ভাষা ─ শব্দার্থতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

ভাষা ─ শব্দার্থতত্ত্ব


সমার্থকতা কী?

'সমার্থকতা’ শব্দের অর্থ হল অর্থের অভিন্নতা। দুই বা ততােধিক শব্দের মধ্যে অর্থগত সাদৃশ্য থাকলে তাকে বলা হয় সমার্থকতা।


শব্দার্থের উৎকর্ষ বলতে কী বােঝ?

কোনাে শব্দ যখন তার ব্যুৎপত্তিগত অর্থে অর্থাৎ আদি অর্থে ব্যবহৃত না হয়ে অন্য কোনাে উন্নত অর্থে প্রচলিত হয়ে যায়, তখন তাকে বলা হয় শব্দার্থের উৎকর্ষ বা শব্দার্থের উন্নতি। যেমন 'সন্ত্রান্ত' শব্দের আদি অর্থ 'সম্যকরূপে ভ্রান্ত', কিন্তু প্রচলিত অর্থ 'মর্যাদাসম্পন্ন'।


শব্দার্থের অপকর্ষ কাকে বলে?

শব্দ যখন তার আদি বা ব্যুৎপত্তিগত অর্থে ব্যবহৃত না হয়ে, অন্য কোনাে অবনত বা নিম্নমানের অর্থে প্রচলিত হয়, তখন তাকে বলে শব্দার্থের অপকর্ষ বা শব্দার্থের অবনতি। যেমন—'মহাজন’ শব্দের আদি অর্থ 'মহৎ ব্যক্তি’, কিন্তু প্রচলিত অর্থ 'সুদখাের ঋণদাতা'।


'মুনিশ' শব্দটির আদি ও পরিবর্তিত অর্থ নির্ণয় করে পরিবর্তনের ধারা উল্লেখ করাে

'মুনিশ' (< মনুষ্য) শব্দটির আদি ও পরিবর্তিত অর্থ যথাক্রমে 'মানুষ' ও 'মজুর'। তাই এটি 'শব্দার্থের সংকোচ’।


'সন্দেশ' ও ‘পাষণ্ড’ শব্দের আদি অর্থ ও বর্তমান অর্থ লেখাে

'সন্দেশ' শব্দের আদি অর্থ 'সংবাদ' এবং বর্তমান অর্থ 'মিষ্টান্ন-বিশেষ'। ‘পাষণ্ড’ শব্দের আদি অর্থ 'বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী' এবং প্রচলিত অর্থ 'পাপী'।


'থিসরাস' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?

'থিসরাস' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল রত্নাগার।


থিসরাস কে, কবে রচনা করেন?

পিটার মার্ক রজেট (Peter Mark Roget) ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে থিসরাস রচনা ও সংকলন করলেও তা প্রকাশিত হয় ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে।


একটি বাংলা থিসরাসের উদাহরণ দাও।

একটি বাংলা থিসরাস হল, অশােক মুখােপাধ্যায় সম্পাদিত ও সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত 'সমার্থ শব্দকোষ'।


শব্দার্থতত্ত্বের তাত্ত্বিক ধারণাগুলির উল্লেখ করাে।

শব্দের অর্থ ও তার প্রয়ােগের তত্ত্ব বিশ্লেষণের প্রকৃতি অনুসারে আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের তিনটি তাত্ত্বিক ধারণা হল-১) উপাদানমূলক তত্ত্ব, (২) সত্যসাপেক্ষ তত্ত্ব এবং (৩) বিষয়মূলক তত্ত্ব।


শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বটির মূলকথা কী?

যখন আমরা কোনাে বাক্যকে সত্য বলে জ্ঞান করি বা বাস্তব সত্যের ভিত্তিতে রচিত বলে মনে করি, তখন সেই বাক্যের অন্তর্গত শব্দগুলি সম্পর্কে আমাদের মধ্যে একটি অর্থের বােধ গড়ে ওঠে। এটাই হল সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বের মূলকথা।


শব্দার্থ নির্ণয়ে উপাদানমূলক তত্ত্বের দার্শনিক ভিত্তি কী?

