রাষ্ট্র বিজ্ঞান Class-12 (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক - Short Question)

ঠান্ডা যুদ্ধ বলতে কী বোঝো?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে লিপ্ত না হয়েও ধনতান্ত্রিক দেশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, রেষারেষি ও উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, তা ঠান্ডা লড়াই বা ঠান্ডা যুদ্ধ নামে পরিচিত।


ঠান্ডা লড়াই-এর প্রারম্ভিক ঘােষণা কে করেন?

ঠান্ডা লড়াই-এর প্রারম্ভিক ঘােষণা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল।


ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রেক্ষিতে মিত্রশক্তি কোন কোন দেশকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল?

ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রেক্ষিতে মিত্রশক্তি—গ্রেট ব্রিটেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল।


অক্ষশক্তি কোন্ কোন্ দেশকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল?

অক্ষশক্তি মূলত জার্মানি, ইটালি, স্পেন, জাপান প্রভৃতি দেশকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল।


ঠান্ডা লড়াই কথাটি কে, কবে প্রথম ব্যবহার করেন?

আমেরিকার বিত্তশালী বণিক বার্নার্ড বারুচ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ এপ্রিল ঠান্ডা লড়াই কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন।


ঠান্ডা লড়াইকে গরম শান্তি' কে বলেছো?

ঠান্ডা লড়াইকে 'গরম শান্তি বলেছেন বার্নেট।


কোন মার্কিন সাংবাদিক ঠান্ডা লড়াই কথাটি প্রথম প্রয়ােগ করেছিলেন বলে মনে করা হয়?

মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান প্রথম ঠান্ডা লড়াই কথাটি প্রয়ােগ করেছিলেন বলে মনে করা হয়।


রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (ভারতের শাসন বিভাগ Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (সরকারের বিভিন্ন বিভাগ Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (পররাষ্ট্রনীতি Short Question)


ঠান্ডা লড়াইকে 'গরম যুদ্ধ' (Hot War) কে বলেছে?

ঠান্ডা লড়াইকে গরম যুদ্ধ বলেছেন ফ্রিডম্যান।


ঠান্ডা লড়াই কথাটি কে প্রথম প্রয়ােগ করেছিলেন?

মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান প্রথম ঠান্ডা লড়াই কথাটি প্রয়ােগ করেছিলেন।


ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কাল কত?

ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কাল ১৯৪৫ থেকে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত ছিল।


ঠান্ডা লড়াই-এর সূত্রপাত কোথায় হয়?

ঠান্ডা লড়াই-এর সূত্রপাত সর্বপ্রথম হয়েছিল ইউরোপের।


কাদের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ হয়েছিল?

পৃথিবীর দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্র যথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সােভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ হয়েছিল।


ঠান্ডা লড়াইয়ের দুটি দিক কী কী?

(1) ক্ষমতার লড়াই এবং (2) মতাদর্শগত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।


ঠান্ডা লড়াই-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কেন্দ্রবিন্দু কোথায় ছিল?

ঠান্ডা লড়াই-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কেন্দ্রবিন্দু এশিয়া মহাদেশের কোরিয়ায় ছিল।


ঠান্ডা যুদ্ধ কোন কোন জোটের মধ্যে চলেছিল?

ঠান্ডা যুদ্ধ ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক এই দুটি জোটের মধ্যে চলেছিল।


ঠান্ডা লড়াই-এর ফলে উদ্ভূত কয়েকটি সমাজতান্ত্রিক জোটের নাম লেখাে। 

ঠান্ডা লড়াই-এর ফলে সােভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল COMECON, WARSAW প্রভৃতি সমাজতান্ত্রিক জোট।


ঠান্ডা লড়াই-এর সাবেকি অভিমত কী?

সাবেকি অভিমত অনুসারে ঠান্ডা লড়াই হল 'কমিউনিস্ট আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত মানুষদের একটি প্রয়ােজনীয় ও সাহসী জবাব।


ঠান্ডা লড়াই সম্পর্কে সংশােধনবাদী অভিমত কী?

সংশােধনবাদীদের মতে, মার্কিন পুঁজিবাদের বিশ্বব্যাপী বাজার দখলের চষ্টা এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যান ও তার ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতারাই ঠান্ডা লড়াই-এর জন্য দায়ী।


কে ঠান্ডা লড়াই-এর সংশােধনবাদী অভিমত কে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন এবং ভাগ দুটি কী কী?

সংশােধনবাদী অভিমত প্রদানকারীদেরকে কেনেথ টমসন দুটি ভাগে ভাগ করেছেন, যথা (1) নরম সংশােধনবাদী ও (2) কঠোর সংশােধনবাদী।


ঠান্ডা লড়াই-এর উৎপত্তির কারণ সম্পর্কে নরম সংশােধনবাদীদের অভিমত কী?

