“ব্যাটার ক অক্ষর গোমাংস, যেখানে যাবে পেছনে মোদাগাড়ি ভরা মালের বোতল চলে, সে শালা হলো স্বত্বাধিকারী। আর আমি বাংলার গ্যারিক, ঐ বেনে মুৎসুদ্দির সামনে আমাকে গলবস্ত্র থাকতে হয়।”—কোন্ নাটকে কোন্ চরিত্রের মুখে ঐ সংলাপ উচ্চারিত হয়েছে। সংলাপটির মধ্য দিয়ে বক্তার যে আত্মগ্লানি প্রকাশিত তার কারণ ও স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।

সংলাপটি উৎপল দত্তের ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকের প্রথম দৃশ্যে কেন্দ্রীয় চরিত্র বেণীমাধব চাটুজ্যের। দি গ্রেট বেঙ্গল অপেরার প্রধান অভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক বেণীমাধব চাটুজ্যে নাট্যমহলে ও সহকর্মীদের কাছে কাপ্তেনবাবু' নামে পরিচিত। কলকাতার চিৎপুর অঞ্চলের মেথর মথুরের সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় কথোপকথনকালে উচ্চারিত এই সংলাপটি আপাতভাবে কিছুটা অসংলগ্ন ও ক্ষোভের সাধারণ বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হলেও সংলাপটির মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে বেণীমাধবের যাবতীয় স্ববিরোধ, আবেগ-বিক্ষোভ, অভিমান অনুযোগ, ত্যাগ ও আপস, অহঙ্কার ও আত্মগ্লানির বহুমুখী ও জটিল বৃত্তান্ত।


বেণীমাধব চাটুজ্যে জাতে ব্রাক্ষ্মণ হলেও মেথর মথুর তার গায়ে ময়লা দিলে তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি আসলে 'থিয়েটারওয়ালা'। থিয়েটারই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান এবং তিনি “থিয়েটার বেচে’ খান। এই থিয়েটারচর্চাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করার মধ্যেই প্রচ্ছন্ন আছে বেণীমাধব তথা তাঁর মতো সংস্কৃতিকর্মীদের আত্মসংকট। একদিকে তাঁর মতো শিল্পীস্বভাব মধ্যবিত্ত অত্যন্ত আত্মসচেতন, স্বাতন্ত্র্যপ্রিয়, স্বাধীনচেতা ও আত্মগৌরবী। কিন্তু পেশাগত কারণে দাসত্ব করতে হয় বলে একধরনের হীনমন্যতাও তাঁদের পীড়িত করে। এই সংলাপে সেই গৌরববোধ ও আত্মগ্লানি যুগপৎ প্রতিধ্বনিত। তবে আরো তাৎপর্যপূর্ণ যেটি, তা হল, বেণীমাধবের এই আত্মগ্লানি ও স্বাতন্ত্র্যবাসনা শেষপর্যন্ত ব্যক্তিগত বৃত্তকে অতিক্রম করে জাতীয়স্তরে উত্তীর্ণ হতে পেরেছে।


