বাংলা কথা সাহিত্যে প্রেমেন্দ্র মিত্রের অবদান ও কৃতিত্ব | বাংলা কথা সাহিত্যে প্রেমেন্দ্র মিত্রের প্রতিভা ও ভূমিকা

বাংলা কথা সাহিত্যে প্রেমেন্দ্র মিত্রের অবদান ও স্থান


প্রথম মহাযুদ্ধের পরে বাংলা সাহিত্যে কল্লোল কালি কলমকে কেন্দ্র করে যে নতুন আধুনিক যুগের সৃষ্টি হয়েছিল তার শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। 'কল্লোলযুগ’ গ্রন্থে অচিন্ত্যকুমার তার সহপাঠী, সহযোগী, বন্ধু সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন। তারা ছিলেন কল্লোল পত্রিকার প্রধান লেখক। কল্লোল পত্রিকার আগে ভারতী, সবুজপত্র অসামান্য পত্রিকা হলেও কল্লোলই ছিল একদিক দিয়ে অতুলনীয় এবং অসাধারণ। অতি উৎকৃষ্ট রচনা সংগ্রহ প্রকাশের কৃতিত্ব তার নয়। তার কৃতিত্ব নতুন লেখক সংগ্রহে এবং তাদের মধ্যে নতুন নতুন প্রেরণা সঞ্চারে। এই পত্রিকার লেখকরা নিজেদের স্বাতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত। শৈলজানন্দ, গোকুল নাগ, অচিন্ত্যকুমার, বুদ্ধদেব বসু, কাজী নজরুল, অজিত দত্ত কিংবা মনীশ ঘটক এদের উৎসাহ দিয়ে সাহিত্য সৃষ্টি করানোর মধ্যেই তার স্বাতন্ত্র্য।


বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই আধুনিক মানুষ জীবনের জটিলতার উত্তর খোঁজা শুরু করেছিল। সেই জটিল জীবন ছিল দুর্ত্তেয়, দুর্বোধ্য। সাম্রাজ্যবাদী শাসন এবং শোষণ। পরাধীন দেশের অনেক যন্ত্রণা। অর্থনৈতিক উন্নয়ন শ্লথ। প্রশাসন চিন্তায় বিদেশী শাসক ব্যাকুল। স্বদেশী আন্দোলনে প্রবল জোয়ার। প্রথম থেকেই নানা জটিলতা। এই আন্দোলনের মধ্যেই প্রেমেন্দ্র মিত্রের জন্ম। তাঁর আদিবাড়ি হুগলি জেলার কোন্নগরে এক অভিজাত পরিবারে।


প্রেমেন্দ্র মিত্রের অভিজ্ঞতা বিচিত্র। ঢাকায় বসবাস, কলকাতায় চক্রবেড়িয়া স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক, কালি কলম পত্রিকার প্রথম অন্যতম সম্পাদক, কলকাতার কাছেই রাজগঞ্জে টালিখোলার ব্যবসা, ঝাঝাতে বাস, কাশীর অভিজ্ঞতা, জাতীয়তাবাদী দৈনিক পত্রিকা ‘বাংলার কথা’র সহকারী সম্পাদক, (বাংলার কথা-র পরবর্তী নাম ‘বঙ্গবাণী’), ‘বেঙ্গল ইমিউনিটি’ বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রচার সচিব, বঙ্গশ্রী পত্রিকায় কিছুকাল কাজ, বেঙ্গল ইমিউনিটি উদ্যোগে প্রকাশিত ‘নবশক্তি’ পত্রিকার সম্পাদনা, ‘রংমশাল' পত্রিকায় কিছুকাল সম্পাদনা, চলচ্চিত্রের অভিজ্ঞতা, আকাশবাণী কলকাতার অনুষ্ঠান-প্রযোজক হিসেবে অভিজ্ঞতা প্রভৃতি কাজে প্রেমেন্দ্র মিত্র নিজের নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন।


সহসা তার কল্পনার জগত খুলে গেল। তিনি রাত জেগে একেবারে দুটি গল্প লিখে ফেললেন। গল্প দুটির নাম ‘শুধু কেরানী’ এবং ‘গোপনচারিণী’। ১৯২৪ এর মার্চ এবং এপ্রিলে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটাই প্রেমেন্দ্র মিত্রের প্রথম গল্প লেখা প্রবাসীর মতো পত্রিকায় কোন তরুণ লেখকের প্রথম রচনা প্রকাশিত হওয়া সৌভাগ্যের কথা। সঙ্গে সঙ্গে কল্লোল পত্রিকায় তার সপ্রশংস সমালোচনা প্রকাশিত হল। স্বাভাবিকভাবেই প্রেমেন্দ্র আকৃষ্ট এবং যুক্ত হয়ে গেলেন 'কল্লোলের’ সঙ্গে।


