উৎপল দত্তের 'টিনের তলোয়ার' নাটকের বিষয়বস্তু যথেষ্ট সিরিয়াস হলেও নাটকটির উপস্থাপনা কৌতুকরসের প্রয়োগ সুপ্রচুর। এই কৌতুকরস নাটকটির গাম্ভীর্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থী হয়ে উঠেছে কিনা বিশ্লেষণ করো।

উৎপল দত্তের সমগ্র নাট্যধারায় এবং উনিশ শতকের বাংলা নাট্যশালার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে ‘টিনের তলোয়ার' নাটকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও বিশিষ্ট। উৎপল দত্তের বাংলা নাট্যচর্চা সার্বিকভাবেই বিশেষ বিপ্লবী রাজনৈতিক আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত। তাঁর রচিত ও অভিনীত নির্দেশিত প্রতিটি নাটকেই সংগ্রামী আদর্শের প্রতিফলন ঘটেছে। ‘অঙ্গার’, ‘কল্লোল', ‘ফেরারী ফৌজ’,‘ব্যারিকেড’, ‘দুঃস্বপ্নের নাগরী’, ‘রাইফেল’, ‘তিতুমীর' প্রভৃতি প্রতিটি নাটকই সেই বিপ্লবী আদর্শের অগ্নিময় প্রকাশ ঘটিয়েছে। 'টিনের তলোয়ার’ নাটকে যদিও সে অর্থে বিপ্লবী রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ কম, তবু ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে এ নাটকেও একটি সংগ্রামী প্রতিরোধী চেতনার ক্রমবিকাশকে তুলে ধরা হয়েছে। উনিশ শতকের জাতীয়তাবাদী বঙ্গরঙ্গমঞ্চের ব্রিটিশ বিরোধী নাটক কীভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তথা উপনিবেশবাদকে সন্ত্রস্ত করে তুলেছে এবং তার ফলে কীভাবে অশ্লীলতা ও রাজদ্রোহের অভিযোগে ব্রিটিশ-বিরোধী নাটকের কণ্ঠরোধ করতে নেমে আসছে ১৮৭৬-এর নাট্য নিয়ন্ত্রণ আইন—সেই ইতিহাসই অঙ্কিত হয়েছে টিনের তলোয়ার’ নাটকে। অর্থাৎ একদিকে ব্রিটিশ শাসনের ঔপনিবেশিক শোষণ, ভারতের অর্থ-নিষ্কাশন, দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষ, পীড়ন, অন্যদিকে ইংরেজ প্রভুদের উচ্ছিষ্টভোগী ও পদলেহী বিত্তবান বেনিয়া-মুৎসুদ্দি-জমিদার শ্রেণির বাইনাচ, খেমটা-খেউর, নৌকাবিলাস, পায়রা ওড়ানো, মোরগ-লড়াই, পুতুল বা বিড়ালের বিয়ে ইত্যাদি কুরুচিকর বিলাস ও বিনোদন সে যুগের অপচয়ের এক ঐতিহাসিক চিত্রকেই ‘টিনের তলোয়ার’ নাটক প্রতিফলিত করেছে। বিদেশি শাসক ও দেশীয় ধনিক মুৎসুদ্দি শ্রেণির যৌথ আক্রমণে উনিশ শতকের মধ্যবিত্ত নাগরিকের নাট্যসংস্কৃতিও আত্মবিস্মৃতি ও আত্মঅবমাননার পঙ্কগহ্বরে নিমজ্জিত হতে বসেছিল। বাবুশ্রেণির পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁদেরই মনোরঞ্জনের জন্য নাট্যসংস্কৃতিও আত্মবিক্রয়ে বাধ্য হয়েছিল। “টিনের তলোয়ার’ নাটকের গ্রেট বেঙ্গল অপেরা ও তার কাপ্তেনবাবু বেণীমাধব চাটুজ্যে সেই আত্মবিক্রীত সংস্কৃতি চেতনারই চিত্র তুলে ধরেছে।