শব্দের মূর্ত প্রতিরূপ ছাড়াও তার সাধারণ ধর্মটিকে কল্পনা করাই হল উপাদানমূলক তত্ত্বের দার্শনিক ভিত্তি।


বিষয়মূলক শব্দার্থতত্ত্বে শব্দের যে দুরকম অর্থের কথা বলা হয়। সেগুলি লেখাে।

শব্দের অর্থ দু-রকম হতে পারে- (১) সুস্পষ্ট নির্দিষ্ট অভিধানিক অর্থ বা মুখ্য অর্থ। (২) মুখ্য অর্থ থেকে জাত আলংকারিক ব্যবহারে প্রযুক্ত গৌণ অর্থ বা ব্যাঙ্গার্থ।


গল্প কে বাঁচায়, কে বাঁচে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

গল্প ভাত (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর) 

 

গল্প ভারতবর্ষ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা রূপনারানের কূলে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা শিকার (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা মহুয়ার দেশ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা আমি দেখি (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর) 

 

নাটক বিভাব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

নাটক নানা রঙের দিন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

আন্তর্জাতিক কবিতা পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভারতীয় গল্প অলৌকিক (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা ধ্বনিতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা রূপতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা বাক্যতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)



অর্থগত দিক থেকে শব্দের পারস্পরিক সম্পর্ক কী কী রূপে হতে পারে?

শব্দের সঙ্গে শব্দের যে অর্থ সম্পর্ক তা মূলত তিনটি রূপে হতে পারে। এগুলি হল-(১) সমার্থকতা, (২) বিপরীতার্থকতা এবং (৩) ব্যাপকার্থকতা।


গঠনগত সাদৃশ্য আছে অথচ অর্থে বিপরীতধর্মী, এমন বাংলা শব্দের উদাহরণ দাও।

সমান-অসমান, জয়-পরাজয়, আদর-অনাদর ইত্যাদি শব্দজোড়ের মধ্যে গঠনগত সাদৃশ্য আছে, অথচ অর্থের দিক থেকে এরা একে অন্যের বিপরীত।


শব্দার্থ বিশ্লেষণে প্রয়ােগবাদীদের প্রধান লক্ষ্য কী?

বক্তার কথনভঙ্গি ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে তার বক্তব্যকে বুঝতে পারার ক্ষমতা অর্জনই প্রয়ােগবাদের মূল উদ্দেশ্য।


শব্দার্থতত্ত্বের আলােচ্য বিষয় কী?

শব্দার্থতত্ত্বের আলােচ্য বিষয় মানবভাষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের অর্থ এবং তার ক্রিয়াকর্ম।


শব্দার্থকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

শব্দার্থকে সাধারণ এবং নিদর্শন—এই দুইভাগে ভাগ করা যায়।


সাধারণ শব্দার্থ বলতে কী বােঝায়?

সাধারণ শব্দার্থ বলতে শব্দের প্রকৃত অর্থ অর্থাৎ অভিধানগত অর্থকেই বােঝায়।


নির্দেশন বলতে কী বােঝ ?

কোনাে বিশেষ শব্দ এবং শব্দটি যে বিশেষ বস্তুর নির্দেশকারী, তার মধ্যেকার সম্পর্ককে বলা হয় নির্দেশন। স্বাভাবিকভাবেই সব শব্দের নির্দেশন থাকে না।


ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে?

সময়ের সঙ্গে ভাষার শব্দার্থের পরিবর্তন যে শব্দার্থতত্ত্বে আলােচিত হয়, তাকে বলে ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব।


শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে?

স্বতন্ত্র শব্দের অর্থবিশ্লেষণ এবং একাধিক শব্দের অর্থভিত্তিক সম্পর্ক যে শব্দার্থতত্বে আলােচিত হয়, তা শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্ব।


প্রয়ােগমূলক শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে?

ভাষার অর্থের ওপর তার প্রসঙ্গের প্রভাব আলােচিত হয় যে শব্দার্থতত্ত্বে, তাকে বলে প্রয়ােগমূলক শব্দার্থতত্ত্ব বা প্রয়ােগতত্ত্ব।


উপাদানমূলক শব্দার্থতত্ত্ব কী?

কোনাে শব্দের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপাদানগুলিকে বিশ্লেষণ করে সেই শব্দ এবং অন্যান্য শব্দের সঙ্গে তার সম্পর্কের যথাযথ ধারণা পাওয়া যায় যে শব্দার্থতত্ত্বে, তাইই উপাদানমূলক শব্দার্থতত্ত্ব।


শব্দার্থ উপাদান কাকে বলে?

শব্দের অর্থ আলােচনা করার সময় শব্দের অর্থকে ভেঙে যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অর্থ উপাদানে ভাগ করা হয়, তার প্রতিটিই হল শব্দার্থ উপাদান বা শব্দার্থগত বিষয়শ্রেণি।


বিষয়মূলক শব্দার্থতত্ত্বের মূল বিষয় কী?

