কিন্তু যখন ওসব কিছুই হল না | রক্ত-মাখা গায়-কাপড়ে ফৌজি যাত্রী কড়িকাঠ উঠিয়ে দুম দুম দিতে লাগলাে হাঙ্গরের মাথায় | সেকেন্ড কেলাসের লােকগুলির বড়ােই উৎসাহ | আমাদের কিন্তু দশদিন হয়ে গেছে—ফাঁড়া কেটে গেছে

“আমাদের কিন্তু দশদিন হয়ে গেছে—ফাঁড়া কেটে গেছে।" -মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে

স্বামী বিবেকানন্দের পরিব্রাজক' গ্রন্থের অন্তর্গত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় লেখকদের জাহাজ যখন সুয়েজ বন্দরে পৌঁছায় সেই সময় সারা বিশ্বজুড়ে ছিল প্লেগ রােগের আতঙ্ক। মিশরেও ছিল প্লেগের প্রকোপ। এর ওপরে এশিয়া থেকে জাহাজে আগত যাত্রীরা পাছে প্লেগ রােগের জীবাণু বহন করে আনে—এই আশঙ্কায় জাহাজের কর্মী-যাত্রী এবং সুয়েজ বন্দরের মিশরীয় কর্মীদের মধ্যে ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় জাঁকিয়ে বসেছিল। সুয়েজ বন্দরে নামানাের মতাে মাল যাত্রীবাহী জাহাজে থাকলেও সুয়েজের কুলি সেই জাহাজ ছুঁতে পারবে না—এই ছিল ফরমান। কোম্পানির এজেন্ট জাহাজের কাছে ছোটো লঞ্চে করে এলেও তার জাহাজে ওঠার হুকুম ছিল না। এ ছাড়া, বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জাহাজের নীচে জলপুলিশের একটি নৌকো পাহারাদার হিসেবে রাখা হয়েছিল, যাতে জাহাজে-ডাঙায় বিন্দুমাত্র ছোঁয়াছুঁয়ি লাগতে না পারে। যেহেতু সুয়েজ বন্দরই স্বর্গতুল্য ইউরােপের প্রবেশদ্বার, তাই ইউরােপকে প্লেগ রােগের জীবাণু থেকে মুক্ত রাখার জন্য জাহাজে এইরকম সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। প্লেগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার দশদিনের মধ্যেই সেই রােগের উপসর্গ ফুটে বেরােয়। এ কারণে মিশরীয় লােকেদের সঙ্গে জাহাজের কর্মী বা যাত্রীদের ছোঁয়াছুঁয়ি হলেই জাহাজকে আবার দশদিনের জন্য বন্দরে আটকে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে কিছুতেই নেপক্স বা মার্সাই বন্দরে লােক নামানাে যাবে না। লেখকদের যেহেতু দশদিন অতিক্রান্ত হবার পরেও প্লেগ রােগের কোনাে উপসর্গ দেখা দেয়নি, তাই তাঁদের বিপদ বা ফাঁড়াও কেটে গেছে। এই প্রসঙ্গেই আলােচ্য মন্তব্যটির অবতারণা।



"সেকেন্ড কেলাসের লােকগুলির বড়ােই উৎসাহ।” হাঙর শিকার প্রবন্ধটি অবলম্বনে এই উৎসাহের পরিচয় দিয়ে এদের চরিত্রের যে যে দিকগুলি রচনাটিতে প্রকাশ পেয়েছে তার বিবরণ দাও।


