ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতি আলােচনা করাে | তুমি কি মনে কর যে ভারতের সংবিধান গঠনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয়, কিন্তু কার্যত এক-কেন্দ্রিক?

ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতি/ভারতের সংবিধান গঠনগত দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্ৰীয়, কার্যত এককেন্দ্রিক স্বপক্ষে যুক্তি

কাঠামােগত দিক থেকে ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্র অথচ সংবিধানের কোথাও ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র বলা হয়নি। বলা হয়েছে, রাজ্যসমূহের ইউনিয়ন (union of states)। ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, ভারত কি প্রকৃতই যুক্তরাষ্ট্র?


মূলত, তিন দিক থেকে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতি বিচার করা যায়- [1] ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত কিছু যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য, [2] ভারতের সংবিধানে অনুপস্থিত কোনাে কোনাে যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য, [3] ভারতীয় শাসনব্যবস্থার অন্তর্নিহিত প্রকৃতি।


[1] ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত কিছু যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য: সংবিধানে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র বলা না হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের মৌল বৈশিষ্ট্যগুলির অস্তিত্ব ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় দেখা যায়। যেমন―


  • দ্বৈত সরকার: যুক্তরাষ্ট্রের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলির সহাবস্থান লক্ষ করা যায় বর্তমানে ২৯টি অঙ্গরাজ্য এবং ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র গঠিত।


  • লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান: যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার চাহিদা অনুযায়ী ভারতে একটি লিখিত এবং আংশিক দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান রয়েছে।


  • ক্ষমতা বণ্টন: সংবিধানের সপ্তম তপশিলে তিনটি তালিকার কেন্দ্রীয়, রাজ্য ও যুগ্ম) মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলির মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।


  • সংবিধানের প্রাধান্য: সংবিধানকে দেশের সর্বোচ্চ মৌলিক আইনের মর্যাদা দিয়ে ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় সংবিধানের প্রাধান্য স্বীকৃত হয়েছে। সর্বস্তরের শাসন কর্তৃপক্ষকে সংবিধান মান্য করেই দায়দায়িত্ব সম্পাদন করতে হয়।


  • যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত: যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার রীতি অনুযায়ী ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের দায়িত্ব পালন করে। সংবিধানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকর্তা ও রক্ষাকর্তা এবং কেন্দ্র রাজ্য বিরােধের নিষ্পত্তিকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় এক উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করে।


  • দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা: যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার মতােই ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা (পার্লামেন্ট) দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, যার উচ্চকক্ষে (রাজ্যসভা) রাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা স্বীকৃত হয়েছে।


  • স্বতন্ত্র রাজস্বব্যবস্থা: সংবিধানে কেন্দ্র রাজ্য স্বতন্ত্র রাজস্বব্যবস্থা উল্লিখিত হয়েছে। ফলে কেন্দ্র বা রাজ্য কোনাে সরকারকে আর্থিক কারণে অন্য সরকারের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় না।


[2] ভারতের সংবিধানে অনুপস্থিত কয়েকটি যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য: যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি মৌল বৈশিষ্ট্য ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় নেই। সেজন্য অনেকে ভারতকে একটি পূর্ণাঙ্গ যুক্তরাষ্ট্র বলে অভিহিত করতে চাননি। এই বৈশিষ্ট্যগুলি হলㅡ


  • আংশিক দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান: ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণ দুষ্পরিবর্তনীয় নয়। পার্লামেন্ট সংবিধানের মূল কাঠামাে ছাড়া অন্য যে-কোনাে অংশের পরিবর্তন করতে সক্ষম।


  • আইনসভার উচ্চকক্ষে রাজ্যগুলির সমপ্রতিনিধিত্বের অস্বীকৃতি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতাে ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভার উচ্চকক্ষে অঙ্গরাজ্যগুলির সমান প্রতিনিধিত্ব স্বীকৃত হয়নি। জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিনিধিসংখ্যা নির্ধারিত হওয়ায় আইনসভার উচ্চকক্ষে বড়াে ও জনবহুল রাজ্যগুলির থেকে বেশি সংখ্যক এবং ছােটো ও অপেক্ষাকৃত কম জনসংখ্যাবিশিষ্ট রাজ্যগুলি থেকে কম সংখ্যক প্রতিনিধি প্রেরিত হয়।


  • সুপ্রিমকোর্টের সীমাবদ্ধতা: মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের মতাে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট আইনের যথাবিহিত পদ্ধতি (অর্থাৎ আইনের গুণাগুণ বিচার) অনুসারে বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারে না। তা ছাড়া পার্লামেন্ট ইচ্ছা করলে সংবিধান সংশােধনের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের রায়কে অকার্যকরী করতে সক্ষম।


