শিখন ও পরিণমনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উল্লেখ করাে।
শিখন ও পরিণমনের সাদৃশ্য
আচরণ পরিবর্তনের প্রধান দুটি কারণ হল শিখন ও পরিমন। প্রক্রিয়া হিসেবে শিখন ও পরিণমন পৃথক হলেও এ দুয়ের মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। এগুলি হল—
দুটি প্রক্রিয়াই আচরণের পরিবর্তন ঘটায়।
পরিবেশের সঙ্গে অভিযােজনে দুটিরই প্রয়োজন।
দুটি ক্ষেত্রেই সংঘটিত পরিবর্তনের প্রকৃতি গুণগত ও পরিমাণগত।
দুটিই ব্যক্তিনির্ভর প্রক্রিয়া।
শিখন ও পরিণমন দুটিই ব্যক্তির জীবনবিকাশে সহায়তা করে।
শিখন ও পরিণমন কীভাবে সম্পন্ন হয় তা জানা যায় না।
দুটি প্রক্রিয়াই পরিমাপযােগ্য।
শিখন ও পরিণমনের বৈসাদৃশ্য
শিখন
- শিখন একটি মানসিক প্রক্রিয়া।
- শিখনের জন্য অনুশীলনের প্রয়ােজন।
- শিখনপ্রক্রিয়ায় ব্যক্তি সক্রিয় থাকে।
- শিখনের জন্য শিক্ষার্থীর মানসিক প্রস্তুতির প্রয়ােজন।
- অনুশীলনের প্রভাবে শিখনের পরিমাণে পার্থক্য ঘটে।
- শিখন শিক্ষার্থীর ও সমাজের চাহিদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
- শিখন একটি কৃত্রিম প্রক্রিয়া।
- লিঙ্গভেদে শিখনে কোনাে পার্থক্য দেখা যায় না।
- শিখন স্থায়ী নয়। অনুশীলনের অভাবে ভুলে যাওয়া শিখনের ধর্ম।
- শিখন সারাজীবন ধরে ঘটে।
- শিখন যেহেতু অনুশীলনসাপেক্ষ তাই সর্বজনীন নয়।
- শিখন ব্যক্তির ইচ্ছাধীন।
পরিণমন
- পরিণমন একটি জৈবিক প্রক্রিয়া।
- পরিণমন একটি স্বতঃস্ফুর্ত প্রক্রিয়া| এর জন্য কোনাে অনুশীলনের প্রয়ােজন হয় না।
- পরিণমনের সময় ব্যক্তি সচেতন থাকে না।
- পরিণমন ব্যক্তির কোনােরকম মানসিক প্রস্তুতি ছাড়াই ঘটে।
- বিকাশের বিভিন্ন স্তরে পরিণমনের হারের হ্রাসবৃদ্ধি দেখা যায়। যেমন, শৈশব ও বয়ঃসন্ধিকালে পরিণমন খুব দ্রুত ঘটে।
- পরিণমন ব্যক্তি বা সমাজের চাহিদানির্ভর নয়।
- পরিণমন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
- একই বয়সে বালক ও বালিকাদের মধ্যে পরিপমনে পার্থক্য দেখা যায়।
- পরিগমন স্থায়ী।
- পরিমন ব্যক্তিজীবনে একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ঘটে।
- পরিণমন স্বতঃস্ফূর্ত তাই সর্বজনীন।
- পরিণমন ব্যক্তির ইচ্ছাধীন নয়।
পরিণমন কাকে বলে? পরিণমনের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।
পরিণমন বলতে কী বােঝ? কয়েকজন মনােবিদের দেওয়া পরিণমনের সংজ্ঞা লেখাে।
শিখনের সংজ্ঞা দাও। শিখনের বৈশিষ্ট্য লেখাে।
শিক্ষার সঙ্গে শিখনের সম্পর্ক কী? শিখনের স্বরূপ বা প্রকৃতি বিস্তারিতভাবে আলােচনা করাে।
শিখন প্রক্রিয়ার স্তর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
শিখন ও পরিণমনের মধ্যে সম্পর্ক কী তা সংক্ষেপে আলােচনা করাে। শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিণমনের গুরুত্ব কী?