বিষয়মূলক শব্দার্থতত্ত্বের মূল বিষয় হল ভাষার অর্থের আলোচনার ক্ষেত্রে তার প্রসঙ্গ বা পরিপ্রেক্ষিতটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


সমার্থক শব্দ কাকে বলে?

একাধিক শব্দের মধ্যে অর্থগত অভিন্নতা বা সাদৃশ্য থাকলে, সেই শব্দগুলিকে একসঙ্গে সমার্থক শব্দ বলা হয়। যেমন—চোখ, চক্ষু, নয়ন।


বিপরীতার্থক শব্দ কাকে বলে?

দুটি শব্দের মধ্যে অর্থের বৈপরীত্য থাকলে তাদের একসঙ্গে বিপরীতার্থক শব্দ বলা হয়। যেমন—দিনরাত, ভালাে-মন্দ।


কী কী পদ্ধতিতে কোনাে শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ সৃষ্টি করা হয়?

নেতিবাচক উপসর্গ যােগে (যেমনবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি), ইতিবাচক ও নেতিবাচক উপসর্গযােগে (যেমন সচল-অচল) এবং স্বতন্ত্র শব্দপ্রয়ােগে (যেমন—ভালােমন্দ) বিপরীতার্থক শব্দ সৃষ্টি হয়।


ব্যাপকার্থকতা বা অর্থান্তরভুক্তি কী?

কোনাে শব্দের মধ্যে অন্য একাধিক শব্দের অর্থ অন্তর্ভুক্ত থাকলে তাকে বলা হয় ব্যাপকার্থকতা বা অর্থান্তরভুক্তি।


অধিনাম ও উপনাম কাকে বলে ?

ব্যাপকার্থকতা বা অর্থান্তরভুক্তি তত্ত্বে বাঁদিকে থাকা ব্যাপকতর অর্থযুক্ত শব্দগুলিকে অধিনাম এবং ডানদিকের ক্ষুদ্রতর অর্থযুক্ত শব্দগুলিকে উপনাম বলা হয়।


একটি সংস্কৃত থিসরাসের উদাহরণ দাও।

একটি সংস্কৃত থিসরাসের উদাহরণ হল 'অমরকোষ'।


প্রয়ােগতত্ত্বের আলােচ্য বিষয় কী?

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাষার ব্যবহার ভাষা এবং অন্যান্য বচনের অর্থের ওপর যে প্রভাব ফেলে, তাই প্রয়ােগতত্ত্বের আলােচ্য বিষয়।


সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বের সঙ্গে প্রয়ােগতত্ত্বের ব্যবহারগত পার্থক্য কী?

নির্দেশক ভাবের বাক্য সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বের দ্বারা নিরূপিত হয়, আর অনুজ্ঞা ভাবের বাক্য প্রয়ােগতত্ত্বের দ্বারা নিরূপিত হয়।


শব্দার্থ পরিবর্তনকে কটি ভাগে ভাগ করা যায়?

শব্দার্থ পরিবর্তনকে শব্দার্থের প্রসার, শব্দার্থের সংকোচ এবং শব্দার্থের রূপান্তর—এই তিন ভাগে ভাগ করা যায়।


শব্দার্থের প্রসার বা বিস্তার বলতে কী বােঝায়?

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে শব্দের পূর্বতন অর্থের সাথে নতুন অর্থ যুক্ত হলে তাকে বলে অর্থের বিস্তার বা প্রসার। যেমন—'পরশু' শব্দের অর্থ (<পরশ্ব) 'আগামীকালের পরদিন' ছিল, কিন্তু পরে 'গতকালের আগের দিন' যুক্ত হয় এই অর্থের সঙ্গে।


শব্দার্থের সংকোচ বলতে কী বােঝ

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে কোনাে শব্দের মূল অর্থটি সংকুচিত হয়ে গেলে তাকে বলে শব্দার্থের সংকোচ। যেমন, 'অন্ন'-আদি অর্থ 'খাদ্য', বর্তমান অর্থ 'ভাত'।


শব্দার্থের রূপান্তর কাকে বলে?

