রূপমূল বা রূপিমের প্রধান চারটি শ্রেণিভেদের সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে।

রূপমূল বা রূপিমের শ্রেণিভেদে

গঠনপ্রকৃতি ও অর্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে রূপমূলগুলি প্রধানত চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত। যেমন—(১) স্বাধীন বা মুক্ত রূপমূল, (২) পরাধীন বা বদ্ধ রূপমূল, (৩) মিশ্র রূপমূল এবং (৪) জটিল রূপমূল।


[1] মুক্ত রূপমূল : যে রূপমূল মুক্তভাবে অন্য রূপমূলের সাহায্য ছাড়া এককভাবে ব্যবহৃত হয়, যার নিজস্ব অর্থ বিদ্যমান, যাকে আর ক্ষুদ্রতম অংশে ভাঙা যায় না, তাকে মুক্ত রূপমূল বলে। যেমন—মা, বাবা, হাতি, দেশ ইত্যাদি।


[2] বদ্ধ রূপমূল : যে রূপমূলের নিজস্ব অর্থ আছে এবং যাকে আর ক্ষুদ্রতম অংশে ভাঙা যায় না, কিন্তু যেগুলো স্বাধীনভাবে ভাষায় ব্যবহৃত হতে না পেরে মুক্ত রূপমুলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়, সেই ধরনের রূপমূলকেই বদ্ধ রূপমূল বলা হয়। যেমন পুলি, রা, এর, টি, টা ইত্যাদি।


[3] মিশ্র রূপমূল : যখন দুটো মুক্ত রূপমূলের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর রূপমূল গঠন করা হয়, তখন এই শ্রেণির রূপমূলকে মিশ্র রূপমূল রূপে চিহ্নিত করা হয়। দুটো মুক্ত রূপমূল সহযােগে যখন একটি মিশ্র রূপমূল গঠিত হয়, তখন মুক্ত রূপমূলের আগেকার অর্থের বদল হয়ে একটা নতুন অর্থ প্রকাশিত হয়। যেমন—জাম + বাটি = জামবাটি, এখানে 'জাম’ বিশেষ ধরনের ফল ও বাটি একধরনের পাত্র, এই দুই মুক্ত রূপিম জুড়ে যে নতুন ‘জামবাটি' রূপিমটি তৈরি হল তার অর্থ একটি বিশেষ ধরনের বাটি বা পাত্র। আরও কয়েকটি মিশ্র রূপমূলের উদাহরণ হল গাং + চিল = গাংচিল, পদ্ম + লােচন = পদ্মলােচন, সংবাদ + পত্র = সংবাদপত্র, মহা + মারি = মহামারি ইত্যাদি।


[4] জটিল রূপমূল : মিশ্র রূপমূলে যেখানে দুটো মুক্ত রূপমূলের সমন্বিতরূপ দেখা যায়, সেখানে জটিল রূপমূলে দুইয়ের বেশি মুক্ত রূপমূলের সংযােগ লক্ষণীয়। বাংলা ভাষায় জটিল রূপমূলের বেশ কিছু উদাহরণ লক্ষ করা যায়। যেমন—বাউলগানরচয়িতা, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী, বহুবর্ণ-পাথর, দিবারাত্রিরকাব্য, ক্রিকেট খেলােয়াড় ইত্যাদি।


সহ রূপমূল বা Allomorph সম্বন্ধে যা জান সংক্ষেপে লেখাে। 


সহরূপমূলের রূপভেদ হিসেবে শূন্য রূপমূলের ভূমিকা নির্দিষ্ট করাে। 


বাক্যে ব্যবহৃত শব্দের রূপবৈচিত্র্য সম্পর্কে আলােকপাত করাে। 


প্রত্যয় কাকে বলে? ব্যাবহারিক প্রয়ােগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়ের কটি ভাগ ও কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও। 


সমন্বয়ী ও নিম্পাদিত রূপমূল সম্পর্কে লেখাে। 


আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান অনুযায়ী বাক্য বিশ্লেষণ করে বাক্যের গঠনের ধারণাটি সুস্পষ্ট করাে। 


বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের তুলনা করে বাক্যের অন্যতম গঠনগত উপাদান হিসেবে অব্যবহিত উপাদান-এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করাে। 


উত্তর আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের ধারায় বাক্যবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদগুচ্ছ সংগঠন ও তার সূত্রগুলি ব্যাখ্যা করাে। 


বাক্যগঠন তত্ত্ব অনুসারে অধিগঠন ও অধােগঠন প্রক্রিয়া কাকে বলে লেখাে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করাে। 


গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেকটি ভাগের পরিচয় দাও। 


বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে। 

অথবা, ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করাে। যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 

অথবা, বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগগুলি আলােচনা করাে। 


বাংলা বাক্যের প্রধান দুটি অংশ এবং তাদের বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে।