বাড়ির কাছে আরশীনগর MCQ (একাদশ শ্রেণি)
বাড়ির কাছে আরশীনগর
আরশিনগরকে বেষ্টন করে থাকা অগাধ পানি আসলে কী?
লালন ফকির রচিত বাড়ির কাছে আরশীনগর’ নামক কবিতা বা বাউল গানে আরশিনগরকে বেষ্টন করে থাকা অগাধ পানি বলতে আসলে মানুষের বিষয়ভাবনা ও সাংসারিক আসক্তির কথা বলা হয়েছে।
লালন তাঁর গানে পড়শী বলেছেন কাকে?
পড়শী শব্দটি 'প্রতিবেশী শব্দের কথ্য রূপ। লালন ফকির রচিত বাড়ির কাছে আরশীনগর’ কবিতায় লালন পড়শী বলতে অন্তরাত্মাকে বুঝিয়েছেন। যাকে ঈশ্বর কিংবা বাউলদের ভাষায় মনের মানুষ বলা যেতে পারে।
"ক্ষণেক থাকে শূন্যের উপর" -এই শূন্য আসলে কী?
লালন ফকির রচিত বাড়ির কাছে আরশীনগর’ নামক কবিতার উচ্বৃতাংশে শূন্য হল বস্তুজগত-নিরপেক্ষ অবস্থা।
"পড়শী যদি আমায় ছুঁত"- এই ছোঁয়ার তাৎপর্য কী?
'পড়শী' অর্থাৎ মনের মানুষ যদি কবিকে ছুঁত বা কবির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটত তাহলে কবির যাবতীয় জীবন যন্ত্রণার অবসান ঘটত।
"যম-যাতনা সকল যেত দূরে”—তা সম্ভব হত কেমন করে?
কবির মতে যম-যাতনা অর্থাৎ জীবন-যন্ত্রণা দূর করা সম্ভব হত মনের মানুষের সঙ্গে সংযােগে। কারণ এই সংযােগ ঘটলেই প্রকৃত আত্মদর্শন তথা ঈশ্বরলাভ সম্ভব হত।
"আমার যম-যাতনা যেত দূরে”—যমযাতনা’ শব্দবন্ধটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
যম-যাতনা শব্দবন্ধটির দ্বারা কবি জীবনযন্ত্রণাকে বুঝিয়েছেন।
“সে আর লালন একখানে রয়"- এই সে কে?
প্রশ্নোষ্ধৃত অংশে ‘সে’ হল কবির আত্মদর্শন বা আত্মানুভূতি। একেই বাউল সাধকেরা 'মনের মানুষ বা ঈশ্বর বলতে চেয়েছেন।
তেলেনাপােতা আবিষ্কার MCQ (একাদশ শ্রেণি)
সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার MCQ (একাদশ শ্রেণি)
নীলধ্বজের প্রতি জনা MCQ (একাদশ শ্রেণি)
দ্বীপান্তরের বন্দিনী MCQ (একাদশ শ্রেণি)
বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে MCQ (একাদশ শ্রেণি)
'শিক্ষার সার্কাস' MCQ (একাদশ শ্রেণি)
"তবু লক্ষ যােজন ফাক রে”— 'এই লক্ষ যােজন ফাঁক’ এর অর্থ কী?
'এই লক্ষ যােজন ফাক’-এর অর্থ হল বিষয়বাসনার কারণে ঈশ্বর কিংবা মনের মানুষের সঙ্গে মিলনের সীমাবদ্ধতা।
পড়শিকে দেখতে কেমন?
কবির পড়শি দেখতে নিরাকার, তার হাত, পা, কাঁধ, মাথা কিছুই নেই।
লালন ফকির কে ছিলেন?
লালন ফকির মূলত একজন বাউল সাধক ছিলেন। ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি মানবাত্মার অনুসন্ধানের কথা বলে গেছেন।
কবি একদিনের জন্যও কাকে দেখতে পাননি?
কবি লালন ফকির তাঁর বাড়ির কাছে আরশীনগর’ কবিতায় আক্ষেপ করে বলেছেন একদিনের জন্যও তাঁর পড়শি মনের মানুষকে দেখতে পাননি।
কবি এই অগাধ পানি পার করতে পারছেন না কেন?
কবি এই অগাধ পানি পার করতে পারছেন না কারণ পার করার মাধ্যম ও পন্থা কবির জানা নেই।
বাউল সাধনার মূল তত্ত্ব কী?
বাউল সাধনার মূল তত্ত্ব হল জ্ঞানের পথ বা প্রাতিষ্ঠানিক সাধনার পথ ত্যাগ করে মনের সাধনায় আত্মদর্শনের মাধ্যমে ঈশ্বর লাভ করা।
কবির মনের মানুষের হাত-পা-মাথা নেই কেন?
কবির মনের মানুষের হাত-পা-মাথা নেই কারণ তিনি নিরাকার এবং অন্তরের অধিবাসী।
কবিতায় 'ক্ষণেক' শব্দটি ব্যবহারের তাৎপর্য কী?
