গল্প ー ভারতবর্ষ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

গল্প ー ভারতবর্ষ


'ভারতবর্ষ' গল্পে বাজারটির পিছনে কী কী ছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পে বাজারটির পিছনে ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা একটি গ্রাম এবং ইটভাটা।


বাজারটিতে রাতের বেলায় কী কী দেখা যেত?

বাজারটিতে রাত্রিবেলায় দূরে শহরের দিকে চলে যাওয়া দু-একটা চলমান ট্রাক এবং নেড়িকুত্তাকে দেখা যেত।


বাজারটিতে রাত্রিবেলায় কী শােনা যেত?

নিস্তব্ধ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় মাঝে মাঝে শহরের দিকে যাওয়া চলমান ট্রাকের শব্দ এবং বটগাছে পেঁচার ডাক শোনা যেত।


বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটি ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা এবং সেই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযােগ ছিল না।


বাজারটি কোথায় গড়ে উঠেছিল?

পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছিল, সেখানেই বাজারটি গড়ে উঠেছিল।


বাজারে কোন্ কোন দোকান ছিল ?

বাজারটিতে তিনটি চায়ের দোকান, দুটো সন্দেশের দোকান, তিনটে পােশাকের দোকান, একটা মনােহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা ছিল।


'ভারতবর্ষ' গল্পে কোন্ বাংলা মাস এবং কোন্ বাংলা ঋতুর কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে?

গল্পটিতে পৌষ মাস এবং ঋতু হিসেবে শীতকালের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে।


গল্প কে বাঁচায়, কে বাঁচে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

গল্প ভাত (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর) 

 

কবিতা রূপনারানের কূলে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা শিকার (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা মহুয়ার দেশ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা আমি দেখি (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর) 

 

নাটক বিভাব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

নাটক নানা রঙের দিন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

আন্তর্জাতিক কবিতা পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভারতীয় গল্প অলৌকিক (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা ধ্বনিতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা রূপতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা বাক্যতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)


ভাষা শব্দার্থতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)


রাঢ়বাংলার শীতের চরিত্র কেমন?

রাঢ়বাংলার শীত খুব জাঁকালাে প্রকৃতির, বৃষ্টি হলে তা হয় ধারালাে।


“তাই লােকের মেজাজ গেল বিগড়ে।”— লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন?

পৌষের শীতে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে বাতাস বইতে শুরু করায় ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে যাবে বলে লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল।


"চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে” -কীসের প্রতীক্ষা করছিল?

চাষাভুসাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে রােদ ঝলমলে দিনের প্রতীক্ষা করছিল।


"চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-দিতে" -কার মুণ্ডপাত করছিল?

চাষাভুসাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে আল্লা তথা ভগবানের মুণ্ডুপাত করছিল।


শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় কীসের ক্ষতি হয়?

শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় ধানের ক্ষতি হয়।


[Book Download - ক্লিক করুন]


পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় কী কী নামে পরিচিত?

পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় ভদ্রলােকের কাছে পউষে বাদলা অভিধায় এবং ছােটোলােকের কাছে 'ডাওর' নামে পরিচিত।


'ফাপি' কাকে বলে?

শীতকালে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে বাতাস বইলে রাঢ়বাংলার গ্রাম্য, তথাকথিত ‘ছােটোলােকের’ ভাষায় সেই আবহাওয়াকে 'ফাপি' বলে।


চায়ের দোকানের আড্ডায় কোন্ কোন্ বিষয়ে গল্পগুজব চলছিল?

চায়ের দোকানের আড্ডায় 'বােমবাইয়ের' অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক, ইন্দিরা গান্ধি, মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় লােকজনকে নিয়েও গল্পগুজব চলছিল।


"এইটুকুই যা সুখ তখন।" -কোন সুখের কথা বলা হয়েছে?

পৌষমাসের অকাল-দুর্যোগে ঘরে বসে গ্রামের মানুষদের সময় না কাটায় বাজারে এসে সেখানকার সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত-পা সেঁকে নেওয়াই ছিল তাদের 'সুখ'।


'ভারতবর্ষ' গল্পের বুড়ির চেহারা কেমন ছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পের বুড়িটি ছিল রাক্ষুসী চেহারার, কুঁজো এক সাদাচুলের থুথুড়ে বুড়ি। তার ক্ষয়ে-যাওয়া, ছােট্ট মুখমণ্ডলের বলিরেখাগুলি স্পষ্টভাবে তার দীর্ঘ আয়ু প্রকাশ করছিল।


বৃদ্ধার পরনে কী ছিল?

বৃদ্ধা নােংরা একটা কাপড় পরেছিল এবং তার গায়ে জড়ানাে ছিল তুলাের চিটচিটে একটা কম্বল।


বৃদ্ধার হাতে কী ছিল?

বৃদ্ধার হাতে ছিল বেঁটে একটা লাঠি।


বৃদ্ধার মুখমণ্ডল কেমন ছিল?

