জনবসতি (Geography 12 - Short Q&A)

জনবসতি কাকে বলে?

পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মানুষ যখন কোনাে অঞ্চলে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদনের জন্য সম্মিলিতভাবে আশ্রয়স্থল ও যাতায়াতের পথ গড়ে তােলে, তাকে জনবসতি বলে।


সবুজ গ্রাম কী?

বনভূমির মধ্যে সীমিত উন্মুক্ত স্থানে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্রাকার বসতিকে সবুজ গ্রাম বলে।


ভারতের ইতিহাসে সর্বপ্রথম কোথায় শহরের উৎপত্তি হয়েছে?

ভারতের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সিন্ধু সভ্যতায় শহরের উৎপত্তি হয়েছে।


ভারতের জনগণনার ইতিহাসে সর্বপ্রথম মহানগর কোনটি?

ভারতের জনগণনার ইতিহাসে সর্বপ্রথম মহানগর কলকাতা।


ভারতীয় জনগণনা আয়ােগের মতে গ্রামীণ বসতিতে জনবসতির ঘনত্ব কত হবে?

প্রতি বর্গকিমিতে 400 জনের কম।


গ্রামীণ বসতির শাসনতন্ত্র কার দ্বারা পরিচালিত হয়?

গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়।


গ্রামীণ বসতির অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ কী প্রকৃতির ?

মােট পুরুষকর্মীর 75 শতাংশ বা তার বেশি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট কাজে নিযুক্ত থাকে।


গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি কাকে বলে?

মানুষ নিজের প্রয়ােজনে যখন একসাথে একটি নির্দিষ্ট স্থানে সংঘবদ্ধভাবে বসতি গড়ে তােলে, তখন সেই বসতিকে গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি বলে।


গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি কত প্রকারের হতে পারে ও কী কী?

গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি তিন প্রকারের হতে পারে- (i) এককেন্দ্রিক, (ii) দ্বিকেন্দ্রিক, (iii) বহুকেন্দ্রিক।


বিক্ষিপ্ত জনবসতি কাকে বলে?

প্রতিকূল প্রাকৃতিক এবং আর্থসামাজিক কারণে মানুষ যখন দূরে দূরে বিচ্ছিন্নভাবে সংযােগহীন ও সম্পর্কহীন অবস্থায় বসতি নির্মাণ করে, তখন তাকে বিক্ষিপ্ত জনবসতি বলে।


গােষ্ঠীবদ্ধ ও বিক্ষিপ্ত জনবসতির মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য লেখাে।

গােষ্ঠীবদ্ধ ও বিক্ষিপ্ত জনবসতির মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য হল—গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতিগুলির মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব খুব কম হয় কিন্তু বিক্ষিপ্ত জনবসতিগুলির মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব খুব বেশি হয়।


জাতীয় সড়ক NH-3 ও NH-6-এর দুই ধারে কী ধরনের বসতি লক্ষ করা যায়?

জাতীয় সড়ক NH-3 ও NH-6-এর দুই ধারে বিক্ষিপ্ত জনবসতি লক্ষ করা যায়।


রৈখিক জনবসতি কাকে বলে?

কোনাে বসতির বাড়িগুলি যমন রাস্তা, নদী, রেলপথ, খাল, স্বাভাবিক বাঁধ ইত্যাদি বরাবর অনুদৈর্ঘ্যভাবে বিস্তৃত হয়ে, রৈখিক নকশা গঠন করে তখন তাকে রৈখিক জনবসতি বলে।


বিক্ষিপ্ত জনবসতিতে বসবাসকারী জনগণের প্রধান জীবিকা কী হয়?

বিক্ষিপ্ত জনবসতিতে বসবাসকারী জনগণের প্রধান জীবিকা হয় সাধারণত পশুচারণ ও কাঠ সংগ্রহ।


গ্রামীণ জনসংখ্যার উৎক্ষেপ কাকে বলে?