কোনাে শব্দের অর্থ-পরিবর্তনে আদি অর্থের সঙ্গে পরিবর্তিত নতুন অর্থের কোনাে যােগসূত্র পাওয়া না গেলে তাকে বলে শব্দার্থের রূপান্তর। যেমন, 'দারুণ'-এর শব্দের আদি অর্থ 'কাষ্ঠনির্মিত' হলেও বর্তমান অর্থ 'অত্যন্ত'।


শব্দার্থতত্ত্বের দুটি শাখার নাম লেখাে।

শব্দার্থতত্ত্বের দুটি শাখা হল—ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব এবং শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্ব।


'থিসরাস' কী?

থিসরাস হল শব্দার্থের এমন এক রেফারেন্স বই, যেখানে অর্থ-সম্পর্কযুক্ত (সমার্থক বা বিপরীতার্থক) শব্দগুলিকে বর্ণানুক্রমে তালিকাবদ্ধ করা হয়।


'শব্দার্থের রূপান্তর' অন্য কী নামে পরিচিত?

'শব্দার্থের রূপান্তর'-এর অন্য নাম হল শব্দার্থ সংশ্লেষ বা শব্দার্থের আমূল পরিবর্তন।


শব্দার্থের পরিবর্তন বলতে কী বােঝ?

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শব্দের অর্থের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বলা হয় শব্দার্থের পরিবর্তন।


'দারুণ' শব্দের অর্থ কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে?

'দারুণ' শব্দের আদি অর্থাৎ ব্যুৎপত্তিগত অর্থ 'কাণ্ঠনির্মিত'। এরপর অর্থ প্রসারণের ফলে হয় 'কাষ্ঠনির্মিত বস্তুর মতাে শক্ত' এবং তারপর হয় 'অত্যন্ত শক্ত'। এরপর অর্থ সংকোচনের ফলে প্রচলিত অর্থ দাঁড়ায় 'অত্যন্ত'।


'সহসা' শব্দের অর্থ কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে দেখাও।

'সহসা' শব্দের আদি বা ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল 'সবলে'। এরপর অর্থ প্রসারিত হয়ে দাঁড়ায় ‘সবলে এবং চিন্তাহীনভাবে'। তারপর আরও প্রসারিত হয়ে দাঁড়ায় ‘সবলে এবং চিন্তাহীনভাবে বা আকস্মিকভাবে'। এরপর অর্থ সংকুচিত হয়ে দাঁড়ায় 'আকস্মিকভাবে'।


উপাদানমূলক শব্দার্থতত্ত্ব কোন দুটি বিষয়ের আলােচনায় বিশেষভাবে উপযােগী?

উপাদানমূলক শব্দার্থতত্ত্ব শব্দের স্বাভাবিক শ্রেণি-নির্ধারণের আলােচনায় এবং বিন্যাসের আলােচনায় বিশেষভাবে উপাযােগী।


সমার্থক শব্দগুলির মধ্যে কোন্ কোন্ প্রকারে পার্থক্য দেখা যায়?

সমার্থক শব্দগুলির মধ্যে তৎসম-অতৎসম শব্দভেদে (যেমন—পক্ষী পাখি), মান্য আঞ্চলিক শব্দভেদে (যেমন-জল-পানি) এবং ব্যাবহারিক ও কাব্যিক শব্দভেদে (যেমনআনন্দ-হরষ) পার্থক্য দেখা যায়।


নেতিবাচক উপসর্গযােগে বিপরীতার্থক শব্দসৃষ্টির দুটি উদাহরণ দাও।

আবশ্যক-অনাবশ্যক (অ), কারণ-অকারণ (অ)—এই দুটি হল নেতিবাচক উপসর্গযােগে বিপরীতার্থক শব্দসৃষ্টির উদাহরণ।


ইতিবাচক ও নেতিবাচক উপসর্গযােগে সৃষ্টি বিপরীতার্থক শব্দজোড়ের দুটি দৃষ্টান্ত দাও।

ইতিবাচক ও নেতিবাচক উপসর্গযােগে সৃষ্ট দুটি বিপরীতার্থক শব্দজোড়ের উদাহরণ হল—সক্ষম (স)-অক্ষম (অ), সঠিক (স)-বেঠিক (বে)।


সম্পূর্ণ নতুন শব্দযােগে তৈরি দুটি বিপরীতার্থক শব্দের উদাহরণ দাও।

সম্পূর্ণ নতুন শব্দযােগে তৈরি দুটি বিপরীতার্থক শব্দের উদাহরণ হল- সুখ-দুঃখ এবং ভালাে-মন্দ।


ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্বের আলােচ্য বিষয় কী?

সময়ের সাথে সাথে ভাষার অর্থের পরিবর্তন পর্যালােচনা করাই ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্বের আলােচ্য বিষয়।