বৃদ্ধার মুখমণ্ডল ছিল ছােটো, ক্ষয়াটে এবং স্পষ্ট বলিরেখাযুক্ত।


“সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।”—সবাই অবাক হয়েছিল কেন?

থুথুড়ে কুঁজো বৃদ্ধা পৌষমাসের তুমুল বৃষ্টির মধ্যে কীভাবে বেঁচেবর্তে থেকে চায়ের দোকানে হেঁটে হেঁটে আসতে পারল—সেই ভাবনাই সবাইকে অবাক করেছিল।


"তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল” - কী জিজ্ঞাসা করেছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পে চায়ের দোকানে বসে-থাকা গ্রামবাসীদের একজন সেইসময় বুড়িকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, সে কোথা থেকে এসেছে।


চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধ কী করেছিল?

চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধা কোনো কথা না বলে দোকানে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকিয়েছিল।


“তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল...”— কখন?

চায়ের দোকানে চা খেয়ে বৃদ্ধটি কোনাে কথা না বলে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকালে একজন তাকে প্রশ্ন করেছিল।


"ওরা হেসে উঠল...।”—ওদের হেসে ওঠার কারণ কী?

চায়ের দোকানে আসা বৃদ্ধাকে সে কোথা থেকে এসেছে জানতে চাওয়ায় তার মেজাজি পালটা প্রশ্ন ছিল যে, তাতে তাদের কাজ কী? বুড়ির এই অস্বাভাবিক আচরণে সবাই হেসে উঠেছিল।


"বুড়ি খেপে গেল।”—কোন্ কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল?

চায়ের দোকানে একজন বুড়িকে বলেছিল “ভারি তেজি দেখছি! এইবাদলায় তেজি টাট্টূর মতন বেরিয়ে পড়েছে।” এই কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল।


“একজন ঠান্ডা মাথায় বলল...”—কী বলেছিল?

একজন ঠান্ডা মাথায় বুড়িকে বলেছিল যে, বুড়ি কোথায় থাকে, তারা জিজ্ঞাসা করছে।


বুড়ি চায়ের দোকানে চা খেয়ে কীভাবে চায়ের দাম দিয়েছিল?

বুড়ি চা খেয়ে তার কম্বলের ভেতর থেকে একটা ন্যাকড়া বের করে তার মধ্যে বাঁধা পয়সা বের করে চায়ের দাম দিয়েছিল।


“লােকেরা চেঁচিয়ে উঠল..”—চেঁচিয়ে উঠল কী বলে?

"মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা?”—এ কথা বলেই লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল।


“লােকেরা চেঁচিয়ে উঠল..." -কখন লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল?

বুড়ি চায়ের দোকানে ঢুকে চা খেয়ে, তার দাম মিটিয়ে যখন ভরা বর্ষার মধ্যে রাস্তায় আবার নেমেছিল—তখনই লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল।


“বুড়ি ঘুরে বলল...” -কী বলেছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পের বুড়িটা ঘুরে দাঁড়িয়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা লােকদের বলেছিল, “তােরা ম, তােদের শতপুষ্টি মরুক"।


'ভারতবর্ষ' গল্পে বুড়ি যে বটতলায় গিয়েছিল, সেই বটতলাটা সে সময়ে কেমন ছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পে উল্লিখিত বটতলাটা সেইসময় জনহীন ছিল এবং সেখানকার মাটি ভিজে কাদা কাদা হয়ে গিয়েছিল।


“বােঝা গেল, বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে।" - বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল?

বটগাছতলায় বটের গুঁড়ির কাছে থাকা একটি শিকড়ের ওপর বসে পেছনের গুঁড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলা হয়েছে।


"কেউ কেউ বলল”—কেউ কেউ কী বলল?

কেউ কেউ বলেছিল যে, বটগাছতলায় না গিয়ে গ্রামের বারােয়ারিতলায় গেলেই বুড়ি ভালাে করত। দুর্যোগে বটগাছতলায় সে নির্ঘাত মারা পড়বে।


বুড়িকে যখন ভালােভাবে তার নিবাস কোথায় তা জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন চা-দোকানের লােকদের বুড়ি কী উত্তর দিয়েছিল?

চা-দোকানের লােকদের প্রশ্নের উত্তরে বুড়ি তাদের বলেছিল যে, তার নিবাস তাদের মাথায়।


বুড়ি কোথায় পয়সা রেখেছিল?

কম্বলের ভেতরে একটি ন্যাকড়ার মধ্যে বুড়ি পয়সা বেঁধে রেখেছিল।


'ভারতবর্ষ' গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে কোন কোন বিশেষণ প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে ব্যবহার করেছেন?

'ভারতবর্ষ' গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে 'বড়াে মেজাজি এবং ভারি তেজি'—এই দুটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন।


ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি সপ্তাহের কোন কোন্ বারে শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায় ?

ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি রবিবার, সােমবার, বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায়।


ডাকপুরুষের পুরােনাে 'বচন'-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে কী বলা আছে?

