রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা Short Question)

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা বলতে কী বােঝাে?

স্বায়ত্তশাসন বলতে স্বশাসন বা নিজেদের শাসনকে বােঝায়। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার মূলকথা হল, স্থানীয় অধিবাসীদের দ্বারা জেলা, শহর, গ্রাম প্রভৃতির মতাে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করা। এই শাসন ব্যবস্থায় স্থানীয় মানুষের দ্বারা আঞ্চলিক শাসন পরিচালিত হয়। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থায় নিম্নতর অন্যান্য পর্যায়েও নাগরিকদের স্থানীয় সমস্যাদি সমাধানের চেষ্টা করা হয়।


স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের দুটি গুরুত্ব উল্লেখ করাে।

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের দুটি গুরুত্ব হল (1) নাগরিক চেতনা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। (2) স্বায়ত্তশাসনের ফলে গণতন্ত্রে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের তত্ত্বটির বাস্তবায়ন ঘটে।


স্বায়ত্তশাসনের মূল লক্ষ্য কী?

স্বায়ত্তশাসনের মূল লক্ষ্য হল গণতন্ত্রকে বিকশিত করে জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বিকেন্দ্রীকৃত ক্ষমতার মাধ্যমে জনগণের ব্যাপক কল্যাণ বা উন্নতিসাধন করা।


স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রয়ােজনীয়তার একটি কারণ উল্লেখ করাে।

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে গণতান্ত্রিক অধিকারকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিকেন্দ্রীকরণ কার্যকর হয় এবং প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব হয়।


প্রাচীন ভারতের রাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম রাজনৈতিক সংস্থা কী ছিল?

প্রাচীন ভারতের রাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম রাজনৈতিক সংস্থার নাম ছিল গ্রাম।


ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উল্লেখ আছে?

ভারতীয় সংবিধানের ৪০নং ধারায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উল্লেখ আছে।


পঞ্চায়েত ব্যবস্থা সম্বন্ধে ভারতীয় সংবিধানের ৪০ নম্বর ধারায় কী বলা হয়েছে?

ভারতীয় সংবিধানের ৪০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, গ্রাম পঞ্চায়েত সংগঠনের ব্যবস্থা রাষ্ট্রই করবে এবং রাষ্ট্রই গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোর হাতে এরূপ ক্ষমতা ও অধিকার অর্পণ করবে, যাতে স্বায়ত্তশাসনের এক-একটি কেন্দ্র রূপে এই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কাজ করতে সক্ষম হয়।


রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (ভারতের শাসন বিভাগ Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (সরকারের বিভিন্ন বিভাগ Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (পররাষ্ট্রনীতি Short Question)

রাষ্ট্র বিজ্ঞান Class-12 (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক - Short Question)


ত্রিস্তরবিশিষ্ট পায়ের গঠনের জন্য প্রথম কোন্ কমিটিতে সুপারিশ করা হয়?

১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে বলবন্তরাও মেহতার নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে প্রথম ত্রিস্তরবিশিষ্ট পায়েত গঠনের জন্য সুপারিশ করা হয়।


বলবন্তরাও মেহতা কমিটির সুপারিশ জাতীয় উন্নয়ন পরিষদে কবে গৃহীত হয়?

১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে বলবন্তরাও মেহতা কমিটির সুপারিশ জাতীয় উন্নয়ন পরিষদে গৃহীত হয়।


৭৩ তম সংবিধান-সংশােধন আইন কবে প্রণীত হয়?

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ৭৩ তম সংবিধান-সংশােধন আইন প্রণীত হয়।


কোন্ দুটি পদক্ষেপের ফলে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা সাংবিধানিক মর্যাদা লাভ করেছে এবং গণতন্ত্র তৃণমূল স্তর পর্যন্ত প্রসারিত হতে পেরেছে?

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ৭৩ তম সংবিধান-সংশোধনী আইনে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা এবং ৭৪তম সংবিধান-সংশােধনী আইনে নগর পঞ্চায়েত, পৌর পরিষদ ও পৌরনিগম প্রতিষ্ঠাকে বাধ্যতামূলক করার ফলে উক্ত ঘটনাগুলাে ঘটা সম্ভবপর হয়েছে।


কত তম সংবিধান-সংশােধনের ফলে ভারতীয় সংবিধানের মধ্যে পায়ের শীর্ষক নং অংশটি (Part IX) সংযােজিত হয়েছে?

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ৭৩ তম সংবিধান-সংশােধন আইনের ফলে ভারতীয় সংবিধানের মধ্যে পঞ্চায়েত শীর্ষক ৯নং অংশটি (Part Ix) সংযােজিত হয়েছে।


৭৩তম সংবিধান-সংশােধন আইনে বর্ণিত ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের নাম উল্লেখ করাে।

৭৩তম সংবিধান-সংশােধন আইনে বর্ণিত ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের তিনটি স্তর হল (১) গ্রাম স্তর, (২) মধ্যবর্তী স্তর, (৩) জেলা স্তর।


৭৩তম সংবিধান-সংশােধন আইনে গ্রাম পঞ্চায়েত ভেঙে যাওয়ার কত মাসের মধ্যে সেখানে নতুন নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে?

৭৩তম সংবিধান-সংশােধন আইনে গ্রাম পঞ্চায়েত ভেঙে যাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে সেখানে নতুন নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।


৭৩ তম সংবিধান-সংশােধন আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েতের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব কার হাতে ন্যস্ত করা আছে?