নরম সংশােধনবাদী অভিমতের প্রবক্তারা ঠান্ডা লড়াই-এর উৎপত্তির কারণ হিসেবে মার্কিন রাষ্ট্রপতি টুম্যান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতাদের দায়ী করেছেন।


ঠান্ডা লড়াই-এর উৎপত্তির কারণ সম্পর্কে কঠোর সংশােধনবাদীদের অভিমত কী?

মার্কিন পুঁজিবাদীদের বিশ্বব্যাপী বাজার দখলের প্রচেষ্টাকে কঠোর সংশােধনবাদীরা ঠান্ডা লড়াই-এর উৎপত্তির মূল কারণরূপে চিহ্নিত করেছেন।


পিটার ক্যালভােকোরেসি কীভাবে ঠান্ডা লড়াই-এর সংজ্ঞা দিয়েছেন?

পিটার ক্যালভােকোরেসি-র মতে, ঠান্ডা যুদ্ধ হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পারস্পরিক সংঘাত।


অধ্যাপক ফ্রিডম্যান-এর মতে ঠান্ডা লড়াই কী?

ফ্রিডম্যানের মতে, ঠান্ডা লড়াই বলতে এমন এক ধরনের পরিস্থিতিকে বােঝায় যেখানে যুদ্ধ না হওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধের জন্য সবরকম প্রস্তুতি জারি থাকতে দেখা যায়।


ঠান্ডা লড়াই বলতে জোসেফ ফ্রাঙ্কেল কী বুঝিয়েছেন?

ফ্র্যাঙ্কেলের মতে, ঠান্ডা লড়াই বলতে গণতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী মতাদর্শের প্রবক্তা যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরােধের সঙ্গে জড়িত সকল ঘটনাকে বােঝানাে হয়।


ঠান্ডা লড়াই সম্পর্কে জেমস্ বার্নহামের বক্তব্যটি কী ছিল?

জেমস্ বার্নহামে ঠান্ডা লড়াই সম্পর্কে বলেছেন, এই -এর উৎপত্তির পেছনে যেসব কারণ রয়েছে, তার মধ্যে লড়াই মতাদর্শগত কারণকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।


ওয়াল্টার রেমন্ডের মতে, ঠান্ডা লড়াই বলতে কী বুঝিয়েছেন?

ওয়াল্টার রেমন্ডের মতে, ঠান্ডা লড়াই সােভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতাদর্শগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিস্থিতি।


ঠান্ডা লড়াই-এর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখাে।

ঠান্ডা লড়াই-এর দুটি বৈশিষ্ট্য হল- (1) ঠান্ডা লড়াই হল পুঁজিবাদী ও সাম্যবাদী শিবিরের মধ্যে আদর্শগত বা মতাদর্শগত লড়াই এবং (2) ঠান্ডা লড়াই হল না যুদ্ধ না শান্তির অবস্থা।


ঠান্ডা লড়াই-এর উৎপত্তিগত কারণগুলি কী কী?

ঠান্ডা লড়াই-এর উৎপত্তিগত কারণ মূলত তিনটি। সেগুলি হল- (1) ঐতিহ্যগত ধারা, (2) পরিশােধনবাদী ধারা ও (3) ভিয়েতনাম যুদ্ধের পরবর্তীকালে সংশােধনবাদী ধারা।


সুদূর প্রাচ্যে কোন অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা লড়াই সম্প্রসারিত হয়েছিল?

সুদূর প্রাচ্যে জাপানকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা লড়াই সম্প্রসারিত হয়েছিল।


পূর্ব প্রাচ্যে কোন অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা লড়াই সম্প্রসারিত হয়েছিল?

পূর্ব প্রাচ্যে চীন কে কেন্দ্র করে ঠান্ডা লড়াই সম্প্রসারিত হয়েছিল।


চার্চিল কোন খ্রিস্টাব্দে ফালটন বক্তৃতা দিয়েছিলেন?

চার্চিল ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ ফালটন বক্তৃতা দিয়েছিলেন।


ফালটন বক্তৃতা কী?

১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ ব্রিটেনের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশের ফালটনে ওয়েস্টমিনিস্টার কলেজে যে ভাষণ দেন, তা ফালটন বক্তৃতা নামে খ্যাত।


লৌহ যবনিকা তত্ত্বটি কে উপস্থাপন করেন?

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ ওয়েস্টমিনিস্টার কলেজে প্রদত্ত ফালটন বক্তৃতায় লৌহ যবনিকা তত্ত্বটি উপস্থাপন করেন।


“হয় রাশিয়ার বিপ্লবকে ইউরোপের একটি বৈপ্লবিক আন্দোলনে গড়ে তুলতে হবে, তা না হলে ইউরোপীয় শক্তিগুলি রুশ বিপ্লব কে ধ্বংস করে দেবে" কার উক্তি?

সােভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় নেতা লিওন ট্রটস্কি এই উক্তিটি করেছেন।


দুই দেশের সংঘাত বৃশ্চিক ও মাকড়সার সংঘাত বলে কে বর্ণনা করেছেন?