কিন্তু এই সার্বিক অপচয় ও নৈরাশ্যের মধ্যেও একটি বিপ্লবী অকুতোভয় জাতীয় চেতনার প্রকাশ ঘটছিল মুষ্টিমেয় শিক্ষিত নাগরিকের মধ্যে। নাটকের প্রিয়নাথ সেই বিপ্লবচেতনারই প্রতীক চরিত্র। প্রিয়নাথের অনুপ্রেরণা দ্বিধাগ্রস্ত আত্মবিক্রীত বেণীমাধবের মতো মধ্যবিত্ত সংস্কৃতিকর্মীর মনেও জাতীয়তাবাদী মুক্তিচেতনার ক্রমবিকাশই ‘টিনের তলোয়ার' নাটকের মূল প্রতিপাদ্য। গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবীচেতনার সঙ্গে সমস্ত দ্বিধা-সংশয় মুছে ফেলে বেঙ্গল অপেরার বেণীমাধবের একাত্ম হয়ে যাওয়াও দেশি মুৎসুদ্দি এবং বিদেশি শাসকের বিরুদ্ধে কুণ্ঠাহীন বিদ্রোহেই এই নাটকের পরিসমাপ্তি। অতএব উনিশ শতকের এক সার্বিক ঐতিহাসিক পটভূমি ও তৎকালীন রাজনৈতিক অর্থনৈতিক চিত্র উৎপল দত্তের টিনের তলোয়ার' নাটকটিতে প্রতিফলিত। এদিক থেকে নাটকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গম্ভীর ('সিরিয়াস') বিষয় নির্ভর।


কিন্তু পাঠক তথা দর্শক নাট্যপাঠ বা দর্শনকালে ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকের আদ্যোপান্ত অনুভব করেন এক অনাবিল কৌতুকরস। নাটকের চরিত্রসৃজনে, সংলাপে, উপস্থাপন ভঙ্গিতে নাটকের প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে এই কৌতুকের উপাদান। ফলে স্বভাবতই মনে হতে পারে, নাটকের বিষয়বস্তুর মধ্যে যে চূড়ান্ত গাম্ভীর্য বা সিরিয়াসনেস ছিল, এই অপর্যাপ্ত কৌতুকরসের মিশ্রণে সেই গাম্ভীর্য নিতান্তই লঘু হয়ে পড়েছে। এই লঘুত্ব কার্যত এই নাটকটির বিদ্রোহচেতনা সঞ্চারী মহৎ উদ্দেশ্যটিকেই ব্যাহত করেছে। অর্থাৎ আপাতভাবে মনে হতে পারে টিনের তলোয়ার’ নাটকের কৌতুকরস তার গম্ভীর বিদ্রোহাত্মক ভাববস্তুর পক্ষে যথোপযুক্ত হয়নি।


কিন্তু বিপ্লবী রাজনৈতিক থিয়েটারের সম্পর্কে উৎপল দত্তের ভাষ্য বা মতাদর্শ সম্পর্কে অবহিত হলে এই সিরিয়াস নাটকেও সাধারণ দর্শকের জন্য এই লঘু মনোরঞ্জনের উপাদান হিসাবে কৌতুকরসের প্রয়োগের যথার্থ তাৎপর্য বোঝা যাবে। বিপ্লবী থিয়েটারের প্রধানতম ও প্রথমতম শর্ত উৎপল দত্তের মতে জনসাধারণের কাছে পৌঁছানো। রাজনৈতিকভাবে অসংবদ্ধ ও আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক ব্যাপারে অর্ধচেতন বা অসচেতন সাধারণ মানুষ তত্ত্বকথা প্রধান নীরস আঙ্গিকসর্বস্ব নাটককে গ্রহণই করে না। সাধারণ যদি বিপ্লবী থিয়েটারকে গ্রহণই না করে, তাহলে জনগণকে প্রাণিত বা উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যটিই ব্যর্থ হয়ে যায়। তাই বিপ্লবী নাটককে প্রথমেই সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে বলে উৎপল দত্তের অভিমত। এমনকি ‘আর্ট ফিল্ম’ বা ‘গুড ফিল্ম' প্রসঙ্গেও উৎপল দত্ত একই দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করেন— “অল গুড ফিল্মস মাস্ট বি পপুলার। যদি পপুলার না হয়, তাহলে বুঝতে হবে ফিল্ম মেকিঙের কোথাও গণ্ডগোল আছে।”


বিপ্লবী থিয়েটার বা সিরিয়াস থিয়েটারকেও ‘পপুলার’ করে তুলতে উৎপল দত্ত তাই চরিত্র নির্মাণে, সংলাপে, ঘটনাসৃজনে, মঞ্চ পরিকল্পনায় দর্শক মনোরঞ্জনের যাবতীয় উপকরণ ব্যবহার করেন। দর্শক-মনোরঞ্জনেরই অন্যতম উপকরণ কৌতুকরস। টিনের তলোয়ার’ নাটকের সিরিয়াস বিষয়কে সেই কৌতুকের সরস পথ ধরে এগিয়ে নিয়ে যান উৎপল দত্ত। পাঠক বা দর্শকের চেতনাকে যাবতীয় দ্বিধা, সুবিধাবাদ, জড়ত্ব, লোভের অবক্ষয়ী গ্রাস থেকে একটু একটু করে মুক্ত করে হাস্যময় সরসপথেই তিনি পৌঁছে দেন জাতীয়তাবাদী চেতনায় বা বিপ্লবী চেতনার সুদৃঢ় ভূমিতে। এদিক থেকে বলতেই হয়, ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকের কৌতুকময় উপস্থাপনা তার সিরিয়াস বিষয়ের পক্ষে অনুপযুক্ত তো হয়ই নি, বরং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সরস আগ্রহ নিয়েই দর্শক বা পাঠক নাটকের পরিণতিটিকে উপভোগ করেন এবং সংগ্রামী চেতনায় ক্রমে ক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠেন।