৭৩ তম সংবিধান-সংশােধন আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েতের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্যপাল কর্তৃক নিযুক্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) হাতে ন্যস্ত রয়েছে।


৭৩তম সংবিধান-সংশােধন আইনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখাে।

৭৩তম সংবিধান-সংশােধন আইনের দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল (১) প্রতিটি রাজ্যে ত্রিস্তরবিশিষ্ট পঞ্চায়েত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। (২) পঞ্চায়েতের মােট আসনের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।


সংবিধানের ৭৩ তম সংশােধনে গৃহীত পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দুটি প্রধান পরিবর্তনের উল্লেখ করাে।

সংবিধানের ৭৩তম সংশােধনে গৃহীত পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দুটি প্রধান পরিবর্তন হল (১) রাজ্য আইনসভা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রাম স্তরে গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় একটি করে গ্রামসভা গঠন করতে বাধ্য থাকে। (২) ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে সাধারণ মহিলা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য।


৭৪ তম সংবিধান-সংশােধন আইন কবে থেকে কার্যকর হয়েছে?

৭৪ তম সংবিধান-সংশােধন আইন ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ ১ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে।


৭৪ তম সংবিধান-সংশােধন আইনে শহরাঞ্চলে কত ধরনের স্থানীয় সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে?

৭৪ তম সংবিধান-সংশােধন আইনে শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে তিন ধরনের স্থানীয় সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে। সেগুলি হল (১) নগর পঞ্চায়েত (Nagar Panchayet), (২) পৌর পরিষদ (Municipal Councils), (৩) পৌরনিগম (Municipal Corporation)।


৭৪ তম সংবিধান-সংশােধন আইনে পৌরসভায় মহিলাদের জন্য কত আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে?

৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনে পৌরসভায় মােট আসনের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।


৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনে প্রতিটি পৌরসভার কার্যকালের মেয়াদ কত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে?

৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনে প্রতিটি পৌরসভার কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর হবে বলা হয়েছে।


৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনের দুটি বেশিষ্ট্য লেখাে।

৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনের উল্লেখযােগ্য দুটি বৈশিষ্ট্য হল (১) শহরাঞ্চলে তিন ধরনের স্থানীয় সরকার যথা নগর পঞ্চায়েত, পৌর পরিষদ, পৌরনিগম গঠনের কথা বলা হয়েছে। (২) পৌরসভার মােট আসনের এক-তৃতীয়াংশ তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা (১) গ্রামীণ ও (২) পৌর।


পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ক-টি পৌরসভা এবং ক-টি পৌরনিগম রয়েছে?

পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ১২১টি পৌরসভা এবং ৬টি পৌরনিগম রয়েছে।


পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি পৌরনিগমের নাম লেখাে।

পশ্চিমবঙ্গের পৌরনিগমগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, চন্দননগর, দুর্গাপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি।


দ্বিস্তরবিশিষ্ট পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দুটি স্তর কী কী?

দ্বিস্তরবিশিষ্ট পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দুটি স্তর হল (১) অঞ্চল পঞ্চায়েত এবং (২) গ্রাম পঞ্চায়েত।


পশ্চিমবঙ্গে কবে প্রথম ত্রিস্তর বিশিষ্ট পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ত্রিস্তরবিশিষ্ট পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।


পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় মহিলাদের জন্য কত আসন সংরক্ষিত থাকে?

পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় মােট আসনের ৫০ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।


পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কটি স্তর?

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার তিনটি স্তর।


পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার কাঠামােটি ক-টি স্তরবিশিষ্ট ও কী কি?

পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার কাঠামােটি তিনটি স্তরবিশিষ্ট, যথা (১) গ্রাম পঞ্চায়েত, (২) পঞ্চায়েত সমিতি, (৩) জেলা পরিষদ।


গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ধাপ কী কী?

গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ধাপ হলো জেলা পরিষদ এবং সর্বনিম্ন ধাপ হলো গ্রাম পঞ্চায়েত।


গ্রাম পঞ্চায়েত কীভাবে গঠিত হয়?

১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চায়েত আইন অনুসারে, একটি মৌজা বা মৌজার কোনাে অংশ কিংবা পরস্পর সংলগ্ন কয়েকটি মৌজার সমষ্টি বা তাদের অংশগুলিকে নিয়ে এক-একটি গ্রাম গঠিত হয়। এক বা একাধিক গ্রাম নিয়ে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত হয়। রাজ্য সরকার প্রত্যেকটি গ্রামের নামানুসারে এক-একটি গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করে।


গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা সর্বাধিক কত হতে পারে?

গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা সর্বাধিক ৩০ জন হতে পারে।


নতুন পঞ্চায়েত আইনে মহিলাদের জন্য কত শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে?

নতুন পঞ্চায়েত আইনে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


৭৩তম সংবিধান-সংশােধন আইন অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলাদের জন্য কটি আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে?

৭৩তম সংবিধান-সংশােধন আইন অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতে তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলাদের জন্য মােট সংরক্ষিত আসনের এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।


গ্রাম পঞ্চায়েতের সভায় কে সভাপতিত্ব করেন?

গ্রাম পঞ্চায়েতের সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্রামপ্রধান।


গ্রাম পঞ্চায়েতের কোন সভায় প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন করা হয়?