স্বামী বিবেকানন্দের সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার প্রবন্ধটিতে দ্বিতীয় শ্রেণিটি ছিল জাহাজের পিছনের দিকের উপরিভাগে। সেখানকার ছাদ থেকে বারান্দা ধরে ঝুঁকে পড়ে অজস্র স্ত্রী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে হাঙর দেখার জন্য প্রতীক্ষা করছিল। একজন অতি উৎসাহী ফৌজি যাত্রী সারা জাহাজ খুঁজে একটি ভীষণ আকৃতির বড়শিও জোগাড় করে ফেলে। তাতে সেরখানেক মাংস গেঁথে, বড়শির সঙ্গে একটি মােটা কাছি দড়ি বেঁধে এবং একটি মস্ত কাঠ ফাতনা হিসেবে ব্যবহার করে শিকারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। নীচে জল-পুলিশের নৌকোয় থাকা পাহারাদারদের সাহায্যে ফাতনাটিকে দূরে ফেলা সম্ভব হয়। এরপর হাঙরের ভেসে ওঠা, জনতার চিৎকার থামানাের জন্য পালটা চিৎকার, হাঙরের বড়শির কাছে আসা এবং দু-বার চলে যাওয়া, বাঘা হাঙরের টোপ গেলা এবং পালিয়ে যাওয়া—এইসব ঘটনার সূত্র ধরে দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীদের উৎসাহের আধিক্য স্পষ্ট দেখা যায়। দ্বিতীয় হাঙর থ্যাব্ড়া টোপ খাওয়ামাত্র বড়শিতে গেঁথে তাকে তুলতে যেভাবে বয়স নির্বিশেষে সকলে কাছি টানতে হাত লাগিয়েছে তা এই উৎসাহেরই ফসল। সকলেই এখানে পরামর্শদাতা, সকলেই উদ্যোগী। থ্যাবড়ামুখাে হাঙরকে জাহাজে টেনে তােলার পরেও একই রকম উৎসাহ-আধিক্য দেখা যায়। কড়িকাঠ দিয়ে থ্যাব্ড়া হাঙরের মাথায় আঘাত করার নিষ্ঠুর দৃশ্য দেখে জাহাজের মহিলা যাত্রীরা শিউরে উঠলেও, তারা কেউ সেই স্থান ত্যাগ করে যায় না। এমনই ছিল তাদের সকলের উৎসাহ।



"রক্ত-মাখা গায়-কাপড়ে ফৌজি যাত্রী কড়িকাঠ উঠিয়ে দুম দুম দিতে লাগলাে হাঙ্গরের মাথায়" -উদ্ধৃত অংশটির মধ্য দিয়ে ফৌজি চরিত্রের কোন দিক প্রতিফলিত হয়েছে? এর পরবর্তী অংশের বর্ণনা ও প্রতিক্রিয়া আলােচ্য পাঠ্যাংশে যেভাবে ফুটে উঠেছে তা লেখাে।


সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় লেখক বিবেকানন্দ জাহাজের দ্বিতীয় শ্রেণির ফৌজি লােকটির চরিত্রকেই একমাত্র বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। হাঙর শিকারের ক্ষেত্রে তার উৎসাহই ছিল আলাদা করে লক্ষ করার মতাে। সমস্ত জাহাজ খুঁজে ফৌজি ব্যক্তিটিই একখানা ভীষণ আকৃতির বড়শি খুঁজে বের করতে পেরেছিলেন। 'থ্যাবড়া হাঙরটিকে জাহাজে তােলার পর সেটির মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফৌজি লােকটিই কড়িকাঠ দিয়ে হাঙরটির মাথায় ক্রমাগত আঘাত করেছিলেন তার এই কাজের মধ্যে নিষ্ঠুরতার পরিচয় থাকলেও হাঙর শিকার করার ব্যাপারে তাঁর প্রবল উৎসাহের নীচে এই নিষ্ঠুরতা যেন চাপা পড়ে যায়। তা ছাড়া আলােচ্য পাঠ্যাংশে তাঁর সাহসিকতারও পরিচয় পাওয়া যায়।


লেখক নিজেও এদের সহযাত্রী হলেও থ্যাড়ামুখাে হাঙরটি শিকারের পরবর্তী নিষ্ঠুরতা তাঁকে বেশ বিমর্ষই করে তুলেছিল। তাই সেইদিন তার খাওয়া-দাওয়ার 'দফা মাটি হয়ে গিয়েছিল। তিনি সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন বলেই থ্যাবড়া হাঙরটিকে জাহাজে তােলার পরবর্তী ঘটনা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা না করে অত্যন্ত সংক্ষেপে পাঠকদের জানিয়ে দেন। তিনি জানান যে, হাঙরটির পেট চেরা হলে রক্তের নদী বয়ে যেতে থাকে, খণ্ডবিখণ্ড হয়ে কাপতে থাকে হাঙরের শরীর, আর তার পেট থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে অস্থি, চামড়া, মাংস, কাঠ-টুকরাে ইত্যাদি নানা কিছু, যা হাঙরটি ইতিপূর্বে গলাধঃকরণ করেছিল।



“কিন্তু যখন ওসব কিছুই হল না" -এখানে কী না হওয়ার কথা বলা হয়েছে তা সপ্রসঙ্গ আলােচনা করাে।


স্বামী বিবেকানন্দের সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় বাঘা নামের হাঙরটি যখন টোপ গিলেও তা বের করে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল, তখন তারই গা-ঘেঁষে আর-একটি চ্যাপটা- মুখওয়ালা বিশাল হাঙর জাহাজের দিকেই এগিয়ে আসছিল লেখক যার নাম দিয়েছিলেন 'থ্যাবড়া। লেখক এইসময় কৌতুকের মাধ্যমে জানান যে, হাঙরদের যদি ভাষা থাকত বা জলের মধ্যে যদি কথা বলা সম্ভব হত তবে নিশ্চিতভাবেই বাঘা হাঙরটি 'থ্যাবড়া' হাঙরটিকে সাবধান করে দিয়ে জানাত যে, সেখানে একটা নতুন প্রাণী (বড়শিবিদ্ধ শুয়ােরের মাংস) এসেছে, যার মাংস অত্যন্ত সুগন্ধযুক্ত এবং সুস্বাদু হলেও তার হাড় অত্যন্ত শক্ত। এতকাল বাঘা' হাঙরগিরি করার সময় বহু রকমের প্রাণী, জ্যান্ত বা আধমরা বা মরা, হজম করেছে। তা ছাড়াও কত রকমের ছছাটো বড়াে হাড়-পাঁজর, ইট-পাথর, অন্যান্য নানা শক্ত জিনিস হজম করেছে সে। কিন্তু এই নতুন প্রাণীটির হাড়ের (প্রকৃতপক্ষে বড়শির সঙ্গে ফাতনাস্বরূপ বেঁধে দেওয়া কড়ি-কাঠ সদৃশ কাঠের টুকরাে) কাছে ও সবকিছুই যেন মাখন।


একথাগুলি থ্যাবড়াকে বলে সে তার কোমর-অবধি-বিস্তৃত মুখটি খুলে তার দাঁত ও চোয়ালের ভয়াবহ অবস্থাটা তার জাতভাইকে দেখাত। থ্যাবড়াও তখন জবাবে অভিজ্ঞ গুরুজন সুলভ ভঙ্গিতে বাঘাকে চ্যাং মাছের পিত্ত, কুঁজো-ভেটকি মাছের প্লিহা, ঝিনুকের ঠান্ডা জুস ইত্যাদি মহৌষধের কোনাে একটা ব্যবহারের উপদেশ দিত। দুই হাঙরের এইসব কাল্পনিক কথােপকথনের উল্লেখ করার পরই লেখক জানিয়েছেন যে, এসব কোনাে কিছুই বাস্তবে ঘটেনি।


“ওরা কি ডাকাত দলের যুগ্যি;” -বক্তার এ কথা বলার কারণ বিশ্লেষণ করাে।

"এ কি কম দুঃখের কথা।" -প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বক্তার একথা বলার কারণ আলােচনা করাে।

"কম্বলখানার বয়স ক’বছর হবে তার হিসাব করতে গিয়ে বাধা পড়ে।" -ডাকাতের মা গল্প অনুসরণে কম্বলের প্রসঙ্গটি কীভাবে এসেছে তা বিশদে আলােচনা করাে।

“প্রতি মুহূর্তে বুড়ি এই প্রশ্নের ভয়ই করছিল।” -বুড়ি কোন্ প্রশ্নের ভয় করছিল এবং কেন?