নাটকের সূচনাদৃশ্যেই বেণীমাধবকে দেখি মদ্যপ অবস্থায় নাটকের বিজ্ঞাপন লাগানোর কাজে তদারকি করতে। অর্থাৎ তিনি শুধু নট ও নির্দেশক নন, নাটকের প্রচার ও ব্যবসায়িক দিকটিরও তত্ত্বাবধায়ক। মেথর মথুরের সঙ্গে মদ্যপ বেণীমাধবের কথোপকথনে তার নাট্যপ্রতিভার জন্য গৌরববোধ, অসাধারণ আবৃত্তি ও সংলাপ উচ্চারণক্ষমতা, জীবনের পূর্ব-ইতিহাস, এমনকি আত্মগ্লানিটিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মথুরকে বেণীমাধব জানান যে, ইন্ডিয়ান মিরার পত্রিকা তাঁকে 'বাংলার গ্যারিক' অভিধায় সম্মানিত করেছে। মথুর তাঁর এই নকল দাড়িগোঁফ লাগিয়ে জরিদার পোষাক পরে রাজা-উজির সাজাকে অর্থহীন 'ছেলেমানুষী' বা ‘ধাপ্পা’ বলে ভর্ৎসনা করলেও সে সমালোচনা বেণীমাধবকে তেমন আলোড়িত করতে পারে না। বরং বেণীমাধব আত্মপ্রতিভার গৌরব ঘোষণাতেই ব্যস্ত হয়—“আমার নিমচাঁদ তো দেখেন নি। গিরিশ ঘোষের সাধ্য আছে অমন নিমচাঁদ করে?” এই সঙ্গেই একদিকে গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অস্তিত্বরক্ষার সংকট এবং স্থূলরুচি অশিক্ষিত ধনী মুৎসুদ্দি বীরকৃষ্ণ দাঁর অধীনতা স্বীকার করে নাট্যপ্রতিভা বিকাশের আত্মগ্লানি প্রকাশ পায় বেণীমাধবের সংলাপে। জানা যায়, গ্রেট বেঙ্গল অপেরার প্রধান অভিনেত্রী মানদাসুন্দরীকে ভাঙিয়ে নিয়ে গেছে গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটার, যে মানদাসুন্দরী বেণীমাধবের হাতেই অভিনয় শিক্ষা লাভ করেছেন। আর অসামান্য অভিনয় প্রতিভা সত্ত্বেও বেণীমাধবকে অনুগত থাকতে হয় স্বত্বাধিকারী বীরকৃষ্ণ দাঁর, এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ ও আত্মগ্লানিটিও গোপন থাকে না— “ব্যাটার ক অক্ষর গোমাংস....., সে শলা হলো স্বত্বাধিকারী। আর আমি বাংলার গ্যারিক, ঐ বেনে মুৎসুদ্দির সামনে আমাকে গলবস্ত্র হয়ে থাকতে হয়।”


দ্বিতীয় দৃশ্যে প্রত্যক্ষভাবে বেণীমাধবকে আমরা দেখি নাট্যনির্দেশকের ভূমিকায়। অতিরিক্ত মদ্যপান, অধিক বেলা পর্যন্ত নিদ্রার অভ্যাস ইত্যাদি তাঁর মধ্যবিত্ত স্বভাবটিকে চিহ্নিত করে। তবে তাঁর নাট্যপ্রতিভা ও অভিনেতা-অভিনেত্রী সৃষ্টির অসামান্য ক্ষমতাটি স্পষ্ট হয় নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্যে। তরকারিওয়ালী ময়নার গান শুনেই তার মধ্যে অভিনেত্রীর সম্ভাবনা লক্ষ্য করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দৃশ্যে সেই ময়নাকে নিয়ে শুরু করেছেন অভিনয়শিক্ষার কঠিন সাধনা। অমার্জিতস্বভাব, উচ্চারণদোষযুক্ত ময়নাকে তিনি গড়ে তুলেছেন তিলোত্তমারূপে। দলের প্রত্যেকে যখন এই অমার্জিত মেয়েটির ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ, তখন বেণীমাধবের মধ্যে আমরা দেখি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী ও দন্তী এক ব্যক্তিত্বকে—“বেণীমাধব চাটুজ্যে পাথরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করতে পারে, কাষ্ঠপুত্তলির চক্ষু উন্মীলন করে দিতে পারে, গাধা পিটিয়ে ঘোড়া বানাতে পারে।” নিজেকে বিশ্বশিল্পী ব্রহ্মা বা দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার সঙ্গে উপমিত করে তিনি বলেন—“আমি স্রষ্টা। আমি তাল তাল মাটি দিয়ে জীবন্ত প্রতিমা গড়ি। আমি একদিক থেকে ব্রহ্মার সমান। আমি দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা।” শুধু শূন্যগর্ভ অহঙ্কারী ঘোষণা নয়, বেণীমাধব তাঁর এই অহঙ্কারকে প্রমাণ করেছেন ময়নাকে অসামান্য সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী হিসবে গড়ে তুলে।