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম সভায় প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন করা হয়।


গ্রামপ্রধান কার দ্বারা নিযুক্ত হন?

গ্রামপ্রধান গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের দ্বারা নিযুক্ত হন।


নির্বাচনের পর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম সভা কে আহ্বান করেন?

নির্বাচনের পর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম সভা আহ্বান করেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক।


গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধান কীভাবে নিযুক্ত হন?

নতুন নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম সভায় উপস্থিত সদস্যগণ নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধান এবং একজনকে উপপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করে থাকেন।


গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধানকে কীভাবে অপসারণ করা হয়?

২০১০ খ্রিস্টাব্দের পঞ্চায়েতে সংশােধন আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভােটে প্রধান বা উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অপসারণের প্রস্তাব গৃহীত হলে কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধানের বিরুদ্ধে বিশেষ সভায় অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে, উভয়কেই অপসারণ করা যায়।


কার্যকাল শেষ হওয়ার পূর্বে প্রধান ও উপপ্রধান পদত্যাগ করতে চাইলে কার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন?

কার্যকাল শেষহওয়ার পূর্বে প্রধান ও উপপ্রধান পদত্যাগ করতে চাইলে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (Block Development Officer)-এর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়।


গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কর্মকর্তা কে?

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কর্মকর্তা হলেন গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)।


গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি প্রধান কাজ উল্লেখ করাে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দুটি কাজ হল (১) কূপ, নলকূপ ও পুষ্করিণী খনন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা। (২) রেশনকার্ড বিতরণ ও সরকারি নির্দেশানুযায়ী দরিদ্রদের খাদ্যশস্য বিতরণ করা।


গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি প্রশাসনিক কাজ লেখাে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রশাসনিক কাজগুলির মধ্যে দুটি উল্লেখযােগ্য হল (১) গ্রাম পঞ্চায়েতের সিল, নথিপত্র ও দলিল দস্তাবেজ প্রভৃতি সংরক্ষণ করা। (২) আর্থিক ও কার্যনির্বাহী প্রশাসন পরিচালনা করা।


গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি অর্পিত কাজের নাম উল্লেখ করাে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি অর্পিত কাজ হল রাস্তায় আলাের ব্যবস্থা করা।


গ্রাম পঞ্চায়েতের সভা কখন হয়?

গ্রাম পঞ্চায়েতের সভা প্রতি মাসে অন্তত একবার সম্পাদিত হয়।


জরুরি সভার (meeting) জন্য কত দিন পূর্বে নােটিশ দিতে হয়?

জরুরি সভার (meeting) জন্য তিন দিন পূর্বে নােটিশ দিতে হয়।


জরুরি অধিবেশন ব্যতিরেকে সকল মিটিং বা সভার জন্য কত দিন পূর্বে নােটিশ দিতে হয়?

জরুরি অধিবেশন ব্যতিরেকে সকল মিটিং বা সভার জন্য সাত দিন আগে নােটিশ দিতে হয়।


পায়েত নির্বাচন কোন্ নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়?

পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।


গ্রাম পঞ্চায়েতের বিচারবিভাগীয় সংস্থা কোনটি?

গ্রাম পঞ্চায়েতের বিচারবিভাগীয় সংস্থাটি হল ন্যায় পঞ্চায়েত।


গ্রাম পঞ্চায়েতের কোরাম হওয়ার জন্য কত জন সদস্যের উপস্থিতির প্রয়ােজন হয়।

গ্রাম পঞ্চায়েতের কোরাম হওয়ার জন্য ৩ জন সদস্যসাপেক্ষে মােট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়ােজন হয়।


গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজেট কে অনুমােদন করে?

গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজেট অনুমােদন করে পঞ্চায়েত সমিতি।


গ্রাম সংসদ কী? অথবা, গ্রাম সংসদ কাদের নিয়ে গঠিত হয়?

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের ৭৩ তম সংবিধান-সংশােধনী আইন। অনুসারে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনি এলাকার সকল ভােটদাতাদের নিয়ে গ্রাম সংসদ গঠিত হয়।


গ্রাম সংসদের প্রধান কাজ কী?

গ্রাম সংসদের প্রধান কাজ হল কোন কোন প্রকল্প গ্রামের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রাধান্য পাবে, তা নির্ধারণ অথবা নির্ণয়ের জন্য প্রয়ােজনীয় নীতি নির্ধারণ করা।


গ্রাম সংসদের অধিবেশন বছরে কত বার বসে?

গ্রাম সংসদের অধিবেশন বছরে দু-বার বসে।


গ্রাম সংসদের সভায় সভাপতিত্ব করেন কে?

গ্রাম সংসদের সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্রামপ্রধান। যদি কোনাে কারণবশত গ্রামপ্রধান অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে উপপ্রধান গ্রাম সংসদের সভায় সভাপতিত্ব করে থাকেন।


গ্রাম সংসদের সভায় কখন কোরাম হয়?

গ্রাম সংসদের সভায় মােট সদস্যের এক-দশমাংশ উপস্থিত থাকলে কোরাম হয়।


গ্রামসভা কাকে বলে?

প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সমস্ত ভােটারদের নিয়ে যে সভা গঠিত হয়, তাকে গ্রামসভা বলা হয়।


গ্রামসভা কাদের নিয়ে গঠিত?