কর্মসংস্থানের আশায় এবং উন্নত জীবনযাত্রার উদ্দেশ্যে গ্রামের জনগণ শহরমুখী হলে তাকে গ্রামীণ জনসংখ্যার উৎক্ষেপ বলে।


হ্যামলেট বা ক্ষুদ্র গ্রাম কী?

হ্যামলেট হল প্রকৃতপক্ষে গ্রামের প্রধান অংশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি পাড়া বা উপগ্রাম।


গ্রামীণ বসতির ধাঁচ বা আকার কাকে বলে?

গ্রামের বসতবাড়িগুলির মিলিত বাহ্যিক রূপ বা জ্যামিতিক নক্সাকে বসতির ধাঁচ বা আকার বলে।


সমগ্র পৃথিবীতে কোন প্রকার জনবসতি সর্বাপেক্ষা বেশি লক্ষ করা যায়?

সমগ্র পৃথিবীতে গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি সর্বাপেক্ষা বেশি লক্ষ করা যায়।


গ্রামীণ বসতির শাসনতন্ত্র কে পরিচালন করে?

গ্রামীণ বসতির শাসনতন্ত্র গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালন করে।


তারকাকৃতি বসতি সাধারণত কীভাবে গড়ে ওঠে?

বৃত্তাকার বসতি যখন সড়কপথ বরাবর কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে বিস্তৃত হয়, তখন ওই বসতির আকার তারা বা নক্ষত্রের মতাে হতে তারকাকৃতি বসতি গড়ে ওঠে।


বন্ধুর ভূপ্রকৃতিতে বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে কেন?

বন্ধুর ভূপ্রকৃতি অঞ্চলে কৃষিকাজ, শিল্প, পরিবহণ ইত্যাদি গড়ে তােলা অসুবিধাজনক বলে বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে।


L-আকৃতির বসতি কীভাবে গড়ে ওঠে?

দুটি রাস্তা পরস্পর পরস্পরকে সমকোণে ছেদ করে বা সমকোণে বেঁকে গিয়ে L-আকৃতির বসতি গড়ে ওঠে।


Y-আকৃতির বসতি কীভাবে গড়ে ওঠে?

তিনদিক থেকে তিনটি রাস্তা একটি বিন্দুতে এসে মিলিত হয়ে Y-আকৃতির বসতি গড়ে ওঠে।


দীঘা ও ওডিশার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কোন্ প্রকৃতির জনবসতি দেখা যায়?

দীঘা ও ওডিশার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রৈখিক বা দণ্ডকৃতি জনবসতি দেখা যায়।


বনভূমিভিত্তিক গ্রাম কাকে বলে?

যে গ্রামের মানুষের জীবিকা বনভূমির ওপর নির্ভরশীল সেই গ্রামকে বনভূমিভিত্তিক গ্রাম বলে।


পশুপালন গ্রাম কাকে বলে?

পশুপালনের ওপর নির্ভর করে যে গ্রাম গড়ে ওঠে তাকে পশুপালনভিত্তিক গ্রাম বলে।


পরিবহণ গ্রাম কাকে বলে?

যেসব গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরা পরিবহণ-সংক্রান্ত কাজের সাথে যুক্ত, তাকে পরিবহণ গ্রাম বলে।


কৃষিভিত্তিক গ্রাম কী?

যে গ্রামের অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর সেই গ্রামকে কৃষিভিত্তিক গ্রাম বলে।


মৎস্য শিকারভিত্তিক গ্রাম কী?

সে গ্রামের অধিবাসীরা মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে সেই গ্রামকে মৎস্য শিকারভিত্তিক গ্রাম বলে।


শিল্পভিত্তিক গ্রাম কী?

যেসব গ্রামের অধিবাসীরা নানারকম কুটির শিল্পে নিযুক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে সেইসব গ্রামকে শিল্পভিত্তিক গ্রাম বলে।


সামাজিক নৈকট্য কোন ধরনের জনবসতি গড়ে তােলে?

সামাজিক নৈকট্য গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি গড়ে তােলে।


ভারতের জনগণনা আয়ােগের সূচক দ্বারা নির্ধারিত শহরগুলিকে কী বলা হয় ?