'ডাকপুরুষের' পুরােনাে 'বচন'-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে বলা আছে যে, শনিবার শুরু হলে সাত দিন, মঙ্গলবার হলে পাঁচ দিন এবং বুধবার হলে তিন দিন বৃষ্টি চলবে। অন্যবারে শুরু হলে বৃষ্টি সেদিনই থামবে।


“অন্যদিনে লাগলে একদিনের ব্যাপার।" -অন্যদিন বলতে কোন কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?

অন্যদিন বলতে রবি, সােম, বৃহস্পতি ও শুক্র—এই চার দিনের কথা বলা হয়েছে।


“.. কিন্তু যেদিন ছাড়ল, সেদিন…" -কী ছাড়ার কথা বলা হয়েছে?

'ভারতবর্ষ' গল্পে পৌষমাসের এক মঙ্গলবার যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, সেই বৃষ্টি ছাড়ার অর্থাৎ থেমে যাওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে।


"…কিন্তু যেদিন ছাড়ল, সেদিন ..." -কী দেখা গেল?

পৌষের বৃষ্টি যেদিন ছাড়ল সেদিন আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল।


"..সবাই আবিষ্কার করল..”—কখন সবাই আবিষ্কার করল?

পৌষের বৃষ্টি থেমে গেলে যেদিন পরিষ্কার আকাশে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল, সেদিনই সবাই আবিষ্কার করল।


“... সবাই আবিষ্কার করল .." -কী আবিষ্কার করল?

সবাই আবিষ্কার করল যে, বটগাছের গুড়ির কোটরে পিঠ রেখে বুড়ি চিৎ হয়ে অসাড়ভাবে পড়ে রয়েছে।


'ভারতবর্ষ' গল্পের বিশাল মাঠটি কোথায় ছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পের বিশাল মাঠটি ছিল বাজারের উত্তরদিকে।


'ডাওর' কাকে বলে?

রাঢ়বাংলার শীতকালে বৃষ্টি হলে সেই শীত আরও বেড়ে যায়। গ্রাম বাংলার তথাকথিত ছােটোলােকদের ভাষায় সেই অবস্থাকে বলে 'ডাওর'।


“রাঢ়বাংলার শীত এমনিতেই খুব জাঁকালাে।" -'রাঢ়বাংলা' বলতে কোন স্থানকে বােঝানাে হয়েছে?

'রাঢ়বাংলা' বলতে এককথায় গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী স্থানকে বােঝায়।


কোথায় 'গড়ে উঠেছে একটা ছােট্ট বাজার'?

পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেখানেই 'ছােট্ট বাজার'-টি গড়ে উঠেছে।


“ধানের মরশুম—আজ না-হােক, কাল পয়সা পাবেই..” —‘ধানের মরশুম’ বলতে কোন সময়কালকে বােঝানাে হয়েছে?

ধানের মরশুম বলতে এই গল্পে ধান কাটার সময়কে অর্থাৎ শীতকালকে বােঝানাে হয়েছে।


"...মাঝে-মাঝে বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে...”—কখন ?

যখন গ্রামের কাঁচা রাস্তায় সবুজ ঝােপের ফাক দিয়ে বাজারের দিকে এগিয়ে আসে গ্রাম্য কোনাে যুবক বা যুবতী, তখনই বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে।


"..এগিয়ে আসে কোনাে যুবক বা যুবতী;”—এই যুবক বা যুবতী কোন পােশাকে সজ্জিত থাকে?

প্রশ্নোক্ত যুবক বা যুবতী আমেদাবাদের মিলে তৈরি সস্তা পােশাকে সজ্জিত থাকে।


"কিন্তু বাজারে বিদ্যুৎ আছে।" -লেখক 'কিন্তু' অব্যয়টি ব্যবহার করেছেন কেন?

বাজারের চারপাশের গ্রামগুলিতে যেহেতু বিদ্যুৎ-সংযোগ ছিল না, সে কারণেই লেখক কিন্তু অব্যয় ব্যবহার করে বুঝিয়েছেন যে, বাজারে বিদ্যুৎ আছে।


“...বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তব্ধতার অন্তর্গত মনে হয়।” -বটগাছটি কোথায় অবস্থিত ছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পে আমরা দেখি যে, পিচের সড়ক যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেই বাঁকের মুখেই বাজার-পার্শ্ববর্তী বটগাছটি অবস্থিত ছিল।


“..বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তব্পতার অন্তর্গত মনে হয়।" -কখন?

'ভারতবর্ষ' গল্পের বটগাছ-পার্শ্বস্থ বাজারটি রাত ন-টার পর যখন অত্যন্ত নিস্তব্ধ হয়ে যেত, তখন বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তব্ধতার অন্তর্গত মনে হত।


“বৃষ্টিতে তা হল ধারালাে।” -কী ধারালাে হল বৃষ্টিতে?