কল্লোলের পাশাপাশি তখন চলছে প্রথম শ্রমজীবী মানুষদের পত্রিকা ‘সংহতি’। কল্লোলের সঙ্গে একই সময় ১৩৩০-এর বৈশাখ মাসে এই পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছে। তারপর প্রেমেন্দ্র মিত্র অনেক গল্প লিখেছেন। তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা মোট ২৮টি। পঞ্চশর, বেনামী-বন্দর, পুতুল ও প্রতিমা, মৃত্তিকা, অফুরন্ত, মহানগর, নিশীথ নগরী, ধূলিধূসর, সামনে চড়াই, সপ্তপদী, সংসার সীমান্তে, অষ্টপ্রহর প্রভৃতি।


বাংলা সাহিত্যে তার নানা পরিচয় – কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক এবং চিত্রপরিচালক। সব ক্ষেত্রেই তার যথেষ্ট খ্যাতি। আমাদের আলোচ্য গল্পকার হিসেবে। তিনি কল্লোল যুগের প্রতিনিধি হিসেবে খ্যাত। কল্লোলের যুগযন্ত্রণা, দুঃখবাদ, হতাশা নৈরাশ্য, জীবনের সমস্ত গ্লানিবোধ ও বিকৃতি সম্পর্কে তীব্র সচেতনতা প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাহিত্যে প্রকাশিত হলেও তাঁর সাহিত্যে নৈরাশ্যবাদী মনোবৃত্তিই শেষ সত্য হয়ে ওঠেনি। কেন লেখেন? তার উত্তরে তিনি বলেছেন, 'লেখাটা শুধু অবসর বিনোদন নয়। মানসিক বিলাস নয়। সামনে ও পেছনের এই দুর্ভেদ্য অন্ধকারে দুর্জেয় পণ্যময় জীবনের কথা জীবনের ভাষায় বলার বিরাট বিপুল এক দায়। যাদের কথা কেউ শোনে না, যাদের জীবনের চোখ ধাঁধানোর ছড়াছড়ি নেই, তাদের কথাই তিনি সহানুভূতির সঙ্গে চিত্রিত করেছেন। জীবনে যে কত প্রকারের দুঃখ আছে, কুৎসিৎ দৈন্য আছে, কত অপমান আর বীভৎস বিকার আছে তার ইয়ত্তা নেই। প্রেমেন্দ্র মিত্র সেই জীবনের অভিজ্ঞতায় শিউরে উঠেছেন, বিচলিত হয়েছেন, অস্থির হয়ে উঠেছেন। হুইটম্যানের দ্বারা প্রভাবিত, লেনিনের চিন্তায় বিচলিত, নিপীড়িত অসমান মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল প্রেমেন্দ্র মিত্র সেজন্য বলতে পারেন, “আমি কবি যত কামারের আর কাঁসারির আর ছুঁতোরের।” শ্রমজীবী এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের বাস্তবতাকে নিয়ে তিনিই প্রথম উপন্যাস রচনা করেন। সেখানে বঞ্চিত অসহায় মানুষের প্রতি সমবেদনা এবং বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ প্রাধান্য লাভ করেছে। তার গল্প যথার্থই জীবন ও মাটির স্পর্শ লাভ করেছে।


প্রেমেন্দ্র মিত্র কবি, প্রেমেন্দ্র মিত্র গল্পলেখক। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর গল্পে আবেগ আছে প্রচুর। এই আবেগের মধ্যে বড় কথা তার দরদ। তিনি মানবদরদী। নানা আঘাত সংঘাতে বিচলিত মানুষের প্রতি তাঁর অসীম দরদ। এই দরদের মধ্যেই প্রেমেন্দ্র মিত্রের জীবন সম্বন্ধে একটা পৃথক দৃষ্টিভঙ্গি বা এ্যাটিটিউডের পরিচয় পাওয়া যায়। সেখানে আছে একটা তির্যক দৃষ্টিভঙ্গি, কঠিন নিস্পলক চোখে তাকিয়ে থাকা, – তার সহানুভূতি উচ্চকণ্ঠ নয়। তার চেয়ে থাকার মধ্যে একটা হিমশীতল নিমেষহীনতা আছে। যা সকলে দেখতে পায় তিনি তা অবশ্যই দেখতে পেতেন। কিন্তু তিনি পৌঁছে যেতেন সেখানে যেখানে সময়ের হাতে জ্বলে যাবার পরেও ভষ্মশেষ অস্তিত্বের ক্রন্দিত স্বর কম্পমান। প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্পগুলিতে একটা চাপা টেনশন অনুভব করা যায়। এই টেনশনকে ঠিক পর্যায়ে নিতে গিয়ে তিনি তাকে একটি নিজস্ব নিয়ম শৃঙ্খলায় বেঁধে ফেলেন। তার মধ্যেই মনে হয় যে জীবনটা বাইরে স্থির মনে হলেও তার ভিতরে একটি অস্থিরতা বিরাজমান।