ভারতের জনগণনা আয়ােগের সূচক দ্বারা নির্ধারিত শহরগুলিকে সেন্সাস শহর বলা হয়।


সেন্সাস শহরের জনঘনত্ব কত হবে?

সেন্সাস শহরের জনঘনত্ব হয় প্রতি বর্গকিমিতে 400 জনের বেশি।


সেন্সাস শহরের অর্থনৈতিক কাজ কী প্রকৃতির হয়?

সেন্সাস শহরের অর্থনৈতিক কাজের প্রকৃতি হল মােট পুরুষকর্মীর ন্যূনতম 75 শতাংশ কৃষিকাজ ব্যতীত অন্য অর্থনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত থাকবে।


মামফোর্ডের মতে ইয়ােপলি কী?

মামফোর্ডের মতে শহর বা নগর গঠনের আদিপর্ব হল ইয়ােপলিস।


মামফোর্ডের বয়সভিত্তিক পৌর বসতি শ্রেণিবিভাগের ক্ষেত্রে পৌর বসতির সর্বশেষ পর্যায়টির নাম কী?

মামফোর্ডের বয়সভিত্তিক পৌর বসতির শ্রেণিবিভাগের ক্ষেত্রে পৌর বসতির সর্বশেষ পর্যায়টির নাম হল নেক্রোপলিস।


নগর কীভাবে গড়ে ওঠে?

একাধিক শহর যুক্ত হয়ে অথবা শহরের আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে নগর গড়ে ওঠে।


মহানগর কাকে বলে?

10 লক্ষের বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট নগরকে মহানগর বলে


নগরায়ণ কাকে বলে?

কোনাে একটি স্থানে নগর সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে বা জনসংখ্যাগত দিক থেকে শহরের আয়তন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে নগরায়ণ বলে।


উপ-মহানগর বলতে কী বােঝায়?

5 লক্ষ থেকে 10 লক্ষ জনসংখ্যাবিশিষ্ট নগরকে উপমহানগর বলে।


কোন্ ধরনের বসতিকে স্যাটেলাইট গ্রাম বলা হয়?

কোনাে বড় অঞ্চল বা গ্রামের পরিসীমার বাইরে যে এক বা একাধিক বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠে তাকে স্যাটেলাইট গ্রাম বলে।


মেগাসিটি কাকে বলে?

50 লক্ষের বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট শহরকে মেগাসিটি বলে।


মেগাসিটি (Megacity) বা অতি মহানগর এবং মেট্রোসিটি (Metrocity)-র পার্থক্য লেখাে।

মেগাসিটি ও মেট্রোসিটির প্রধান পার্থক্য হল-মেগাসিটির জনসংখ্যা 50 লক্ষের বেশি হয় কিন্তু মেট্রোসিটির জনসংখ্যা হয় 10 লক্ষের বেশি।


মহানগরপুঞ্জ কাকে বলে?

মহানগর বাড়তে বাড়তে পাশ্ববর্তী শহর ও শিল্পাঞ্চলকে গ্রাস করে কয়েক শত বর্গকিলােমিটার বিস্তৃত হলে, তাকে মহানগরপুঞ্জ বলে।


টাইর্যানােপলিস্ বলতে কী বােঝায়?

যখন কোনাে দেশের প্রায় সমগ্র অংশ নগরায়ণের কবলে পড়ে, তখন তাকে টাইর্যানােপলিস্ বলে।


বসবাসের মূল একক কী?

বসবাসের মূল একক হল বাড়ি।


বসতি কখন সৃষ্টি হয়?

কিছু বাড়ি ও গৃহের একসাথে সমাবেশ ঘটলে বসতি সৃষ্টি হয়।


আবাসিক শহর কাকে বলে?

কেবলমাত্র বসবাসের জন্য যে সমস্ত শহর গড়ে ওঠে, সেগুলিকে আবাসিক শহর বলে।


পৌরপুঞ্জ বা কনারবেশন কী?