রাঢ়বাংলার প্রবল জাঁকালাে শীত বৃষ্টিতে ধারালাে হয়েছিল।


'পউষে বাদলা' কাকে বলে?

পৌষমাসের বৃষ্টিকেই গ্রামবাংলার ভদ্রলােকে 'পউষে বাদলা' বলে।


কেন "সবাই চলে আসে সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে”?

প্রচণ্ড শীতের প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রামবাসীদের ঘরে বসে দিন কাটতে চায় না বলেই তারা বাজার-ূপ উনােনের কাছে চলে আসে।


"সবাই চলে আসে সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে।”—কাকে সভ্যতার ছােট্ট উনােন' বলা হয়েছে?

'ভারতবর্ষ' গল্পে উল্লিখিত গ্রামীণ বাজারটিকেই 'সভ্যতার ছােট্ট উনােন’ বলা হয়েছে।


"..আজ না-হােক, কাল পয়সা পাবেই”—এমন নিশ্চয়তার কারণ কী?

সেইসময় ধান কাটার মরশুম চলছিল বলে গ্রামের মানুষদের হাতে যেহেতু টাকার জোগান ছিল, তাই চাওয়ালা টাকা পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল।


"সেই সময় এল এক বুড়ি।”—কোথায়, কীভাবে এসেছিল সেই বুড়ি?

পিচের রাস্তা দিয়ে ভিজতে ভিজতে একই গতিতে হাঁটতে হাঁটতে চায়ের দোকানে এসে ঢুকেছিল বুড়ি।


"তাকে দেখে সবাই তর্ক থামাল।” -কাকে দেখে?

এক থুথুরে, কুঁজো বুড়িকে চায়ের দোকানে ঢুকতে দেখে আড্ডা দেওয়া চাষাভুসাে মানুষরা তাদের তর্ক থামিয়েছিল।


"মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা!”—এমন আশঙ্কার কারণ কী?

প্রবল শীতের অকালবর্ষণে অপ্রতুল পােশাকে অশীতিপর বৃদ্ধটি বাইরে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছিল বলেই এমন আশঙ্কা করা হয়েছে।


“অর্থাৎ সে বৃক্ষবাসিনী।”—কেন তাকে বৃক্ষবাসিনী’ বলা হয়েছে?

শীতের অকালবৃষ্টিতে ভেজা বুড়িটা বটগাছের নীচে গিয়ে গুঁড়ির পাশের একটা শিকড়ের ওপর বসে গুঁড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়েছিল। বুড়ি সেখানে থাকতে অভ্যস্ত ছিল বলেই তাকে 'বৃক্ষবাসিনী’ বলা হয়েছে।


"...গ্রামের ডাকপুরুষের পুরােনাে বচন' আছে।" -কী সম্বন্ধে?

পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে গ্রামের 'ডাকপুরুষের' পুরােনাে 'বচন' আছে।


"...গ্রামের ডাকপুরুষের পুরােনাে বচন আছে।”—“ডাকপুরুষ' কে?

গ্রামবাংলায় 'ডাক' নামক যে প্রখ্যাত গােপালক জ্ঞানীপুরুষ ছিলেন, তিনিই 'ডাকপুরুষ' নামে অভিহিত হন।


পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের 'ডাকপুরুষের' পুরােনাে বচনে কী বলা আছে?

পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের 'ডাকপুরুষের' পুরােনাে বচনে বলা আছে- "শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন বাকি সব দিন-দিন।"


"...চাওলা জগা বলল-নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা।" -কখন বলেছিল?

বটতলায় বটের গুঁড়ির কোটরে পিঠ রেখে নিঃসাড় হয়ে পড়ে থাকা বুড়িকে যখন অনেক বেলা হয়ে যাওয়ার পরও নড়তে দেখা গেল না, তখন জগা কথাগুলাে বলেছিল।


জগার মুখে বুড়িটা মরে গেছে শুনে একজন সর্বনাশ কথাটা উচ্চারণ করার পর আর কী বলেছিল?

জগার মুখে বুড়ির মারা যাওয়ার কথা শুনে একজন 'সর্বনাশ' কথাটা উচ্চারণ করে বলেছিল যে, তাহলে শেয়াল কুকুরে মৃতদেহ ছিড়ে খাবে এবং সেই দুর্গন্ধে টেকা দায় হবে।


“... চাওলা জগা বলল...”—জগা কী বলেছিল?

চাওয়ালা জগা বলেছিল যে, বুড়িটা নির্ঘাত মরে গেছে।


"একজন দুজন করে ভিড় বাড়তে থাকল।”—কোথায় ?

বটগাছতলায় যেখানে বটের গুড়ির কোটরে পিঠ রেখে বুড়ি চিত হয়ে নিস্পন্দভাবে পড়েছিল, সেখানেই একজন-দুজন করে ভিড় বাড়তে থাকল।


"একজন দুজন করে ভিড় বাড়তে থাকল।” -কখন?