নাটকের প্রথম দৃশ্যে বেণীমাধবের সঙ্গে শোভাবাজার এলাকার মেথর মথুরের কথোপকথন এবং আচরণ যথেষ্ট কৌতুকময়। প্রথমত মদের নেশায় চুর হয়ে থাকা বেণীমাধব ‘বাংলার গ্যারিক' হিসাবে তাঁর অহঙ্কারকে প্রকাশ করছেন নিরক্ষর মথুরের কাছে, মধুসূদনের ব্ল্যাঙ্কভার্স আবৃত্তি করে তাকে শোনাচ্ছেন, নিজ নির্দেশিত নাটকের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করছেন। এই শ্রেণিগত ভিন্ন অবস্থানে থেকে বেণীমাধবের সংলাপ ও আচরণে যে অসঙ্গতি প্রকাশ পেয়েছে, সেটিই এই দৃশ্যের কৌতুকরসের উৎস। স্বভাবতই মথুর এই নাটক বা ব্ল্যাঙ্কভার্স বা বেণীমাধবের অহঙ্কারের যাবতীয় উপকরণকে 'জঘন্য' বলে বাতিল করে দিয়েছে। নিরক্ষর নিম্নবর্গের কাছে মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তের সংস্কৃতি চর্চার অন্তঃসারশূন্যতা অকপট সারল্যে প্রকাশ পেয়েছে মথুরের উক্তিতে—“চকচকে পোশাক পরে চৌগোঁপ্পা দাড়ি এঁটে রবক সবক কিছু কবিতা বলে ধাপ্পা মারো।”


এই প্রথম দৃশ্যেই নাট্যকার উনিশ শতকের কলকাতার শিক্ষিত সংস্কৃতিবান নাগরিক ও নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের শ্রেণি-অবস্থানগত পার্থক্যটি চিনিয়ে দেন। তথাকথিত নাট্যচর্চার অন্তঃসারশূন্যতাটিও এই অংশেই চিহ্নিত হয়ে যায়। অথচ পাঠক বা দর্শক কখনও আর্থ-সামাজিক এই বিশ্লেষণের তাত্ত্বিকতায় বিরক্ত হন না। কৌতুককর সংলাপ ও অবস্থাকে উপভোগ করতে করতেই গ্রেট বেঙ্গল অপেরার মনোরঞ্জনমূলক নাট্যচর্চার প্রহসনটি উপলব্ধি করেন।


দ্বিতীয় দৃশ্যে গ্রেট বেঙ্গল অপেরার মহলাগৃহে অভিনেতাদের আচরণ ও সংলাপও তীব্র কৌতুকের সঞ্চার করে। তারই মধ্যে মুদির আগমন ও বকেয়া টাকার পরিবর্তে পুরোনো সেজবাতি দিয়ে তাকে নিরস্ত করার কৌতুকময়তার মধ্যেই নাট্যকার বুঝিয়ে দেন তৎকালীন নাট্যদলগুলির আর্থিক দুরবস্থা ও সেই দারিদ্র্যকে স্বীকার করেই নাট্যসেবাব্রতে তাঁদের ঐতিহাসিক অবদান।


এই দৃশ্যেই প্রিয়নাথের পরিচয় জিজ্ঞাসার পুনরাবৃত্তি পাঠক বা দর্শকমনে কৌতুকের সঞ্চার করে। শেষে তার পাণ্ডুলিপির পরিণতিটিও কৌতুকময়। কিন্তু এই কৌতুকরসের মধ্য দিয়েই উপস্থাপিত হয় বীরকৃষ্ণ দাঁর মতো স্থূলবুচি মুৎসুদ্দির অধীনস্থ নাট্যদলগুলির মধ্যে জাতীয় চেতনার জাগরণ ঘটানোর কঠিনতা। বাচস্পতি ও রক্ষণশীল দলের আক্রমণের বিরুদ্ধে টিনের ঢাল-তরোয়াল নিয়ে প্রতিরোধ সংঘটনের কৌতুকদৃশ্যটিও সপ্রমাণ করে ব্রিটিশ আইন ও বিচারব্যবস্থার প্রহসনটিকে এবং নাট্যচর্চার প্রতিকূল পরিস্থিতি।