প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সকল ভােটদাতাকে নিয়ে গ্রামসভা গঠিত।


গ্রামসভার সদস্য কারা?

প্রত্যেকটি এলাকার সকল ভােটদাতা হলেন গ্রামসভার সদস্য।


গ্রামসভার যাগ্মাসিক এবং বার্ষিক সভা আহ্বান করেন কে?

গ্রামসভার যাগ মাসিক এবং বার্ষিক সভা আহ্বান করেন গ্রাম প্রধান।


গ্রামসভার অধিবেশনে কখন কোরাম হয়?

গ্রামসভার অধিবেশনে মােট সদস্যের একের কুড়ি (১/২০) অংশ অর্থাৎ পাঁচ শতাংশ সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম হয়। যদি গ্রামসভার অধিবেশনে কোরাম না হয় তাহলে সভা মুলতুবি হয়ে যায়।


রাজ্য সরকার কবে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে একটি করে গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠনের নির্দেশ দেয়?

রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামােন্নয়ন বিভাগ ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে এক নির্দেশিকায় বলেন যে, পঞ্চায়েতগুলি একটি করে গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন করতে হবে।


গ্রাম উন্নয়ন সমিতির উদ্দেশ্য কী?

গ্রাম উন্নয়ন সমিতির উদ্দেশ্য হল গ্রাম সংসদ কর্তৃক নির্দিষ্ট প্রকল্পগুলির রূপায়ণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সমবণ্টনে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করা।


গ্রাম উন্নয়ন সমিতিতে কত ধরনের সদস্য রয়েছে ও কি কী?

গ্রাম উন্নয়ন সমিতিতে দুই ধরনের সদস্য রয়েছে। এই দুই ধরনের সদস্যরা হলেন (১) সংরক্ষিত আসনগুলির নির্বাচিত সদস্যগণ। (২) অসংরক্ষিত আসনগুলির নির্বাচিত সদস্যগণ।


গ্রাম উন্নয়ন সমিতির উল্লেখযােগ্য কাজগুলি কী কী?

গ্রাম উন্নয়ন সমিতির উল্লেখযােগ্য কয়েকটি কাজ হল (১) মহিলা স্বনির্ভর গােষ্ঠীগুলিকে অধিকমাত্রায় উৎসাহ দেওয়া, (২) বার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেট তৈরির ব্যাপারে গ্রাম সংসদকে সহযােগিতা করা এবং (৩) নারী ও শিশুদের বিকাশসাধনের জন্য উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে গ্রামের মহিলাদের অধিক পরিমাণে নিযুক্ত করা।


গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করাে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হল পানীয় জল সরবরাহ করা, জলাধার পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত রাখা।


গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি অবশ্যপালনীয় কর্তব্য বা বাধ্যতামূলক কর্তব্য লেখাে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের আবশ্যিক বা বাধ্যতামূলক কর্তব্যগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি হল (১) আঞ্চলিক জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ, মহামারি প্রতিরােধ, পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা। (২) স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সংরক্ষণ, সমাজ ও আলিক উন্নতির জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে তােলা।


গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃক আরােপিত দুটি শুল্কের নাম লেখাে।

গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃক আরােপিত শুল্ক গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হল (১) গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃক নির্মিত ও নিয়ন্ত্রিত কোনাে সড়ক, সেতু, খেয়াঘাট পারাপারের উপর শুল্ক। (২) সর্বসাধারণের নর্দমা পরিষ্কারের জন্য আরােপিত শুল্ক।


গ্রাম পঞ্চায়েতের আয়ের দুটি উৎস লেখাে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের আয়ের উল্লেখযােগ্য দুটি উৎস হল (১) কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান। (২) জমি ও ঘরবাড়ির উপর আরােপিত খাজনা বা কর থেকে আদায়ীকৃত অর্থ।


গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুদান আয়ের দুটি উৎস লেখাে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুদান আয়ের প্রধান উৎসগুলির মধ্যে দুটি হল (১) কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক অনুদান। (২) পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, মহকুমা পরিষদ বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মারফত প্রদত্ত আর্থিক অনুদান ও সাহায্য।


ন্যায় পঞ্চায়েত বলতে কী বােঝাে?

পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইন অনুসারে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে সরকারের অনুমােদন অনুসারে গ্রাম পঞ্চায়েত একটি ন্যায় পঞ্চায়েত গঠন করতে পারে। গ্রাম স্তরে ছােটোখাটো দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাগুলির নিষ্পত্তির জন্য ন্যায় পঞ্চায়েত গঠন করা হয়। ন্যায় পঞ্চায়েত হল একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা।


দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আদালত কোনটি?

দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আদালত হল ন্যায় পঞ্চায়েত।


ন্যায় পঞ্চায়েত কি কোরাম হয়?

ন্যায় পঞ্চায়েত ৩ জন বিচারপতির উপস্থিতিতে কোরাম হয়।


ন্যায় পঞ্চায়েতের এক্তিয়ারকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

ন্যায় পঞ্চায়েতের এক্তিয়ারকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়। এই ভাগগুলি হল (১) দেওয়ানি এক্তিয়ার, (২) ফৌজদারি এক্তিয়ার।


পঞ্চায়েত সমিতির পূর্বে কী নাম ছিল?

পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ব নাম ছিল আঞ্চলিক পরিষদ।


কার নামানুসারে পঞ্চায়েত সমিতির নামকরণ হয়?

রাজ্য সরকার-এর নির্দেশে ব্লকের নাম অনুসারে পঞ্চায়েত সমিতির নামকরণ করা হয়েছে।


পঞ্চায়েত সমিতি কীভাবে গঠিত হয়? অথবা, পঞ্চায়েত সমিতি কাদের নিয়ে গঠিত?

পঞ্চায়েত সমিতি গঠিত হয়— (১) ব্লকের অন্তর্গত প্রতিটি গ্রাম থেকে নির্বাচিত অনধিক ৩ জন সদস্য দ্বারা। (২) ব্লকের অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের নিয়ে। (৩) ব্লক এলাকায় বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচিত সদস্য দ্বারা (মন্ত্রীরা বাদে)। (৪) ব্লক এলাকায় বসবাসকারী রাজ্যসভার সদস্যবৃন্দ দ্বারা। (৫) ব্লক এলাকায় নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ দ্বারা।


পঞ্চায়েত সমিতির কার্যকালের মেয়াদ কত?

পঞ্চায়েত সমিতির কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।


পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান কর্মকর্তা কে?

পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান কর্মকর্তা হলেন সভাপতি।


কত দিন অন্তর পঞ্চায়েত সমিতির সভা আহ্বান করা হয়?

তিন মাস অন্তর পঞ্চায়েত সমিতির সভা আহ্বান করা হয়।


পঞ্চায়েত সমিতির কার্যনির্বাহী আধিকারিক কে?

পঞ্চায়েত সমিতির কার্যনির্বাহী আধিকারিক হলেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (BDO)।


পঞ্চায়েত সমিতির দুটি স্থায়ী সমিতির বা কমিটির নাম লেখাে।

পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি স্থায়ী সমিতি হল (১) কৃষি, সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতি এবং (২) বন ও ভূমি সংস্কার স্থায়ী সমিতি।


ব্লক সংসদ কাদের নিয়ে গঠিত?

ব্লক সংসদ গঠিত হয়- (১) পঞ্চায়েত সমিতির সকল সদস্য এবং (২) সংশ্লিষ্ট ব্লকের সকল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যবৃন্দকে নিয়ে।


ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের যে-কোনাে দুটি ক্ষমতার উল্লেখ করাে।অথবা, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের দুটি প্রধান কাজ উল্লেখ করাে।

ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের উল্লেখযােগ্য দুটি কাজ বা ক্ষমতা হল (১) ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা ও প্রকল্পের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা। (২) ব্লকের অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজেট পরীক্ষা ও অনুমােদন করা।


পঞ্চায়েত সমিতির দুটি প্রধান কাজ উল্লেখ করাে।

পঞ্চায়েত সমিতির দুটি প্রধান কাজ হল (১) কৃষি কাজের সুবিধার্থে জল সরবরাহ, জলসেচ, জলাশয়, নর্দমা প্রভৃতির সংস্কার করা। (২) প্রাথমিক ও বয়স্ক শিক্ষার জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্লক এলাকায় যে-সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করা।


পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির সংখ্যা কত?

পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির সংখ্যা হল ১০টি।


পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরের নাম কী?

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরের নাম হল জেলা পরিষদ।


জেলা পর্যায়ের স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠান কোনটি?

জেলা পর্যায়ে স্বায়ত্তশাসন মূলক প্রতিষ্ঠান হল জেলা পরিষদ।


জেলা পরিষদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা কত?

জেলা পরিষদে মােট আসনের ৫০ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আছে।


জেলা পরিষদের প্রধান কর্মকর্তা কে?

জেলা পরিষদের প্রধান কর্মকর্তা হলেন সভাধিপতি।


জেলা পরিষদের সর্বোচ্চ পদটির নাম কী?

জেলা পরিষদের সর্বোচ্চ পদটির নাম হল সভাধিপতি।


জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাপতি কীভাবে নির্বাচিত হন?

জেলা পরিষদের প্রথম বৈধ সভায় সদস্যগণেরা কার্য পরিচালনার জন্য নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি এবং অন্য একজন সহকারী সভাধিপতি হিসেবে নির্বাচন করেন।


জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতির কার্যকালের মেয়াদ কত?

জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতির কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।


জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির সংখ্যা কত?

জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির সংখ্যা ১১টি।


জেলার গণনা আধিকারিক কে?

জেলার গণনা আধিকারিক হলেন জেলাশাসক।


জেলা প্রশাসনের প্রধান পদের নাম কী?

জেলা প্রশাসনের প্রধান পদের নাম হল জেলাশাসক (District Magistrate)।


জেলা প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু কে?

জেলা প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু হলেন জেলাশাসক।


জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক কে?

জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক হলেন জেলাশাসক।


জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিককে কে নিযুক্ত করেন?

জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা জেলাশাসককে রাজ্য সরকার নিযুক্ত করেন।


জেলাশাসকের যে-কোনাে দুটি কাজের উল্লেখ করাে।

জেলাশাসকের উল্লেখযােগ্য দুটি কাজ হল (১) জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা, (২) জেলার উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসারদের কাজকর্মের তত্ত্বাবধান করা।


জেলা পরিষদের যে-কোনাে দুটি স্থায়ী কমিটির নাম উল্লেখ করাে।

জেলা পরিষদের স্থায়ী কমিটিগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি হল (১) অর্থ সংস্থা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি এবং (২) জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি।


জেলা সংসদের প্রধান কাজ কী উল্লেখ করাে। 

জেলা সংসদের প্রধান কাজ হল সমগ্র জেলার জন্য আর্থিক উন্নতিসাধন করা।


পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনের কোন্ অধ্যায়ে জেলা পরিষদের আয়ের উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে?

পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনের সপ্তদশ অধ্যায় জেলা পরিষদের আয়ের উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে।


জেলা পরিষদের আয়ের উৎস গুলি কী কী? জেলা পরিষদের দুটি প্রধান আয়ের উৎস উল্লেখ করাে।

জেলা পরিষদের আয়ের উৎসগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হল (১) জেলা পরিষদ কর্তৃক আরােপিত পথ কর, পূর্ত কর প্রভৃতি। (২) পঞ্চায়েত সমিতি অথবা অন্য যে-কোনাে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা আরােপিত দান ও অনুদান।


জেলা পরিষদের বাজেট কে অনুমােদন করে?

জেলা পরিষদের বাজেট অনুমােদন করে রাজ্য সরকার।


অর্থ কমিশনের প্রধান কাজ কী?

অর্থ কমিশনের প্রধান কাজ হল গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আর্থিক অবস্থা অনুসন্ধান করা ও অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে নীতি নির্ধারণ করা।


ছােটো বা মাঝারি শহরের স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানকে কী বলা হয়?

ছােটো বা মাঝারি শহরের স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানকে পৌরসভা বলা হয়।


পৌরসভার অর্থ কী?

পৌরসভার অর্থ হল শহরের স্থানীয় সরকার।


পৌরসভা কাকে বলে?

নির্বাচিত কাউন্সিলারবৃন্দ ও রাজ্য সরকার কর্তৃক মনােনীত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলার পরিষদকে বলা হয় পৌরসভা (Municipality)।


আধুনিক ভারতের পৌর শাসনব্যবস্থার যাত্রা কবে শুরু হয়?

আধুনিক ভারতের পৌর শাসনব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয় ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে লর্ড রিপনের একটি ঘােষণার মধ্য দিয়ে।


পশ্চিমবঙ্গ পৌর বিল কত খ্রিস্টাব্দে গৃহীত হয়?

পশ্চিমবঙ্গ পৌর বিল ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২১ জুলাই গৃহীত হয়।


জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রাণীগুলোকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়?

জনসংখ্যার ভিত্তিতে পৌরালগুলিকে ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়।


পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ক-টি পৌর কর্তৃপক্ষ রয়েছে ও কী কী?

পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৩টি পৌর কর্তৃপক্ষ রয়েছে, যথা (১) পৌরসভা, (২) স-পরিষদ চেয়ারম্যান, (৩) চেয়ারম্যান।


পৌরসভার সদস্যদের কী বলা হয়?

পৌরসভার সদস্যদের বলা হয় কাউন্সিলার।


পৌরসভার একজন আধিকারিকের নাম লেখাে।

পৌরসভার একজন আধিকারিকের নাম হল স্বাস্থ্য আধিকারিক।


পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভার নির্বাচিত প্রধানের পদের নাম লেখাে।

পশ্চিমবঙ্গে পৌরসভার নির্বাচিত প্রধানের পদের নাম হল চেয়ারম্যান।


স-পরিষদ চেয়ারম্যানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ লেখাে।

স-পরিষদ চেয়ারম্যানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল (১) ছােটো ছােটো গাড়ির নথিভুক্তকরণ (Registration) ও নম্বর প্রদান করা। (২) কুয়াে, টিউবওয়েল, জলাশয় প্রভৃতি খননের জন্য অনুমতি দেওয়া।


পৌরসভার দুটি কমিটির নাম লেখাে।

পৌরসভার দুটি কমিটির নাম হল বরাে কমিটি এবং ওয়ার্ড কমিটি।


পৌরসভায় ওয়ার্ড কাকে বলা হয়?

পৌরসভায় প্রতিটি নির্বাচনি এলাকাকে এক-একটি ওয়ার্ড বলা হয়।


ওয়ার্ড কমিটি কী?

বর্তমানে পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত দুটি কমিটির একটি ওয়ার্ড কমিটি। তিন লক্ষ বা তার অধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট অঞ্চলের এক বা একাধিক ওয়ার্ড নিয়ে এই কমিটি গঠিত হয়। ওয়ার্ড কমিটিতে সর্বনিম্ন ৭ জন ও সর্বাধিক ১৭ জন সদস্য থাকতে পারে। এই কমিটি গঠনের ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত পৌরসভা গ্রহণ করে। সাধারণত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হন।


ওয়ার্ড কমিটিতে সর্বনিম্ন ও সর্বাধিক কত জন সদস্য থাকতে পারে?

ওয়ার্ড কমিটিতে সর্বনিম্ন ৭ জন ও সর্বাধিক ১৭ জন সদস্য থাকতে পারে।


বরাে কমিটি কীভাবে গঠিত হয়?