লুই জে হ্যাল দুই দেশের সংঘাতকে বৃশ্চিক ও মাকড়সার সংঘাত বলে বর্ণনা করেছেন।


মনৱাে নীতি কী?

মার্কিন রাষ্ট্রপতি জেমস মনরো ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে এক ঘােষণায় বলেন যে, আমেরিকা আমেরিকাবাসীর জন্য। আমেরিকায় কোন ইউরোপীয় ব্যবস্থা কায়েম হলে আমেরিকা তা মেনে নেবে না। এই ঘোেষণাই মনরাে নীতি নামে পরিচিত।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কবে থেকে মনরো নীতি অনুসরণ করে্ আসছে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে মনরো নীতি অনুসরণ করে আসছে।


মিউনিক চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?

মিউনিখ চুক্তি ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ ২৯ সেপ্টেম্বর গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইটালির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।


রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ আগস্ট স্তালিন ও হিটলারের মধ্যে রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।


ইয়াল্টা সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়?

ইয়াল্টা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে।


কমিনফর্ম গঠনের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?

বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাই ছিল কমিনফর্ম গঠনের মূল উদ্দেশ্য।


কে, কী উদ্দেশ্যে কমিনফর্ম গঠন করেন?

স্তালিন পূর্ব ইউরোপের সোভিয়েত নিয়ন্ত্রণ সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যেই কমিনফর্ম গঠন করেছেন।


ক্যু-দেতা কী?

ক্যু-দেতা হল আকস্মিকভাবে বলপূর্বক সরকারের পরিবর্তন। স্তালিন চেকোশ্লোভাকিয়ায় মিত্র সরকার প্রতিষ্ঠার জন্যই ক্যু-দেতা পথ গ্রহণ করেছিলেন।


ট্রুম্যান নীতি কী?

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান মার্কিন কংগ্রেসে এক বক্তৃতায় গ্রিস, তুরস্ক-সহ বিশ্বের যে-কোনাে দেশকে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সামরিক ও আর্থিক সাহায্যদানের যে প্রতিশ্রুতি দেন তা ট্রুম্যান নীতি নামে পরিচিত।


ট্রুম্যান নীতি কবে ঘােষিত হয়?

ট্রুম্যান নীতি ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ঘোষিত হয়।


মার্শাল পরিকল্পনা কী?

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ মার্শাল যুদ্ধবিধ্বস্ত সমগ্র ইউরোপে আর্থিক পুনরুজ্জীবনের যে প্রতিশ্রুতি দেন, তা মার্শাল পরিকল্পনা নামে খ্যাত।


মার্শাল পরিকল্পনা কবে থেকে কার্যকরী হয়?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থাৎ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাস থেকে মার্শাল পরিকল্পনা কার্যকর হয়।


মার্শাল পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল কী?

অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো নিয়ে কমিউনিজম বিরোধী কথা সােভিয়েত বিরোধী একটা জোট গঠন করা।


বার্লিন অবরোধ কে শুরু করেন?

বার্লিন অবরোধ শুরু করেন সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান স্তালিন।


বার্লিন অবরোধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে অর্থহীন করে তুলেছিল?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহ করার জন্য বিমানবাহিনীর সাহায্যে বার্লিনের সঙ্গে যােগাযােগ করার চেষ্টা করে, যার ফলে বার্লিন অবরোধ অর্থহীন বলে বিবেচিত হয়।


বার্লিন প্রাচীর কেন নির্মাণ করা হয়?

ঠান্ডা যুদ্ধের সময় পশ্চিম ও পূর্ব জার্মানি যথাক্রমে মার্কিন পুঁজিপতি এবং রুশ সমাজতান্ত্রিক শিবিরে যােগ দেয়। ফলে এই উভয় দেশের মধ্যে বিভেদ পরিলক্ষিত হয়। এই বিভেদকে স্থায়ী করতে উভয় দেশের মধ্যে রুশ পরামর্শে বার্লিন প্রাচীর ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়।


প্রতিরােধের নীতি কী?

ঠান্ডা লড়াই-এর উৎপত্তিপর্বে সমাজতন্ত্রী সােভিয়েত ইউনিয়নের অগ্রগতি রােধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নীতিটি অনুসরণ করেছিল তা প্রতিরােধের নীতি নামে পরিচিত।


NATO-এর পুরাে কথা কী?

North Atlantic Treaty Organisation বা উত্তর- আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা।


কোন রাষ্ট্রের উদ্যোগে NATO চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে NATO চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।


NATO জোটের পাল্টা জোটের নাম কী?