একাধিক শহর আয়তনে বাড়তে বাড়তে পরস্পর মিলিত হয়ে যে ছেদহীন বহুদূর বিস্তৃত পৌর অঞ্চল গঠিত হয়, তাকে পৌরপুঞ্জ বা কনারবেশন বলে।


গ্রামীণ বসতি ও পৌর বসতির একটি পার্থক্য লেখাে।

গ্রামীণ বসতি ও পৌর বসতির একটি পার্থক্য হল—গ্রামীণ বসতিতে সাধারণত 5,000 জনের কম লােক বাস করে কিন্তু পৌর বসতির জনসংখ্যা সাধারণত 5,000 জনের বেশি হয়।


পৌর বসতির প্রধান কাজগুলি উল্লেখ করাে।

পৌর বসতির প্রধান কাজগুলি হল- (i) প্রশাসনিক কাজ, (ii) পরিসেবামূলক কাজ, (iii) শিল্পোৎপাদনমূলক কাজ, (iv) বাণিজ্যিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনজনিত কাজ।


দ্বৈত নগর বা যমজ শহর কাকে বলে?

দুটি মূল নগর একত্রে মিলিত হলে, তাকে দ্বৈত নগর বা যমন শহর বলে।


শুষ্কবিন্দু বসতি কী?

বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য গ্রামের অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বসতি গড়ে উঠলে, তাকে শুষ্কবিন্দু বসতি বলে।


আর্দ্র অঞ্চলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত উঁচু অঞ্চলে গড়ে ওঠা বসতিকে কী বলা হয়?

আর্দ্র অঞ্চলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত উঁচু অলে গড়ে ওঠা বসতিকে শুষ্ক বিন্দু বলা হয়।


জলবিন্দু বসতি কী?

শুষ্ক অঞ্চলে জলের উৎসকে ঘিরে বসতি গড়ে উঠলে, তাকে জলবিন্দু বসতি বলে।


প্রতিরক্ষা শহর কী?

প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত কাজকর্মের ওপর নির্ভর করে যে শহর গড়ে ওঠে, তাকে প্রতিরক্ষা শহর বলে।


পর্যটন শহর কাকে বলে?

ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে শহর গড়ে উঠলে, তাকে পর্যটন শহর বলে।


ধর্মীয় শহর কাকে বলে?

ধর্মীয় কার্যকলাপের ওপর নির্ভর করে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যখন শহর গড়ে ওঠে, তখন তাকে ধর্মীয় শহর বলে।


2011 সালের ভারতের আদমশুমারি অনুযায়ী পৌর জনবসতির সংজ্ঞা দাও।

2011 সালের ভারতের আদমশুমারি অনুযায়ী যেসব জনবসতির লােকসংখ্যা কমপক্ষে 5,000 জন, জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 400 জন এবং পুরুষকর্মীর ন্যূনতম 75% কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কাজে নিযুক্ত সেইসব জনবসতিকে পৌর জনবসতি বলে।


পৌর বসতিতে সাধারণত কোন ধরনের অর্থনৈতিক কার্যাবলি লক্ষ করা যায়?

পৌর বসতিতে সাধারণত দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্তরের অর্থনৈতিক কার্যাবলি লক্ষ করা যায়।


ভারতীয় আদমশুমারি (2011) অনুযায়ী 1 লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট শহরকে কোন্ শ্রেণির শহর বলা হয় ?

ভারতীয় আদমশুমারি (2011) অনুযায়ী 1 লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট শহরকে প্রথম শ্রেণির শহর বা নগর বলা হয়।


ভারতে পৌর বসতির ন্যূনতম জনসংখ্যা কত?

ভারতে পৌর বসতির ন্যূনতম জনসংখ্যা হল 5000 জন।


পৌর বসতিগুলির শাসনতন্ত্র কাদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়?

পৌর বসতিগুলির শাসনতন্ত্র পরিচালনার জন্য থাকে- মিউনিসিপ্যালিটি, অথবা একটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বা নােটিফায়েড টাউন এরিয়া কমিটি।


কত জনসংখ্যা থাকলে পৌর বসতিকে মহানগর বা মেট্রোপলিস্ বলা হয় ?