তিন লক্ষ বা তার অধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট পৌরসভাগুলিতে একটি করে বরাে কমিটি গঠন করা হয়। পৌরসভা নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলারদের প্রথম সভায় ওয়ার্ডগুলিকে ৫টি বরাতে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি বরাের জন্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের নিয়ে একটি করে বরাে কমিটি গঠন করা হয়।


কলকাতা মিউনিসপ্যাল কর্পোরেশনের বরাে কমিটির সদস্য কারা?

কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বরাে কমিটি যে সমস্ত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়, সেই সমস্ত ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলাররা বরাে কমিটির সদস্য হয়।


পৌরসভার বরাে কমিটির প্রধান কাজ কী?

বরাে কমিটি স-পরিষদ মেয়রের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করে এবং নিজ এলাকার পৌর কার্যাবলি দেখাশোনা করাই বরাে কমিটির প্রধান কাজ।


বরাে কমিটি কী?

বর্তমান পৌর আইনের একটি অন্যতম বিষয় হল বরাে কমিটি। এই কমিটির আইন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি রাজ্য। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়। বর্তমানে কলকাতা পৌরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডকে ১৫টি বরােতে বিভক্ত করা হয়েছে।


পৌরসভার কমিটির সংখ্যা ক-টি?

পৌরসভার কমিটির সংখ্যা ৬টি (২০০২ খ্রি. অনুযায়ী)।


পৌরসভার প্রধান ক্ষমতাগুলি কী কী? অথবা, পৌরসভার কার্যাবলিকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

পৌরসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে সংবিধানের ষষ্ঠ অধ্যায় ৬৩-৬৬ নং ধারায় বর্ণিত হয়েছে। পৌরসভার কার্যাবলিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় (১) আবশ্যিক কার্যাবলি, (২) স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলি, (৩) রাজ্য সরকার কর্তৃক হস্তান্তরিত কার্যাবলি।


পৌরসভায় আবশ্যিক কার্যাবলির সংখ্যা কটি?

পৌরসভার আবশ্যিক কার্যাবলির সংখ্যা ৪৯টি।


পৌরসভার দুটি আবশ্যিক কাজ উল্লেখ করাে। অথবা, পৌরসভার অবশ্যকরণীয় দুটি কাজ উল্লেখ করাে।

পৌরসভার আবশ্যিক কাজগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- (১) বেআইনি গৃহনির্মাণ বন্ধ করা, (২) পয়ঃপ্রণালী ও জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।


কলকাতা পৌর নিগমের একটি কাজ লেখাে।

কলকাতা পৌর নিগমের একটি কাজ হল জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা।


পৌরসভার দুটি পূর্ত বিষয়ক কার্যাবলি লেখাে।

পৌরসভার পূর্ত বিষয়ক কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি হল (১) পথের ধারে বৃক্ষরােপণ করা, (২) রাস্তার নামকরণ ও বাড়ির নম্বর প্রদান করা।


পৌরসভার দুটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যাবলি লেখাে।

পৌরসভার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি হল (১) জনগণের ব্যবহার্য কূপ, পুষ্কারিণী ও জলের অন্যান্য উৎসের রক্ষণাবেক্ষণ করা। (২) জনসাধারণের রােগপ্রতিরােধ ক্ষমতার বৃদ্ধিসাধনের জন্য টিকাদানের ব্যবস্থা করা।


পৌরসভার স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলিকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

পৌরসভার স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলিকে ৬৪নং ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলিকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় (১) পূর্ত বিষয়ক কার্যাবলি, (২) শিক্ষা বিষয়ক কার্যাবলি, (৩) জনস্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক কার্যাবলি, (৪) প্রশাসন বিষয়ক কার্যাবলি, (৫) উন্নয়ন বিষয়ক কার্যাবলি।


পৌরসভার দুটি স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলি উল্লেখ করাে।

পৌরসভার স্বেচ্ছাধীন কাজগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি কাজ হল (১) গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন ও প্রয়াত গুণী ব্যক্তির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা। (২) দুর্ভিক্ষ, বন্যা বা ভূমিকম্পের সময় ত্রাণকার্যের ব্যবস্থা করা।


পৌরসভার দুটি অর্পিত কাজ উল্লেখ করাে।

১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে পৌর আইনের ৬৫নং ধারায় পৌরসভার অর্পিত কাজের তালিকায় ১৭টি বিষয় উল্লেখ করা আছে। তার মধ্যে দুটি হল (১) তপশিলি জাতি-উপজাতির কল্যাণসাধন, (২) খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও নিয়ন্ত্রণ করা।


নাগরিক সনদ (Citizen's Charter) বলতে কী বােঝায়?

পশ্চিমবঙ্গ পৌর (সংশােধনী) আইন অনুযায়ী ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রত্যেকটি পৌরসভার কাউন্সিলার পরিষদকে নিয়ে একটি নাগরিকদের সনদ (Citizen's Charter) গড়ে ওঠে। নাগরিক সনদ হল নাগরিক অধিকারের লিখিত রূপ। এই সনদে নাগরিক পরিসেবা, লাইন্সেস প্রদান, শংসাপত্র প্রদান প্রভৃতি বিষয় লিখিত থাকে।


কোন পৌর আইনে 'অঞ্চল সভা' গঠনের কথা বলা হয়েছে?