NATO জোটের পালটা জোটের নাম হল ওয়ারশ জোট বা চুক্তি।


পটল্ডাম সম্মেলনে কী গৃহীত হয়েছিল?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন দেশের অক্ষশক্তির সঙ্গে শান্তি চুক্তির খসড়া রচনা করার উদ্দেশ্যে একটি পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত পটসডাম সম্মেলনে গৃহীত হয়েছিল।


পটল্ডাম সম্মেলনে যােগদানকারী যে-কোনাে দুজন নেতার নাম লেখাে।

পট্ডাম সম্মেলনে যােগদানকারী দুজন নেতার নাম হল স্তালিন ও চার্চিল।


পারস্পরিক অর্থনৈতিক সাহায্য পরিষদ বা কমেকন কবে গঠিত হয়?

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারি মাসে কমেকন বা পারস্পরিক অর্থনৈতিক সাহায্য পরিষদ গঠিত হয়।


কে কী উদ্দেশ্যে কোমেকন গঠন করে?

সােভিয়েত ইউনিয়ন পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংহতি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কমেকন গঠন করে।


Proxy War কী?

সরাসরি পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা না করে আড়াল থেকে যুদ্ধকে পরিচালনা করে যাওয়াকে Proxy War বলে।


কোরিয়ার যুদ্ধ কবে অনুষ্ঠিত হয়?

কোরিয়ার যুদ্ধ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত হয়েছিল।


38th Parallel (অক্ষরেখা) কী?

উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া এই দুই দেশের মধ্যবর্তীকালীন সীমানাকে 38th Parallel (অক্ষরেখা) বলা হয়।


SEATO কী?

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাম্যবাদের প্রসার রােধের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে কয়েকটি রাষ্ট্রের সঙ্গে SEATO (South East Asia Treaty Organization) নামক একটি চুক্তি হয়।


SEATO গঠন করা হয় কেন?

আইজেনহাওয়ার ও ডালেস-সহ রিপাবলিকান পার্টির নেতৃবৃন্দ তাদের ডেমােক্র্যাটদের মতো ঠান্ডা লড়াইকে তীব্রতর করে তােলার উপর গুরুত্ব দেন, যার জন্যই ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে SEATO বা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় চুক্তি সংস্থা গঠন করা হয়।


SEATO-র পূর্ণ রূপ কী?

SEATO-এর পূর্ণরূপ হল South East Asia Treaty Organization।


মেডাে কবে গঠিত হয়?

১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রাচ্য প্রতিরক্ষা সংস্থা বা মেডাে গঠিত হয়।


মেডাে-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির নাম কী?

মেডাের (Middle East Defence Organisation, ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ) সদস্য রাষ্ট্রগুলির নাম হল ব্রিটেন, ইরাক, ইরান, তুরস্ক ও পাকিস্তান।


ওয়ারশ চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?

ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলি কর্তৃক ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে ওয়ারশ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।


ওয়ারশ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলির নাম কী?

ওয়ারশ চুক্তি স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলি হল সোভিয়েত ইউনিয়ন, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রুমানিয়া, বুলগেরিয়া, আলবেনিয়ার, পূর্ব জার্মানি ও চেকোশ্লোভাকিয়া।


হো-চি-মিন কে ছিলেন?

হো-চি-মিন ছিলেন উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট নেতা।


কার নেতৃত্বে ভিয়েতনাম ঐক্যবদ্ধ হয়?

হো-চি-মিনের নেতৃত্বে ভিয়েতনাম ঐক্যবদ্ধ হয়।


সুয়েজ সংকট কবে দেখা দেয়?

১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রাচ্যে সুয়েজ সংকট দেখা দেয়।


কিউবার সংকট কবে দেখা দেয়?

কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের উদ্ভব হয় ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে।


কার নেতৃত্বে কিউবার সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়?

ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে কিউবার সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।


কঙ্গো সমস্যার উদ্ভব কখন হয়?

কঙ্গো সমস্যার উদ্ভব হয় ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে।


ঠান্ডা লড়াইয়ের বিপরীত অবস্থা কী?

দাঁতাত হল ঠান্ডা লড়াইয়ের বিপরীত অবস্থা।


দাঁতাত বলতে কী বোঝো?

দাঁতাত একটি ফরাসি শব্দ, যার অর্থ হল দুই বা তার অধিক শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনার হ্রাস ঘটানাে এবং বােঝাপড়ার মাধ্যমে একটি সহজ সম্পর্ক স্থাপনের অবস্থা।


আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দাঁতাত বলতে কী বােঝায়?

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দাঁতাত বলতে দুই বা ততােধিক শত্রুভাবাপন্ন দেশের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের অবস্থাকে বােঝায়।


দাঁতাত নীতির প্রবক্তা কে?

দাঁতাত নীতির প্রবক্তা হলেন হেনরি কিসিংগার।


দাঁতাতের দুটি ফলাফল উল্লেখ করাে।

দাতাতের দুটি ফলাফল হল— ()দুই মহাশক্তির মধ্যে শত্রুতা, লাগামছাড়া মারণাস্ত্র প্রতিযোগিতা দাঁতাতের ফলে হাঁস পায় ও () দাঁতাতের ফলাফলের দরুন ইউরােপীয় ঐক্য ও সংহতির ক্ষেত্রে মজবুত হয়ে পড়ে।


ক্রুশ্চেভের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির বিশেষত্ব কী?

শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির বিশেষত্ব ছিল সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির পাশাপাশি পুঁজিবাদী দেশগুলির সঙ্গেও সহাবস্থান বজায় রাখা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তটিকে চিন কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি।


দাঁতাত ও ঠান্ডা লড়াই-এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?

দাঁতাত হল উত্তেজনার একটি সচেতন ও স্বেচ্ছাকৃত হ্রাসকরণ। কিন্তু ঠান্ডা লড়াই হল, উত্তেজনাকে আপেক্ষিকভাবে উচ্চস্তরে চালু রাখার একটি সচেতন চেষ্টা।


ফরাসি শব্দ দাঁতাত-এর অর্থ কী?

দাঁতাত-এর অর্থ হল পুরােনাে বন্ধুত্বের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।


পারমাণবিক নিবৃত্তিকরণ কাকে বলে?

পারমাণবিক অস্ত্রের ভীতি জনিত কারণে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এরূপ অস্ত্র প্রয়ােগ থেকে নিজেদের সংযত করতে বাধ্য হয়েছে, তাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পরিভাষায় পারমাণবিক নিবৃত্তিকরণ বলা হয়।


NPT-র পুরাে কথাটি কী?

NPT-এর পুরো কথাটি হলো Nuclear Non-Proliferation Treaty।


NPT-তে স্বাক্ষর করেনি এমন একটি রাষ্ট্রের নাম লেখাে।

ভারত NPT-তে স্বাক্ষর করেনি। কারণ ভারত কোনােপ্রকার বৈষম্যমূলক নীতিতে বিশ্বাস করে না।


সল্ট-১ চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?

১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে সােভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সল্ট-১ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।


সল্ট-২ চুক্তি কত খ্রিস্টাব্দে হয়?

১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন সল্ট-২ চুক্তি হয়।


Hot line কবে, কাদের মধ্যে স্থাপিত হয়?

১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে সােভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে Hot line বা জরুরি অবস্থা সংযােগ ব্যবস্থা স্থাপিত স্থাপিত হয়।


পেরেস্ত্রৈকার বলতে কী বােঝায়?

পেরেস্ত্রৈকার বলতে পুনর্গঠন, পরিবর্তন ও সংস্কারসাধনকে বােঝায়। অর্থাৎ জনগণ, রাষ্ট্র উভয়ের উপর থেকে কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণ হ্রাস করা।


পেরেস্ত্রৈকার একটি সূত্র লেখাে।

পেরেস্ত্রৈকার একটি সূত্র হল নতুন আইনসভা গঠন করা, যেখানে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হবে অথবা অ-কমিউনিস্ট প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারে।


গ্লাসনস্ত কথার অর্থ কী?

গ্লাসনস্ত কথার অর্থ হল মুক্তমনা হওয়ার জন্য ব্যাপক গণতন্ত্রের প্রসারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের হ্রাস ঘটানাে।


গ্লাসনস্ত এর একটি সূত্র লেখাে।

গ্লাসনস্ত এর একটি সূত্র হল সমালোচনার অধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করা।


'Relations of World Power' গ্রন্থটির লেখক কে?

"Relations of World Power' গ্রন্থটির লেখক জন কেইফার। 


ঠান্ডা লড়াই-এর অবসান কবে হয়?

১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ঠান্ডা লড়াই-এর অবসান হয়।


ঠান্ডা লড়াই-এর অবসানের কথা কারা ঘােষণা করেন?

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ২ জুন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ এবং সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান গর্বাচেভ আনুষ্ঠানিকভাবে ঠান্ডা লড়াই-এর অবসানের কথা ঘােষণা করেন।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কোন্ কোন্ রাষ্ট্রের সমবায়ে মিত্রশক্তি জোট গড়ে উঠেছিল?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, সােভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি রাষ্ট্রকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল মিত্রশক্তি জোট।


কমিন্টার্ন কি?

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে মস্কোতে যে তৃতীয় কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল গঠিত হয় তা কমিটার্ন নামে পরিচিত।


কমিন্টার্ন বিরােধী চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?

১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি, ইতালি ও জাপানের মধ্যে কমিটার্ন বিরােধী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।


কমিকন কী?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত বিভিন্ন জোটের ন্যাটো, সিয়াটো, আনজাস প্রভৃতির বিরুদ্ধে রাশিয়া ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে যে সংস্থা গঠন করে তা কমিকন নামে পরিচিত।


CENTO কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন উদ্যোগে CENTO প্রতিষ্ঠিত হয়।


দ্বিমেরুতার অর্থ কী?