  • রাজ্যগুলির আংশিক স্বাধিকার: ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে অঙ্গরাজ্যগুলির স্বাধিকার পুরােপুরি রক্ষিত হয়নি। পার্লামেন্ট আইন করে যে-কোনাে রাজ্যের নাম, সীমানা ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারে।


  • দ্বৈত নাগরিকত্বের অস্বীকৃতি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতাে ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলির অধিবাসীদের আলাদা কোনাে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্বের নীতি স্বীকৃত হয়নি।


  • রাজ্যগুলির স্বতন্ত্র সংবিধানের অনুপস্থিতি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সুইটজারল্যান্ডের মতাে ভারতে অঙ্গরাজ্যগুলির স্বতন্ত্র কোনাে সংবিধান নেই। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় শাসনব্যবস্থাই একটিমাত্র সংবিধানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।


  • স্বতন্ত্র রাজ্য বিচারব্যবস্থার অস্বীকৃতি: ভারতের বিচারব্যবস্থা এক ও অখণ্ড স্বতন্ত্র রাজ্য বিচারব্যবস্থা এখানে স্বীকৃত হয়নি।


[3] ভারতীয় শাসনব্যবস্থার অন্তর্নিহিত প্রকৃতি: ভারতীয় শাসনব্যবস্থার অন্তর্নিহিত প্রকৃতি পর্যালােচনা করলে কেন্দ্রিকতার প্রতি একটা প্রবল ঝোঁক লক্ষ করা যায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কেন্দ্রপ্রবণতা সুস্পষ্ট।


  • গঠন: গঠনগত দিক থেকে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করার যৌক্তিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, একত্রীকরণ বা বিভক্তিকরণ এই দুটি পদ্ধতির কোনােটির মাধ্যমেই ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়নি।


  • আইন: কেন্দ্রীয়-তালিকা, রাজ্য-তালিকা এবং যুগ্ম- তালিকা ক্ষমতা বন্টনের এই তিনটি তালিকার বাইরে অবশিষ্ট ক্ষমতাগুলি এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে অর্পণ করা হয়েছে। এ ছাড়া-


    • [a] যুগ্ম-তালিকাভুক্ত বিষয়গুলিতে রাজ্যের কোনাে আইন কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ হলে রাজ্যের আইনের অসংগতিপূর্ণ অংশ বাতিল বলে বিবেচিত হয়।


    • [b] রাজ্য-তালিকাভুক্ত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করার ব্যাপারে রাজ্যগুলির একক ক্ষমতা স্বীকৃত হলেও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইনসভা বা সংসদের রাজ্য-তালিকাভুক্ত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা রয়েছে।


    • [c] রাষ্ট্রপতি কোনাে রাজ্যে সাংবিধানিক অচলাবস্থা ঘােষণা করে সেই রাজ্যের আইনসভার ক্ষমতা সংসদের হাতে দিতে পারেন [৩৫৬নং ধারা]।


    • [d] রাজ্যপাল মনে করলে রাজ্য আইনসভায় গৃহীত কোনাে বিলকে জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য পাঠাতে পারেন। এ ছাড়া কেন্দ্রের নির্দেশে রাজ্যপাল বিলে স্বাক্ষর দিতে অসম্মতি জানিয়ে বা পুনর্বিবেচনার জন্য সেটিকে আইনসভার কাছে ফেরত পাঠিয়ে রাজ্য আইনসভার কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন৷


  • প্রশাসন


    • [a] ২৫৬ নং ধারা: সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে সংসদীয় আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে প্রশাসন পরিচালনা করতে হয়।


    • [b] ২৫৭(১) নং ধারা: সংবিধানে বলা হয়েছে যে রাজ্যগুলিকে এমনভাবে শাসনক্ষমতা প্রয়ােগ করতে হবে যাতে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা ব্যাহত না হয়ে পড়ে।


    • [c] ২৫৭ (২) ও (৩) নং ধারা: জাতীয় স্বার্থরক্ষার জন্য বা সামরিক কারণে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে যােগাযােগ ব্যবস্থা ও রাজ্যের অন্তর্গত রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দিতে পারে।


    • [d] ২৫৮(১) নং ধারা: সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের সম্মতিক্রমে রাষ্ট্রপতি শর্তসাপেক্ষে বা শর্তহীনভাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার বা রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ওপর বিশেষ কয়েকটি কাজের দায়িত্ব দিতে পারেন।


    • [e] ২৬২ নং ধারা: আন্তঃরাজ্য নদী এবং নদী উপত্যকাগুলিকে নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে বিরােধ বাধলে, কেন্দ্রীয় আইনসভা আইন প্রণয়ন করে তার নিষ্পত্তি করতে পারে।


