রাজ্যসভা ও লোকসভার সম্পর্কের মূল বৈশিষ্ট্য | ভারতীয় সংসদের দুটি কক্ষের সম্পর্ক | রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংবিধানিক সম্পর্ক

ভারতের সংসদের রাজ্যসভা ও লোকসভার পারস্পরিক সম্পর্ক

ভূমিকা : সুইজারল্যান্ডের যুক্তরাষ্ট্রীয় আইনসভার দুটি কক্ষ সমক্ষমতাসম্পন্ন। এ ছাড়া প্রায় প্রত্যেক দেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় একটি কক্ষ অধিক ক্ষমতা ভােগ করে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় আইনসভার উচ্চকক্ষ (সিনেট) নিম্নকক্ষ (জনপ্রতিনিধি সভা) অপেক্ষা অধিক ক্ষমতাশালী। অপরদিকে সােভিয়েত ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় আইনসভা সুপ্রিম সােভিয়েতের উভয় কক্ষ অবশ্য সমান ক্ষমতা ও পদমর্যাদার অধিকারী। বলাবাহুল্য, ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভার পার্লামেন্ট বা সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। এর উচ্চকক্ষের নাম রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষের নাম লােকসভা। ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ অধিক ক্ষমতাশালী না উচ্চকক্ষ অধিক ক্ষমতাশালী এই ধরনের প্রশ্ন জাগতেই পারে। এরজন্যই রাজ্যসভা ও লোকসভার পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি তিনটি দিক থেকে আলােচনা করা যেতে পারে। যেমনㅡ

  • ভারতে রাষ্ট্র পরিচালনার কতকগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে রাজ্যসভা ও লোকসভার ক্ষমতা সমান।
  • রাষ্ট্র পরিচালনার অন্য কতকগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে রাজ্যসভা থেকে লােকসভা অধিক ক্ষমতা ভােগ করে।
  • শাসনকার্য পরিচালনার জন্য কতকগুলি ক্ষেত্রে লােকসভা থেকে রাজ্যসভা অধিক ক্ষমতা ভোগ করে।


[A] রাজ্যসভা ও লোকসভার সমান ক্ষমতা : পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ (রাজ্যসভা) ও নিম্নকক্ষ (লোকসভা) যে-সমস্ত বিষয়গুলিতে সমান ক্ষমতা ভােগ করে, সেগুলি হল一


(1) নির্বাচন সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সমান ক্ষমতা : ভারতের রাষ্ট্রপতি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন, রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির ব্যাপারে উভয় কক্ষই ও সমান ক্ষমতার অধিকারী।


(2) অপসারণের ক্ষেত্রে সমান ক্ষমতা : হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের অপসারণ, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যকের সভাপতি ও সদস্যের অপসারণের ব্যাপারে উভয় কক্ষের ক্ষমতা সমান।


(3) আইন প্রণয়ন ও সংশােধন অনুমােদনের ক্ষেত্রে উভয়ের ক্ষমতা : সাধারণ আইন প্রণয়ন, জরুরি অবস্থার অনুমােদন, সংবিধান সংশােধনের ক্ষেত্রে উভয় কক্ষই সমান ক্ষমতা ভােগ করে থাকে।


(4) কমিশনের রিপাের্ট পেশ করার ক্ষেত্রে সমান ক্ষমতা : বিভিন্ন কমিটি ও কমিশনের রিপাের্ট পর্যালােচনার ক্ষেত্রেও উভয় কক্ষই সমান ক্ষমতা ভােগ করে থাকে।


(5) অবমাননা করার ক্ষেত্রে উভয় ক্ষেত্রের সমান ভূমিকা : আইনসভার অধিকার ভঙ্গের অভিযােগে বা আইনসভার অবমাননা করার অভিযোগে কোনো সদস্য বা সদস্য নন এমন ব্যক্তিকেও উভয় কক্ষই শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সমান ক্ষমতার অধিকার ভােগ করে থাকে।


[B] লোকসভা রাজ্যসভা অপেক্ষা অধিক ক্ষমতা ভোগ করে :


(1) শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ : ভারতের শাসনব্যবস্থা সংসদীয় বা মন্ত্রীসভা-শাসিত। সংসদীয় শাসনব্যবস্থার রীতি অনুসারে এখানেও মন্ত্রীসভার দায়িত্বশীলতার নীতি স্বীকৃত। সংবিধানের [৭৫ (৩)] ধারা অনুসারে মন্ত্রীসভা কেবলমাত্র লোকসভার কাছেই দায়িত্বশীল থাকে। মন্ত্রীসভার গঠন, অস্তিত্ব ও অপসারণের ক্ষেত্রে যাবতীয় ক্ষমতা লোকসভার। এ ব্যাপারে রাজ্যসভার কোন ক্ষমতা নেই বললেই চলে। মন্ত্রীসভা গঠিত হয় লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। লোকসভা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে বা লোকসভা অনাস্থা জ্ঞাপন করে মন্ত্রিসভা কে পদত্যাগ করতে হয়। রাজ্যসভার অনাস্থা প্রস্তাবে মন্ত্রীসভার কিছু এসে যায় না। মন্ত্রীসভা রাজ্যসভার কোনাে প্রস্তাব মান্য করতে বাধ্য হয়। যেমন— ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই-এর পুত্র কান্তিভাই দেশাই-এর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠনের একটি প্রস্তাব রাজ্যসভায় পাস হয়। মোরারজি সরকার সেই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করেন। দেশের শাসনকার্য পরিচালনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার এবং আলােচনা করার অধিকার রাজ্যসভার আছে। কিন্তু রাজ্যসভার মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব কার্যকরী করার ক্ষমতা নেই। এক্ষেত্রে যাবতীয় ক্ষমতার অধিকারী হল লােকসভা।