প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাহিত্যে স্ববিরোধ এবং যুগ যন্ত্রণাজাত বিভ্রান্তিও আছে। কখনো কখনো তার মধ্যে দেখা যায় প্রগাঢ় জীবনাসক্তি, পূর্ণতর সৌন্দর্যপিপাসা, আবার কখনো কখনো সব প্রসন্নতাকে ছাপিয়ে ভেসে ওঠে কদর্য নিষ্ঠুরতা, বীভৎস নির্মমতা। এই স্ববিরোধিতা আসলে তৎকালীন যুগযন্ত্রণারই ফসল। তাঁর এক চোখে অশ্রু, অন্য চোখে জ্বালা আর তৃতীয় নয়নে আছে সুন্দরের ধ্যানমূর্তি।


প্রেমেন্দ্র মিত্রের প্রথম দিকের গল্পগুলি মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের অবলম্বনেই রচিত। ঘটনাগুলিও খুবই সাধারণ এবং পরিচিত। পিতা স্বার্থান্ধ না হয়ে নিজ পুত্রের চেয়েও প্রতিবেশী সৎ-পুত্রের জীবনকামনা করেন (পুন্নাম)। গতানুগতিকতার চাপে দারিদ্র্যের কষাঘাতে সকল আদর্শ লুপ্ত হয়ে যায় (ভবিষ্যতের ভার) উচ্ছৃঙ্খলতার কাছে জীবনের করুণতম আবেদনও ব্যর্থ হয় (জীবন যৌবন)। ভালোবাসার জন্য জীবনের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করার মধ্যে একটা আত্মত্যাগ আছে, তেমনি আছে নারীর প্রতি একটা কৃপা, বর্তমানে নারী সেই কৃপা চায় না (বৃষ্টি), অভ্যাস বা কুসংস্কারের কাছে যৌবনের সব স্বপ্ন একদিন ধূলিসাৎ হয়ে যায় (অমোঘ), পতিত জীবনকে দূর থেকে অবজ্ঞেয় মনে হলেও তারা অনেক সময়েই অবজ্ঞার পাত্রী নয় (বিকৃত ক্ষুধার ফাদে) এর মধ্যে আছে নিরুপায় বীভৎসার এক সংযত চিত্র; দুর্বোধ্য জীবন, তার চেয়েও দুর্বোধ্য জটিল মানুষের মন (মৃত্তিকা, এবং পরাভব)। ১৯২৩ এবং ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে শুধু কেরানী, গোপনচারিণী ছোটগল্প এবং পাঁক উপন্যাস নিয়ে প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রথম মহাযুদ্ধের পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে গুঢ়তর বাস্তবতা অন্বেষণের স্পৃহা ও তৎপরতার একটি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন।” (বাংলায় গল্প ও ছোটগল্প ড. সরোজমোহন মিত্র)


প্রেমেন্দ্র মিত্র গভীরতর জীবনশিল্পী। ছোটগল্পের সীমিত আয়তনের মধ্যে কোন জীবনের পরিপূর্ণ রূপায়ণ সম্ভব নয়। প্রেমেন্দ্র মিত্র সেই সম্পর্কে সচেতন। তাই তাঁর সৃষ্ট জীবনাংশের মধ্যে মূর্ত হয়েছে বিন্দুর মধ্যে সিন্ধুর স্বাদ। ছোটগল্পের আকার বিন্দুর মধ্যে মধ্যেই সীমাবদ্ধ কিন্তু তার ব্যঞ্জনা বিন্দুর মধ্যেই আবদ্ধ নয়। সেখানে আছে জীবনের গভীর স্পন্দন। বুদ্ধি দিয়ে তাকে জানতে হয় এবং হৃদয় দিয়ে তা উপলব্ধি করতে হয়।


