Polytheism অর্থাৎ বহুত্ববাদ বা বহু দেবতাবাদ সম্পর্কে আলােচনা করাে।

সূচনা: Polytheism বা বহু দেবতাবাদ হল এমন একটি ধারণা যেখানে বহু ঐশ্বরিক শক্তির অস্তিত্ব অর্থাৎ একাধিক দেবদেবীর অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়।বহু দেবতাবাদ প্রথাগত ধর্মের আদিরূপ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বহু দেবতাবাদটি পেগানিজম (paganism) নামেও পরিচিত।


বহুত্ববাদ

[1] অর্থ: 'Polytheism' শব্দটি গ্রিক শব্দ 'Poly এবং 'Theos' থেকে গঠিত। 'Poly' শব্দের অর্থ হল বহু, Theos শব্দের অর্থ হল দেবতা। তাই polytheism শব্দের অর্থ হল বহু দেবতার পুজো। কেউ কেউ বলে থাকেন, বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট-এ বহু দেবতার উপাসনার উল্লেখ আছে।


[2] মুল বক্তব্য: Polytheism-এর মূল বক্তব্য হল জগতের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ঐশ্বরিক শক্তির অস্তিত্ব স্বীকার। এই মতে, বহু দেবদেবীদের মধ্যে একজন আছেন যিনি সমস্ত দেবদেবীকে শাসন করেন বা তাদের ওপরে অধিষ্ঠিত থাকেন। যেমন, গ্রিক দেবতাদের রাজা ছিলেন জিউস। প্রাচীন গ্রিক ও রােমান ধর্মতত্ত্বে জিউস, অ্যাপােলাে, আফ্রোদিতি প্রভৃতি দেবতার উপস্থিতি প্রাচীন ইউরােপের বহু দেবত্ববাদের সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ।


[3] সূচনাকাল: প্রাচীনত্ব এবং একাধিক ধর্মের উপস্থিতির কারণে এই মতবাদের সঠিক উদ্ভবকাল নির্ণয় করা যায়নি। তবে কোনাে কোনাে ঐতিহাসিকের অনুমান বহু ঈশ্বরবাদের উদ্ভব ঘটেছিল ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। বাইবেল অনুসরণে বলা হয় যে, পৃথিবী পাপে পরিপূর্ণ হওয়ায় ঈশ্বর একটি বন্যা সৃষ্টি করেন এবং পৃথিবীর সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করে দেন এবং কেবলমাত্র ঈশ্বরের অনুগত নােয়া ও তার লোকজন বেঁচে যায়। মহাপ্রলয় নামে অভিহিত এই বন্যার আগে পৃথিবীতে বহু দেবত্ববাদ ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল।


[4] বৈশিষ্ট্য: [i] বহু-দেবতাবাদ তত্বে উল্লিখিত হয়েছে যে, দেবদেবীগণ অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা প্রাজ্ঞ, ন্যায়বিচারক এবং অমর। [ii] এই সমস্ত দেবদেবী বিভিন্ন রূপ ও বৈচিত্র্যের অধিকারী। অর্থাৎ তারা নিজেদেরকে নানাভাবে প্রকট করেন। তারা বিশেষ বিশেষ জড় বা চেতন শরীরে প্রচ্ছন্ন থাকেন। আবার সেই শরীরকে অতিক্রম করেও তারা প্রকট হন। [iii] বহুত্ববাদে উল্লিখিত দেবদেবীগণ জীবকুল বা জড়বস্তু দ্বারা সীমাবদ্ধ নন। [iv] এই সমস্ত দেবদেবী সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সকলেই সমানভাবে স্বর্গীয় সত্তার অধিকারী। অন্য কোনাে শক্তি বা সত্তা এঁদের নিয়ন্ত্রণ করে না।


[5] বহুত্ববাদের দুটি রূপ


  • চরমপন্থী: চরমপন্থী বছুত্ববাদী-দের বিশ্বাস অনুযায়ী দেবতারা হলেন পরস্পরের থেকে পৃথক। এঁদের আলাদা আলাদা অস্তিত্ব অবশ্যই রয়েছে। চরমপন্থী বহুত্ববাদী মতে, স্বর্গস্থিত দেবতারা কোনােমতেই মনগড়া সত্তা নন। তারা নিছক সেইসব প্রাকৃতিক শক্তি নন, ভয়-ভক্তিতে যাঁদের পূজা করা হয়। চরমপল্ধীদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল স্বর্গে দেবদেবীরা অবশ্যই বিরাজ করেন। "সব দেবতারাই আসলে এক ঈশ্বরেরই বিভিন্ন রূপ"এরকম মতবাদকে চরম ব্যুত্ববাদীরা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। তারা এই বিশ্বাসকেও আমল দেন না যে, সমস্ত সংস্কৃতি ও সভ্যতায় পূজিত দেবতারা সমভাবে অস্তিত্ববান।


  • নরমপন্থী: এর বিপরীতে নরমপন্থী বহুত্ববাদীরা মনে করেন যে, বিভিন্ন দেবতা ও দেবীরা হলেন এক ঈশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন রূপ। তাদের মতে, বহু দেবতার কল্পনা সম্পূর্ণ এক মনগড়া বিষয়। ভয়ভীতি থেকে প্রাকৃতিক শক্তিতে দেবসত্তা আরােপ করার মধ্যে দিয়েই অহেতুক বহু দেবদেবীর প্রতিষ্ঠা ঘটেছে।


প্রথম ও দ্বিতীয় ক্রুসেডের বিবরণ দাও।


তৃতীয় ও চতুর্থ ক্রুসেডের বিবরণ দাও।


পঞ্চম থেকে অষ্টম ক্রুসেডের বর্ণনা দাও।


ক্রুসেডের প্রভাব বা ফলাফল আলােচনা করাে।


খলিফা যুগ শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করাে।


পবিত্র খলিফাদের শাসনব্যবস্থা সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

অথবা, খােলাফায়ে রাশেদিন অমলের শাসনব্যবস্থা আলােচনা করাে।


ঋগবৈদিক যুগে আর্যদের ধর্মীয় জীবনের নানা দিক এবং পরবর্তী বৈদিক যুগে আর্যদের ধর্মীয় জীবনের নানা দিকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।


History সব প্রশ্ন উত্তর (একাদশ শ্রেণীর)