কিন্তু বেণীমাধবকে প্রথম থেকেই অনেকগুলি প্রতিবন্ধকতার মধ্যে নাট্যচর্চা করতে হয়। এই প্রতিবন্ধকতাগুলিও তার আত্মগ্লানির কিছুটা কারণ। প্রথমত, তার নাট্যচর্চাকে সম্পূর্ণ ‘ছেলেমানুষী’ ও ‘ধাপ্পা' বলে বাতিল করে দেয় কলকাতার চিৎপুর অঞ্চলের মেথর মথুর। সে নিজের পরিচয়ে বলে—“আমি কলকাতার তলায় থাকি"। মথুরের কাছে বেণীমাধবের নাট্যচর্চা মূল্যহীন, কেননা এই নাটকের সঙ্গে তাদের মতো নিম্নবর্গের মানুষের জীবনের কোনো ক্ষীণ সংযোগও নেই। আবার পাশ্চাত্যশিক্ষা-প্রভাবিত জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্দীপ্ত উন্নত সাংস্কৃতিক চেতনার অধিকারী প্রিয়নাথও বেণীমাধবের নাট্যচর্চার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। প্রিয়নাথ মনে করে, বাস্তব আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করে ‘ময়ূরবাহন'-এর মতো নাটকের মধ্য দিয়ে এক অলীক স্বর্গ রচনা করতে চাইছে। সমগ্র দেশ যখন বিদেশি শক্তির পদানত, যখন দেশের কৃষিঅর্থনীতি ও কুটিরশিল্প সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত, ইংরেজ তার নিজ দেশে এ দেশের খাদ্যশস্য পাচার করার ফলে দেশ যখন দুর্ভিক্ষকবলিত, তখন ইংরেজের স্বরূপ প্রকাশক ও জাতীয়তার মন্ত্র উচ্চারণকারী কোনো উদ্দীপক নাটক না মঞ্চস্থ করে এই রোমান্টিক প্রেমাখ্যান মঞ্চস্থ করার মধ্যে একধনের মেরুদণ্ডহীনতা ও পলায়নীবৃত্তিই লক্ষ করেন প্রিয়নাথ। প্রাথমিকভাবে বেণীমাধব এই দুই সমালোচনার বিরুদ্ধে একটা কৈফিয়ৎ তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়। কেননা বীরকৃষ্ণ দাঁর কর্তৃত্বাধীনে থেকে দেশপ্রেমমূলক বা সমাজ-সমালোচনামূলক নাটক করা অসম্ভব। কিছুটা আত্মবিক্রয় করেই বেণীমাধব বীরকৃষ্ণের কথামতো নাটক মঞ্চস্থ করেন এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করেন। কিন্তু এজন্য এক তীব্র গ্লানি তাঁকে প্রতিমুহূর্তে ক্ষতবিক্ষত করে।


দ্বিতীয়ত, সমাজের রক্ষণশীল অংশ পতিতাপল্লীর মহিলাদের নিয়ে নাট্যচর্চাকে সমাজরুচির পক্ষে ক্ষতিকারক বলে মনে করেন। নাটকের বাচস্পতি এই রক্ষণশীল সমাজের প্রতিনিধি। তাঁরা প্রয়োজনে মানুষকে উত্তেজিত করে নাট্যচর্চার মহলাগৃহ আক্রমণ করেন। এদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নেই জেনে বেণীমাধব আক্রমণ হলে তাৎক্ষণিকভাবে মহলাগৃহের নকল ঢাল-তলোয়াল নিয়েই সেই আক্রমণ প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করেন। এই রক্ষণশীল সমাজকে আবার প্ররোচিত করে ‘ভারতসংস্কারক’-এর মতো কিছু সংবাদপত্র। ‘ভারতসংস্কারক’ ও বাচস্পতির যৌথ আক্রমণ ও কুৎসাপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল ও মুক্তিচেতনার প্রকাশ বেণীমাধবের কাছে প্রায় অসম্ভব। এই প্রতিকূলতাও তাঁর নাট্যসাধনাকে অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি করে। কিন্তু এই বিরুদ্ধতা থেকে মুক্তির কোনো পথ বেণীমাধবের জানা নেই। পুলিশকে খবর দিলেও নাকি পুলিশ নাট্যকর্মী ও পতিতাপল্লী থেকে আগত অভিনেত্রীদেরই টানাটানি করে। তাই প্রতিবাদের পরিবর্তে তাৎক্ষণিকভাবে আক্রমণ প্রতিরোধ করেই অবস্থা সামাল দেন বেণী। এই উপায়হীন ক্ষোভও তাঁকে আত্মগ্লানিতে দগ্ধ করে।