বুড়ি বটগাছতলায় মরে পড়ে রয়েছে—এ কথাটা চাওয়ালা জগার মাধ্যমে চাউর হয়ে গেলে সেখানে একজন দুজন করে ভিড় বাড়তে লাগল।


"অতএব মড়াই বটে।" -কখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল?

বটগাছতলায় নিঃসাড়ভাবে শুয়ে থাকা বুড়ির কপাল প্রচণ্ড ঠান্ডা দেখে এবং নাড়ির কোনাে স্পন্দন না পেয়ে বুড়িকে মড়া বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।


চৌকিদার বুড়ির মৃত্যুসংবাদ থানায় দেওয়ার প্রয়ােজন নেই বলেছিল কেন?

অসময়ের জলবৃষ্টিতে এক ভিখিরি বুড়ির মৃত্যু নেহাতই গুরুত্বহীন ঘটনা হওয়ায় চৌকিদার সে খবর থানায় দেওয়ার প্রয়ােজন নেই বলে মনে করেছিল।


চৌকিদার কোন্ অসুবিধার জন্য থানায় বুড়ির মৃত্যুসংবাদ দিতে বারণ করেছিল?

বটতলা থেকে পাঁচ ক্রোশ দূরবর্তী থানায় খবর দিয়ে এবং তা পেয়ে পুলিশ আসতে আসতে মড়ার দুর্গন্ধ ছড়াবে বলে চৌকিদার থানায় মৃত্যুসংবাদ দিতে বারণ করেছিল।


চৌকিদার বুড়ির মৃতদেহের সৎকারের কী ব্যবস্থা করেছিল?

চৌকিদার বুড়ির মৃতদেহ নদীতে ফেলে দিয়ে তার গতি করার ব্যবস্থা করেছিল।


"বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মানা হল।”—পরামর্শটি কী ছিল?

বিজ্ঞ চৌকিদার নদীতে বুড়ির মৃতদেহ ফেলে দিয়ে তার গতি করার পরামর্শ দিয়েছিল।


'ভারতবর্ষ' গল্পের নদীটা কোথায় ছিল ?

'ভারতবর্ষ' গল্পের নদীটা বাজার-পাশ্ববর্তী মাঠ পেরিয়ে দুই মাইল দূরে অবস্থিত ছিল।


নদীর চড়ায় বুড়ির দেহটা কীভাবে পড়েছিল?

নদীর চড়ায় তপ্ত বালিতে উজ্জ্বল সূর্যালােকে বুড়ির দেহটা চিত হয়ে পড়েছিল।


বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে রেখে এসে শববহনকারীরা কী করছিল ?

বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে রেখে এসে শববহনকারীরা দিগন্তের আকাশের দিকে তাকিয়ে ঝক ঝক শকুনের নেমে আসার অপেক্ষা করছিল।


বুড়ি মরে গেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তৎক্ষণাৎ সবাই কী করেছিল?

বুড়ি মরে গেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তৎক্ষণাৎ সবাই গ্রামের চৌকিদারকে খবর দিয়েছিল।


বুড়ির দেহকে কীভাবে নদীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?

বুড়ির দেহকে বাঁশের চ্যাংদোলায় ঝুলিয়ে নদীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।


"হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল।"-কোন দৃশ্য দেখা গেল?

হঠাৎ বিকেলে দেখা গেল যে, উত্তরের মাঠ অতিক্রম করে বাজারের দিকে একটা চ্যাংদোলা আসছে।


বুড়ি যে মুসলমান—তার প্রমাণস্বরূপ শববাহকরা কী বলেছিল হিন্দুদের ?

বুড়ি যে মুসলমান—তার প্রমাণস্বরূপ মুসলমান শববাহকরা জানিয়েছিল। যে, তাদের অনেকেই বুড়িকে বিড়বিড় করে 'আল্লা' বা ‘বিসমিল্লা’ বলতে শুনেছিল।


“...তখন জানা গেল ব্যাপারটা।" -ব্যাপারটা কী ছিল?

ব্যাপারটা ছিল যে মুসলমান পাড়ার লােকেরা নদীর চড়া থেকে বুড়ির ফেলে দেওয়া মৃতদেহ চ্যাংদোলায় করে তুলে নিয়ে এসেছে।


মােল্লাসাহেব শহরের দিকে যাওয়ার সময় বটতলায় কী শুনেছিলেন?

মােল্লাসাহেব শহরের দিকে যাওয়ার সময় বটতলায় আশ্রয় নেওয়া বুড়িকে কলমা পড়তে স্পষ্ট শুনেছিলেন।


মােল্লাসাহেব কখন বুড়িকে মারা যেতে দেখেন?

মােল্লাসাহেব ভােরের নামাজ সেরে যখন শহরে যাওয়ার বাস ধরার উদ্দেশ্যে আসছিলেন, তখন তিনি বটতলায় মুমূর্ষ বুড়িকে দেখেছিলেন।


"তাই দেখা হল না ব্যাপারটা।" -বক্তার কী দেখা হল না?