"ভেবে কূল-কিনারা পাওয়া যায় না।" -কার কোন ভাবনার কথা এখানে বলা হয়েছে?

"ডাকাতি করা তার স্বামী-পুত্রের হকের পেশা। সে তাে মরদের কাজ, গর্বের জিনিস।" -প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বক্তার এই ভাবনার কারণ ব্যাখ্যা করাে।

"এতক্ষণে বােঝে সৌখী ব্যাপারটা।"—মন্তব্যটি আলােচনা করাে।

“ঘুমের অসুবিধা হলেও," -কার, কী কারণে ঘুমের অসুবিধা হত?


"বুড়ি উঠে বসে!" -প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বুড়ির উঠে বসার কারণ লেখাে।

"হাতি পাকে পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে।” -বক্তার একথা বলার কারণ প্রসঙ্গসহ আলােচনা করাে।

"এদের কাউকে দেখছি না।" -কে, কাকে কাদের কথা জিজ্ঞাসা করেছে? তাদের সম্পর্কে সৌখীর কোন্ মনােভাবের প্রকাশ দেখা যায়?

"তাদের দেখা যাচ্ছে না কেন?" -সে কথা কেন সৌখীকে সব খুলে বলা যাচ্ছে না?


'ডাকাতের মা' ছােটোগল্পের মাদীন পেশকার কীভাবে চুরি যাওয়া লােটার সন্ধান পেল?

“দারােগা-পুলিশ দেখে বুড়ির বুক কেঁপে ওঠে।" -কেন কেঁপে উঠেছিল বুড়ির বুক?

"এইবার সৌখীর মা ভেঙে পড়ল" -কখন এবং কেন সে ভেঙে পড়ল?

জেল থেকে ফিরে আসার দিন রাত্রে ছেলে সৌখীর সঙ্গে তার মায়ের যে কথােপকথন হয়েছিল, তা ডাকাতের মা ছােটোগল্পে অবলম্বনে লেখাে।


'ডাকাতের মা' ছােটোগল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।

"কিন্তু আজ যে ব্যাপার অন্য।”—কোন্ দিনটার কথা বলা হয়েছে? সেদিনের অন্য ব্যাপারটির পরিচয় দাও।

"..ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে।" -কে ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে? কলঙ্ক শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?

ডাকাতের মা ছােটোগল্পটির শিল্পসার্থকতা আলােচনা করাে।


সুয়েজখালে: হাঙ্গর শিকার প্রবন্ধটিতে বিবেকানন্দের রচনা-বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় বিবেকানন্দের ভাষাশৈলীর পরিচয় দাও।

হাস্যরসাত্মক রচনা হিসেবে 'সুয়েজখালে : হাঙ্গার শিকার কতখানি সার্থক?

স্বামী বিবেকানন্দের সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।


সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনা অবলম্বনে বাঘা নামের প্রথম হাঙরটির বর্ণনা দিয়ে জানাও যে কীভাবে তাকে শিকারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল?

থ্যাবড়া নামের হাঙরটিকে কীভাবে শিকার করা হয়েছিল তার বিস্তৃত বিবরণ দাও।

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় লেখক যে বনিটো মাছের কথা উল্লেখ করেছেন, রচনা অনুসরণে তার বিস্তৃত বিবরণ দাও।

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙরের পাশে থাকা ছােটো মাছ ও হাঙর-চোষক মাছের বিস্তৃত বিবরণ দাও।