এই দৃশ্যে তরকারিওয়ালি ময়নার আবির্ভাব ও থিয়েটার মালিক বীরকৃষ্ণ দাঁর উপস্থিতিও তীব্র কৌতুকের আবহ রচনা করে। বীরকৃষ্ণের প্রতিটি কথায় প্রকাশিত হয় তার শিক্ষাহীনতা, রুচিহীনতা, বারবধূরিলাস, অর্থদত্ত এবং সবকিছুকে টাকার অঙ্কে হিসাব করার প্রবণতাটি। মাইকেল বা দীনবন্ধু বা শেক্সপীয়রকে মহিনার বিনিময়ে বীরকৃষ্ণ দাঁ নিজের নাটক লিখিয়ে নেবেন—এই অসম্ভবতার কৌতুকসই পৌঁছে যায় এক নির্মম সত্যে—“দু’হাতে দশটা হীরের আংটি। যে-কোনো একটা দিয়ে সাহিত্য-ফাহিত্য কিনে রাখতে পারি।”


তৃতীয় ও চতুর্থ দৃশ্যে কৌতুক উপাদান অপেক্ষাকৃতভাবে যথেষ্ট কম। পঞ্চম দৃশ্যের সূচনায় কিছুটা কৌতুকরসের আভাস থাকলেও এই দৃশ্যটিতে নাট্যবস্তু চূড়ান্ত শিখর স্পর্শ করেছে। বীরকৃষ্ণের অধীনতা থেকে মুক্তির স্বপ্নে বিভোর বেণীমাধব অভিনেত্রী ময়নাকে বীরকৃষ্ণের কাছে অবলীলায় সমর্পণ করে দেওয়ায় নৈতিকতা ও অস্তিত্বের প্রশ্নে এক চূড়ান্ত দ্বন্দ্বসংকট তৈরি হয়েছে এখানে। ফলে কৌতুকরসের অবতারণার অবকাশ তেমন ঘটেনি। এবং বলা যেতে পারে এরপর থেকেই নাটকটি ক্রমশ লঘুত্ব বর্জন করে সিরিয়াস হয়ে উঠেছে।


ষষ্ঠ দৃশ্যে বীরকৃষ্ণের সঙ্গে ময়নার মহলাগৃহে আগমন অংশটিতে লঘু কৌতুকের সুর আবার কিছুটা ফিরে আসে। কিন্তু বীরকৃষ্ণ যখন জানিয়ে দেন, গ্রেট ন্যাশনালের উপর রাজদ্রোহমূলক নাটকের অভিযোগে পুলিশ আক্রমণ ঘটেছে এবং সেই সূত্রেই যখন শোনা যায় ল্যামবার্টের নাট্যনিয়ন্ত্রণ আইনের ঘোষণা, তখন নাটকটি আবার তার প্রত্যাশিত গাম্ভীর্য অর্জন করে নেয়।


শেষ বা সপ্তম দৃশ্যেও সূচনায় কিঞ্চিৎ লঘুরসের আভাস ঘটিয়ে নাট্যকার তাঁর নায়ক বেণীমাধবকে পৌঁছে দেন দ্বিধাবিহীন ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের মঞ্চে। বেণীমাধরের নাট্যচর্চার ওপর বহুমুখী আক্রমণ ও বহুতর প্রতিকূলতা, দেশীয় সমাজের নানাস্তর, বঙ্গরঙ্গমঞ্চের তৎকালীন ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং সর্বোপরি বেণীমাধব চরিত্রের ক্রমপর্যায়ে উত্তরণের জটিল ও বহুস্তরীয় আখ্যানবস্তুকে উপস্থান করতে গিয়ে নাট্যকার উৎপল দত্ত এক মুহূর্তের জন্যও দর্শক বা পাঠককে ক্লান্ত করেন না, বরং কৌতুকময়তার মধ্য দিয়ে পাঠককে প্রত্যাশিত সংগ্রামী বোধের কাছে পৌঁছে দেন। ফলে ‘টিনের তলোয়ার' নাটকের কৌতুকরস উৎপল দত্তের বিপ্লবী নাট্যাদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং সাধারণ দর্শকমনে বিপ্লবী চেতনাসঞ্চারের সহায়ক শক্তি হিসাবেই সার্থক।