বেণীমাধবের প্রধান আত্মগ্লানি মূর্খ থিয়েটার-মালিকের অধীনতা। গ্রেট বেঙ্গল অপেরার স্বত্বাধিকারী বীরকৃষ্ণ দাঁ। তিনি শিক্ষা-সংস্কৃতিহীন স্থূলবুচি ব্যবসায়ী মানুষ। ইংরেজের ব্যবসার সহকারী হিসাবে উচ্ছিষ্ট ভোগ করে, কমিশন ও চোটার ব্যবসা করে তিনি প্রচুর অর্থের মালিক। তাঁর দু'হাতে দশটি হীরের আঙটি। নিজ অর্থকৌলীন্য নির্লজ্জভাবে ঘোষণা করে তিনি আত্মতৃপ্ত হন। সেই বীরকৃষ্ণ দাঁ সমাজে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং মুনাফার অন্যতর সন্ধানে থিয়েটারের স্বত্ব ক্রয় করেছেন। ফলে বেণীমাধবকে বীরকৃষ্ণের অযৌক্তিক দাবি ও অবাঞ্ছিত আদেশ পালন করে চলতে হয়। 'সধবার একাদশী' তাঁর কাছে অশ্লীল নাটক। আবার ‘পলাশীর যুদ্ধ’ বা ‘তিতুমীর' নাটকও ব্রিটিশ-বিরোধিতার জন্য তিনি করতে দিতে চান না। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী না চললে বা মুনাফার ঘাটতি হলে তিনি বারবার থিয়েটার বন্ধ করে দেবার হুমকি দেন। এই দাসত্ব ও অধীনতার জন্য আত্মগ্লানি অনুভব করেন বেণীমাধর। উদ্ধৃত সংলাপটিতে এই রুচিহীন মুৎসুদ্দির দাসত্বের প্রতি ক্ষোভ ও গ্লানিই উচ্চারিত।


কিন্তু ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকের নাট্যকার এই সংলাপটির মধ্য দিয়ে সম্ভবত বেণীমাধব চরিত্রের ভবিষ্যৎ বিবর্তন প্রবণতাটিকেও চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। কেননা ময়নার সতীত্বের বিনিময়ে বীরকৃষ্ণের দাসত্ব থেকে মুক্তির সুযোগ পেয়ে এবং নিজেদের থিয়েটারগৃহ লাভ করার পরেও বীরকৃষ্ণ ‘তিতুমীর' অভিনয়ে বাধা সৃষ্টি করেন। বীরকৃষ্ণ রাজদ্রোহের অপরাধে গ্রেট ন্যাশনাল নাট্যদলের অভিনেতা ও নির্দেশকের গ্রেপ্তার হবার সংবাদ দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চান রাজনৈতিক দাসত্বের অনিবার্য পরিণাম। ফলে শেষপর্যন্ত বাস্তব থেকে মুখ ফিরিয়ে অস্তিত্বরক্ষার যে কৌশল বেণীমাধব গ্রহণ করেছিল, তার অসম্ভবতা স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর কাছে এবং প্রিয়নাথের প্রস্তাবের যাথার্থ্যও প্রমাণ হয়ে যায়। অর্থাৎ বেণীমাধবের মধ্যে যে আত্মগ্লানির তীব্রতা ও দাসত্ব মুক্তির বাসনাটি বীরকৃষ্ণের বিরুদ্ধতা হিসাবে দেখা দিয়েছিল, সেটি রাজশক্তির বিরুদ্ধে আপোসহীন বিদ্রোহ ঘোষণায় ও জাতীয় মুক্তিচেতনায় গিয়ে উত্তীর্ণ হয়। উদ্ধৃত সংলাপটির মধ্যে এই চরিত্রের বিবর্তনের বীজ ও মুক্তিবাসনার পথসন্ধানটির সংকেত প্রচ্ছন্ন থাকাতেই বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্য লাভ করেছে। নাটকের শেষদৃশ্যে বেণীমাধব চরিত্র যে ‘সধবার একাদশী’ অভিনয় করতে করতে অকস্মাৎ ‘তিতুমীর’ নাটকের সংলাপ উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে দেশীয় মুৎসুদ্দিশ্রেণি ও ইংরেজ রাজপুরুষদের বিরুদ্ধে যুগপৎ ঘৃণা ও বিদ্রোহ ঘোষণা করে, সেটি আসলে বেণীমাধবের আত্মিক তথা মানসিক সংকটজাল কাটিয়ে উঠে যাবতীয় অধীনতার বিরুদ্ধে শিল্পীসত্তার ও মানবসত্তার দ্বিধাহীন বিদ্রোহেরই দ্যোতক। আর এই অন্তিম দৃশ্যের সম্ভবনাই নিহিত আছে প্রথম দৃশ্যে উচ্চারিত এই সংলাপে।