10 লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যা থাকলে পৌর বসতিকে মহানগর বা মেট্রোপলি বলা হয়।


মহানগরের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য লেখাে।

মহানগরের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—মহানগরের জনসংখ্যা সর্বদা 10 লক্ষের বেশি হয়।


মেগাসিটির জনসংখ্যা কত?

মেগাসিটির জনসংখ্যা প্রায় 50 লক্ষের বেশি।


নেক্রোপলিস্ কাকে বলে?

পৌর বসতির শ্রেণিবিভাগের সর্বশেষ পর্যায়ে, যখন নগর সভ্যতার পরিসমাপ্তি ঘটে তখন তাকে নেক্রোপলিস্ বলে।।


নেক্রোপলিস-এর সূচনা কখন হয়?

উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছােনার পর যখন নগরের অবক্ষয় শুরু হয় ও নগর সভ্যতার পরিসমাপ্তি ঘটে তখন সেই পর্যায়ে নেক্রোপলিস-এর সূচনা হয়।


ভারতের নগরায়ণের একটি সমস্যা লেখাে।

ভারতের নগরায়ণের একটি সমস্যা হল নগরায়ণের ফলে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সামাজিক ও আর্থিক ব্যবধান বৃদ্ধি পাচ্ছে।


কীসের ভিত্তিতে ভারতীয় গ্রামগুলির জনগণনা করা হয়?

মৌজার ভিত্তিতে ভারতীয় গ্রামগুলির জনগণনা করা হয়।


মৌজাকে সেন্সাস গ্রাম বলা হয় কেন?

মৌজার ভিত্তিতে গ্রামে জনগণনা করা হয় বলে মৌজাকে সেন্সাস গ্রাম বলা হয়।


কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীর বদ্বীপে গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি গড়ে উঠেছে কেন ?

কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীর দ্বীপ উর্বর পলি মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত হওয়ায়, কাজের সুযােগসুবিধা অনেক বেশি ফলে সেখানে গােষ্ঠীবদ্ধ বসতি গড়ে উঠেছে।


উত্তর-পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চলে কোন্ ধরনের বসতি লক্ষ করা যায়?

উত্তর-পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চলে বনজ দ্রব্য সংগ্রহ ভিত্তিক গ্রামীণ বসতি লক্ষ করা যায়।


উপকূল অঞ্চলে রৈখিক জনবসতি দেখা যায় কেন?

সমুদ্রের মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের উদ্দেশ্যে উপকূল অঞ্চলে রৈখিক জনবসতি দেখা যায়।


নিম্ন গঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে কোন্ প্রকার গ্রামীণ বসতি বেশি দেখা যায়?

নিম্ন গঙ্গেয় সমভূমি অঞ্জলে গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি বেশি দেখা যায়।


সড়ক বসতি কাকে বলে?

প্রধান বসতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যখন দুই চারটি বাড়ি রাস্তার ধারে গড়ে ওঠে, তখন তাকে বলে সড়ক বসতি।


রাস্তার দু-পাশ বরাবর কোন্ ধরনের জনবসতি গড়ে ওঠে?

রাস্তার দু-পাশ বরাবর রৈখিক জনবসতি গড়ে ওঠে।


সবুজ গ্রামের অধিবাসীদের সহায়ক উপজীবিকা কী?

সবুজ গ্রামের অধিবাসীদের সহায়ক উপজীবিকা বনভূমি থেকে বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা।


ভারতের কোথায় হ্যামলেট বা ক্ষুদ্র গ্রামের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়?

অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের আরাকু ভ্যালির কাছে কোট্টাভালসা ও পাপুড়াভালসা অঞ্চলে হ্যামলেটের উপস্থিতি লক্ষনীয়।


ক্র্যাল কাকে বলে?