কবিতায় 'ক্ষণেক' শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে বােঝানাে হয়েছে ঈশ্বরের বাস এক জায়গায় নয়, কখনও তার অবস্থান শূন্যের ওপর, আবার কখনও-বা নীরে।
শূন্যের উপর বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
লালন ফকির রচিত 'বাড়ির কাছে আরশীনগর’ নামক কবিতায় শূন্যের উপর বলতে কবি বস্তুজগত-নিরপেক্ষ এবং অনুভূতিনির্ভর অবস্থাকে বুঝিয়েছেন।
"আবার সে তার লালন একখানে রয়”—একখানে বলতে কোত্থানের কথা বলা হয়েছে?
একখানে বলতে কবি একই দেহাবয়ব বা শরীরের মধ্যে লালন এবং তার মনের মানুষের বাস করাকে বুঝিয়েছেন।
"ক্ষণেক ভাসে নীরে”-নীরে ভাসার কারণ কী?
লালন ফকির রচিত বাড়ির কাছে আরশীনগর’ নামক কবিতা বা বাউলগানে নীরে বা জলে ভাসার তাৎপর্য হল নিরাকার ঈশ্বরের কখনাে কখনাে বাস্তবজগতের বিষয়কে অবলম্বন করে আত্মপ্রকাশ ঘটা।
কাদের মধ্যে লক্ষ যােজন ফাঁক রয়েছে?
সহজিয়া সাধক বা বাউল কবি লালন ফকির ও তাঁর পরমাত্মা বা মনের মানুষের মধ্যে লক্ষ যােজন ফাক রয়েছে।
মনের মানুষের সঙ্গে লালনের কেন লক্ষযােজন ফাঁক রয়েছে?
সাধক লালন ও তার মনের মানুষ বা পরমাত্মার মধ্যে এই ফাক থাকার কারণ হল তার নিজের বিষয়বাসনা ও লােভ লালসা।
এই কবিতায় কবি তার কোন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন?
এই কবিতায় কবি লালন তার মনের মানুষকে দর্শন করতে চেয়েছেন যাতে তিনি পার্থিব দুঃখ যন্ত্রণার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেন।
"আমি কেমনে সে গাঁয় যাই রে।”- বক্তার যাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা কোথায়?
অগাধ পানি গ্রামকে বেষ্টন করে থাকায় এবং কোনাে নৌকাও পার হওয়ার জন্য না থাকায় বক্তা সে গ্রামে যেতে পারেননি।
লালনের মনের 'বাঞ্ছা' কী ছিল?
লালনের মনের বাঞ্ছা ছিল আরশীনগর-এ বাস করা তার পড়শিকে দেখা।
"আমি একদিনও না দেখিলাম তারে”—‘আমি’ ও তারে দুজন কে কে?
আমি এখানে কবি লালন ফকির আর তারে বলতে বােঝানাে হয়েছে আরশিনগরে বাস করা পড়শীকে।
"ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে।"-এ কথার অর্থ কী?
মন্তব্যটির প্রকৃত অর্থ হল 'অগাধ পানি' রূপ মানুষের যে বিষয়বাসনা তার কোনাে সীমা নেই এবং তাকে অতিক্রমের কোনাে তরণী বা অবলম্বন নেই।
"ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে।"- এখানে তরণী কথাটির আক্ষরিক ও রূপকার্থ কী কী?
তরণী কথাটির আক্ষরিক অর্থ নৌকা, কিন্তু এখানে তা বিষয়বাসনা থেকে মুক্ত হওয়ার অবলম্বন।
“বাড়ির কাছে আরশীনগর”—বাড়ি’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
বাড়ি বলতে এখানে দেহভাণ্ডকে বােঝানাে হয়েছে।
"ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে"- কিনারা না থাকার তাৎপর্য কী?
মানুষের যে সীমাহীন বিষয়বাসনা তাকে বােঝানাের জন্যই কিনারা না থাকার কথা বলা হয়েছে।
“আমি একদিন না দেখিলাম তারে"- বক্তা তারে একদিনও দেখতে পাননি কেন?
প্রথমত, বিষয়বাসনা এবং দ্বিতীয়ত, পড়শির স্বরূপ নিরাকার বলেই কবি তাকে দেখতে পাননি।
“গ্রাম বেড়িয়ে অগাধ পানি”—অর্থ বুঝিয়ে দাও।
গ্রাম কথাটি দেহভাণ্ড এবং অগাধ পানি বিষয়বাসনা অর্থে ব্যবহার করে কবি বলেছেন সীমাহীন বিষয়বাসনা দেহকে বেষ্টন করে আছে।
'পড়শী'র রূপ কেমন ছিল?
'পড়শী'র হস্ত-পদ-স্কন্ধ-মাথা নেই অর্থাৎ তিনি নিরাকার স্বরূপ।
"ও এক পড়শী বসত করে।"- এই পড়শী আসলে কে?
এই পড়শী হল বাউল সাধনার মনের মানুষ, যার সন্ধানে বাউল সাধকরা সাধনা করেন।
“আমি কেমনে সে গাঁয় যাই রে।"- এই গ্রামে গেলে বক্তার কী লাভ হত?
এই গ্রামে গেলে বক্তা তাঁর মনের 'মানুষ’বা ‘পড়শী’র সঙ্গে মিলতে পারতেন।
'পড়শী' যে 'শূন্য' এবং 'নীর’-এ থাকে তার অর্থ কী?
'পড়শী' নিরাকার, তাই তিনি 'শূন্য'-এ থাকেন, আবার কখনাে কখনাে বাস্তব জগতেও তাকে পাওয়া যায়—'নীর’ তার প্রতীক।