বটগাছতলায় পড়ে থেকে কলমা পড়তে থাকা বুড়ি শেষপর্যন্ত মরল কি না-তা দেখা হয়নি মােল্লাসাহেবের।


"তাই দেখা হল না ব্যাপারটা।" -কেন দেখা হল না ব্যাপারটা?

মােল্লাসাহেব মামলা লড়তে শহরে যাচ্ছিলেন বলে বটগাছতলায় আশ্রয় নেওয়া বুড়ি মরল কি না – তা তার দেখা হয়নি।


“তা কি হয় আমরা বেঁচে থাকতে ?"-কী হয় না?

মুসলমান বুড়ির মৃতদেহ কবরস্থ না করে নদীতে ফেলে দেওয়া—এখানে। মােল্লাসাহেব তা না হওয়ার কথা বলেছেন।


ভটচাজমশাই বুড়িকে কী বলতে শুনেছিলেন?

ভটচাজমশাই বুড়িকে শ্রীহরি শ্রীহরি শ্রীহরি’ বলতে শুনেছিলেন।


বুড়িকে নদীতে ফেলে আসার দিন সকালে বটগাছতলা থেকে একই বাসে কে কে শহরে গিয়েছিলেন?

বুড়িকে নদীতে ফেলে আসার দিন সকালে বটগাছতলা থেকে মােল্লাসাহেব এবং ভটচাজমশাই একই বাসে করে শহরে গিয়েছিলেন।


বুড়ি মারা যাওয়ার সময় কী কী উচ্চারণ করেছিল বলে হিন্দুরা জানিয়েছিল?

বুড়ি মারা যাওয়ার সময় 'শ্রীহরি' এবং 'হরিবােল' উচ্চারণ করেছিল বলে হিন্দুরা জানিয়েছিল।


বুড়ি মারা যাওয়ার সময় কী কী উচ্চারণ করেছিল বলে মুসলমানরা জানিয়েছিল?

বৃড়ি মারা যাওয়ার সময় কলমা পড়েছিল এবং 'আল্লা', 'বিসমিল্লা', 'লাইলাহা ইল্লাল্ল' উচ্চারণ করেছিল বলে মুসলমানরা জানিয়েছিল।


“চেঁচিয়ে উঠল—মিথ্যে।” -বক্তা কোন বিষয়কে 'মিথ্যে' বলেছিল?

ফজলু সেখ যখন জানায় যে, সে নিজের কানে মুমূর্ষু বুড়িকে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলতে শুনেছে, তখন নিবারণ বাগদি সে কথাকে 'মিথ্যে' বলে চেঁচিয়ে উঠেছিল।


"দেখলাম বসা যাবে না।”—কেন বসা যাবে না ?

বটগাছতলায় দাড়ি কামানাের উদ্দেশ্যে এসে বৃষ্টিতে সেখানকার কাদা হয়ে যাওয়া মাটির অবস্থা দেখে নকড়ি নাপিত বুঝতে পেরেছিল সেখানে বসা যাবে না।


'লাইলাহা ইল্লাল্ল’ কথাটির অর্থ কী?

'লাইলাহা ইল্লাল্ল’ কথাটির অর্থ হল 'আল্লা ছাড়া অন্য উপাস্য নেই'।


'নারায়ে তকবির’ কথাটির অর্থ কী?

'নারায়ে তকবির’ কথাটির অর্থ হল উচ্চকণ্ঠে আল্লার প্রশংসা বা গুণকীর্তন।


'আল্লাহু আকবর' কথাটির অর্থ কী?

‘আল্লাহু আকবর’ কথাটির অর্থ হল আল্লাই সর্বশ্রেষ্ঠ।


'কলমা' কাকে বলে?

ইসলামধর্মের আত্মশুদ্ধি-সাধক মূল ইষ্টমন্ত্রই হল 'কলমা'।


'ভারতবর্ষ' গল্পে 'খবরদার' কথাটা কে কে উচ্চারণ করেছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পে 'খবরদার' কথাটা উচ্চারণ করেছিল একসময়ের পেশাদার লাঠিয়াল করিম ফরাজি এবং এলাকার চৌকিদার।


"ফজলু সেখ বলল।" -ফজলু সেখ কী বলেছিল ?

ফজলু সেখ বলেছিল যে সে নিজের কানে বুড়িকে 'লাইলাহা ইল্লাল্ল' বলতে শুনেছে।


'ভারতবর্ষ' গল্পে নিবারণ বাগদির স্বভাবচরিত্রের কোন পরিচয় পাওয়া যায়?

'ভারতবর্ষ' গল্পের নিবারণ বাগদি ছিল রাগি লােক। সে একসময় দাগি ডাকাত ছিল।


'ভারতবর্ষ' গল্পে করিম ফরাজির স্বভাবচরিত্রের কোন্ পরিচয় পাওয়া যায়?