(2) অর্থ বিলের ক্ষেত্রে লোকসভা প্রাধান্য : অর্থ বিলের ব্যাপারে যাবতীয় ক্ষমতা লোকসভার হাতেই ন্যস্ত আছে। প্রকৃতপক্ষে, এক্ষেত্রে রাজ্যসভার হাতে কোনাে কার্যকর ক্ষমতা নেই। সংবিধান। অনুসারে অর্থ বিল বা অর্থ-সম্পর্কিত বিল বা এদের সংশােধনকে রাজ্যসভায় উত্থাপন করা যায় না। অর্থ বা অর্থ বিষয়ক বিল কেবল লোকসভার উত্থাপন করা যায়। কোনাে বিল অর্থ বিল কি না এ বিষয়ে লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। অর্থ বিল লোকসভায় পাস হওয়ার পর তা রাজ্যসভার কাছে সুপারিশের জন্য পাঠানাে হয়। অর্থ বিল রাজ্যসভায় পাঠানাের পর ১৪ দিনের মধ্যে রাজ্যসভা কোনাে সুপারিশ করলে, তা যদি লোকসভা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলেও বিলটি উভয় ক্ষে গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে এবং রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর সমেত আইনে পরিণত হবে। তবে রাজ্যসভা বাজেট নিয়ে আলােচনা করতে পারে, ব্যয় মঞ্জুরী উপর বিতর্ক করতে পারে, কিন্তু ব্যয়ের দাবি মঞ্জুর, বিনিয়ােগ বিল পাস প্রভৃতি করতে পারে না। এ সমস্ত বিষয়ে লােকসভার ক্ষমতাই চরম ও চূড়ান্ত। ব্রিটেনের লর্ড সভা অর্থ বিলকে এক মাস বিলম্বিত করতে পারে। আর ভারতের রাজ্যসভা পারে ১৪ দিন। কিন্তু রাজ্যসভা সংশােধনের সুপারিশ করতে পারে, লর্ড সভা তা পারে না।


(3) যৌথ অধিবেশনে লোকসভায় মতামতের প্রাধান্য : সাধারণ বিল পাসের ক্ষেত্রে আপাতদৃষ্টিতে রাজ্যসভা ও লোকসভা সমান ক্ষমতার অধিকারী। সাধারণ বিল যে-কোনাে কক্ষে উত্থাপন করা যায়। সাধারণ বিল পাসের জন্য উভয় কক্ষের অনুমােদন প্রয়ােজন হয় ঠিকই কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধারণ বিলের ক্ষেত্রেও রাজ্যসভার তুলনায় লোকসভা অধিক ক্ষমতা ভোগ করে থাকে। কোনাে সাধারণ বিল সম্পর্কে উভয় ক্ষের মধ্যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হলে বিলটির ব্যাপারে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এই অচলাবস্থা নিরসনের জন্য রাষ্ট্রপতি উভয় কক্ষের যুক্ত অধিবেশন আহ্বান করেন। এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন লোকসভার স্পিকার। অধিবেশনে উপস্থিত ও ভোট দানের সদস্যদের ভােটাধিক্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাজ্যসভার তুলনায় লোকসভার সদস্য সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। তাই স্বাভাবিকভাবে সংসদের যুক্ত অধিবেশনে লোকসভায় সিদ্ধান্ত পাস হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক।


(4) জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে লোকসভা মতামত : জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে রাজ্যসভা ও লোকসভা সমান ক্ষমতা ভোগ করত। জরুরি অবস্থা অনুমােদনের ব্যাপারে এখনও উভয় কক্ষ সমান ক্ষমতা ভােগ করে। কিন্তু ৪৪ তম সংবিধান-সংশােধনী আইন অনুসারে লােকসভা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে কোনাে প্রস্তাব গ্রহণ করলে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করতে বাধ্য। আবার লোকসভার এক-দশমাংশ সদস্যের অনুরােধক্রমে জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে আলােচনার উদ্দেশ্যে লোকসভার অধিবেশন ডাকতে রাষ্ট্রপতি বাধ্য এবং সে বিষয়ে আলােচনার সুযােগ দিতে স্পিকারও বাধ্য। এক্ষেত্রে রাজ্যসভাকে কোনাে ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।


