ব্যাপারটা কী এবার হয়তাে জানতে চাইবেন | এই জনহীন ঘুমের দেশে সত্যি ওরকম মেয়ে কোথাও আছে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না | পুকুরের ঘাটের নির্জনতা আর ভঙ্গ হবে না তারপর

"পুকুরের ঘাটের নির্জনতা আর ভঙ্গ হবে না তারপর।" -পুকুরের ঘাটের নির্জন প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও

প্রেমেন্দ্র মিত্রের তেলেনাপোতা আবিষ্কার নামক ছােটোগল্পে দুই বন্ধুকে সঙ্গে করে কলকাতাবাসী গল্পকথক তার বন্ধু মণির প্ররােচনায় তাদের পিতৃপুরুষের বাসভূমি তেলেনাপােতায় বেড়াতে এসেছিলেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে। তেলেনাপােতা পৌঁছােনাের পরের দিন সকালেই তিনি বড়শি এবং মাছ ধরার অন্যান্য উপকরণ নিয়ে চলে যান পাশের পানাপুকুরে। ছিপ ফেলে তিনি অপেক্ষা করছিলেন মাছের।


বেলা বাড়লে, সেই জনহীন পুকুর ঘাটে কথক দেখেন যে, পুকুরটির অন্য পাড়ে, নুয়ে-পড়া একটি বাঁশের ডগায় বসে থাকা একটি মাছরাঙা পাখি তার রঙিন দেহ নিয়ে মাঝেমাঝেই পুকুরের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ছে এবং ঠোঁটে মাছ নিয়ে শিকারের সার্থকতার আনন্দে, গল্পকথককে যেন বিদ্রুপ করতে করতে, আবার বাঁশের মাথায় ফিরে যাচ্ছে। একটা মােটা লম্বা সাপ তাকে সন্ত্রস্ত করে দিয়ে ভাঙা ঘাটটির কোনাে ফাটল থেকে বেরিয়ে ধীরেসুস্থে সাঁতরে পুকুরের ওপারে গিয়ে ওঠে। দুটো ফড়িং যেন তাদের পাতলা কাচের মতাে পাখা নেড়ে গল্পকথকের বড়শির ফাতনার ওপর বসার প্রতিযােগিতায় নেমেছে। সেই সঙ্গে ঘুঘু পাখি মাঝে মাঝেই তার উদাস করে দেওয়া সুরে ডাক দিয়ে গল্পকথককে আনমনা করে দিতে থাকে। গল্পকথক পুকুরঘাটে এমন নির্জনতারই সম্মুখীন হয়েছিলেন যামিনীর আগমনের আগে।



"পুকুরের ঘাটের নির্জনতা আর ভঙ্গ হবে না তারপর।" -'পুকুরের ঘাটের' নির্জনতা ইতিপূর্বে কীভাবে ভঙ্গ হয়েছিল তা লেখাে।


প্রেমেন্দ্র মিত্রের 'তেলেনাপােতা আবিষ্কার' গল্পে ঘুঘু পাখির ডাকের পরই পুকুরঘাটের নির্জনতা ভঙ্গ হয়েছিল। কচুরিপানা-ভরতি পুকুরে মাছ ধরতে বসে আনমনা হয়ে যাওয়া কথক হঠাৎই জলের শব্দে চমকে উঠে দেখেন যে, পুকুরের স্থির জল কেঁপে উঠছে। তিনি দেখতে পান যে, ঘাটে দাঁড়িয়ে একটি মেয়ে পুকুরের পানা সরিয়ে পিতলের একটি চকচকে কলশিতে জল ভরছে। মেয়েটির চোখ দুটি কৌতূহলী হলেও তার চালচলনে লজ্জা বা আড়ষ্টতার কোনাে চিহ্ন ছিল না। কলশিতে জল ভরে নিয়ে মেয়েটি গল্পকথকের দিকে সরাসরি তাকিয়ে ফাতনার দিকে নজর দেয় এবং তারপর মুখ ফিরিয়ে কলশিটা কাঁখে তুলে নেয়। ফিরে যাবার সময় হঠাৎই পেছন ফিরে তাকিয়ে মেয়েটি গল্পকথককে বড়শিতে টান দিতেও বলে। মেয়েটির উপস্থিতি এবং তার ব্যবহারের সাবলীলতায় কথক এতটাই হতবাক হয়ে যান যে, সেই মুহূর্তে বড়শিতে টান দিতে ভুলে যান তিনি। তাই, ফাতনাটা ডুবে গিয়ে আবার যখন ভেসে ওঠে তখনই তিনি ছিপে টান দিয়ে দেখেন যে, বড়শিতে মাছ তাে নেই-ই, এমনকি টোপও নেই। অপ্রতিভ হয়ে আবার মেয়েটির দিকে তাকান কথক। সে তখন মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু মুখ-ফেরানাের মুহূর্তে সেই শান্ত, করুণ মুখে খেলে যায় দীপ্ত হাসির আভাস। এভাবেই পুকুরের ঘাটের নির্জনতা ভঙ্গ হয়েছিল।



“এই জনহীন ঘুমের দেশে সত্যি ওরকম মেয়ে কোথাও আছে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না।”—ওরকম মেয়ে দেখে বিশ্বাস করতে না পারার কারণ কী?