    • [f] ২৬৩ নং ধারা: প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সহযােগিতার জন্য রাষ্ট্রপতি প্রয়ােজন মনে করলে আন্তঃরাজ্য পরিষদ গঠন করতে পারেন।


    • [g] ৩১২ নং ধারা: সংবিধান অনুসারে সমগ্র দেশের জন্য পদস্থ প্রশাসনিক কর্মচারী (IAS) এবং পদস্থ পুলিশ কর্মচারী (IPS) নিয়ােগের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির রয়েছে।


    • [h] ৩৫২ নং ধারা: সমগ্র দেশে বা দেশের কোনাে অংশে জরুরি অবস্থা জারি হলে, রাজ্যের যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী পরিচালিত হয়।


    • [i] ৩৫৬ নং ধারা: সংবিধানের ৩৫৬ নং ধারা অনুসারে কোনাে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ, যথাযথভাবে মেনে না চললে, রাষ্ট্রপতি শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা জারি করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শাসনভার সরাসরি নিজের হাতে অথবা রাজ্যপাল বা অন্য কোনাে শাসন কর্তৃপক্ষের হাতে দিতে পারেন।


    • [j] রাজ্যপালদের ওপর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ: রাষ্ট্রপতি রাজ্যগুলির প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে নিয়ােগ করেন। রাষ্ট্রপতির পরামর্শদাতা হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা রাজ্যপালের নিয়ােগ ও অপসারণের ব্যাপারে ক্ষমতা প্রয়ােগ করে।


  • আর্থিক বিষয়: আর্থিক বিষয়েও কেন্দ্রের প্রাধান্য দেখা যায়। যেমন一


    • [a] রাজ্য ও কেন্দ্রীয় তালিকা-বহির্ভূত বিষয় সংক্রান্ত ক্ষমতা: রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন দুটি পৃথক তালিকায় করা হলেও দুটি তালিকার বাইরে অবশিষ্ট ক্ষমতাগুলি কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত হয়েছে।


    • [b] অর্থ কমিশন নিয়ােগের ক্ষমতা: প্রতি পাঁচ বছর অন্তর কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি অর্থ কমিশন গঠন করেন। অর্থ কমিশন সম্পূর্ণরূপে একটি কেন্দ্রীয় কমিশন হওয়ায় এক্ষেত্রে কেন্দ্র পরােক্ষভাবে রাজ্যগুলিকে নিয়ন্ত্রণের সুযােগ পায়।


    • [c] আর্থিক জরুরি অবস্থায় রাজ্যের আর্থিক নীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা: সংবিধানের ৩৬০ নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘােষণা করে রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিকনীতি অনুসরণের নির্দেশ দেন।


    • [d] রাজ্যগুলির হিসাবনিকাশ পরীক্ষার ক্ষমতা: রাজ্য সরকারগুলির আয়ব্যয় ও লেনদেনের হিসাব পরীক্ষার জন্য অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল এবং কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেলকে রাষ্ট্রপতি নিয়ােগ করেন। এ ছাড়া কেন্দ্র কর্তৃক যােজনা কমিশন (Planning Commission) গঠন, ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামাের আর্থিক ক্ষেত্রে কেন্দ্ৰপ্রাধান্যের ইঙ্গিত দেয়।


উপসংহার: এই আলােচনা থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত শক্তিশালী এবং রাজ্যগুলির ক্ষমতা বিশেষভাবে সীমিত। এই কারণে অনেকে মনে করেন, ভারতের সংবিধান গঠনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কিন্তু কার্যত এককেন্দ্রিক। অধ্যাপক কে সি হােয়ার ভারতকে একটি আধা-যুক্তরাষ্ট্র (Quasi- Federal) বলে অভিহিত করেছেন। তবে বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতিকে সহযােগিতামূলক বা সমবায়িক যুক্তরাষ্ট্র বলে অভিহিত করাই সবচেয়ে বাস্তবসম্মত।


ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতার চরিত্র ব্যাখ্যা করাে। তুমি কি ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র' বলে মনে কর?  সংবিধানের মূল কাঠামাে (Basic Structure) কী?


ভারতের সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে সংবিধানের প্রাধান্য ব্যাখ্যা করাে। 'সংবিধানের প্রাধান্য' বলতে কী বোঝায় | ভারতীয় সংবিধানের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করাে।


এককেন্দ্রিক সরকার কাকে বলে? এককেন্দ্রিক সরকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশ্লেষণ করাে।


এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার গুণ-দোষ বা সুবিধা-অসুবিধাগুলি আলােচনা করাে।


যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলতে কী বােঝ? যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে।


যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার গুণ-দোষ বা সুবিধা-অসুবিধাগুলি আলােচনা করাে।


এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করাে।