ছোটগল্পের শুরুও নেই, শেষও নেই। আছে পরিবর্তন সমন্বিত (transitional) একটি ছোট্ট কাহিনী। সেই কাহিনীর পূর্বেও কাহিনী আছে এবং তার সমাপ্তির পরেও সমাপ্তি আছে। ছোটগল্প চটুল নারীর মত চটকে চমকে চোখ ধাঁধায়, মন ভোলায়, মোহ সৃষ্টি করে, জিজ্ঞাসা আনে কিন্তু স্থায়ী হয় না। অপ্রত্যাশিত তার আগমন এবং অপ্রত্যাশিত তার পলায়ন। প্রেমেন্দ্র মিত্রের গল্পগুলির রূপায়ণ প্রায় এক ধরনের। নাটকীয় ঔৎসুক্য নিয়ে তার আরম্ভ, নাটকীয় তার গল্পাংশ এবং যবনিকাও নাটকীয় বিস্ময়ের সৃষ্টি করে।


তিনি নিজেই বলেছেন, “...সব গল্পেরই আরম্ভ মাঝখানে থেকে, খেয়াল মত জোর করে হঠাৎ আরম্ভ। গল্প আমরা শুনতে চাই গোড়া থেকে। কিন্তু কোথায় গোড়া, কোথায় গল্পের সে রহস্যময় মূল অন্ধকার, মাটির রহস্যময় গর্তে? কে সেখান থেকে তাকে তুলে আনতে পারে কে তার শাখা প্রশাখা, সহস্র বাহুর সন্ধান রাখে?


গল্পের আরম্ভ যেমন জীবনের এক ঘাট থেকে তেমনি গল্পের শেষ জীবনের অন্য ঘাটে। জীবনের এই খণ্ড মুহূর্তের বিদ্যুদীপ্তিতে অসীম রহস্যের ইঙ্গিত উদ্ভাসনই প্রেমেন্দ্র মিত্রের রূপ কল্পনার বৈশিষ্ট্য।


বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের পরেই যদি সার্থক কোন ছোটগল্পকারের নাম করতে হয়। তাহলে তিনি প্রেমেন্দ্র মিত্র। তাঁর এই অনন্য সাধারণতা বিষয়বস্তু নির্বাচনে এবং আঙ্গিক সচেতনতায়। বেনামী বন্দর, পুতুল প্রতিমার কয়েকটি গল্পে তার আঙ্গিক শিথিলতা দেখা গেলেও অধিকাংশ গল্পেই তার গল্প নির্মাণ কৌশল বিস্ময়কর। 'শুধু কেরানী' গল্প প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেমেন্দ্র মিত্রের মধ্যে সকলে অনুভব করল ভাবীদিনের সার্থকতা, বাংলা ছোটগল্পে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। শরৎচন্দ্র বিষয়বস্তুর দিক থেকে রবীন্দ্রনাথকে অতিক্রম করে যে বঞ্চিত, অসহায়, নিপীড়িত মানুষের জীবন আশ্রয় করলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র যেন আঙ্গিক কুশলতায় তারই পূর্ণতা সাধন করলেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ। অনুভূতি তীক্ষ্ণ। চিত্ত স্পর্শকাতর। প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোট গল্পের প্রাণ সুর ধর্মিতা। অতি তুচ্ছ এবং সাধারণ ঘটনাকে অবলম্বন করে গল্পশেষে তিনি হঠাৎ যেন জীবনের সকল রহস্য, সকল সত্যের আবরণী উম্মোচন করে দেন। পান্থশালা, একটি কড়া টোস্ট, পুন্নাম, বিকৃত ক্ষুধার ফাদে প্রভৃতি গল্প এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। এখানে মপাসাঁর আঙ্গিক স্মরণে না এসে পারে না।


বস্তুত প্রেমেন্দ্র মিত্রের গল্পগুলির মধ্যে এমন একটি ভাবসত্য আছে, যা কেবল মাত্র সাময়িকের নয়, যা চিরন্তনী। সেজন্য প্রেমেন্দ্র মিত্রের গল্পগুলির আবেদনও সুদূর প্রসারী। (দ্রঃ বাংলায় গল্প ও ছোটগল্প ড. সরোজ মোহন মিত্র) (গ্রন্থঋণ—রবীন্দ্রোত্তর ছোটগল্প সমীক্ষা— সরোজমোহন মিত্র)।