প্রেমেন্দ্র মিত্রের তেলেনাপােতা আবিষ্কার ছােটোগল্পে তেলেনাপােতা পৌঁছানাের পরদিন সকালে নিস্তদ্ধ পানাপুকুরে ছিপ ফেলে বসে থাকতে থাকতে একসময় ঘুঘুর উদাস করা ডাকে আনমনা হয়ে পড়েছিলেন গল্পকথক। ঠিক এমন সময়েই হঠাৎ জলের শব্দশুনে চমক ভেঙে তিনি দেখেন যে, স্থির জলে ঢেউ উঠছে। ঘাড় ঘুরিয়ে তখনই কথক দেখতে পান যে, ঘাটে দাঁড়িয়ে পুকুরের পানা সরিয়ে পিতলের একটি চকচকে কলশিতে জল ভরছে একটি মেয়ে। মেয়েটির চোখ দুটিতে কৌতূহলী দৃষ্টি থাকলেও তার চালচলনে সলজ্জ আড়ষ্টতার কোনাে চিহ্নমাত্র ছিল না। মেয়েটির মুখশ্রীর শান্ত, করুণ, গম্ভীর ভাব দেখে কথকের মনে হয় যে, দীর্ঘকালব্যাপী এক নিষ্ঠুর জীবন-পথ বুঝি মেয়েটি পার হয়ে এসেছে। কলশি নিয়ে ফেরার সময় হঠাৎই পেছন ফিরে তাকিয়ে সে কথককে হাত গুটিয়ে বসে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করে তাকে বড়শিতে টান দিতে বলে। মেয়েটির গলার স্বর এমন অচল, কমনীয় ও গম্ভীর ছিল যে, কথকের মনেই হচ্ছিল না সেই গ্রাম্য তরুণীটি অপরিচিত এক পুরুষের সঙ্গে কথা বলছে। সম্পূর্ণ অপরিচিত এক পুরুষের সঙ্গে মেয়েটির ব্যবহারের সাবলীলতায় বিস্মিত ও অভিভূত হয়ে গিয়ে বড়শি টানতে দেরি করে ফেলেন তিনি। পরে বড়শিতে টান দিয়ে মাছ, টোপ কিছু না পেয়ে যখন মেয়েটির দিকে তাকান, তখনই সে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ফিরতে থাকে। কিন্তু তার মুখে উজ্জ্বল হাসির একটা ইশারা নজরে পড়ে কথকের। এ কারণেই কথক মেয়েটি চলে যাবার পর উদ্ধৃত কথাটি ভেবেছিলেন।



"ব্যাপারটা কী এবার হয়তাে জানতে চাইবেন।" -প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে।


প্রেমেন্দ্র মিত্রের তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পে তেলেনাপােতা আসার পরদিন দুপুরে গল্পকথকরা যামিনীদের বাড়িতে খাওয়ার শেষে তিনবন্ধু যখন সেই ঘরেই বিশ্রাম করছিলেন, তখন অত্যন্ত কুণ্ঠার সঙ্গে, যামিনী খুব কাতরভাবে বলছিল যে, মণিবাবুদের তেলেনাপােতা আসার খবর পাওয়ার পর থেকেই খুব অস্থির হয়ে পড়েছেন তার মা। মণিবাবু বুঝতে পারেন যে, অন্ধ, বৃদ্ধা যামিনীর মায়ের দৃঢ় বিশ্বাস যে, নিরঞ্জন ফিরে এসেছে। শুধু বছর চারেক ব্যবধানের পর দেখা করতে আসার লজ্জায় তার সামনে আসতে পারছে না। তাই বৃদ্ধা বারবার নিরঞ্জনকে ডেকে দেবার অনুরােধ করছেন যামিনীকে। অসহায় যামিনী আরও জানায় যে, দৃষ্টিহীন হয়ে যাওয়ার পর থেকে বৃদ্ধার ধৈর্যহীনতা এতটাই বেড়েছে যে, কোনাে কথা বােঝালেও তিনি বুঝতে চান না, উপরন্তু প্রায়ই রেগে গিয়ে মাথা ঠুকে এমন ব্যাপার করেন যে, তখন তার প্রাণ বাঁচানাে সংকটজনক হয়ে পড়ে। যামিনীর কথাগুলি অনুধাবন করে মণিবাবু তাকে জানান যে, বৃদ্ধা যদি চোখে দেখতে পেতেন, তবে হয়তাে তিনি তার বন্ধু দুজনকে দেখিয়ে দিয়ে তাকে নিশ্চিত করতে পারতেন যে, নিরঞ্জন সত্যিই আসেনি। এরপর যামিনী মণিবাবুকে ওপরে যেতে অনুরােধ করে চলে গেলে মণি নিজের মনেই বৃদ্ধার সমালােচনা করতে থাকেন। তখনই গল্পকথক ব্যাপারটা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।


