভােগ্যপণ্যকে মানুষের কাছে সহজলভ্য করা; রেল, সড়ক, দূরভাষ ইত্যাদির মাধ্যমে সংযােগসাধন ও পরিবহণ পরিসেবা; হাসপাতাল, বিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক পরিসেবা; বিমা ও ব্যাংকিং পরিসেবা ইত্যাদি।

তৃতীয় ক্ষেত্রের কাজের পরিধি ও জটিলতা অনেক বেশি। এই ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলিগুলি হল- [1] ব্যাংকিং ও অর্থসংস্থান, [2] পরিবহণ ও যােগাযােগ, [3] খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ, [4] বিমা ও বাণিজ্য, [5] গুদামজাতকরণ, [6] বিজ্ঞাপন ও প্রচার, [7] ক্রয় ও বিক্রয়, [৪] শক্তি সরবরাহ, [9] প্রশাসনিক পরিসেবা, [10] স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রভৃতি।


তৃতীয় ক্ষেত্র বা সেবা ক্ষেত্রের কার্যাবলির গুরুত্ব


সেবাক্ষেত্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলির গুরুত্ব সর্বাধিক, যেমন-


  • কলকারখানার শ্রমিকদের সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে এবং উৎপাদিত দ্রব্যের বিশেষীকরণ ও গুণমান বৃদ্ধি করতে, এদের বাজারিকরণ, বিক্রয়, বণ্টন, রপ্তানি ইত্যাদি নানাবিধ কাজ করতে সেবা বা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে প্রচুর শ্রমিক দরকার হয়। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাতেও এধরনের বহু কর্মী কাজ করে। সুতরাং কোনাে দেশের কৃষি ও শিল্পের অগ্রগতি সেই দেশের কর্মসংস্থানের সুযােগ বৃদ্ধি করে।


  • প্রাথমিক ও দ্বিতীয় ক্ষেত্রের উৎপাদিত দ্রব্যের গুণমান বৃদ্ধি করা, দ্রব্যের বিনিময় ও বণ্টন প্রভৃতি তৃতীয় ক্ষেত্রের পরিসেবা দ্বারাই সম্ভব হয়।


  • সুষ্ঠু পরিচালন ব্যবস্থা ও মজবুত সংগঠন না থাকলে দ্বিতীয় ক্ষেত্রের শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হয়। উৎপাদন হ্রাস পেলে অনেক অর্থনৈতিক জটিলতাও সৃষ্টি হয় এবং আর্থিক উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। সুতরাং, আর্থিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এই ক্ষেত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।


  • উন্নত পরিবহণ ও যােগাযােগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রব্যের বণ্টন ও বিনিময় সুষ্ঠুভাবে করা হয়। বণ্টন ও বিনিময় পরিসেবা কার্যকারি না হলে দেশের সম্পদ অযথা নষ্ট হত।


  • ব্যাংকিং পরিসেবা বা বিমা ব্যবস্থা না থাকলে, কৃষি বা শিল্প ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতির সংযােজন, নতুন শিল্প গড়ে তােলা অথবা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিক বা মালিকরা ক্ষতি পূরণ করতে পারত না।


  • তৃতীয় বা সেবাক্ষেত্রের কাজের পরিধি বাড়লে মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়। আয় বাড়লে ভােগ্যপণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বৃদ্ধি পায়। ফলে উৎপাদন ক্ষেত্রে বিনিয়ােগ বেশি হয়। এইভাবে চক্রাকারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটতে থাকে।


আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কারণ বা ভিত্তিসমূহ সংক্ষেপে আলােচনা করাে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।


অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বলতে কী বােঝ? আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব আলােচনা করাে।


বাণিজ্য বলতে কী বােঝ? বাণিজ্যের শ্রেণিবিভাগগুলির উল্লেখ করাে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের তুলনা করাে।


Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)