দ্বিমেরুতার অর্থ হল দুই মেরুতে ভাগ বা বিভক্ত হয়ে পড়া।


দ্বিমেরুকেন্দ্রিক রাজনীতি বলতে কী বােঝায়?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ) অবসানের পর প্রথমে ইউরােপে ও পরে সমগ্র বিশ্বে সােভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে মতাদর্শভিত্তিক সংগ্রাম শুরু হয়, তাকেই আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা দ্বিমেরুকেন্দ্রিক রাজনীতি বলেছেন।


দ্বিমেরুকরণ কাকে বলে?

পুঁজিবাদী জোট (আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র) ও সমাজতান্ত্রিক জোট (সােভিয়েত ইউনিয়ন) দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একে দ্বিমেরুকরণ বলা হয়। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তির পর এই দ্বিমেরুকরণের উদ্ভব ঘটে।


আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দ্বিমেরুকরণের উদ্ভবের সময়কাল চিহ্নিত করো।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে অর্থাৎ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর দ্বিমেরুকরণের উদ্ভব হয়।


দ্বিমেরুকেন্দ্রিক রাজনীতিকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়?

কৌলম্বিস ও উল্ফে দ্বিমেরুকেন্দ্রিক রাজনীতিকে দুটি ভাগে ভাগ করেন, যথা- (১) শিথিল দ্বিমেরু কেন্দ্রিকতা বা অবিন্যস্ত দ্বিমেরুকেন্দ্রিকতা ও (২) সুবিন্যস্ত দ্বিমেরু কেন্দ্রিকতা বা কঠোর দ্বিমেরুকেন্দ্রিকতা।


শিথিল দ্বিমেরুকেন্দ্রিকতা বলতে কী বােঝো?

শিথিল দ্বিমেরুকেন্দ্রিকতা বলতে এমন এক পরিস্থিতিকে বােঝায় যেখানে দুটি মাত্র জোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় থাকলেও কোনাে জোটই বিশ্বের সব রাষ্ট্রের উপর নিজস্ব মতাদর্শ জোর করে চাপিয়ে দিতে পারে না। এ ছাড়া দুটি বিবদমান জোটের বাইরে বহুসংখ্যক জোট নিরপেক্ষ ও নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বজায় থাকে।


দ্বিমেরুতার দুটি বৈশিষ্ট্য কী কী?

দ্বিমেরুতার দুটি বৈশিষ্ট্য হলো- (১) দুটি পরস্পরবিরােধী জোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও রেষারেষির ভয়াবহ পরিস্থিতি, (২) উভয়কক্ষের ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকা সত্ত্বেও অস্থিরতা লেগেই থাকে।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে পশ্চিমি দেশগুলির সামরিক জোটের নাম কি?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে পশ্চিমি দেশগুলির সামরিক জোটের নাম- NATO (North Atlantic Treaty Organization) বা উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা।


দ্বিমেরুব্যবস্থার অবসান কবে ঘটে?

সােভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর অর্থাৎ ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে দ্বিমেরুব্যবস্থার অবসান ঘটে।


একমেরু বিশ্ব বলতে কী বােঝাে?

একমেরু বিশ্ব বলতে আন্তর্জাতিক শক্তিসাম্যের এমন একটি অবস্থাকে বােঝায় যেখানে কেবলমাত্র একটিই ক্ষমতা কেন্দ্রে থাকে।


একমেরুকৃত বিশ্বব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।

একমেরু কৃত বিশ্ব ব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য হল- (১) জাতি - রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব হ্রাস ও (২) বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবিসংবাদিত আধিপত্য।


বহুমেরুতা বলতে কী বােঝাে?

বহুমেরুতা বলতে আন্তর্জাতিক শক্তিসাম্যের এমন একটি পরিস্থিতিকে বােঝায় যেখানে দুই-এর বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রে থাকে।


বহুমেরুতার দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।

বহুমেরুতার দুটি বৈশিষ্ট্য হল (১) দুই-এর বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রে থাকা এবং (২) আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের মধ্যে থেকেও জোটবদ্ধ দেশগুলি স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রীয় নীতি অনুসরণ করে।


বহুমেরুতার দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।

বহুমেরুতার দুটি বৈশিষ্ট্য হল- (1) দুই-এর বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রে থাকে এবং (2) জোটবদ্ধ দেশগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের মধ্যে থেকেও স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রীয় নীতি অনুসরণ করে।


বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতি কোন মেরুকরণের দিকে চলেছে?

বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতি দ্বিমেরুকরন থেকে একমেরুকরণে উত্তরণের দিকে চলেছে।


জেনেভা সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়?

জেনেভা সম্মেলন ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়।


পঞ্শীল নীতি কে প্রথম ঘােষণা করেছিলেন?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রথম ফসিল নীতি’ ঘােষণা করেন।


কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে পঞ্চশীল নীতি স্বাক্ষরিত হয়েছিল?

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তিব্বতকে কেন্দ্র করে ভারত ও চিনের মধ্যে পঞ্চশীল নীতি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।


কত খ্রিস্টাব্দে পঞ্শীল নীতি প্রথম করা হয়?