(5) প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা : প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভা লোকসভার কাছেই দায়িত্বশীল থাকে। প্রধানমন্ত্রী সাধারণত লোকসভার সদস্য হয়ে থাকেন। এইসব কারণেও লোকসভার কর্তৃত্ব ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।


[C] রাজ্যসভা লোকসভা অপেক্ষা অধিক ক্ষমতা ভােগ করে :


(1) আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যসভার মতামত : সংবিধানের ২৪৯ নং ধারা অনুসারে রাজ্যসভা যদি উপস্থিত ও ভােটদানকারী দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে প্রস্তাব গ্রহণ করে যে, জাতীয় স্বার্থে রাজ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত নির্দিষ্ট কোনো বিষয় সম্পর্কে পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন করা উচিত, তা হলে পার্লামেন্ট সেই বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারে। এইভাবে কেবল রাজ্যসভার প্রস্তাবের ভিত্তিতেই ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা বন্টন ব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে রাজ্যসভায় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। লোকসভায় কোনাে মূল ক্ষমতা নেই।


(2) সর্বভারতীয় চাকরি সৃষ্টির ক্ষেত্রে রাজ্যসভার প্রাধান্য : নতুন সর্বভারতীয় চাকরি সৃষ্টির ব্যাপারেও রাজ্যসভার বিশেষ ক্ষমতা আছে। সংবিধানের ৩১২ নং ধারায় রাজ্যসভায় উপস্থিত ও ভােটদানকারী সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ যদি প্রস্তাব গ্রহণ করে যে, জাতীয় স্বার্থে পার্লামেন্টের এক বা একাধিক সর্বভারতীয় চাকরি সৃষ্টি করা দরকার, তাহলে পার্লামেন্ট সে বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারে। এক্ষেত্রেও লোকসভার কোনাে মূল ক্ষমতা নেই।


(3) কার্যকালের ক্ষেত্রে রাজ্যসভার প্রাধান্য : লোকসভা কার্যকালের পাঁচ বছর। এই কার্যকাল শেষ হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি লোকসভা ভেঙে দিতে পারেন। কিন্তু রাজ্যসভা একটি স্থায়ী কক্ষ। রাজ্যসভা কে ভেঙে দেওয়া যায় না। এদিক থেকে রাজ্যসভার গুরুত্ব ও মর্যাদাকে অস্বীকার করা যায় না।


(4) উপরাষ্ট্রপতি পদচ্যুতির ক্ষেত্রে রাজ্যসভার মতামত : ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকারবলে রাজ্যসভার সভাপতি। তিনি রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করেন। আবার উপরাষ্ট্রপতির পদচ্যুতি সম্পর্কিত প্রস্তাব কেবল রাজ্যসভার উত্থাপন করা যায়, লােকসভায় উত্থাপন করা যায় না। এইসব কারণে রাজ্যসভা কিছু বিশেষ ক্ষমতা ও মর্যাদার অধিকারী।


সামগ্রিক বিচারে লোকসভা ও রাজ্যসভা সমান ক্ষমতা ও মর্যাদাসম্পন্ন নয়। রাজ্যসভার তুলনায় লোকসভা অধিক ক্ষমতার অধিকারী। ভারতের ব্রিটেনের অনুকরণে সুস্পষ্টভাবেই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রাধান্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে এখানে রাজ্যসভা ব্রিটেনের লর্ডসভার মতাে অতটা হীনবল নয়। লোকসভা গঠিত হয় জনগণের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে। রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচন পরােক্ষ। তাই জনপ্রিয় কক্ষ হিসেবে লোকসভার ক্ষমতা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা স্বাভাবিক ও বাঞ্ছনীয়। তা ছাড়া বিগত কয়েক বছর উচ্চকক্ষ হিসেবে রাজ্যসভা তেমন কোনাে উল্লেখযােগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন। রাজ্যসভা লোকসভার আলােচনারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মাত্র।


মূল্যায়ন: ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের ক্ষমতা সম্পর্কে পৃথক পৃথকভাবে আলােচনা করে উভয় কক্ষকেই সমান ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে হতে পারে। আসলে তত্ত্বগতভাবে কে বেশি ক্ষমতার অধিকারী এবং কে কম ক্ষমতার অধিকারী, তা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লােকসভা যে-সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা ভােগ করে থাকে, তার নিরিখে বিচার করলে রাজ্যসভা অপেক্ষা লােকসভাকেই অধিক শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। দুর্গাদাস বসুর ভাষায় বলা যায়, প্রতিনিধি সভার তুলনায় আমেরিকার সিনেট যে মর্যাদা ভােগ করে, ভারতের রাজ্যসভার সে সাংবিধানিক মর্যাদা নেই সত্য, কিন্তু তাই বলে এর অবস্থান আজকের দিনের ব্রিটিশ লর্ডসভার মতাে এত কম মর্যাদাসম্পন্ন নয়। 'Introduction to the Constitution of India' বইটির থেকে একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বলতে পারি- ("Though our Council of States does not occupy as important a place in the constitutional system as the American senate, its position is not so inferior as that of the House of Lords as it stands to day.”)