২০০৯ খ্রিস্টাব্দের পৌর আইনে 'অঞ্চল সভা গঠনের কথা বলা হয়েছে।


পৌরসভাগুলির যে-কোনাে দুটি আয়ের উৎস উল্লেখ করাে। অথবা, পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভাগুলির আয়ের দুটি উৎস উল্লেখ করাে।

পৌরসভাগুলির আয়ের দুটি উৎস হল - (১)নিজস্ব সূত্রথেকে প্রাপ্তর অর্থ এবং (২) রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদেয় আর্থিক অনুদান।


পৌরসভার আয় গুলো কোথায় জমা হয়?

পৌরসভার আয় গুলো পৌর তহবিলে জমা হয়।


পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভাগুলির আয়ের একটি উৎস উল্লেখ করাে।

পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভাগুলির আয়ের অন্যতম উৎস হল জমি ও বাড়ির উপর আরােপিত সম্পত্তি কর।


কলকাতা পৌরনিগমের প্রথম নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয়?

১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন নতুন আইনকে অনুসরণ করে প্রথম কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।


কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমে ক-টি ওয়ার্ড রয়েছে?

কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমে বর্তমানে (২০১৭) ওয়ার্ড সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪১ থেকে ১৪৪ হয়েছে।


কলকাতা কর্পোরেশনে বর্তমানে কত জন কাউন্সিলার রয়েছেন?

বর্তমানে (২০১৭) কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমে ১৪৪ জন কাউন্সিলার রয়েছেন।


কলকাতা কর্পোরশনের মােট সদস্য সংখ্যা কত?

কলকাতা কর্পোরেশনের মােট সদস্য সংখ্যা হল ১৫০।


কলকাতা কর্পোরেশনের প্রধান শাসনবিভাগীয় সংস্থা কোনটি?

কলকাতা কর্পোরেশনের প্রধান শাসনবিভাগীয় সংস্থাটি হল—স-পরিষদ মেয়র।


কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সভায় কে সভাপতিত্ব করেন?

কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি।


স-পরিষদ মেয়র কাদের নিয়ে গঠিত হয়?

স-পরিষদ মেয়র (Mayor-in-Council) গঠিত হয় (১) একজন মেয়র (Mayor), (২) একজন ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor) এবং (৩) কর্পোরেশনের অনধিক ১০ জন নির্বাচিত সদস্যকে নিয়ে।


কর্পোরেশনের স পরিষদ মেয়রের সদস্যদের কে মনােনীত করেন?

কর্পোরেশনের স-পরিষদ মেয়রের সদস্যদের মনােনীত করেন মেয়র।


মেয়র কাকে বলে? অথবা, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রধান কে?

মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রধানকে মেয়র বলা হয়।


মেয়র কে কে নির্বাচন করেন?

নির্বাচিত কাউন্সিলাররা কর্পোরেশনের প্রথম সভায় নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে মেয়র হিসেবে নির্বাচন করে থাকে।


মেয়রের সাধারণ কার্যকালের মেয়াদ কত বছর?

মেয়রের সাধারণ কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।


মেয়রের দুটি কাজ লেখাে।

মেয়রের উল্লেখযােগ্য দুটি কাজ হল (১) স পরিষদ মেয়রের সভার আলােচ্য বিষয়সূচি গুলি নির্ধারণ করে দেওয়া। (২) স-পরিষদ মেয়রের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করা মেয়রের আর-একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।


মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মুখ্য কার্যনির্বাহক কী নামে পরিচিত?

মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মুখ্য কার্যনির্বাহক কমিশনার নামে পরিচিত।


কলকাতা কর্পোরেশনের দুটি আবশ্যিক কাজ লেখাে।

কলকাতা কর্পোরেশনের দুটি আবশ্যিক কাজ হল (১) পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের স্থান নির্মাণের ব্যবস্থা করা। (২) অস্বাস্থ্যকর এলাকাগুলিকে স্বাস্থ্যকর করে তােলা।


কলকাতা কর্পোরেশনের দুটি স্বেচ্ছাধীন কাজ লেখাে।

কলকাতা কর্পোরেশনের দুটি স্বেচ্ছাধীন কাজ হল (১) পৌরনিগমের কর্মচারীদের জন্য ও আধিকারিকদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (২) মাল বহনের জন্য গ্যারেজ নির্মাণ ও সংরক্ষণ করা।


কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমের আয়ের দুটি উৎস লেখাে।

কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমের আয়ের মূল উৎস হল (১) বিজ্ঞাপনের উপর ধার্য কর, (২) জরিমানা আদায়।


খুদে জেলাশাসক কাকে বলা হয়?

খুদে জেলাশাসক মহকুমা শাসককে বলা হয় (SDO)।


পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড়াে মহকুমা কানটি?

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড়াে মহকুমা হল ব্যারাকপুর মহকুমা।


পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র মহকুমা পরিষদটির নাম কী?

পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র মহকুমা পরিষদটির নাম হল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ।


মহকুমা শাসকের যে-কোনাে দুটি কাজের নাম লেখাে।

মহকুমা শাসকের প্রধান দুটি কাজ হল- (১) মহকুমার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা, (২) মহকুমার রাজস্ব আদায় করা।


বেনিফিসিয়ারি কমিটি কী?

গ্রাম সংসদ বিভিন্ন ধরনের দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যে কমিটি গঠন করে, তাকে বেনিফিসিয়ারি কমিটি বলে।


রেগা কী?

গ্রামের প্রতিটি পরিবারের অন্তত ১০০ দিনের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ প্রকল্পকে রেগা বা গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প বলা হয়।