'ভারতবর্ষ' গল্পের করিম ফরাজি বর্তমানে নিয়ম মতাে নামাজ পড়া বান্দা মানুষ হলেও এককালে সে ছিল পেশাদার লাঠিয়াল।


"দেখতে-দেখতে প্রচণ্ড উত্তেজনা ছড়াল চারদিকে।”—উত্তেজনা ছড়ানাের প্রতিক্রিয়া কী হল ?

উত্তেজনা ছড়ানাের প্রতিক্রিয়ায় বাজারের দোকানগুলাের ঝাপ বন্ধ হতে থাকল এবং গ্রাম থেকে বহু লােক অস্ত্রশস্ত্র সহ দৌড়ে বাজারে আসতে লাগল।


মােল্লাসাহেব কী কী বলে নিজ সম্প্রদায়ের লােকদের উত্তেজিত করেছিলেন?

মােল্লাসাহেব 'জেহাদ' কথাটি উচ্চারণ করে এবং 'নারায়ে তকবির-আল্লাহু আকবর!' বলে নিজ সম্প্রদায়ের লােকদের উত্তেজিত করেছিলেন।


ভারতবর্ষ গল্পের শেষে দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর বুড়ি উৎসাহী জনতার উদ্দেশ্যে কোন তিনটি গালাগাল বর্ষণ করেছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পের শেষে দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর বুড়ি উৎসাহী জনতার উদ্দেশ্যে 'মুখপােড়া', 'নরকখেকো' এবং 'শকুনচোখাে' -এই গালাগাল বর্ষণ করেছিল।


“...ভটচাজমশাই গর্জে বলছেন...”—কী বলেছিলেন?

ভটচাজমশাই জয় মা 'কালী’ ধ্বনি তুলে তাঁকে যবন নিধনে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।


'ধুন্ধুমার গর্জন প্রতিগর্জন' চলার সময় চৌকিদার প্রাথমিকভাবে কী করছিল ?

'ধুন্ধুমার গর্জন প্রতিগর্জন’ চলাকালীন চৌকিদার দু-পক্ষের মাঝখানে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে দু-পক্ষকে নিরস্ত করার চেষ্টা করছিল।


“যখনই মুসলিমপক্ষ এক-পা এগিয়ে আসে”—তখন চৌকিদার কী করছিল ?

যখন মুসলিমপক্ষ এক-পা এগিয়ে আসে তখন চৌকিদার হাতের লাঠিটা পিচরাস্তায় ঠুকে 'সাবধান' বলে গর্জে উঠছিল।


হিন্দুপক্ষ যখন এক-পা এগিয়ে আসছিল, তখন চৌকিদার কী করছিল?

হিন্দুপক্ষ যখন এক-পা এগিয়ে আসছিল, তখন চৌকিদার হাতের লাঠিটা পিচরাস্তায় ঠুকে 'খবরদার' বলে গর্জে উঠছিল।


"দুদিকের সশস্ত্র জনতা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে" -কী দেখছিল?

দু-দিকের সশস্ত্র জনতা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখছিল যে, বুড়ির দেহটা নড়ছে এবং নড়তে নড়তে বুড়ি উঠে বসার চেষ্টা করছে।


দীর্ঘ ঘুম থেকে উঠেদু-পাশের ভিড় দেখে বুড়ির কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

দীর্ঘ ঘুম থেকে উঠে দু-পাশের ভিড় দেখে প্রাথমিকভাবে বুড়ির মুখটা বিকৃত হয়ে গেলেও এরপর ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে উঠেছিল সে।


চৌকিদারের কথার উত্তরে বুড়ি কী বলেছিল?

চৌকিদারের কথার উত্তরে বুড়ি শতগুষ্টিসহ চৌকিদারের মৃত্যুকামনা করে বলেছিল—“ম, তুই মর। তাের শতগুষ্ট মরুক।"


বুড়িটা নড়ে ওঠার ঠিক আগে চৌকিদার কী করছিল ?

বুড়িটা নড়ে ওঠার ঠিক আগে চৌকিদার পালা করে হিন্দু ও মুসলিমপক্ষ—এই দু-পক্ষের দিকে একবার করে পিচে লাঠি ঠুকছিল এবং সাবধান ও খবরদার বলে চিৎকার করছিল।


“বুড়ি খেপে গিয়ে বলল-চোখের মাথা খেয়েছিস মিনসেরা?" -কখন বলেছিল?

দুপক্ষের বিবদমান জনতা যখন বুড়িকে জিজ্ঞাসা করেছিল বুড়ি হিন্দু না মুসলমান, তখনই বুড়ি খেপে গিয়ে কথাগুলাে বলেছিল।


"আমি যাচ্ছি শহরে—মামলার দিন।” -বক্তা কে?

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ভারতবর্ষ গল্পে উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন মােল্লাসাহেব।


"...তারপর ওনার আসতে আসতে রাতদুপুর।”—কে, কখন এ কথা বলে?

'ভারতবর্ষ' গল্পের বৃদ্ধটির মৃত্যু হয়েছে ভেবে গ্রামবাসীরা চৌকিদারকে খবর দিলে সে এসে মৃতদেহ পরীক্ষা করে থানায় খবর না দেওয়ার যুক্তিতে কথাটি বলে।


"...তারপর ওনার আসতে আসতে রাতদুপুর।”—কেন আসতে রাত দুপুর হবে?