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম পঞ্চশীল নীতি ঘােষণা করা হয়।


একটি পঞ্চশীল নীতির উল্লেখ করাে।

পঞ্চশীলের যে পাঁচটি নীতি স্বাক্ষরিত হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হল প্রত্যেক রাষ্ট্রের ভৌগােলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন।


পঞশীল নীতি কোন্ কোন দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?

পঞ্চশীল নীতি ভারত ও চিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।


কত খ্রিস্টাব্দে বান্দুং সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়?

১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরে বান্দুং সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


বান্দুং সম্মেলনে গৃহীত নীতিগুলি কী নামে পরিচিত?

বান্দুং সম্মেলনে গৃহীত নীতিগুলি বান্দুং-এর দশটি নীতি বা Ten Principles of Bandung নামে পরিচিত।


বান্দুং সম্মেলনে গৃহীত যে-কোনাে দুটি নীতি উল্লেখ করো।

বান্দুং সম্মেলনে গৃহীত ১০টি নীতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি নীতি হল— (১) পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযােগিতার প্রসার ঘটানাে এবং (২) সব জাতির সার্বভৌমত্ব ও ভৌগােলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।


বান্দুং সম্মেলনে কয়টি রাষ্ট্র যােগদান করেছেন?

বান্দুং সম্মেলনে এশিয়া ও আফ্রিকার ২৯টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা যােগদান করেছিল।


বান্দুং সম্মেলনের অন্যতম উল্লেখযােগ্য ঘটনা কী ছিল?

বান্দুং সম্মেলনের অন্যতম উল্লেখযােগ্য ঘটনা হল ওই সম্মেলনে চিনের প্রধানমন্ত্রী ঝৌ এন লাই-এর উপস্থিতি।


জোট নিরপেক্ষতা উদ্ভবের দুটি কারণ কী?

জোটনিরপেক্ষতার উদ্ভবের একটি কারণ হল অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা এবং জাতীয়তাবাদ।


গতিশীল নিরপেক্ষতা কী?

কোনাে জোটের অন্তর্ভুক্ত না হয়েও প্রয়ােজনমতাে যে-কোনাে জোটকে সমর্থন বা বিরােধিতা করাকে গতিশীল নিরপেক্ষতা বলা হয়।


জোটনিরপেক্ষতার অর্থ কী?

জোটনিরপেক্ষতার অর্থ হল কোনাে শক্তির কোনাে জোটে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা।


জোট নিরপেক্ষতা শব্দটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন?

জোট নিরপেক্ষতা শব্দটি সর্বপ্রথম নেহরু ব্যবহার করেন।


জোট নিরপেক্ষ মতাদর্শ কোন ভারতীয় রাষ্ট্রনেতার মস্তিষ্কপ্রসূত?

জোটনিরপেক্ষতার মতাদর্শ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল। নেহরু মস্তিষ্কপ্রসূত।


জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের দুজন মুখ্য প্রবক্তার নাম করাে।

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের দুজন মুখ্য প্রবক্তার নাম হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান গামাল আবদেল নাসের।


NAM-এর পুরাে কথাটি কী?

NAM-এর পুরো নাম হল - Non Alignment Movement।


NAM-এর একটি নীতি উল্লেখ করাে।

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের উল্লেখযােগ্য একটি নীতি হল সকল জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি।


জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য কী?

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য হলো শান্তির অনুকূলে একটা পরিমণ্ডল গড়ে তােলা।


জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের মৌলিক লক্ষ্যসমূহের মধ্যে যেকোনো দুটি উল্লেখ করাে।

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের মৌলিক লক্ষ্যসমূহের মধ্যে উল্লেখযােগ্য চারটি হল- (১) বর্ণবিদ্বেষের বিরােধিতা, (২) জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ, (৩) সার্বভৌমিকতা ও (৪) ভৌগােলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন।


জোটনিরপেক্ষতার একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।

জোটনিরপেক্ষতার একটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হল কোনাে বৃহৎ সামরিক জোটে অংশগ্রহণ না করা।


G-77 বলতে কী বোঝো?

G-77 হল একটি গােষ্ঠী যে গােষ্ঠীটি জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন এবং প্রধান জোট নিরপেক্ষ দেশগুলো নিয়ে গড়ে ওঠে।


G-77 কাদের নিয়ে গঠিত হয়?