আফ্রিকার জুলু উপজাতিদের বৃত্তাকার বসতিকে ক্র্যাল বলে।


ভারতের জনগণনা (2011) অনুযায়ী গ্রাম বসতির জনসংখ্যা কত হওয়া উচিত?

ভারতের জনগণনা (2011) অনুযায়ী গ্রাম বসতির জনসংখ্যা 5,000 জনের কম হওয়া উচিত।


ভারতীয় জনগণনার ভিত্তিতে খুব ছােটো গ্রামের জনসংখ্যা কত হওয়া উচিত?

ভারতীয় জনগণনার ভিত্তিতে খুব ছােটো গ্রামের জনসংখ্যা 500 জনের কম থাকা উচিত।


প্রশাসনিক শহর কাকে বলে?

প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত নানাবিধ কাজকর্মকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পৌর বসতিকে প্রশাসনিক শহর বলে।


ভারতের কোথায় রৈখিক জনবসতির বিন্যাস গড়ে উঠেছে?

ভারতের কুলু উপত্যকায় পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বিয়াস নদীর ধারে রৈখিক জনবসতি গড়ে উঠেছে।


নদীর নিম্ন অববাহিকায় কেন রৈখিক জনবসতি গড়ে ওঠে?

নদীর নিম্ন অববাহিকায় নদীর স্বাভাবিক বাঁধগুলি প্লাবনভূমি অপেক্ষা উঁচুতে অবস্থান করায় বন্যার আশঙ্কা কম থাকে এবং জলের সহজ প্রাপ্যতার কারণে এখানে রৈখিক জনবসতি গড়ে ওঠে।


অরণ্যময় মালভূমি অঞ্চলে কোন্ ধরনের জনবসতি দেখা যায়?

অরণ্যময় মালভূমি অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত জনবসতি দেখা যায়।


দণ্ডাকৃতি বসতি থেকে কীভাবে চতুঙ্কোণ বসতি সৃষ্টি হয়?

দণ্ডকৃতি বসতি বিস্তারের সাথে সাথে চারপাশের রাস্তা তৈরি হয় এবং সেই রাস্তা বরাবর বসতি বৃদ্ধি পেলে একসময় চতুষ্কোণ বসতি সৃষ্টি হয়।


বিক্ষিপ্ত বসতির শ্রেণিবিভাগটি উল্লেখ কর।

বিক্ষিপ্ত বসতিকে দুভাগে ভাগ করা হয়—(i) বিক্ষিপ্ত দণ্ডাকৃতি বসতি, (ii) বিচ্ছিন্ন বা ছড়ানাে ছিটানাে বসতি।


এককেন্দ্রিক বসতি কাকে বলে?

পার্বত্য বা মালভূমি অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থানীয় সম্পদকে কেন্দ্র করে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে এককেন্দ্রিক বসতি বলে।


বৃত্তাকার বিন্যাস বসতি কখন গড়ে ওঠে?

কোনাে কেন্দ্রীয় অবস্থানে বিভিন্ন দিক থেকে কাঁচাপাকা পথ এসে মিলিত হয়ে সংযােগস্থলের চারিদিকে বসতি গড়ে উঠলে সেটি বৃত্তাকার বিন্যাস আকারে গড়ে ওঠে।


পৌরক্ষেত্র কাকে বলে?

পৌর বসতির উন্নয়ন ও কাজকর্মের প্রভাব তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে সেই পৌর বসতির পাশ্ববর্তী প্রভাবিত অঞ্চলটিকে বলা হয় পৌরক্ষেত্র।


কখন বসতির বৃত্তাকার বিন্যাস নক্ষত্রাকার বিন্যাসে রূপান্তরিত হয়?

বৃত্তাকার বসতি যখন চলার পথ বরাবর বিভিন্ন দিকে বিস্তৃত হয় তখন তার আকার নক্ষত্রের মতাে হয়।


পরিকল্পিত গ্রাম কাকে বলে?