থানাটি বটতলা থেকে পাঁচ ক্রোশ দূরে অবস্থিত বলে সেখানে খবর দিলে থানা থেকে পুলিশের আসতে রাত-দুপুর হবে।


"...তারপর ওনার আসতে আসতে রাত-দুপুর।” -রাত-দুপুরে ওনার আগমন ঘটলে ততক্ষণে কী ঘটে যাবে বলে মনে করেন বক্তা?

বক্তা চৌকিদারের মতে, কবে না-কবে মরা বুড়ির লাশ যেহেতু ফুলে ঢােল হয়েছে, তাই সেদিন রাত-দুপুরের মধ্যেই সেই মড়ার দুর্গন্ধ ছড়াবে বলে মনে করে সে।


"ঠিক গতি হয়ে যাবে…" -কী করলে গতি হবে?

বৃদ্ধার মৃতদেহ নদীতে ফেলে দিয়ে আসলেই তার আত্মার গতি হবে বলে জানিয়েছে চৌকিদার।


"বাঁশের চ্যাংদোলায় ঝােলানাে হয়েছিল।" -কেন ঝােলানাে হয়েছিল?

বুড়ির মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নদীর চড়ায় নিয়ে যেতে তাকে বাঁশের চ্যাংদোলায় ঝােলানাে হয়েছিল।


"ফিরে এসে সবাই দিগন্তে চোখ রাখল ..."--কোথা থেকে ফিরল ?

বুড়িকে মৃত ভেবে চ্যাংদোলায় ঝুলিয়ে শুকনাে নদীর চড়ায় ফেলে ফিরেছিল কয়েকজন হিন্দু গ্রামবাসী।


"ফিরে এসে সবাই দিগন্তে চোখ রাখল …" -কেন?

বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে বাজারে ফিরে ঝক ঝক শকুনের নেমে আসা দেখার অপেক্ষায় গ্রামবাসীরা দিগন্তে চোখ রেখেছিল।


“তারপরই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য”—দৃশ্যটি কী?

অদ্ভুত দৃশ্যটি হল বুড়ির তথাকথিত মৃতদেহটি নড়ে উঠেছিল।


“উকি মেরে সব দেখে শুনে বললেন…" -কখন?

বাজারে বুড়ির মৃতদেহের অধিকার নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের গ্রামবাসীর মধ্যে যখন বচসা চলছিল, তখনই বাস থেকে নেমে ভটচাজমশাই অকুস্থলে প্রবেশ করেন।


“উকি মেরে সব দেখে শুনে বললেন...” -কী বললেন?

ভটচাজমশাই 'অসম্ভব' কথাটা বলে জানান যে, তিনি সকালে মােল্লাসাহেবের সঙ্গে একই বাসে শহরে যাবার আগে মুমূর্য বুড়িকে 'শ্রীহরি শ্রীহরি শ্রীহরি’ বলতে স্পষ্ট শুনেছিলেন।


“তার সপক্ষে অনেক প্রমাণ জুটে গেল।”—কার সপক্ষে?

বুড়িকে যে ভটচাজমশাই মুমূর্ষু অবস্থায় 'শ্রীহরি' বলতে শােনেন, অর্থাৎ বুড়ি যে হিন্দু, তার সপক্ষে প্রমাণ জুটেছিল।


"তার সপক্ষে অনেক প্রমাণ জুটে গেল।”—প্রমাণটা কী জুটেছিল?

ভটচাজমশাইয়ের সপক্ষে নকড়ি নাপিত প্রমাণ জুগিয়েছিল যে, ক্ষৌরকর্ম করতে বটতলায় গিয়ে সে বুড়িকে 'হরিবােল' বলতে স্পষ্ট শুনেছে।


“মাঝে-মাঝে মােল্লাসায়েব চেঁচিয়ে উঠছেন...” -কী বলে চেঁচিয়ে উঠছেন?

মােল্লাসায়েব চেঁচিয়ে বলছিলেন -"মােছলেম ভাইসকল। জেহাদ, জেহাদ। নারায়েতকবির—আল্লাহু আকবর!


বুড়িকে হরিবােল বলতে স্পষ্ট শুনেছে কে?

বুড়িকে হরিবােল বলতে স্পষ্ট শুনেছে নকড়ি নাপিত।


বুড়িটি 'বিকৃত মুখে ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে' উঠেছিল কেন?

শুয়ে থাকা মৃতদেহ মনে করে হিন্দু-মুসলমান দু-পক্ষের মানুষ তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখেই বুড়িটি বিকৃত মুখে ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে উঠেছিল।


"বচসা বেড়ে গেল।”—বচসার কারণ কী?

বুড়ি হিন্দু না মুসলমান—এই বিতর্কের মাধ্যমেই দু-পক্ষের মধ্যে বচসা বেড়ে গেল।