প্রেমেন্দ্র মিত্রের 'তেলেনাপােতা আবিষ্কার' ছােটোগল্পটি অবলম্বন করে এ গল্পের গল্পকথকের ওপর প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব আলােচনা করাে।

'তেলেনাপােতা আবিষ্কার' গল্প অবলম্বনে এই গল্পের গল্পকথকের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।

তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে যামিনী চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।

তেলেনাপােতা আবিষ্কার ছােটোগল্পে নিরঞ্জন এবং গল্পকথকের প্রতিশ্রুতি-ভঙ্গের বৈশিষ্ট্য পর্যালােচনা করে উভয় চরিত্রের তুলনামূলক আলােচনা করাে।


তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের যামিনীর মায়ের চরিত্র সংক্ষেপে পর্যালােচনা করাে।

তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে গল্পকথকের বন্ধু মণিবাবুর চরিত্র সংক্ষেপে পর্যালােচনা করাে।

তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পটির গল্পকথকের ঘুমকাতুরে বন্ধুর চরিত্র আলােচনা করাে।

“তা হলে হঠাৎ একদিন তেলেনাপােতা আপনিও আবিষ্কার করতে পারেন"- তেলেনাপোতা আবিষ্কার অভিযানের সময় বাসযাত্রার বিবরণ দাও।


তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথকদের গােরুর গাড়িতে করে তেলেনাপােতা যাওয়ার বর্ণনা দাও।

তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে গল্পকথকদের তেলেনাপােতা যাওয়ার পথে গােরুর গাড়িতে ওঠার আগে পর্যন্ত যাত্রার বিবরণ দাও।

তেলেনাপােতায় জীর্ণ প্রাসাদের অপেক্ষাকৃত বাসযােগ্য ঘরটিতে কীভাবে রাত কেটেছিল গল্পকথকদের?

তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে গল্পকথকের রাত্রিকালীন ছাদ-ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করাে।


“মনে হবে বােবা জঙ্গল থেকে কে যেন অমানুষিক এক কান্না নিংড়ে নিংড়ে বার করছে।”—কখন বক্তার এই উপলব্ধি হয়? অমানুষিক কান্না আসলে কী ছিল?

তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পটি অবলম্বনে ক্যানেস্তারা বাজানাে প্রসঙ্গটি আলােচনা করাে।

'তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কোন্ ঘটনার প্রেক্ষিতে আবিষ্কারকের ধারণা হবে যে "জীবন্ত পৃথিবী ছাড়িয়ে অতীতের কোনাে কুজ্বাটিকাচ্ছন্ন স্মৃতিলােকে এসে পড়েছেন"?

তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথকের কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মনে হবে সময় সেখানে স্তব্ধ, স্রোতহীন?


তখন হয়তাে জানতে পারবেন যে,প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃত অংশে কী জানতে পারার কথা বলা হয়েছে লেখাে।

তেলেনাপােতা আবিষ্কার ছােটোগল্প অবলম্বনে গল্পকথকের সঙ্গে যামিনীর শেষ সাক্ষাৎকারটি বর্ণনা করাে।

তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কথক ও যামিনীর শেষ সাক্ষাৎ-এর আগে কোথায়, কী পরিস্থিতিতে দেখা হয়েছিল?

'তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথক তেলেনাপােতার পানাপুকুরে ছিপ ফেলে যখন বসে ছিলেন, তখন বিভিন্ন প্রাণী কীভাবে তাকে বিরক্ত করেছিল?


"খানিক আগের ঘটনাটা আপনার কাছে অবাস্তব বলে মনে হবে।" -কোন ঘটনার কথা এখানে বলা হয়েছে?

"খাওয়া শেষ করে আপনারা তখন একটু বিশ্রাম করতে পারেন”—কোথায়, কীভাবে তারা খাওয়া শেষ করেছিলেন?

ব্যাপারটা কী এবার আপনারা হয়তাে জানতে চাইবেন- কোন্ ব্যাপার অতঃপর গল্পকথক জানতে পেরেছিলেন?

“হূ, এতাে বড়াে মুস্কিল দেখছি”—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বক্তা কাকে মুস্কিল’ বলে অভিহিত করেছেন লেখাে।


তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে গল্পকথক যামিনীকে বিয়ে করার ব্যাপারে তার মাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?

“আপনাকে কৌতুহলী হয়ে যামিনীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই হবে" -প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্দিষ্ট ব্যক্তির এমনটা করার কারণ লেখাে।

“আপনাকে কৌতুহলী হয়ে যামিনীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই হবে" -যামিনী সম্পর্কে কোন কোন তথ্য গল্পকথক অবগত হয়েছিলেন?

“আপনাদের পদশব্দ শুনে সেই কঙ্কালের মধ্যেও যেন চাঞ্চল্য দেখা দেবে" -সেই কঙ্কালের মধ্যেও চাঞ্চল্য দেখা দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গ-সহ লেখাে।