প্রাকৃতিক ও আর্থসামাজিক নিয়ন্ত্রক ব্যতীত মানুষ যখন পরিকল্পনা অনুসারে সুসজ্জিত ভাবে গ্রাম গড়ে তােলে তখন সেই গ্রামকে পরিকল্পিত গ্রাম বলে।


বিক্ষিপ্ত জনবসতিতে বসবাসকারী লােকেদের প্রধান জীবিকা কী?

বিক্ষিপ্ত জনবসতিতে বসবাসকারী লােকেদের প্রধান জীবিকা হল পশুচারণ ও কাঠ সংগ্রহ।


খনিজভিত্তিক গ্রাম কাকে বলে?

খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলিতে খনিতে কাজ পাওয়ার সুবিধা থাকায় খনিগুলির কাছাকাছি ছােটো ছােটো গ্রাম গড়ে ওঠে, খনিজ সম্পদকে নির্ভর করে গড়ে ওঠায়, একে খনিজভিত্তিক গ্রাম বলে।


ক্যারাভান-সরাই কাকে বলে?

মরুভূমির মধ্য দিয়ে প্রসারিত বাণিজ্য পথের ধারে যখন বণিকদের রাত্রিবাসের জন্য বসতি গঠন করা হয় তখন সেই গ্রাম্য বসতিকে ক্যারাভান-সরাই বলা হয়।


আকৃতিবিহীন বসতি কাকে বলে?

যে গ্রামীণ বসতির নির্দিষ্ট কোনাে আকার থাকে না অর্থাৎ এলােমেলাে বা বিক্ষিপ্ত ভাবে গড়ে ওঠে, তাকে আকৃতিবিহীন বসতি বলে।


পশ্চিমবঙ্গের একটি দ্বৈত নগরের উদাহরণ দাও।

পশ্চিমবঙ্গের একটি দ্বৈত নগরের উদাহরণ হল—কলকাতা-হওড়া।


কলকাতা পৌরপুঞ্জের বিস্তৃতি কতটা?

কলকাতা পৌরপুঞ্জ হুগলি নদীর দুই তীরে অবস্থিত ছােটো-ছােটো শহরগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে উত্তরে কল্যাণী, বাঁশবেড়িয়া থেকে দক্ষিণে বজবজ ও উলুবেড়িয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।


ভারতে মহানগর সৃষ্টির চতুর্থ পর্যায়ে কোন তিনটি মেট্রোপলিটন শহরের উৎপত্তি হয় ?

ভারতে মহানগর সৃষ্টির চতুর্থ পর্যায়ে যে তিনটি মেট্রোপলিটন শহরের উৎপত্তি হয় সেগুলি হল—মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই।


কলকাতা শহরের জোকা ও পাটুলি শহরতলির কোন অংশে অবস্থান করে?

কলকাতা শহরের জোকা ও পাটুলি শহরতলির দূরবর্তী অংশে অবস্থান করে।


মিলিয়ন প্লাস সিটিজ (Million Plus Cities) কাকে বলে?

2011 সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, যেসব মহানগরের জনসংখ্যা 10 লক্ষ বা তার বেশি সেইসব মহানগরগুলিকে মিলিয়ন প্লাস সিটিজ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।


2001 থেকে 2011 সাল পর্যন্ত সময়ে ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যে অধিক গ্রামীণ বসতির বিস্তার লক্ষ করা যায়?

2001 থেকে 2011 সাল পর্যন্ত সময়ে ভারতের মেঘালয়, বিহার প্রভৃতি রাজ্যে গ্রামীণ বসতির বিস্তার লক্ষ করা যায়।


2001 থেকে 2011 সাল পর্যন্ত ভারতের কোথায় কোথায় গ্রামীণ বসতির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ?

2001 থেকে 2011 সাল পর্যন্ত ভারতের কেরল, গােয়া, নাগাল্যান্ড এবং সিকিমে গ্রামীণ বসতির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।


গ্লোবাল সিটি (Global City) বা ওয়ার্ল্ সিটি (World City) বা আলফা সিটি (Alpha City) কাকে বলে?

বিশ্বের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে এমন নগরগুলিকে গ্লোবাল সিটি বা ওয়ার্ল্ড সিটি বা আলফা সিটি বলে।


Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)