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন এবং প্রধান জোট নিরপেক্ষ দেশগুলিকে নিয়ে G-77 গােষ্ঠী গড়ে ওঠে।


পৃথিবীর দুটি জোট নিরপেক্ষ দেশের নাম লেখাে।

পৃথিবীর দুটি জোটনিরপেক্ষ দেশ হল ভারত ও শ্রীলঙ্কা।


জোট নিরপেক্ষতা ও নিরপেক্ষতার মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নিরপেক্ষতা হল বিবদমান অক্ষগুলি থেকে দূরে থাকার নীতি। কিন্তু জোট নিরপেক্ষ দেশ কোনাে বৃহৎ শক্তি পরিচালিত জোটে অংশগ্রহণ না করলেও যে-কোনাে আন্তর্জাতিক বিরােধের ক্ষেত্রে যে-কোনাে বিশেষ পক্ষ অবলম্বন করতে পারে বা মতামত প্রকাশ করতে পারে।


বর্তমানে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সদস্য সংখ্যা উল্লেখ করাে।

১২০টি দেশ বর্তমানে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সদস্য সংখ্যা লাভ করেছে।


জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য চারটি সম্মেলনের নাম লেখাে।

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য চারটি সম্মেলনের নাম হল— (১) বান্দুং সম্মেলন, (২) বেলগ্রেড সম্মেলন, (৩) কায়রো সম্মেলন এবং (৪) কলম্বো সম্মেলন।


জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্মেলন কবে, কোথায় হয়?

১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ৫ থেকে ১২ জুন কায়রােতে জোটনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির যে সম্মেলন হয়েছিল তাকে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্মেলন বলা হয়।


জোটনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির প্রথম শীর্ষ সম্মেলন কবে, কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?

১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১ থেকে ৬ ডিসেম্বর যুগোশ্লাভিয়ার বেলগ্রেডে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে প্রথমে ইউরোপ থেকে কোন্ দুটি দেশ যােগদান করে?

জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে প্রথমে ইউরোপ থেকে যুগোস্লাভিয়া এবং সাইপ্রাস দেশ দুটি যোগদান করে।


বেলগ্রেড সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়? অথবা, বেলগ্রেড সম্মেলন কবে হয় এবং কটি রাষ্ট্র যােগদান করে।

বেলগ্রেড সম্মেলন ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১ থেকে ৬ ডিসেম্বর এই সম্মেলনে ২৫ টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ছাড়াও বলিভিয়া, ব্রাজিল ও ইকুয়েডরের প্রতিনিধিরা যােগদান অনুষ্ঠিত হয়। করেছিল।


NIEO-এর পুরাে নাম কী?

New International Economic Order!


দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা' বলতে তুমি কী বােঝাে?

১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে জোটনিরপেক্ষ দেশগুলির নতুন দিল্লি সম্মেলনে জোট নিরপেক্ষ সদস্য রাষ্ট্রগুলো উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে যে সহযােগিতার নীতি গ্রহণ করে, তা দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযােগিতা নামে পরিচিত।


জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের কোন সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা?

১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী ডারবানে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের দ্বাদশ সম্মেলনের উদবােধক ছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা।


বিশ্বব্যাপী মহামন্দা জনিত সংকটকে স্মরণকালের মধ্যে নিকৃষ্টতম কে বলেছেন?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শার্ম এল শেইখ-এর সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী মহামন্দা জনিত সংকটকে স্মরণকালের মধ্যে 'নিকৃষ্টতম’ বলেছেন।


জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের দ্বাদশ শীর্ষ সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের দ্বাদশ শীর্ষ সম্মেলন ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের ২ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী ডারবানে অনুষ্ঠিত হয়।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মহাসচিব বান-কি-মুন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের কোন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন?

২০১২ খ্রিস্টাব্দে তেহরানে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ষোড়শ সম্মেলনে জাতিপুঞ্জের মহাসচিব বান-কি-মুন উপস্থিত ছিলেন।


জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন কবে, কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২৬ থেকে ৩১ আগস্ট ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়।


তৃতীয় বিশ্ব বলতে কী বোঝো?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র পুঁজিবাদী জোট ও সমাজতান্ত্রিক জোটের বাইরে জোট নিরপেক্ষ কিংবা নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বজায় রেখেছিল। এই সমস্ত জোটনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলিকে তৃতীয় বিশ্ব বলা হয়।


তৃতীয় বিশ্ব বলে কারা পরিচিত?

জোট নিরপেক্ষ বা নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলি যারা পুঁজিবাদী জোট বা সমাজতান্ত্রিক জোট কোনােটাতেই যুক্ত না হয়ে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বজায় রাখে, তারা তৃতীয় বিশ্ব বলে পরিচিত। যেমন- এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশসমূহ।


ছায়াযুদ্ধ কাকে বলে?

সামরিক জোট ও পালটা সামরিক জোট, প্রচার ও পালটা প্রচার, নজরদারি ও পালটা নজরদারি, সামরিক তথ্য সংগ্রহ, প্রভৃতির কৌশলকে ছায়াযুদ্ধ বলে।


বর্তমানে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের একটি প্রাসঙ্গিকতা উল্লেখ করাে।

আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার গণতন্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এখনও জোটনিরপেক্ষতার প্রয়ােজনীয়তা আছে।


জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সপক্ষে একটি যুক্তি দাও।

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সপক্ষে একটি যুক্তি হল জাতীয়তাবাদী সংগ্রামে ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।